কাল থেকে ৩ মাসের জন্য সমগ্র সুন্দরবন লকডাউন
৩১ মে ২০২৩, ০৫:১৮ পিএম | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ০৫:১৮ পিএম
সুন্দরবনের বন্য প্রাণী এবং নদী–খালের মাছের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় আগামীকাল ১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য লকডাউন বা বন্ধ হচ্ছে সমগ্র সুন্দরবন। এ সময় সাধারণ মানুষের চলাচলসহ সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। কোনো পর্যটক প্রবেশ করতে পারবেন না। সকল প্রকার বনজ সম্পদ আহরণ বন্ধ থাকবে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের (আইআরএমপি) এর সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ বছর মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে শুরু করা হয়েছে। এ সময় সুন্দরবনের ভেতরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে সুন্দরবনের প্রাণী ও বনজ সম্পদ আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে সুন্দরবনের সৌন্দর্যও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার, যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ ভাগ। এই অংশে ২১০ প্রজাতির হোয়াইট ফিস, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মালাস্কা এবং গলদা চিংড়ি রয়েছে। সুন্দরবনের নদী-খালগুলোতে মূলত জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩ মাস মাছের প্রজনন মৌসুম। ফলে এ সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হলে সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ যেমন বাড়বে, তেমনি অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদসহ সব জীবের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সুন্দরবনে সাধারণের প্রবেশ ও সম্পদ আহরণ বন্ধ থাকবে। এরফলে সারা বছর জনসমাগম ও সম্পদ আহরণে বনের যে ক্ষতি হয়, তা কিছুটা পুষিয়ে যাবে। বণ্যপ্রাণীরা নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে পারবে। নদনদীতে মাছের নিরাপদ প্রজননের ফলে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ৯২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় কীভাবে সংসার চালাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বনজীবিরা। তারা বলছেন, বন্ধের দিনগুলোয় তাদের জন্য সরকারি যে সহায়তা দেওয়া হয়, তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সুন্দরবনে পর্যটকদের নিয়ে চলাচলকারী ছোট ‘জালি বোট’ এর চালক বাগেরহাটের মোংলা এলাকার হামিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় তিন মাস পুরো ঘরে বসে থাকতে হবে। এ সময় আমাদের চরম দূরবস্থায় পড়তে হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। কাঠ সংগ্রহ করেন খুলনার কয়রা এলাকার এমন একজন বাওয়ালী হারুন শেখ জানান, সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞাকালীন যে সহায়তা দেয়া হয়, তাতে আমাদের কিছুই হয় না। অনেকটা অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হয়। এ সময় বিকল্প কোনো কাজের ব্যবস্থাও থাকে না। তারপরও বনের কথা বিবেচনা করে আমরা এই সময়টা অপেক্ষা করি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবার আমরা বনে প্রবেশ করব।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার