ফেনীতে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আজ অবরোধের দ্বিতীয় দিন সকাল ৯টার দিকে জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খন্দকারের নের্তৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের ইসলামপুর রোড দিয়ে শহীদ উল্লাহ কায়সার সড়কের দিকে আসলে তখন টহলরত পুলিশের বাঁধার মুখে বিক্ষোভকারীরা পিচু হটেন। বেলা ১২টার দিকে শহরের তাকিয়া রোড ও ইসলামপুর রোডে দাঁড়িয়ে থাকা ১০ থেকে ১২টি পণ্যবাহি ট্রাক ভাংচুর করে পিকেটাররা। এর আগে সকাল ৭টার দিকে রামপুরে একটি মাছ বোঝাই সিএনজি অটোরিকসায় আগুন ধরিয়ে দেয় পিকেটাররা। এসব ঘটনার পর থেকে ফেনী শহর এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে সকাল থেকে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ও মহিপাল এলাকায় ছাত্রদল ও স্বেচ্চাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে মহাসড়কে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে। সকালে ফেনীর আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
অবরোধে সকাল থেকে ফেনী শহর এলাকায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহর এলাকায় ছোট যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে, তবে গতদিনের তুলনায় খুবই কম। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও বেশিরভাগই বন্ধ রয়েছে। শপিংমলগুলো খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোন গাড়ি চলতে দেখা যায়নি। রেলপথে ফেনী অংশে অবরোধের কোন প্রভাব পড়েনি। ট্রেনগুলো সময়মত চলাচল করছে বলে রেল সংশ্লিষ্টরা জানান। মহিপালে বাস কাউন্টারগুলোর সামনে অনেক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান বিকেল নাগাত পরিস্থিতি বুঝে গাড়ি ছাড়া হবে।
ফেনী জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, দ্বিতীয় দফার অবরোধকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের প্রায় ৪শ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে ফেনী বড় বাজারের ভিতরে দাঁড়ানো পণ্যবাহী গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে সেসব বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন গত মাসের ২৮ তারিখ থেকে বিএনপির যে কর্মসূচি চলছে এবং তাদের বিভিন্ন রকমের নাশকতা কর্মকান্ডের জন্য এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গতকাল পর্যন্ত ১১২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি যারা নাশকতার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে।