দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬৯, মানিকগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন, ভোটের মাঠে জনগণের প্রতিক্রিয়া দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থীর তাল লয় ঠিক নেই। তারা যেদিকেই যাচ্ছে নৌকার গণজোয়ার দেখে তাদের মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই কি রেখে কি করবে তারা দিশেদ্বারা পাচ্ছে না।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংগাইর উপজেলার ইসলামনগর এলাকায় এক নির্বাচনি জনসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নৌকায় মানুষ ভোট দিবেন। কারণ আ. লীগ সরকারের ১৫ বছরে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে। এটা জনগণ দেখছে। জনগণ এটাও বুঝতে পারছে নৌকার এমপি হতে না পারলে শেখ হাসিনার কাছ থেকে অন্য কেউ কিছু আনতে পারবে না। ফলে এ এলাকারার উন্নয়ন থেমে যাবে। এ জন্য মানুষ উৎসবমুখুর পরিবেশে নৌকাতেই ভোট দিবে। কারণ সাধারণ জনগণ আমাকেও খুব ভালোবাসে। আর এটা বুঝতে পেরেই দলীয় বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী পায়ে পারা দিয়ে, গায়ে পড়ে ভেজাল লাগানোর চেষ্টা করছে। ভোটের মাঠের শান্ত পরিবেশটাকে উত্তপ্ত করে তোলার চেষ্টা করছে। জনগণও এটা বুঝতে পারছে।
মমতাজ বেগম বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরে এখন তারা বুঝতে পারছে, ভোটের মাঠে তাদের অবস্থা ভালো না। মূলত সাধারণ জনগণ তাদের চাচ্ছে না। প্রতিদিনই আমি এবং আমার কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনি এলাকায় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকা মার্কার ভোট চাচ্ছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে আমার মা-বোনেরা আলাদা আলাদা টিম গঠন করে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি জায়গায় নৌকার একটা জোয়ার উঠে গেছে। সকলেই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট প্রস্তুত আছে।
দলের মধ্যে নেতাকর্মীদের বিভক্তি নিয়ে মমতাজ বলেন, অর্থলোভী গুটি কয়েক নেতা যারা দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করছে। দিন যতই যাচ্ছে তারা আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। পরাজয়ের পূর্বাভাস পেয়ে তারা উৎসবমুখুর সুন্দর একটা নির্বাচনী মাঠকে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। কিন্তু এতে ভোটে দিকে আবার দিন দিন নৌকার ভোটই বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিন শেষে কিন্তু সাধারণ জনগণ শেখ হাসিনার মার্কা হিসেবে নৌকাই চিনে। শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মমতাজকেই চিনে। তাই জাতির জনকের মার্কা, নৌকা মার্কা”। শেখ হাসিনার মার্কা, নৌকা মার্কা, আওয়ামী লীগের মার্কা, নৌকা মার্কা। উন্নয়নের মার্কা, নৌকা মার্কা। আর মমতাজের মার্কাও, নৌকা মার্কা।
দলীয় বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মমতাজ বেগম বলেন, তারা রাতে একটা টিম নামিয়ে দেয়, সেখানে কিছু নেশাখোর ছেলে-পেলে থাকে। তারা কী করে, আমাদের পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। কোথাও আমার পোস্টার থাকছে না। আজ যারা আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে, তাদের লোকজন তো আমার নির্বাচনি ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে। টাকার গরমে আমার লোকজনকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এটা আমার নেতাকর্মীদের মধ্যেও দুই একজন নাই তা বলব না, তবে আমি এগুলো কারও কাছ থেকেই চাই না। তাই আমি বলব, আমাদের কোনো নেতা এই ধরনের হুমকি-ধামকি দিলে, এটা তার ব্যক্তিগতভাবে নিতে হবে। তার বিষয়ে আমি কিংবা আমার দলের কেউ দায়-দায়িত্ব নিবে না। আমার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সব সময়ই আমি বলি, আমাদের ভোটের মাঠ ভালো। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা যেন সৃষ্টি না হয়। কারণ আমরা মানুষের জন্য কাজ করেছি। মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমি আশাবাদী, নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে জনগণ নৌকার বাইরে যাবে না। তাতে যে যত টাকাই ঢালুক না কেন?