রাজবাড়ীর পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান মুকুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত আরো ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। সেই সাথে তাদের কাজ থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের শেখ পাড়া গ্রামের রাসেল মন্ডল, একই ইউনিয়নের কোলানগর গ্রামের রমজান শেখ ও নাওড়া বনগ্রামের সজীব শিকদার।

রবিববার রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমার।

সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, বলেন এ হত্যামালায় রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সিরলশ ভাবে কাজ করে হত্যার রহৎ উদ্ঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আরো কেউ থাকলে তাদেরও আইনের আওয়ায় আনা হবে।

এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবেশনাল) আসলাম সাগর, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, পাংশা মডেল থানার সেকেন্ট অফিসার এস আই মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গতঃ গত ৩০ এপ্রিল রাতে নিজের সারের দোকানে হালখাতা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান মুকু। বাজার থেকে একটু দুরে সন্ত্রাসীরা তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিতে পথরোধ করে। এক পর্যায়ে মাথায় গুলি করলে ঘটনা স্থলেই তার মৃত্য হয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহানারা বেগম পাংশা মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করলে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জরিত প্রথমে ১ জন পরে ৫ জন ও আজ আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। সেই সাথে আগ্নেয়ান্ত্র উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান বলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দিপংকরসহ থানা পুলিশের একাধীক টিম কাজ করে তাদের গ্রেফতার করেছে, একই সাথে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ওই এলাকায় আতংস্ক বিরাজ করছিল ,পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসায় কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলছে বলে জানান এলাকার মানুষ। এ ঘটনায় ঘটনার পরদিন ১লা মে বিশাল মানববন্ধন করেন পাংশা কালুখালী উপজেলা শিক্ষ কল্যাণ ট্রাসের ব্যানারে হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থী সুধি সমাজ।