তত্ত্বাবধায়ক সরকারই একমাত্র সমাধান
০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম
গত ১২ জুলাই থেকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদ বিলুপ্ত ও সরকারের পদত্যাগ তথা এক দফার দাবিতে আন্দোলন শুরু করছে। এতে তাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে জনতার ঢল নামছে। সমমনা দলগুলো বিএনপির এক দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে যুগপৎভাবে আন্দোলন করেছে। তাদের এক কথা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, নির্বাচনও হতে দেবে না। অন্যদিকে, একই দিনে সরকারি দল-আ’লীগ শান্তি সমাবেশ করছে। তাতেও জনসমাগম ব্যাপক হচ্ছে। আ’লীগ নেতারা অনবরত হুমকি দিয়ে বলছে, বিএনপির অমুক নেতাকে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না, তমুকদের দাঁত, হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে, পানিতে চুবানো হবে ইত্যাদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিষোদাগার ও অশ্লীলতা প্রকাশ করা হচ্ছে। পক্ষান্তরে বিএনপির নেতাকর্মীরা আ’লীগ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র কিছু বলছে না। তারা শুধুমাত্র শহীদ জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবি প্রকাশ করছে কোনো মন্তব্য ছাড়াই। এই হচ্ছে দুই দলের লোকদের কর্মকা- ও মানসিকতা। যা’হোক, উভয় পক্ষের লক্ষ্য মাঠ দখলে রাখা। পাল্টাপাল্টি আল্টিমেটামও দিচ্ছে। সরকার ও বিরোধী দল যেভাবে মুখামুখি অবস্থানে দাঁড়াচ্ছে তাতে যেকোন সময় ব্যাপক হানাহানি সৃষ্টি হতে পারে। এ নিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে আ’লীগ ও পুলিশ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মিছিল-মিটিংয়ে হামলা করেছে। তাতে খুন-জখম হয়েছে। উপরন্তু বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, কারাদ- প্রদান ইত্যাদি করেছে! এমনকি মৃত ও বিদেশে থাকা ব্যক্তিদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে! তবুও বিএনপি এখন পর্যন্ত সংযমের পরিচয় দিয়ে চলেছে। কোথাও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়নি। তার এ অবস্থান কতদিন অব্যাহত থাকবে, তা বলা কঠিন। কারণ, ধৈর্যের একটা সীমা আছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর ভিসা নীতি কার্যকর করেছে গত ২২ সেপ্টেম্বর, যা ঘোষিত হয়েছিল গত ২৪ মে। এ ভিসা নীতি কার্যকর নিয়ে দেশে মহাআতংক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি টক অব দি কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। ভিসা নীতির আওতায় কারা পড়বে, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও চলছে। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, এই ভিসা নীতির আওতায় সরকারপন্থী, সরকারবিরোধী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম পড়বে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র শিলার ইউএনবিকে বলেছেন, যে কাউকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন ‘ক্ষুণœ’ করতে দেখা গেলে, ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতিটি তার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এর মধ্যে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়ার জন্য সহিংসতার ব্যবহার এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা মিডিয়াকে প্রতিরোধ করার জন্য পরিকল্পিত ব্যবস্থার ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ওদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিলার বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপরই শুধু ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা। ভিসা রেকর্ড গোপনীয়, তাই নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। মার্কিন ভিসা নীতি দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। ভিসা নীতির আওতাভুক্তরা এবং তাদের পরিবারের সদস্য তথা স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবে না এবং সেখানে রক্ষিত তাদের সম্পদ জব্দ হবে। অবশ্য, বাংলাদেশ সরকারের কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, এতে আমরা ডরাই না। একই সঙ্গে আমেরিকার বিরুদ্ধে স্যাংশন দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে অনেকে। ভিসা নীতির মূল কারণ হচ্ছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের ৭ কর্মকর্তার উপর অবরোধ দিয়েছে। সরকার নানাভাবে আমেরিকার নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন করানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। তাই জনমনে ধারণা, এর পর হয়তবা যুক্তরাষ্ট্র আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে এবং তাতে দেশটির মিত্ররাও সংশ্লিষ্ট হতে পারে। সেটা হলে দেশের মহাসর্বনাশ ঘটবে। কারণ, বাংলাদেশের রফতানি, বিনিয়োগ, অনুদান, শিক্ষা ইত্যাদির প্রধান অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নে বাংলাদেশের নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী না হওয়ার আশঙ্কায় ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে যায় আসে না বলে সরকারের অনেকেই বলেছে। উপরন্তু ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে গত ১৪ সেপ্টেম্বর। তাতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ এখনই নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকা ও তাদের মিত্ররা বাংলাদেশে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং মানবাধিকার রক্ষার দাবি করছে বহুদিন থেকে। তাদের অনেকে ঘনঘন বাংলাদেশ সফর করে এ বিষয়ে সকলের সাথে আলোচনা করেছে। জাতিসংঘও একই দাবি করেছে। জাতিসংঘ চিঠি দিয়ে নির্বাচনকালে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এসিএলইডি বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাত প্রবণ ৫০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে গত ২২ সেপ্টেম্বর। তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম। জোহানেসবার্গভিত্তিক সিভিকাস মনিটর নাগরিক স্বাধীনতা দ্রুত কমে যাওয়া দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে গত ২১ সেপ্টেম্বর। এর আগে বাংলাদেশ কয়েকবার হাইব্রিড গণতান্ত্রিক দেশ বলে খ্যাত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে!
দেশের বর্ণিত সংকটের মূল বিষয় নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়া, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার পর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু করতে বিএনপি সরকার বাধ্য হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। কারণ, তখন এই দাবিতে আ’লীগ ও তার মিত্ররা নজিরবিহীন ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি করেছিল। এই পদ্ধতির অধীনে পরপর তিনটি নির্বাচন হয়েছে, যা নিয়ে দেশ-বিদেশে তেমন কোন আপত্তি উঠেনি। তবুও চরম বিতর্কিত এক রায়ে উক্ত পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। রায়দানকারী প্রধান বিচারপতিকে অবসরের পর পুরস্কার স্বরূপ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে, যাতে তিনি বহাল আছেন এখনো। সাবেক নির্বাচন কমিশনার মরহুম মাহবুব তালুকদার বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করায় স্বাধীনতাত্তোর সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে দেশের। অন্য বিশেষজ্ঞরাও এরূপ মন্তব্য করেছেন। উক্ত রায় প্রকাশের প্রক্রিয়াও সঠিকভাবে হয়নি বলে আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার পর দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন প্রধান বিরোধী দলগুলো বর্জন করেছিল। ফলে একতরফা নির্বাচন হয়েছে। তাতে মোট আসনের অর্ধেকের বেশি বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় বিজয়ী হয়েছিল। বাকী আসনে নির্বাচন হয়েছে ভোটার বিহীনভাবে। মানুষ সে ভোটে অংশগ্রহণ করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের রাতেই ভোট হয়েছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তাই এই দু’টি নির্বাচন দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হয়নি। পরবর্তীতে সংসদের উপ-নির্বাচনও একতরফা ও ভোটারবিহীনভাবে হচ্ছে। অর্থাৎ বিশ্বের সর্বাধিক ভোট পাগল মানুষ ভোট বিমুখ হয়ে পড়েছে। নতুন ভোটাররাও ভোটদানের সুযোগ পায়নি এখনো! নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার কারণেই এটা হয়েছে। তাই আমেরিকা বিশ্ব গণতান্ত্রিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি পরপর দু’বার, যা দেশের জন্য লজ্জাজনক। মার্কিন ভিসা নীতির মূল ভিত্তিও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচন। অবশ্য, ইতোপূর্বেও দলীয় সরকারের অধীনের নির্বাচন নিয়ে কম-বেশি বিতর্ক হয়েছে। তাই বিএনপিসহ বেশিরভাগ বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষও এই পদ্ধতির পক্ষে। এমনকি আওয়ামী লীগেরও অনেকেই এই পদ্ধতির পক্ষে। এ ব্যাপারে গণভোট নেওয়া হলেই তা প্রমাণিত হবে। অন্যদিকে, কোন কোন দল জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে আন্দোলন করছে। তবুও আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা সংবিধান মতে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাদের সাফ কথা, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ইসি আলমগীর বলেছেন, যেভাবেই হোক নির্বাচন হতে হবে। এই হচ্ছে চলতি সংকটের মূল বিষয়।
মহান স্বাধীনতার মূল আকাক্সক্ষা হচ্ছে, গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, যা স্বাধীনতার ৫২ বছরেও পূরণ হয়নি! গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক আন্দোলন, জীবন দান, জেল-জুলম হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। প্রকৃত গণতন্ত্র সোনার হরিণ হয়েই রয়েছে। ফলে স্বাধীনতার বাকী আকাক্সক্ষাগুলোও পূরণ হচ্ছে না। তাই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে সর্বাগ্রে। সে জন্য নিয়মিত নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আবশ্যক, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ছাড়া সম্ভব নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত: সংবিধান কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয় যে, অপরিবর্তনীয়। তাই সংবিধান সব সময় পরিবর্তন ও পরিবর্ধনশীল। এটা বিশ্বব্যাপীই প্রযোজ্য। এ দেশেও তাই। সে কারণে এ পর্যন্ত সংবিধানের ১৭ বার পরিবর্তন হয়েছে। তাই বাতিলকৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহাল করে সংবিধানভুক্ত করা দোষের নয়। বরং চলতি ভয়াবহ সংকট নিরসনের একমাত্র পথ। অপরদিকে, যারা জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে, তা সঠিক হচ্ছে না। কারণ, এর প্রধান কে হবে এবং কাদের নিয়ে সে সরকার গঠিত হবে তা নিয়ে ঐকমতে পৌঁছা কঠিন। এ নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে। সর্বোপরি এ ক্ষেত্রে সকলেই একমত হলে চলতি সংকট দূর হবে। কিন্তু ৫ বছর পর পুনরায় একই সংকট সৃষ্টি হবে। তাই নির্বাচনকালীন সময়ের সংকটের স্থায়ী সমাধান হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পুনর্বহাল করা। প্রয়োজনে সেটাকে কিছু পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে সময়োপযোগী করা যেতে পারে সকলের আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারই সমাধান। তাই এটিকে পুনর্বহাল করতে হবে। সে সুযোগও রয়েছে। কারণ, সংসদে সরকারের প্রয়োজনীয় সদস্য রয়েছে। এটি করা হলে সরকারের সুপ্রস্থানের পথ সুগম হবে। তবুও সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পুনর্বহাল করবে বলে মনে হয় না। কারণ, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তার ভরাডুবি এবং কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হতে পারে। তাই নিজের অধীনে পুনরায় একতরফা ও তামাসার নির্বাচন করে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হওয়ার পাঁয়তারা করছে। তাই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমেই বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য আন্দোলনকারী দলগুলোকে আরো জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যাতে সরকার নতিস্বীকারে বাধ্য হয়।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়