খেলাপিঋণ ও মামলাজট কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
ব্যাংক হলো এক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা সাধারণ মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহ করে পুঁজি গড়ে তোলে এবং সেই পুঁজি উদ্যোক্তাদের ধার দিয়ে বিনিয়োগে সাহায্য করে। উদ্যোক্তরা সে অর্থ গ্রহণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নে বিনিয়োগ করে থাকে। আধুনিক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাংক একটি দেশের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও ব্যাংক বহুবিধ দায়িত্ব পালন করে থাকে। গ্রাহকদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করে তা ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করাই ব্যাংকের মুখ্য কাজ।
ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তরা ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ বা ঋণ গ্রহণ করে অনেকেই সময়মতো পরিশোধ করে না। বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য এসব টাকা আটকে যায়। ব্যাংক টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা করে থাকে এবং এক সময় কোন উপায়ন্তর না দেখে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে তা না দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু গ্রাহকের অন্যতম প্রধান অস্ত্রই হলো মামলা। অর্থাৎ, নানা কাজে ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু দেওয়ার ক্ষেত্রে সামনে আনা হচ্ছে নানা অজুহাত। এক্ষেত্রে অর্থ উদ্ধারে ব্যাংক মামলায় গেলেও তার সুরাহায় কেটে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। আর মামলাকেই অর্থ আটকে রাখার অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে এক শ্রেণির ঋণগ্রহীতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, জুন ২০২৩ পর্যন্ত মোট খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১০.১১ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। গত মার্চ ২০২৩ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা ছিল মোট ঋণের ৮.৮ শতাংশ। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বেড়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে, অর্থাৎ গত জুন ২০২২ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৮.৯৬ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩০ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। অথচ ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার যখন সরকার গঠন করে, তখন দেশে মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এখন তা দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়াল অর্থাৎ ১৪ বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সময়টা ছিল ঋণখেলাপিদের জন্য সুবর্ণ সময়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক অন্য এক তথ্যে জানা যায়, ২০২৩ সালের জুন মাস শেষে অর্থঋণ আদালতে ৭২ হাজার ৫৪০টি বিচারাধীন মামলার বিপরীতে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৭০ কোটি টাকা আটকে আছে। ছয় মাস আগে ডিসেম্বর ২০২২ শেষে অর্থঋণ আদালতে ৭২ হাজার ১৮৯টি বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আটকে ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। ৬ মাসের ব্যবধানে বিচারাধীন মামলা বেড়েছে ৩৭১টি। এর বিপরীতে নতুন করে ১১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা আটকে পড়েছে। এর আগে ২০২২ সালের জুন শেষে ৬৯ হাজার ৩৬৯টি মামলার বিপরীতে আটকে ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুন ২০২৩ শেষে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে ৪৪ হাজার ৬০৫টি মামলার বিপরীতে আটকে ছিল ৯৫ হাজার ৯৩৭ কোটি, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে ১১ হাজার ১৬৬টি মামলায় ৭৫ হাজার ৯৭৩ কোটি, বিদেশি ব্যাংকে ৮ হাজার ৫২২টি মামলায় ৩ হাজার ৯১৯ কোটি এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে ৪ হাজার ৯৩৩টি মামলায় ২ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।
নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হলেও, লক্ষ লক্ষ মামলা গতি পাচ্ছে না। বছরের পর বছর পার হয় কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি হয় না। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অনাদায়ী থেকে যায়। আর এ মামলা পরিচালনার জন্য ব্যাংকের খরচ বেড়ে গিয়ে ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টি হয় জটিলতা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি অর্থ আটকে আছে। তবে পরিমাণের দিক থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে এ অর্থ সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকারদের দাবি, নানা উদ্যোগ আর দক্ষ আইনজীবী নিয়োগেও সুফল মিলছে না। মামলার সংখ্যা বেশি থাকায় নিষ্পত্তিতে দেরি হচ্ছে। আর নানা ফাঁক ফোকর ও আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির খেলাপি গ্রাহক ও তাদের আইনজীবী। সমস্যা সমাধানে আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করা হয়। এছাড়া রিট নিষ্পত্তির জন্য আলাদা বেঞ্চ গঠনের পরামর্শও উঠে আসে।
আসলে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করায় ব্যাংক খাতে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। দফায় দফায় ঋণ পুনঃতফসিলের পরও আদায় না হওয়ায় পরিণত হচ্ছে মন্দ ঋণে। ব্যাংকগুলো আদায়ে বাধ্য হয়ে মামলা করছে। কিন্তু বছরের পর বছর মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় সামগ্রিকভাবে ব্যাংকের আদায়ও থেমে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে সার্বিক কর্মকান্ড। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি ব্যাংকিং খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে ব্যয় বাড়ছে। ফলে একদিকে যেমন তারল্য সংকট তৈরি করছে, অন্যদিকে এর প্রভাবে ব্যাংকে আয় কমে গিয়ে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ভিত ক্রমান্বয়ে দুর্বল হচ্ছে। পাশাপাশি শিল্প ও এসএমই খাতে ঋণের প্রবাহ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অর্থঋণ আদালতের মামলার জট কমাতে আন্তরিক সরকার এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উপায় বের করতে আইন কমিশন কাজ করছে। সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ আটকে আছে অর্থঋণ আদালতে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় দেশে অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা খুব কম। বিচারক সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। রয়েছে দক্ষ ব্যাংক কর্মকর্তা ও অভিজ্ঞ আইনজীবীর অভাব। ফলে প্রতিনিয়ত অর্থঋণ আদালতের মামলাজট তৈরি হচ্ছে। অনেকে আইন সংস্কারের কথা বললেও অর্থঋণ আইনের সংস্কার জরুরি নয়। কারণ, আইনে মামলা নিষ্পত্তির নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া আছে। কিন্তু আইন না মানা এবং এর দুর্বলতার কারণে এমনটা হচ্ছে। এজন্য আইন সংস্কার না করে কার্যপদ্ধতি সংস্কার করা দরকার। অর্থনীতিবিদদের মতে, মামলাগুলো নিষ্পত্তির ব্যাপারে সরকারের কোনো উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগ থাকলে ভালো হতো। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান মিলেও কোনো উপায় বের করতে পারে। এতে ব্যাংক ও সরকার উভয়ই উপকৃত হবে।
অনেক বড় বড় গ্রুপ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করছে না। আবার তাদের ঋণখেলাপিও বলা যাবে না। কারণ, ঋণখেলাপি হলে আর নতুন করে ঋণ নিতে পারে না। নানা প্রভাব খাটিয়ে ও উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করে তারা বছরের পর বছর ঋণ পরিশোধ না করেও কাগজে-কলমে নিজেদের নিয়মিত রাখে। কেউ ডাউন পেমেন্ট না দিয়ে ঋণ নবায়ন করে। কেউবা কাগজে-কলমে পরিশোধ দেখিয়ে ঋণ নিয়মিত রাখে। এভাবে প্রকৃত খেলাপি ঋণ আড়াল হয়ে যাচ্ছে। আবার যে টুকু খেলাপি ঋণ দেখানো হচ্ছে তার মধ্যে সিংহ ভাগই মন্দ ঋণ বা আদায় অযোগ্য ঋণ।
তাছাড়া, অনেক ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণের পরিবর্তে বড় অঙ্কের ঋণ দিতে আগ্রহী বেশি। ফলে ব্যাংকের বৃহৎ ঋণ কেন্দ্রীভূত হয়ে একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের কাছে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে বেশির ভাগ ব্যাংকের পরিচালক ব্যবসায়ী। তাদের অনেকে আবার আইন প্রণেতাও বটে। আইনের বেড়াজালে পড়ে তারা নিজ ব্যাংক থেকে বাড়তি ঋণ নিতে পারে না। ফলে যোগসাজশ করে এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন। নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়া করায় ঋণের একটি বড় অংশই চলে যাচ্ছে ব্যাংক পরিচালকদের পকেটে। আর যেটুকু থাকছে তারও বড় একটি অংশ যাচ্ছে সুবিধাভোগীদের কাছে। ফলে ব্যাংকের ঋণ একদিকে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে, অপর দিকে তা আদায় না হওয়ায় মন্দ ঋণে পরিণত হচ্ছে। আর মন্দ ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে গিয়ে কমে যাচ্ছে ব্যাংকের আয়। আয় কমায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাক্ষিত হারে মুনাফা বিতরণ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো।
মামলাজট ও খেলাপি ঋণের কারণে কমে যাচ্ছে বিনিয়োগ সক্ষমতা। কারণ আমানতের অর্থ ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়। কম হারে আমানত নিয়ে বেশি মুনাফায় ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণ আদায় না হলেও শর্তানুযায়ী নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সুদে আসলে আমানতকারীদের পরিশোধ করতে হয়। এভাবে এখন অনেক ক্ষেত্রেই ঋণ আদায় না হওয়ায় নতুন আমানতের অর্থ থেকে মেয়াদপূর্তির আমানত পরিশোধ করতে হচ্ছে। যেখানে ঋণ আদায় হলে ব্যাংকগুলো বেশি হারে বিনিয়োগ করতে পারত। এভাবেই ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা ও আর্থিক ভিত্তি কমে যাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে না ব্যাংকগুলোর প্রকৃত মুনাফা। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামনে ব্যাংকগুলোকে কঠিন মূল্য দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অর্থঋণ মামলার জালে আটকে আছে ব্যাংকের পৌনে দুই লাখ কোটি টাকার বেশি। করোনা পরবর্তী সময়ে সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে অনেক ভালো ঋণগ্রহীতাও ইচ্ছে করে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করছে না এবং এ কারণে ব্যাংকিং খাতের পাহাড়সম খেলাপি ঋণের স্তূপ জমেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে মামলাগুলোর দ্রুত ফয়সালা করা দরকার এবং শুধু ব্যাংকের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে কয়েকটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা উচিত যা হচ্ছে না। আলাদা বেঞ্চ গঠন না করলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককেই উদ্যোগ ও তৎপর হতে হবে।
লেখক: ব্যাংকার ও কলাম
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু