নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যানের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরে অস্ত্র রেখে গ্রেফতার ও তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে থানায় জিডি করেছেন এক ব্যবসায়ী। গত বুধবার রাতে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের বিরুদ্ধে ওই জিডি করেন, একই ইউনিয়নের পেশকারহাট বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ। ভুক্তভোগি তার মুঠোফোনে ধারণকৃত চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের নানা হুমকিমূলক কথার কথোপকথনের সংরক্ষণ করা রেকর্ডটিও এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

জানা যায়, ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের সমর্থিত প্রার্থী সাবেক মেম্বার আবুল কাশেমের বিপক্ষে ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ নির্বাচনী কর্মকা- চালানোয় ক্ষুব্দ হয়ে এমন ধরনের হুমকি দেন বলে স্থানীয়রা জানায়।

আবদুল ওয়াদুদের করা ওই জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে চেয়ারম্যান হানিফের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে তার নাম্বারে ফোন দেয়। ফোনটি রিসিভ করার সাথে সাথে চেয়ারম্যান তাকে তুলে নিয়ে (হত্যা) প্যাকেট করা, ঘরে অস্ত্র রেখে গ্রেফতার করার হুমকি দেয়। এসব কথোপকথন ভুক্তভোগি তার মোবাইল নাম্বারে সংরক্ষণ করে রাখেন। ঘটনাটির পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতার কারণে গত বুধবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

ভুক্তভোগী আবদুল ওয়াদুদ বলেন, হানিফ সবুজ মধ্য রাতে হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে প্রাণে মেরে ফেলাসহ নানা হুমকি দেয়। জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করেছি। চরকাঁকড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আবদুল ওয়াদুদ একটি বিচারের রায় তার মনোভুত না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে নানা অপপ্রচার চালায়। এবিষয়ে আমি তাকে বারণ করেছি মাত্র। তবে আবদুল ওয়াদুদ জিডিতে আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করেছে তা আমার জানা নেই এবং পুলিশ এখনও ওই জিডির তদন্তে আসেনি।

চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের বিরুদ্ধে জিডির বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বলেন, জিডিটি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।