ভারত বিভক্তির ৭৬ বছর পর নরেন্দ্র মোদি অখ- ভারতের দিবা স্বপ্ন দেখছেন

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

০৫ জুন ২০২৩, ০৯:৪১ পিএম | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩, ১২:০৫ এএম

ভারতের নতুন সংসদ ভবনে অর্থাৎ নব নির্মিত লোকসভা ভবনে মুরালের মাধ্যমে অখ- ভারতের মানচিত্র তৈরী করে সেটি ভবনের অভ্যন্তরে টঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। এই মানচিত্রে অখ- ভারত বলতে বোঝানো হয়েছে বর্তমান ভারত, বাংলাদেশ, পকিস্তান, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভূটান। এই অখ- ভারতের মানচিত্র নিয়ে পাকিস্তান ও নেপালে অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করছে। রবিবার সন্ধ্যায় এই কলাম লেখার সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও এ ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করছে। তবে বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৮ মে রবিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন। সেই সাথে তিনি মুরালটিও উন্মোচন করেন। দৈনিক নিউ এজের ৪ জুন সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় প্রধান সংবাদে বিভিন্ন দলের প্রতিক্রিয়াসহ সংবাদটি ছাপানো হয়েছে। একই দিন দৈনিক প্রথম আলোর দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ডাবল কলাম দিয়ে যে সংবাদটি ছাপানো হয়েছে তার শিরোনাম, ‘অখ- ভারত মানচিত্র নিয়ে ঢাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।’

নিউ এজের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সরকার এবং নেপালের রাজনৈতিক দলসমূহ এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। নিউ এজের খবরে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত (৪ জুন) কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ঐ দিকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। পত্রিকাটির সাথে কথা বলতে গিয়ে এক শ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ বলেছেন, ভারতের এই কাজের ফলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে রাজনীতিতে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হবে। নিউ এজের প্রতিনিধি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নিউ এজের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ঐ রিপোর্টে বলা হয়, টেলিফোনে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে একটি টেক্সট ম্যাসেজ করা হয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঐ টেক্সট ম্যাসেজের জবাব দেওয়ারও কোনো প্রয়োজন মনে করেননি।

২০১৫ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসের নেতা রাম মাধবকে এসম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ঐ সময় আরেকটি মানচিত্র প্রকাশিত হয়েছিল। আল-জাজিরার রিপোর্ট মোতাবেক, ঐ মানচিত্রে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসিত হলে আরএসএস নেতা রাম মাধব বলেন, ‘আরএসএস এখনো বিশ^াস করে যে, এমন একদিন আসবে যখন এসব দেশ, যারা মাত্র ৬০ বছর আগে আলাদা হয়ে গেছে, তারা স্বেচ্ছায় ভারতে ফিরে আসবে।’

এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর মারাত্মক আঘাত। বাংলাদেশের জন্য ভারতের এই কাজটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। ভারতের প্রতিবেশীদের জন্যও এটি লজ্জাজনক। তিনি মন্তব্য করেন যে, বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ ছিল, তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ করা। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, এটি ভারতের পক্ষে একটি খারাপ কাজ। আমি মনে করি যে, এ কাজের পেছনে ভারতের যে উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে সেটিও খুব খারাপ। আমাদের আঞ্চলিক রাজনীতিতে এটি একটি খারাপ নজির সৃষ্টি করলো। ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন বলেন, ভারতের পক্ষে এটি একটি খারাপ কাজ। এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হলো। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার কি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? দেখিয়ে থাকলে আমি সেটা জানি না।’ বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমর বলেন যে, এটি দেশের সার্বভৌমত্বের ব্যাপার। তাই সরকারকে অবিলম্বে এর প্রতিবাদ করা উচিৎ।

॥দুই॥
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক বলেন, ভারত সরকারের এই কাজ অত্যন্ত উস্কানীমূলক এবং এই অঞ্চলে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বাধীনতার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন। তিনি বলেন, ধর্মভিত্তিক ভারতীয় জাতীয়তাবাদ অর্থাৎ হিন্দুত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিজেপির ষড়যন্ত্রের এটি একটি অংশ। এই ধরণের উস্কানীমূলক উদ্যোগের ফলে তারা উপমহাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। তিনি অবিলম্বে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ভারতের এই উদ্যোগের তীব্র নিন্দা করে।

নিউ এজের ঐ রিপোর্টে বলা হয় যে, ঐ মুরালটি উন্মোচন করার পর থেকেই নেপাল এবং পাকিস্তানে প্রতিবাদী প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দি হিন্দুতে’ বলা হয়, অখন্ড ভারতের এই মুরাল উন্মোচনের ফলে এই উপমহাদেশে অনাবশ্যক কূটনৈতিক ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। এই প্রতিক্রিয়া নেপালেও দেখা দেবে। দি হিন্দুতে আরো বলা হয়, যে মুহূর্তে নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ড ভারত সফর করছেন তখন এই ধরণের উত্তেজনাকর মুরাল নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে আস্থার সংকট সৃষ্টি করবে। অনুরূপ মন্তব্য করেছেন নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই।

যখন এই মুরালটি উন্মোচিত হয় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনিই প্রথম উচ্চ স্বরে বলে ওঠেন, ‘অখন্ড ভারত’। এই নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করে ভারতের ২০ টি বিরোধী দল। নেপালের সংবাদপত্রসমূহ এখন এই ইস্যুতে ভারতের সমালোচনায় মুখর। ২ জুন পাকিস্তানের প্রাচীন সংবাদপত্র ইংরেজি ‘দৈনিক ডনে’ বলা হয়, পাকিস্তান সরকার ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে ভারতের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাকিস্তান লক্ষ্য করছে যে, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অখন্ড ভারতের প্রচারণা চলছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ বেলুচ প্রাচীন ভারতের দোহাই পেড়ে অখন্ড ভারতের প্রচারণা চালাচ্ছে। এই মুরালের মাধ্যমে ভারতের সংশোধনবাদী এবং প্রম্প্রসারণবাদী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ভারত শুধুমাত্র তার প্রতিবেশীদেরকেই দাবিয়ে রাখতে চায় না, তার দেশের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলমানদেরকেও অখন্ড ভারতের নামে দাবিয়ে রাখতে চায়।

ভারতের সবচেয়ে মর্যাদাশীল আলোচিত ইংরেজি দৈনিক ‘দি টাইমস অব ইন্ডিয়াতে’ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয় যে, সংঘ পরিবার (আরএসএস এবং তার শাখাসমূহ) সেই ভারতের স্বপ্ন দেখে যেটি তাদের ধর্মমতে ‘ভগবান’ রামের সময় বিরাজ করছিল। এটিকেই বিজেপি এবং সংঘ পরিবার ‘রাম রাজত্ব’ বলে। এই রাম রাজত্বের সীমা পরিসীমা হলো একদিকে আফগানিস্তান, যার প্রাচীন নাম হলো উপগণথন, কাবুল যার প্রাচীন নাম হলো কাবুল নগর। অন্যদিকে পেশাওয়ার যার প্রাচীন নাম হলো পুরুষপুর। আরো আছে মুলতান, যার প্রাচীন নাম হলো মুলস্তান। আরো আছে তিব্বত, যার প্রাচীন নাম হলো ত্রিভিস্টাভ। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা, যার প্রাচীন নাম হলো সিংহল দ্বীপ। আর পূর্বে রয়েছে মিয়ানমার, যার প্রাচীন নাম হলো ব্রহ্ম দেশ। রাজনৈতিকভাবে অখন্ড ভারতের আওয়াজ তোলেন সর্বপ্রথম ১৯৪৪ সালে ঐতিহাসিক রাধা কিমুধ মুখার্জী। তিনি অখন্ড ভারত সম্মেলনে এই আওয়াজ তোলেন। অন্যদিকে একই সময় অর্থাৎ ১৯৪৪ সালে মুসলিম লীগের সম্মেলনে ভারত ভাগ করে পাকিস্তানের আওয়াজ তোলা হয়। ঐতিহাসিকদের মতে মুসলিম লীগের পাকিস্তান দাবীর পাল্টা দাবী হিসেবে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা অখন্ড ভারতের আওয়াজ তোলেন।

॥তিন॥
দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্ট মোতাবেক, আওয়ামী লীগ নেতারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন যে, অখন্ড ভারতের মাধ্যমে ভারত সরকার কি বলতে চাচ্ছে সেটি তারা সর্বপ্রথম বোঝার চেষ্টা করবেন। আলোচ্য পত্রিকাটি আওয়ামী লীগের তিনজন সিনিয়র নেতার সাথে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন যে মুরালের মাধ্যমে অখন্ড ভারতের মানচিত্রের ব্যাপারে তাদের কোনো ধারণা নাই। ভারত এ ধরণের মানচিত্র দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছে সেটা তারা জানার চেষ্টা করবেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথেও পত্রিকাটি যোগাযোগ করেছে। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পায়নি। জাসদের এক অংশের নেতা হাসানুল হক ইনু বলেছেন যে, ১৯৪৭ উত্তর ভারতে অখন্ড ভারত বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নাই। তাদের মুরালে অখন্ড ভারতকে প্রদর্শন করা অনভিপ্রেত। তিনি আশা করেন যে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই মানচিত্র সংশোধন করবেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারত সরকার হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আপত্তিকর এবং বিভ্রান্তিমূলক মুরালটি স্থাপন করেছে।

এটি অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক যে, অখন্ড ভারতের নাম করে নরেন্দ্র মোদির সরকার বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলির সার্বভৌমত্বের প্রতি যে অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে সে ব্যাপারে একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া আর সমস্ত রাজনৈতিক দল ধিক্কার জানিয়েছে। সিপিবিসহ বাম রাজনৈতিক দলগুলোও এবার এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। আমরা ইনসেটে ভারতীয় সংসদ ভবনে স্থাপিত অখন্ড ভারতের ছবি ছাপিয়ে দিলাম। এই ছবির পর আর বোঝার কি অবশিষ্ট রয়েছে, সেটি বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে অক্ষম। ভারতের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। ভারতপন্থী হওয়া এক কথা, ভারতের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা এক কথা, আর অখন্ড ভারতের ব্যাপারে মৌনতা ভিন্ন কথা। এই মৌনতা অত্যন্ত রহস্যজনক। অখন্ড ভারতের মানচিত্র প্রকাশের পরেও আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ সরকার যখন নীরবতা অবলম্বন করে তখন জনসাধারণ সেটিকে ভিন্নভাবে নেয়। এই রকম রহস্যজনক অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে দলটির বড় গলায় কথা বলা শোভা পায় না।

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিহারিরা কেমন আছে
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
ভ্রমণকারীদের সচেতন হতে হবে
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে নানা কথা
আরও

আরও পড়ুন

রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো

রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো

জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়

জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়

বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর

বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর

চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন

কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন

বিহারিরা কেমন আছে

বিহারিরা কেমন আছে

লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন

আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন

মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে

মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে

১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর

১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর

আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে

আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে

মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি

মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি

কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব

কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব

অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ

সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ

আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি

নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি

কিউবায় সমাবেশ

কিউবায় সমাবেশ