বেহাল দেশের প্রথম দ্বিতল রেল স্টেশন

Daily Inqilab ইনকিলাব

২৬ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩০ এএম

কম খরচে এবং কম সময়ে যোগাযোগের নিরাপদ ও আরামদায়ক মাধ্যম হিসেবে দেশে রেল যোগাযোগ সুপরিচিত। বাংলাদেশে ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর বর্তমান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হতে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত ৫৩.১১ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপিত হয়। এটিই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম রেললাইন, যার ভিতর এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে উচ্চতম এবং দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট আলমডাঙ্গা স্টেশনও ছিল। আজকের এই স্টেশনটি ইংরেজ আমলে নীলকুঠি হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যেটির উপরের ঘরগুলোতে ইংরেজরা থাকতো, নিচের ঘরগুলো ছিল গুপ্তঘর; যা জেলখানার পাশাপাশি নির্যাতনের জায়গা হিসাবেও ব্যবহৃত হতো। বিগত প্রায় ১৬০ বছর যাবত এ স্টেশনটি দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে দেশের রেলওয়েকে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও ঐতিহ্যবাহী এ স্টেশনটিতে আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। স্টেশনটির অবকাঠামোগত কোন দৃশ্যমান সংস্কারও দৃশ্যমান হয়নি। অন্যদিকে, চাহিদার তুলনায় স্টেশনটিতে টিকিট সংখ্যাও অপ্রতুল। সেজন্য বিপুল পরিমাণে চাহিদার কথা চিন্তা করে এ স্টেশনে টিকিট সংখ্যা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন। প্লাটফর্মে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যানের ব্যবস্থা নেই, ফলে গরমের সময়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া স্টেশনে অবস্থিত সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ভবনটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এমতবস্থায় শত বছরের প্রাচীন এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনটি সংস্কারের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মো. নাইমুর রহমান শাওন
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মিয়ানমারে ভূমিকম্প এবং আমাদের ভয়
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উচিৎ কথা
আইএমএফ’র ঋণের প্রশ্নে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুদয়
শিক্ষাব্যবস্থার ব্ল্যাকবক্স খোলার এখনই সময়
আরও
X

আরও পড়ুন

এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় ধস, তেলের দামেও পতন

এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় ধস, তেলের দামেও পতন

গাজা ইস্যুতে সিসি ও ম্যাখোঁর সঙ্গে জর্দানের রাজার বৈঠক আজ

গাজা ইস্যুতে সিসি ও ম্যাখোঁর সঙ্গে জর্দানের রাজার বৈঠক আজ

ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ ফের শুরু আজ

ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ ফের শুরু আজ

সকালে ব্রিদিং এক্সারসাইজের উপকারিতা

সকালে ব্রিদিং এক্সারসাইজের উপকারিতা

মতলব দক্ষিণ থানার এসআই জীবন চৌধুরীর বেতন বন্ধের নির্দেশ

মতলব দক্ষিণ থানার এসআই জীবন চৌধুরীর বেতন বন্ধের নির্দেশ

সাবেক এমপি কেরামত আলী গ্রেফতার

সাবেক এমপি কেরামত আলী গ্রেফতার

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে মেশিন বিস্ফোরণে ২জন শ্রমিক দগ্ধ

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে মেশিন বিস্ফোরণে ২জন শ্রমিক দগ্ধ

ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু

ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু

বিক্ষোভে উত্তাল মণিপুর, নেতার বাড়িতে আগুন দিলো জনতা

বিক্ষোভে উত্তাল মণিপুর, নেতার বাড়িতে আগুন দিলো জনতা

ঢাকায় ৪ দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন আজ শুরু

ঢাকায় ৪ দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন আজ শুরু

ইয়েমেনে সর্বশেষ মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৪

ইয়েমেনে সর্বশেষ মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৪

মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশকে হুমকি ইরানের, যুদ্ধের শঙ্কা

মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশকে হুমকি ইরানের, যুদ্ধের শঙ্কা

রাজধানীর বংশালে আগুন, নিহত ১, আহত ৭

রাজধানীর বংশালে আগুন, নিহত ১, আহত ৭

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে আজ ধর্মঘট

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে আজ ধর্মঘট

দুর্ঘটনার কবলে জামায়াত নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস, নিহত ৩

দুর্ঘটনার কবলে জামায়াত নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস, নিহত ৩

ঈদকে কেন্দ্র করে কৃষি নির্ভর বরিশাল অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার

ঈদকে কেন্দ্র করে কৃষি নির্ভর বরিশাল অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার

ঝড়ো বাতাসে যমুনা নদীতে আটকে ছিল ফেরি

ঝড়ো বাতাসে যমুনা নদীতে আটকে ছিল ফেরি

হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে লেবাননের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মার্কিন দূতের বৈঠক

হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে লেবাননের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মার্কিন দূতের বৈঠক

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বৈশ্বিক কর্মসূচিতে সংহতি, দেশব্যাপী ধর্মঘট আজ

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বৈশ্বিক কর্মসূচিতে সংহতি, দেশব্যাপী ধর্মঘট আজ

এনসিপি কর্মীদের ধর্ষণের হুমকি পাওয়া সেই ছাত্রদল নেত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

এনসিপি কর্মীদের ধর্ষণের হুমকি পাওয়া সেই ছাত্রদল নেত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা