সিংগাইরে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড
১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা বাস্তা গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও গলা কেটে হত্যার দায়ে রোকমান হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম তানিয়া কামাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. রোকমান হোসেন ওরফে লোকমান মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বড় কালিয়াকৈর গ্রামের মো. আমোদ আলীর ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত ছমিরন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তার বাবার বাড়িতে আলাদাভাবে বসবাস করতেন। তাকে চলাফেরায় সহায়তা করতেন তার বৃদ্ধ মা মোছা. নুরজাহান বেগম। প্রতিদিন রাতে বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখতেন তার মা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছমিরনের ছোট ভাইয়ের বউ সেবিকা আক্তার সুমি আত্মীয়স্বজনসহ বাস্তা আশ্রাফিয়া জামিয়াতুল মাদ্রাসায় ওয়াজ শুনতে যায়। প্রতিদিনের মতো তার মা রাত ৮ টার দিকে ছমিরনকে ঘরে শুইয়ে রেখে বাহিরে তালা দেন। পৌনে ১ টার দিকে ওয়াজ শুনে বাড়ীতে আসার পথে পশ্চিম পাশে ইটের সলিং রাস্তা দিয়ে রোকমানকে শরীরে রক্ত মাখা অবস্থায় দ্রুত হেটে যেতে দেখে সুুমি বাড়ীতে গিয়ে তার শ্বাশুড়ীকে বলেন তার নুনাস কোথায়। তার শ্বাশুড়ী দ্রুত তালা খুলে ঘরে ঢুকে লাইট জালিয়ে চৌকির উপর ছমিরনের গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পান। সুমি সাথে সাথেই স্থানীয় মেম্বার আ. মজিদ আলীকে ফোন করে তার নুনাসের হত্যাকান্ড ও লোকমানের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানায়। ঘটনার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরেই আ. মজিদ মেম্বারসহ এলাকার লোকজন লোকমানকে আটক করে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে। তাদের বাড়ীর উঠানে অনেক লোকের উপস্থিতিতে লোকমান স্বীকার করে তার নুনাস যে ঘরে থাকে তার পাশের রুমের দরজার শিকল খুলে ওই রুমে প্রবেশ করে আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে ছমিরনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ছমিরন চিৎকার করতে থাকলে রান্না ঘর থেকে বটি দা এনে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এ.কে.এম. নূরুল হুদা রুবেল জানান, এ ঘটনায় ছমিরনের ভাইয়ের বউ মোছা. সেবিকা আক্তার সুমি ঘটনার পরের দিন ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখে বাদি হয়ে সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আব্দুস সাত্তার মিয়া তদন্ত শেষে লোকমানকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরবর্তীতে মোট ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সাথে তার সংশিষ্টতা পাওয়ায় আসামি মো. রোকমান হোসেন ওরফে লোকমানকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ (২) ধারায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আসামিকে সাজা পরোয়ানাসহ জেল হাজতে প্রেরণ করার আদেশ দেওয়া হয়।
আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুর ইসলাম।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুমিল্লায় সরকারী অফিসে সিটিজেন চার্টার না থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত
সরকার পরিবর্তনের সাথে পাঠ্যবইয়ের ইতিহাস কেন বদলায়?
এবার নড়াইলে কলেজের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
আজও দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, সতর্ক থাকার পরামর্শ
সাদপন্থি শীর্ষ নেতা শফিউল্লাহ গ্রেপ্তার
ডাকসুসহ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, শিবিরকে ঘিরে বিবাদের আভাস
গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি
সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে নয়াদিল্লি, নতুন ভাসমান চৌকি স্থাপন
ঘনকুয়াশায় বন্ধ আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস
বাইডেনের স্ত্রীকে ‘সবচেয়ে দামি’ উপহার দিলেন মোদি
বাংলাদেশিদের ভিসা কমিয়ে ভারতে বিদেশি রোগী অর্ধেকে নেমেছে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান লুৎফে সিদ্দিকীর
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার গ্রেফতার
ব্রাইটনের বিপক্ষে আর্সেনালের হোঁচট
টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির
রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান
রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে