ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

পাকিস্তানে জনগণের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী জনগণও রুখে দাঁড়িয়েছে

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

০৩ জুলাই ২০২৩, ০৮:২৭ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

আজ পাকিস্তান নিয়ে লিখব। পাকিস্তান নিয়ে লেখার অনেক কারণ আছে। মনে হচ্ছে, দেশটি ধ্বংস না হলেও একটি বিরাট জটিলতা এবং বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের বর্তমান সংকট ও বিপর্যয়ের জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনীই সাবেক পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতা ও স্বাধীনতার জন্য দায়ী। ৭১ পূর্ব সেনাবাহিনীর আচরণ এবং বর্তমানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আচরণে অনেক সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন লাভ করেন। ১৬৭ টি আসন লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধুমাত্র পূর্ব পাকিস্তানের একচ্ছত্র নেতা হিসেবেই নন, সারা পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন। গণতন্ত্র বলে যে, এই অবস্থাতে শেখ মুজিবের হাতেই পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত ছিল। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৭০ সালে এই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় সামরিক শাসনের আমলে। তখন জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানে সামরিক শাসন চলছিল। ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসন জারি করার পটভূমিও এখানে উল্লেখ করা দরকার।

১৯৬৯ সালে শুধু সাবেক পূর্ব পাকিস্তানেই নয়, সাবেক পশ্চিম পাকিস্তানেও একসাথে শুধু দুর্বার গণআন্দোলনই নয়, গণঅভ্যুত্থান ঘটে। সমগ্র পাকিস্তান এক দারুণ অচল অবস্থার সম্মুখীন হয়। তখন ক্ষমতায় ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মোঃ আইয়ুব খান। আইয়ুব খান সুদীর্ঘ ১০ বছর পাকিস্তান শাসন করেন। তার শাসনামলের শেষ বছরে আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানে একসাথে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়। পূর্ব পাকিস্তানে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে দেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। পাকিস্তানে গুরুতর অচল অবস্থা দেখে ইয়াহিয়া খান জেনারেল আইয়ুব খানকে বলেন যে, দেশ এভাবে চলতে পারেনা। অতঃপর তিনি আইয়ুব খানকে অপসারণ করেন এবং সামরিক আইন জারি করেন।

সামরিক আইন জারি করার পর দেশব্যাপী প্রচারিত এক বেতার ভাষনে জেনারেল ইয়াহিয়া খান ওয়াদা করেন যে, সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিনের জন্য পাকিস্তান শাসন করতে আসেনি। অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে তারা সারা পাকিস্তানে সাধারণ অনুষ্ঠান নির্বাচন করবে এবং নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশটির শাসনভার হস্তান্তর করবে।

এখানে আরো একটু পেছনে ফিরে যেতে হয়। অতীতে পাঁচটি প্রদেশ নিয়ে পাকিস্তান গঠিত ছিল। এই পাঁচটি প্রদেশ হলো পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তান, পাঞ্জাব, সিন্ধু, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং বেলুচিস্তান। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তপ্রদেশের নাম পরিবর্তন করে এখন করা হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া। এই পাঁচটি প্রদেশের মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের যে জনসংখ্যা ছিল সেই জনসংখ্যা পাকিস্তানের অবশিষ্ট চারটি প্রদেশের সামষ্টিক জনসংখ্যার চেয়েও বেশি ছিল। কিন্তু তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা ডঃ খান সাহেব এবং পূর্ব পাকিস্তানের নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী- এই দুই নেতার সম্মতিতে পাকিস্তানে এক ইউনিট গঠিত হয়। এক ইউনিট মানে, পাকিস্তান অতঃপর দুইটি ইউনিট নিয়ে গঠিত। একটি ইউনিট হল পশ্চিম পাকিস্তান। অপর ইউনিট হল পূর্ব পাকিস্তান। জাতীয় পরিষদে থাকবে ৩০০ টি আসন। এই ৩০০ টি আসন দুইটি ইউনিটের মাঝে সমান ভাগে ভাগ করা হবে। অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তানের ভাগে থাকবে ১৫০ টি আসন এবং পূর্ব পাকিস্তানের ১৫০ টি আসন। এভাবেই চলছিল।

ইয়াহিয়া সামরিক শাসন জারির পর শেখ মুজিব দাবি করেন যে, এক ইউনিট বাতিল করতে হবে। ইয়াহিয়া খান সেই দাবি মেনে নেন। এক ইউনিট বাতিল হয় এবং পাকিস্তানে পাঁচটি প্রদেশ পুনরুজ্জীবিত হয়। অতঃপর শেখ মুজিব দাবি করেন যে, জাতীয় পরিষদের আসন নির্বাচন হবে সংখ্যা সাম্যের ভিত্তিতে নয়, অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে ১৫০ এবং পশ্চিম পাকিস্তানে ১৫০ নয়। এটি হবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে। আগেই বলা হয়েছে যে, পূর্ব পাকিস্তানের যে জনসংখ্যা ছিল সেটি পশ্চিম পাকিস্তানের অবশিষ্ট চারটি প্রদেশের সামষ্টিক জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। ইয়াহিয়া খান এই দাবিও মেনে নেন। ফলে জাতীয় পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানের আসন সংখ্যা হয় ১৬৯। পশ্চিম পাকিস্তানের আসন সংখ্যা ছিল ১৬০ এর কাছাকাছি।
ইয়াহিয়া খান যখন নির্বাচন দেন তখন জনসংখ্যার ভিত্তিতে যে আসন ভাগাভাগি হয় সেই ভাবেই নির্বাচনটি পরিচালিত হয়। নির্বাচন শেষে দেখা যায় যে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ যতগুলি আসন পেয়েছে সেই আসন সংখ্যা পশ্চিম পাকিস্তানের সবগুলি দল যতগুলি আসন পেয়েছিল তার চেয়েও বেশি। ফলে ১৬৯ টি আসন পেয়ে শেখ মুজিব পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন। এই নির্বাচনের পর, আগেই বলেছি যে, গণতান্ত্রিক বিধিমতে, শেখ মুজিবের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তরিত হওয়া উচিত ছিল। সেদিন যদি ইয়াহিয়া খান নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ তথা শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস হয়তো ভিন্নভাবে লেখা হতেও পারত।

নির্বাচনী ফলাফল দেখে পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন যে এই নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে তিনি রাজি আছেন। তবে শেখ মুজিবকে তার ছয় দফা সংশোধন করতে হবে। তার মতে, ছয় দফা যদি হুবহু মেনে নেওয়া হয় বা বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে পাকিস্তান একটি অখ- রাষ্ট্র থাকেনা। পাকিস্তান ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে শেখ মুজিব এই কঠোর অবস্থা গ্রহণ করেন যে, জনগণ ছয় দফার ওপরে তাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে। অতএব ছয় দফা থেকে তিনি দাড়ি কমা সেমিকোলন পর্যন্ত বদলাবেন না। ওদিকে ভুট্টো বলেন যে, কিঞ্চিৎ সংশোধন ছাড়া ছয় দফা তার পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

স্বাভাবিকভাবেই এবার জনগণের নির্বাচিত দুইটি রাজনৈতিক দল এবং তাদের নেতাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের অবসানের জন্য ১৯৭১ সালের ১৪ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল মোঃ ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলাপ-আলোচনা শুরু করেন। প্রতিদিন আলোচনা থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগ ডেলিগেশনের সদস্যরা বলেন যে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু কি অগ্রগতি, কি কি বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে সে সম্পর্কে জনগণকে কিছুই জানানো হয়নি। পত্রিকা গুলোতেও আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সেদিন কোন কিছুই প্রকাশিত হয়নি। এরমধ্যে, যতদূর মনে পড়ে, ১৭ বা ১৮ মার্চ জুলফিকার আলী ভুট্টো পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এই আলোচনায় যোগদানের জন্য আসেন। শেখ মুজিব প্রথমে ভুট্টোকে এই আলোচনায় শামিল করতে রাজি ছিলেন না। তার কথা হলো, তিনি মেজরিটি পার্টির লিডার। অতএব তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক এবং এই হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় কিভাবে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করা হবে সেটি হলো আলোচনার মুখ্য বিষয়।

যাই হোক, শেষ পর্যন্ত জুলফিকার আলী ভুট্টোকে আলোচনায় শামিল করতে শেখ মুজিব রাজি হন। এর মধ্যে আরো দুই একটি ঘটনা ঘটে। ইরানের তৎকালীন রাজা শাহানশাহ রেজা শাহ পাহলভী ঢাকায় আসেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এত কিছুর পরেও আলোচনার গতি এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে জনগণ সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন।
২২ মার্চ ১৯৭১ আওয়ামী লীগের তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারি তাজউদ্দিন আহমেদ এই মর্মে পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি দেন যে, অনেক আলোচনা হয়েছে। আর আলোচনা নয়। এবার আমরা চাই ঘোষণা। তাজউদ্দিনের এই বিবৃতির পর অন্তত সচেতন মহল মনে করেন যে, আলোচনা যত মসৃণ বলে মনে হচ্ছিল আসল ব্যাপারটি তত মসৃণ নয়। নিশ্চয়ই কোথাও কোন গুরুতর জটিলতা দেখা দিয়েছে। যাই হোক, ২৪ এবং ২৫ মার্চের মধ্যে ইয়াহিয়া খান এবং ভুট্টো পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যান এবং ২৫ মার্চ সামরিক ক্র্যাকডাউন শুরু হয়। পরের ঘটনা সকলেই জানেন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করে।

এখন বর্তমান পাকিস্তানের দিকে ফিরে যাচ্ছি। প্রায় বছরখানেকেরও আগে সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় পার্লামেন্টারি ক্যু করে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে হটানো হয়। ইমরান খান প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন যে, তাকে ক্ষমতা থেকে হটানোর পেছনে রয়েছে দুইটি শক্তি। একটি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অপরটি হল পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

দেখা যায় যে, গদিচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খান ঘরে বসে থাকেননি। তিনি এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে জনগণের কাছে চলে যান। তিনি ইসলামাবাদ ও লাহোরে দুইটি জনসভা করেন। এই দুটি জনসভা ছিল অভূতপূর্ব। লক্ষ লক্ষ লোক এসব জনসভায় যোগদান করেন। এভাবে চারণের বেশে ইমরান খান পাকিস্তানের চারটি প্রদেশ চষে বেড়ান। পরবর্তী দুই মাস সময়ের মধ্যে তিনি অন্তত ২৪ টি জনসভা করেন। প্রাদেশিক রাজধানীসমূহ ছাড়াও তিনি জেলা শহরগুলোতেও যে জনসভা করেন সেখানেও প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ শামিল হয়। যতই দিন যায় ততই ইমরান খানের জনপ্রিয়তা অবিশ্বাস্য গতিতে বাড়তে থাকে। ইমরান খান প্রতিটি জনসভায় বলেন যে, তিনি ক্ষমতা চান না, কিন্তু তিনি অতি দ্রুত নির্বাচন চান।

পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র অনুযায়ী পাকিস্তানে নির্বাচনের সময় হল চলতি সালের অক্টোবর বা নভেম্বর মাস। ইমরান খানের দাবি ছিল ব্যাপক জনসমর্থিত। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর ১৯৭০ সালের পূর্ব পর্যন্ত সমগ্র পাকিস্তান ভিত্তিতে কোন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এমনকি পাকিস্তানে ১৯৫৬ সালের মার্চ মাসের পূর্ব পর্যন্ত কোন শাসনতন্ত্রও রচিত হয়নি। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫৬ সালের ২২ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তান পরিচালিত হয়েছে সেই ব্রিটিশ আমলে রচিত ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী। সুতরাং ইমরান খান সাধারণ নির্বাচনের যে দাবি উত্থাপন করেন সেই দাবির পেছনে জনসাধারণ ব্যাপকভাবে কাতার বন্দী হতে থাকেন।

এই স্থানেই ইমরান খানের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মিল পাওয়া যায়। সেটি হল শেখ মুজিবও নির্বাচনের দাবি করেছিলেন। ইমরান খানও নির্বাচনের দাবি উত্থাপন করেন। ইমরান খানও গণতন্ত্রের দাবি উত্থাপন করেন। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের রাজনীতি থেকে সামরিক বাহিনীর প্রভাব দূর করার আওয়াজ তোলেন। ইমরান খানও পাকিস্তানের রাজনীতি থেকে সামরিক বাহিনীর প্রভাব দূর করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। আমরা জানিনা, পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কি। কিন্তু ইমরান খান নিজেই এখানে অতীত টেনে এনেছেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। পাকিস্তান জুড়ে তিনি যে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন সেখানে তিনি বলেছেন যে, ১৯৭১ সালে যদি সেনাবাহিনী সংখ্যা গুরু দলের নেতা শেখ মুজিবের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করতো তাহলে হয়তো বাংলাদেশের জন্ম নাও হতে পারতো। এখানে একটি কথা বলা দরকার যে এটি ইমরান খানের বক্তব্য। এই বক্তব্যের সাথে আমি বা দৈনিক ইনকিলাবের কোন সম্পর্ক নাই। যাই হোক, ইমরান খান বলেন যে শেখ মুজিবকে ক্ষমতা না দেওয়ার ফলে যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, তেমনি যদি পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর প্রভাব খর্ব করা না হয়, নির্বাচন দেওয়া না হয়, জন প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা না হয় তাহলে পূর্ব পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতির উদ্ভব না ঘটলেও পাকিস্তান ঘোরতর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। (চলবে)

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা