রামগতিতে খামারীদের মাথায় হাত! বড় গরুর চাহিদা কম
২৭ জুন ২০২৩, ০২:২৭ পিএম | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩, ০২:২৭ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ক্রেতাদের চাহিদা না থাকায় বড় গরু বিক্রি না হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আলেকজান্ডার, বিবিরহাট, কারামতিয়া, রামদয়াল বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে বড় গরু বিক্রি করতে না পারায় মাথায় হাত উপজেলার অর্ধশতাধিক খামারীর! বিগত দিনগুলোতে অন্যান্য জেলা থেকে পাইকাররা আসলেও এবার তেমনটা দেখা মেলেনি। সব মিলিয়ে গরুর বাজার গুলোতে বড় গরুর চাহিদা একেবারেই কম।
খামারীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কুরবানীর ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। এ অঞ্চলে মৌসুমী খামারী ও ব্যবসায়ীরা গরু পালন করে থাকেন। গো-খাদ্যের উচ্চ মূল্য, শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরীসহ নানান কারনে গরু লালন পালন করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। যেখানে অন্যসময়ে দশ বারোটি গরু মোটাতাজা করা হতো, এখন সেখানে করা হচ্ছে তিন চারটি। এ স্বল্প সংখ্যক গরুও বিক্রি না হওয়ায় হতাশ তারা। প্রতিটা গরু হাঁটে আনতে নিতে এক দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। একটি গরু আনা নেয়ায় সাথে তিনজন শ্রমিক প্রয়োজন হয়। আবার রাত জেগে পাহারাও দিতে হচ্ছে খামারিদের। এসব খরচ মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সব মিলিয়ে রামগতির খামারিরা হতাশা ব্যক্ত করেন। সাত আট মণ ওজনের গরুর দাম আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা হলেও ক্রেতারা দাম বলছেন ১ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।
কয়েকজন খামারি জানান, স্বজনদের গহনা বিক্রি, ঋণ নিয়ে ধারা দেনা করে গত ছয় মাস ধরে ঈদের সময় বিক্রি করার আশায় গরু লালন পালন করে আসছেন তারা । এখন ক্রেতারা প্রত্যাশানুয়ায়ী দাম না হাঁকায় বিক্রি করতে পারছেননা। লাভ তো দুরে থাক, খরছটাও উঠবে না তাদের।
আলেকজান্ডার বাজারে গরু কিনতে আসা মোঃ ফারুক মাঝি ও খবিরুল হক জানান, এবার বড় গরুর দাম অনেক বেশী। তাই তারা মাঝারি দামের গরু নিতে আগ্রহী। এজন্য গরু বাজার ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা।
বাজার ইজারাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশি হাজার থেকে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরু বেচা কেনা হয়। বড় গরু বিক্রি নেই বললেই চলে। খামারী আবদুর রব, শাহে আলম, মনির মিয়া এবং দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতিটি গরুর পেছনে দৈনিক ব্যয় হচ্ছে এক হাজার থেকে ১৫’শ টাকার মতো। হাঁটে আনা নেয়ার খরচও আছে। বিক্রি করতে না পারলে পথে বসতে হবে তাদের।
উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা জুড়ে স্থায়ী অস্থায়ী মিলে ১২টি গরুর হাঁট রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভার অধীনে ২টি। এর সবগুলোতেই বড় গরুর আধিক্য দেখা গেছে। শেষ মুহুর্তে কেনাকাটাও চলছে বেশ ভালো। পাশাপাশি উপজেলায় কুরবানীর জন্য পর্যাপ্ত গরু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকতা নজরুল ইসলাম জানান, এবার কুরবানী দেয়ার মত মাঝারি গরু সবচেয়ে বেশি বেচা কেনা হচ্ছে। বড় গরুর গ্রাহক চাহিদা কম। তিনি আরো জানান উপজেলার সবকটি বাজারে তিনটি মেডিকেল টিম পর্যায়ক্রমে কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তনু চৌধুরী বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কুরবানির গরু ক্রয় বিক্রয় করতে এবার রামগতিতে ১২ টি হাঁট বসানো হয়েছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সম্পদের পাহাড় আমিনের
গরমের পাশাপাশি বৃষ্টি
রাজধানীতে যত্রতত্র থামছে বাস
পেজারে ভারত-যোগ
সিংহের সাথে খুনসুটি
টিয়াপাখির টিউমার অপসারণ
সম্পদের হিসাব দিচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ভাঙচুরে পল্টন থানায় ইফার জিডি
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার ইতিহাস আর সৃষ্টি হবে না
মালয়েশিয়ায় পাসপোর্টের জন্য হাহাকার
বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে জটিলতার শঙ্কা
এদেশে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন হবে
বিএডিসির উদাসীনতায় ভেজা ও নষ্ট সার শুকিয়ে ঢুকছে গুদামে
যশোরে প্রিপেইড মিটারের ভোগান্তি শেষ কোথায়
আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
শেখ হাসিনা কাদেরসহ ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের কমিটি বাতিল
মুম্বাইতে মসজিদ রক্ষায় শত শত মুসলিমের অবরোধ
রামগতিতে খাদ্য বান্ধবের চাল না দেয়ায় বিপাকে নিম্ন মধ্যবিত্তরা