স্মার্ট রাষ্ট্র বিনির্মাণে শিক্ষা
১৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম

একটি রাষ্ট্রকে স্মার্ট রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রধানতম উপকরণ হচ্ছে দক্ষ মানবসম্পদ। আজ পৃথিবীকে নেতৃত্বদানকারী উন্নত রাষ্ট্রগুলো দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সফল হয়েছে বলেই কেবল তারা স্মার্ট জাতি। একটি জাতিকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে হলে প্রথমেই আসে শিক্ষা এবং শিক্ষকদের ভূমিকা। সুশিক্ষিত, স্মার্ট, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে মানসম্মত এবং যুগোপযোগী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আর সেই মানসম্মত শিক্ষাদানে সুশিক্ষিত, স্মার্ট, সুনাগরিক গঠনের কাজটি কেবলমাত্র শিক্ষকরাই সম্পাদন করবেন। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও গুরুত্বের দাবিদার। অতএব, এরকম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত হতে হবে জাতীয় কোনো শিক্ষাবিদ বা শিক্ষা গবেষকদের মাধ্যমে। শিক্ষা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষাখাত মেরামতে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। শিক্ষার ভীত রচিত হয় প্রাথমিক শিক্ষায়। সেজন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া স্মার্ট রাষ্ট্র বিনির্মাণে প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত। রাষ্ট্রকে শিক্ষাখাতের মেরামত নিয়ে ভাবতে গিয়ে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো, শিক্ষকদের দিয়ে স্বাধীন পাঠদানের ব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের সঠিক সামাজিক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া। শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনের ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষকরা যাতে করে স্বাধীন পাঠদানের পরিবেশ পায় সেই ব্যবস্থা করা। দুঃখজনক হলেও সত্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের শিক্ষকদের জীবন মান অনুন্নত এবং উচ্চশিক্ষিত শিক্ষকরা রাষ্ট্রের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। শিক্ষকদের থেকে পাঠদানের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে, শিক্ষকরা কবে কখন কতটুকু ক্লাসে পাঠদান করাবেন, সেটা যদি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ডাক্তারি প্রেসক্রিপশনের মতো প্রেসক্রিপশন দিয়ে পাঠদান করানো হয় তাহলে মানসম্মত শিক্ষা অর্জন সম্ভব নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষকদের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলবে। শিক্ষকদের ভালো মন্দ দেখভাল করবে। শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় পাঠদানের উপকরণ সরবরাহ করবে ইত্যাদি। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ করছি।
মো. জামিল বাসার
সহকারী শিক্ষক, বওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টাংগাইল।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

বায়ার্নের সঙ্গে লম্বা চুক্তিতে কিমিখ

মনোহরগঞ্জে মুঘল আমলে নির্মিত শরীফপুর মসজিদটি স্থাপত্যের অনন্য এক নিদর্শন

প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতিকারীরা সমাজে আশকারা পাচ্ছে: রিজভী

মঁদিকে হারাল রিয়াল

৬ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে

নোয়াখালীতে বিধবার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে ডাকাতি

আড়াইহাজারে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে টহল পুলিশের গাড়ির ধাক্কা, পুলিশ সদস্যসহ ৭ জন আহত

ইউক্রেনে শান্তি চায় না ইউরোপীয় দেশগুলো, রাশিয়ার অভিযোগ

তালতলীতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূষণ বন্ধ করে পায়রা নদী রক্ষার দাবি

কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের জন্য আইনি-লিগ্যাল নোটিশ

কিম জং উনের সঙ্গে এখনো ভালো সম্পর্ক: ট্রাম্প

গুয়ানতানামো বে খালি, অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনলো যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের সংস্কারে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জাতিসংঘের

গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা, ন্যাটোকে যুক্ত করতে চান

ভারতের কেন এত ভয় বাংলাদেশ নিয়ে? বারবার কেন হাসিনাকেই চায় ওরা?

মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

নোয়াখালীতে বিআরডিবির অর্থ কেলেঙ্কারি: আওয়ামীলীগ নেতার ১১ বছর জেল, ৩১ লাখ টাকা জরিমানা

ন্যাটোর অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান রুটের

৯ মিনিটেই শেষ ট্রেনের আগাম টিকিট, আধাঘণ্টায় ২০ লাখ হিট