পদ্মা-যমুনায় নাব্যতা সংকটে আটকে আছে পণ্যবাহী কার্গো

Daily Inqilab রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা

২৯ মার্চ ২০২৩, ০১:০৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৬ পিএম

পদ্মা ও যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকট কাটছে না। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৬নং ফেরি ঘাটে পদ্মা নদীতে আটকে আছে উত্তরাঞ্চলগামী কয়েকটি জরুরী পণ্য বোঝাই কার্গো। এখান থেকেই পণ্য খালাস করতে বাধ্য হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ৬ নম্বর ঘাটে গিয়ে দেখাযায়, উত্তরাঞ্চলের পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ দৌলতদিয়া, নগরবাড়ী, বাঘাবাড়ী এ নৌপথ। প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ চলাচল করে থাকে। চলতি শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে। পাশাপাশি চ্যানেলের পানি গভীরতা কমে যাওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এক একটি জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছাতে ৫-৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। এ অবস্থায় চট্রগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী বন্দরগামী বিভিন্ন মালামল সার, গম, কয়লা বোঝাই কোস্টার জাহাজ গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৬নং ফেরি ঘাটে পদ্মা নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। আটকে থাকা কার্গো জাহাজ থেকে ট্রলার ও বাল্কহেডের মাধ্যমে পণ্য খালাস করে গন্তব্য নেয়া হচ্ছে।
দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে নোঙর করে আছে এমভি আব্দুল কাদের, এমভি শেখ সুরজাত আলী, এমভি ল্যাবস, এমভি গোলাপ-১, রশিদ শিপিং লাইন, এমভি এসটিএস-১, এমভি মোর্শেদা বেগম সহ ৮টিরও বেশি কোষ্টার জাহাজ। অনেক শ্রমিক ওই জাহাজ থেকে মালামাল নামাতে কাজ করছেন।
জাহাজের মাষ্টার আঃ আলীম বলেন, চিটাগাং থেকে জাহাজ নিয়ে আসতে নৌপথে নদীর মাঝে বড় বড় ডুবোচর জেগেছে। ওইসব ডুবোচরে জাহাজ আটকে যাচ্ছে। ডুবোচরের কারণে নদী পথে ঘুরে আসতে জ্বালানী খরচ ও সময় বেশি লাগছে। তারপর আবার ঘাটে এসে নদীর পারে জাহাজ চাপাতে পারছি না। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে নদীতে জাহাজ আটকে যাওয়ার কারণে এখানেই ট্রলার ও বাল্কহেডে করে মালামাল খালাস করতে হচ্ছে। নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে বেশির ভাগ জাহাজ দাসকান্দিতে ঘাটে চলে যাচ্ছে।

জাহাজের মাস্টার রশিদ সরদার বলেন, চিটাগাং থেকে দৌলতদিয়ায় আসতে নদীতে পানি থাকলে সময় লাগতো ২-৩দিন। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকটে সময় লাগছে ৬-৭ দিন। আবার ঘাটে এসে মালামাল খালাসের জন্য থাকতে হয় ২-৩দিন। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করে তার পর ছেড়ে যাব বাঘাবাড়ী বন্দরে।

ফেরির মাষ্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, ড্রেজিংয়ে একটি চ্যানেল সচল আছে। ওই চ্যানেলটি শুধু মাত্র দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় ব্যবহার করি। আর পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার সময় স্বাভাবিক নদীপথই ব্যবহার করা হয়। তবে নদীতে অসংখ্য ডুবোচরে ঝুকি থাকলেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আপাতত কোন ঝুকি নেই।

বিআইডাবিøটিসি দৌলতদিয়ার ঘাট শাখার সহকারী ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ার কারণে ফেরি গুলো নদীর ভাটি দিয়ে ঘুরে আসছে। আগের চেয়ে অনেক সময় বেশি লাগছে। নদীর চ্যানেল ঠিক করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। নদীতে এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ১২ থেকে ১৭ ফিট পানির গভীরতার প্রয়োজন। তা না থাকায় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় পণ্য খালাস করতে হচ্ছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

১৭ রানও আটকাতে পারলেন না মুস্তাফিজ,ফের হারল চেন্নাই

১৭ রানও আটকাতে পারলেন না মুস্তাফিজ,ফের হারল চেন্নাই

সিলেটের মাটিতে ভারতীয় নারী ক্রিকেট টিম !

সিলেটের মাটিতে ভারতীয় নারী ক্রিকেট টিম !

বিশ্বনাথ পৌরমেয়র মুহিবকে গ্রেফতার ও অপসারণের দাবিতে ঝাড়– মিছিল

বিশ্বনাথ পৌরমেয়র মুহিবকে গ্রেফতার ও অপসারণের দাবিতে ঝাড়– মিছিল

থাইল্যান্ডে ইউএন এসকাপ-এর ৮০তম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী পলক

থাইল্যান্ডে ইউএন এসকাপ-এর ৮০তম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী পলক

মনিরামপুরে ভূমি কর্মকর্তাকে মারধর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার - ২

মনিরামপুরে ভূমি কর্মকর্তাকে মারধর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার - ২

পার্কটি সংস্কার ও উন্নত করা হোক

পার্কটি সংস্কার ও উন্নত করা হোক

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাসা থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাসা থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মাঠের বিরোধীদলের করণীয়

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মাঠের বিরোধীদলের করণীয়

ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রভাব কি বাংলাদেশে পড়ছে?

ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রভাব কি বাংলাদেশে পড়ছে?

ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা লজ্জার

ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা লজ্জার

ফজরের নামাজ কাযা হলে জুমার খুতবার পূর্বে আদায় না করতে পারলে করণীয় প্রসঙ্গে।

ফজরের নামাজ কাযা হলে জুমার খুতবার পূর্বে আদায় না করতে পারলে করণীয় প্রসঙ্গে।

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

ফরিদপুরে গ্যারেজ মিস্ত্রি হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে গ্যারেজ মিস্ত্রি হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন

বিতর্কিত সিএএ কার্যকর হলে ভারতের সংবিধান লংঘিত হবে

বিতর্কিত সিএএ কার্যকর হলে ভারতের সংবিধান লংঘিত হবে

এক কর্মচারীতে চলছে নাঙ্গলকোট মৎস্য অফিস

এক কর্মচারীতে চলছে নাঙ্গলকোট মৎস্য অফিস

২৬ ঘণ্টা পর অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ উদ্ধার ২

২৬ ঘণ্টা পর অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ উদ্ধার ২

সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা মমতার

সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা মমতার

চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা

চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা

দাউদকান্দিতে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা ও মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

দাউদকান্দিতে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা ও মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কৃষকদের স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ

হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কৃষকদের স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ