উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নয় মান নিশ্চিত করতে হবে
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক কাঠামোই হচ্ছে লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম ও পর্যাপ্ত শিক্ষক। অথচ হরহামেশাই ন্যূনতম অবকাঠামোগত সুবিধা ছাড়াই দেশের আনাচে-কানাচেতে অনুমোদন পাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ প্রতিযোগিতা যেন সংখ্যা বাড়ানোর, কিন্তু প্রশ্নটি থেকে যায় মান নিয়ে। দেশে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১১। বর্তমানে দেশে ৫৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সম্প্রতি আরো তিনটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৭। সরকার প্রতিটি জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রসংশনীয়। কিন্তু এগুলোর অধিকাংশের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিগত কয়েক বছরে গড়ে ওঠা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নেই কোনো অবকাঠামোগত তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা। এমনকি নিজস্ব ভবন, ক্যাম্পাস ছাড়াই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি পুরনো ঐতিহ্যবাহী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাও খুব একটা সন্তোষজনক নয়। বিশেষ করে, দলীয় বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র রাজনীতি ও দখলদারিত্বের কবলে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বিশ্ববিখ্যাত টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাংকিংয়ের ৮০০ এর মধ্যে নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। সেজন্য অনেকাংশেই দায়ী শিক্ষাখাতের স্বল্প বাজেট। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জিডিপির শতাংশ হিসেবে বাংলাদেশের গড় শিক্ষা ব্যয় আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়েও কম। ইউজিসি বা সরকারের উদ্দেশ্য যদি হয়, শুধু সংখ্যা বাড়ানো তাহলে বলার তেমন কিছু নেই। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে গুণগত মানের বিষয়টি যদি উপেক্ষিতই হতে থাকে তাহলে সেখানে উচ্চশিক্ষা বেকার বাড়ানো ছাড়া তেমন কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না। গুণগত উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিতকরণের পূর্বশর্ত হচ্ছে উন্নত ও মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করা। সেজন্য উচ্চ শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে, ক্যাম্পাসগুলো দলীয় রাজনীতিমুক্ত করতে হবে এবং শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে হবে। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান পরিস্থিতি তদারকি করা এবং চাহিদার বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা হওয়া দরকার। নইলে একসময় এসব বিশ্ববিদ্যালয় ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়াবে, যার লক্ষণ ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান।
তামান্না আক্তার
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু