বাবাকে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ মেয়েদের বিরুদ্ধে
২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৫ পিএম | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৫ পিএম
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক বৃদ্ধ বাবাকে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই মেয়েদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের খোচাবাড়ি গ্রামে। গতকাল সংবাদকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবুল কাশেম।
জমি বিক্রির বিষয়টি জানিয়ে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ আবুল কাশেম (৭০) কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে ওই বৃদ্ধ অভিযোগ করেছেন, ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ভুক্তভোগীকে তদন্তের জন্য ডেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বৃদ্ধ মো. আবুল কাশেম পৈতৃক সূত্রে পাওয়া তার ৮৯ শতক জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ চাষাবাদ করে আসছেন। কৃষি কাজ করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। সংসার জীবনে তিনি পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক। মেয়েদের সবাইকে বিয়েও দিয়েছেন তিনি।
এক পর্যায়ে তার প্রতিবেশী ফুলবাড়ী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের এক দলিল লেখকের মাধ্যমে বাবাকে মৃত দেখিয়ে তার কন্যা শেফালী বেগম, শাহিনা বেগম, রোশনা বেগম, সেলিনা বেগম ও জোসনা বেগম ৯ শতক জমি প্রায় ৫ বছর আগে পঁচা মামুন নামের এক প্রতিবেশীর কাছে বিক্রি করে দেন। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, দলিলের ৭নং কলামে দলিল লেখক লিখেছেন, এসএ রেকর্ডীয় মালিক বনিজ মামুন নামীয় সম্পত্তি। বনিজ মামুন মারা গেলে তাহার ত্যাক্ত সম্পত্তির ওয়ারিশ পুত্র আবুল কাশেম প্রাপ্ত হন। আবুল কাশেম মারা গেলে তাহার ত্যাক্ত সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে কন্যা শেফালী বেগমসহ অন্য মেয়েরা প্রাপ্ত হন।
বৃদ্ধ আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার জীবদ্দশায় স্ত্রী ও কন্যাদের কোনো জমি হস্তান্তর করিনি। প্রতিবেশী দলিল লেখক ফজলুল হক ও আমার মেয়েরা আমাকে মৃত দেখিয়ে ৯ শতক জমি বিক্রি করেছে পচা মাহমুদ নামের একজনের কাছে।
তিনি বলেন, আমার তো বয়স হয়েছে, আমি আর কাজ করতে পারি না। জমিতেও যাইও না। অন্যজন জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করত। ওই ৯ শতক জমি বিক্রি করতে গিয়ে জানতে পারি, আমার জমি নাকি আমার মেয়ারা বিক্রি করে দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচারের জন্যে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, দলিল লেখক ফজলুল হক ও আমি একই জামায়াতে নামাজ পড়ি। কিন্তু ফজলুল হক আমাকে মৃত দেখিয়ে কিভাবে দলিল লিখলো, এর আমি কঠিন বিচার দাবি করছি। বিষয়টি জানতে কাশেম আলীর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
ফুলবাড়ী উপজেলার দলিল লেখক ফজলুল হক বলেন, কাশেম আলী ১৫ সালে তার জমি মেয়েদের লিখে দিয়েছেন। মেয়েরা সেই জমি বিক্রি করেছে। সব ডকুমেন্টস আমার কাছে রয়েছে। অযথা হয়রানি করার জন্য তিনি এসব অভিযোগ বিভিন্ন স্থানে দিচ্ছেন।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু বিষয়টি জমিজমা সংক্রান্ত আমি তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। পুলিশ সাদা কাগজে সই নিয়েছে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেছে আপনাকে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গাজায় টেলিকম সেবা বন্ধের আশঙ্কা , জ্বালানি সংকটে জরুরি সেবা বিপর্যস্ত
সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ
ইয়েমেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র-বন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলা
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত আরও ২১,মানবিক বিপর্যয় চরমে
ফেনীর মহিপালে এক শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গাকে আটক
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হলেন মাদুরো, নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল
আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের ১৮ বছর আজ
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ