কমিউনিটি ক্লিনিক : স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব
১৬ জুলাই ২০২৩, ০৮:০০ পিএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগের একটি। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যসেবার সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা দেশে-বিদেশে নন্দিত। গ্রামীণ সড়কের পাশে প্রায়ই চোখে পড়ে একেকটি কমিউনিটি ক্লিনিক। একই নকশায় তৈরি ছোট্ট ভবনে এই ক্লিনিক। গ্রামীণ জনপদের প্রতি ৬০০০ মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে। ২০ থেকে ৩০ মিনিটের হাঁটার দূরত্বে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে এমন পরিকল্পনায় ক্লিনিকগুলোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম দিকে ৫ শতাংশ জায়গায় ক্লিনিকগুলো তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য এখন ৮ শতাংশ জমির ওপর নতুন মডেলের ক্লিনিক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভবনে চারটি করে রুম। দুটি স্বাস্থ্যকর্মীদের বসার জন্য, একটি রোগীদের ওয়েটিং রুম, আরেকটি লেবার (ডেলিভারি) রুম। বাথরুম থাকছে দুটি। আধুনিক মানের একটি ক্লিনিক হিসেবে গড়ে উঠছে প্রত্যন্ত গ্রামের ভেতরের এসব ক্লিনিক।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আলোচনা উঠলেই কমিউনিটি ক্লিনিককে বাদ দিয়ে সেই আলোচনা পূর্ণ হয় না। স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পেছনে আছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ও উদ্যোগ। এর মধ্যে একটি হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্যগাথা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি পুস্তিকার নাম কমিউনিটি ক্লিনিক: হেলথ রেভল্যুশন ইন বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসাসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত মেয়াদে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করেন এবং সে সময় ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক চালু করা হয়। প্রায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করা হয়। এর ফলে ওই সময়কালে চিকিৎসাসেবা দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে দেশের দরিদ্র মানুষ আবারও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হতে শুরু করে। ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার আবার কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম চালু করে। এ সময়ে ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার-সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে ১৪ হাজার ২০০টি ক্লিনিক চালু রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৯০টি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সরকারের এ মহতি উদ্যোগে দেশের অসহায় দুস্থ মানুষ সহজে ও বিনা পয়সায় হাতের নাগালে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে।
গ্রামীণ জনগণের অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসাসেবা বিতরণের প্রথম স্তর হলো কমিউনিটি ক্লিনিক। তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুসারে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। সার্বিক প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যার আওতায় অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রসবপূর্ব (প্রতিষেধক টিকাদানসহ) এবং প্রসবপরবর্তী (নবজাতকের সেবাসহ) সেবা প্রদানকারী কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সময়মতো যক্ষ্মা রোগের প্রতিষেধক টিকাদান, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হাম, হেপাটাইটিস-বি, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, কুষ্ঠ, কালা-জ্বর, ডায়রিয়াসহ, অন্যান্য অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং সেগুলোর সীমিত চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে। এছাড়া জ্বর, ব্যথা, কাটা/পোড়া, হাঁপানি, চর্মরোগ, ক্রিমি এবং চোখ, দাঁত ও কানের সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসাও প্রদান করা হচ্ছে। ক্লিনিকগুলোতে অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সংক্রান্ত বিভিন্ন উপকরণসহ বিনামূল্যে ৩০ এরও বেশি ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
শুধু স্বাস্থ্যসেবাই নয়; কর্মক্ষেত্র তৈরিতে এ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপিদের সঙ্গে সপ্তাহে তিন দিন সেবা দিয়ে থাকেন একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী ও একজন স্বাস্থ্য সহকারী। বর্তমানে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১ জন করে মোট ১২৮৩৭ জন সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ৫৪ শতাংশ নারী অর্থাৎ নারীর ক্ষমতায়ন দেশব্যাপী স্বীকৃত। সরকার সকল সিএইচসিপিদের ৩ মাস ব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং পরবর্তীতে ৭ দিনব্যাপী পুনঃপ্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসব সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এপর্যন্ত প্রায় দুই হাজার জন মহিলা সিএইচসিপিকে ঈড়সসঁহরঃু ঝশরষষবফ ইরৎঃয অঃঃবহফধহঃ (ঈঝইঅ) প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপারেশনাল প্লান ও সহযোগী সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বাড়ির কাছেই সহজে, বিনামূল্যে নির্ভরযোগ্য, আস্থাশীল সেবা পাওয়ার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গ্রামের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং পরিবারের হাসপাতাল হয়ে উঠেছে। প্রতিটি ক্লিনিকে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকারও বেশি ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। গত জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত ক্লিনিকগুলোতে মোট ভিজিট হয়েছে প্রায় সাড়ে সাতকোটিরও বেশি। ১০ কোটিরও বেশি মানুষ পেয়েছেন বিনামূল্যের এই স্বাস্থ্যসেবা। প্রতিদিন প্রতিটি ক্লিনিকে ৭০-৮০ জনেরও বেশি ভিজিট করেন। এর ৮০ শতাংশ নারী ও শিশু। এ পর্যন্ত ৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় এক লক্ষ মায়ের নিরাপদ স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়েছে। ৩ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি রোগীকে প্রাথমিক সেবা দিয়ে জরুরি ও জটিলতার কারণে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহে ছয় দিন সিএইচসিপির কমিউনিটি ক্লিনিকে উপস্থিত থেকে সেবা প্রদান করেন। স্বাস্থ্যকর্মী এবং পরিবার কল্যাণ সহকারীরা সপ্তাহে তিন দিন করে কমিউনিটি ক্লিনিকে বসেন। সিএইচসিপিরা স্বাস্থ্য সহকারীদের তদারকি করবেন। প্রশাসনিক কর্ম এলাকায় (প্রতি ইউনিয়নে ৯টি) ওয়ার্ডভিত্তিক মাঠকর্মীদের পদায়ন করা হয়। যদি কর্মীর সংখ্যা বেশি হয় তবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে তা সমন্বয় করে পদায়ন করা হয়। স্বাস্থ্য সহকারী অথবা পরিবার কল্যাণ সহকারী একে অপরের অনুপস্থিতিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে সব সেবা নিশ্চিত করেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য স্বাস্থ্য সহকারী এবং পরিবারকল্যাণ সহকারী বাড়ি পরিদর্শনকালীন সময় আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রদানে সক্রিয়ভাবে কাজ করে থাকেন। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯ টা থেকে বেলা ৩টা পর্য়ন্ত সেবা দেওয়া হয় ক্লিনিকে।
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে যাতে কমিউনিটি ক্লিনিক সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে; সেজন্য জাতীয় সংসদে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন-২০১৮ পাস হয়েছে। এতে ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনবলের বেতন-ভাতাদিসহ আর্থিক ব্যয়ভার নিশ্চিত করার জন্য অর্থ সংগ্রহের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ট্রাস্টকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার প্রকল্প থেকে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমকে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক, জাইকা, ইউনিসেফ ইত্যাদি সংস্থা আর্থিক, কারিগরি ও লজিস্টিক সরবরাহের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান উন্নয়নে কাজ করছে।
কমিউনিটি ক্লিনিককে কেন্দ্র করে আরেকটি নমুনা কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। প্রতিটি ক্লিনিক সংলগ্ন এলাকার ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের জন্য একজন করে মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে ৭০ হাজার ভলান্টিয়ার দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের আছে। এদের মাধ্যমে ক্লিনিকসংলগ্ন বাড়িগুলোর সদস্যদের স্বাস্থ্যকার্ড দেওয়ারও পরিকল্পনা আছে।
গ্রামাঞ্চলে আগে হাসপাতাল-ক্লিনিক তো দূরের কথা ভালো ওষুধের দোকানও পাওয়া যেত না। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকের সুবাদে এখন মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পরামর্শ ও ওষুধ পাচ্ছে ঘরের কাছেই। দিন দিন এর সেবাগ্রহীতার সংখ্যাও বাড়ছে। সরকারের পৃথক দুটি জরিপেও এসব ক্লিনিক নিয়ে ৮০ থেকে ৯৮ শতাংশ মানুষ তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) এক জরিপে দেখা গেছে, বাড়ির পাশের ক্লিনিক থেকে ওষুধ আর পরামর্শ পেয়ে ৮০ শতাংশ মানুষই সন্তুষ্ট। জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এর জরিপে দেখা যায়, সেবা নিয়ে ৯৮ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট। প্রান্তিক মানুষ এখন স্বাস্থ্যসেবার আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা এমডিজি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার ও গ্যাভি পুরস্কার এবং ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কারের মত অনেক সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছি।
স্বাধীনতার পর দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রায় সব সূচকে তলানিতে ছিল বাংলাদেশ। সেই দেশ এখন মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় টপকে গেছে ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ আরও বহু দেশকে। কমিউনিটি ক্লিনিক দেশের সর্বিক স্বাস্থ্য সেবার উন্নতির ক্ষেত্রে বড়ো ভূমিকা পালন করছে। -পিআইডি ফিচার
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিন প্রশ্নবিদ্ধ এনামুল
বৃদ্ধাশ্রমের বাবা মায়ের পাশে জেলা প্রশাসন সব সময় আছে এবং থাকবে
হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে : মাহমুদুর রহমান
পাবনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী কাঙ্গাল বাবু গ্রেপ্তার
আন্তর্জাতিক আইকিউ টেস্টে দ্বিতীয় ইরান
ইরানের মাহাবাদ জলাভূমিতে পরিযায়ী পাখির কোলাহল
‘শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে’: মাহমুদুর রহমান
সাইকেলে ৪৭ দেশ ঘুরে বাংলাদেশে পর্তুগিজ নারী
আমি হাসপাতালে কাতরাচ্ছি, আর হামলাকারীরা জামিন পেয়ে গেল?: ফারুক হাসান
মসজিদের স্ক্রিনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান
বিএনপি মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন : কাজী শিপন
বিএসএফের কাছ থেকে ৫ কিমি এলাকা অবমুক্ত করল বিজিবি
নরসিংদী টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজে তাঁতবোর্ড চেয়ারম্যানসহ ১৫ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ
জাবিতে ছাত্র রাজনীতির সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত
টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতি নিয়ে যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক
মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ
বাগেরহাটে চাঁদা আনতে গিয়ে নারীকে উত্যক্ত: গনপিটুনীতে নিহত ১
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সুর পাল্টালেন মমতা