ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে জাতীয় পরিকল্পনা করা জরুরি

Daily Inqilab কামরুল হাসান দর্পণ

২০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশে মৃদুমানের ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। গত দুই মাসে ৩৪ বার ভূমিকম্প হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। গত ১৪ আগস্ট ৫.৪, ২৯ আগস্ট ৪.০, ১৭ সেপ্টেম্বর ৩.৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ৩.৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২.৭ এবং সর্বশেষ ২ অক্টোবর ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানার পূর্বাভাস দিচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের আঘাত হানতে পারে। আঘাত হানার আশঙ্কা প্রবল, তবে কখন আঘাত হানবে, তা আমরা জানি না। যদি তাই হয়, তাহলে এক ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে রাজধানীর অনেক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে এবং লাখ লাখ মানুষ হতাহত হবে। বলা বাহুল্য, ভূমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়, তা কখন আঘাত হানবে আগে থেকে জানা যায় না। ভূমিকম্প হবে, এমন পূর্বাভাস দেয়ার মতো কোন যন্ত্র আজ পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। কেবল ভূমিকম্প হওয়ার পর কত মাত্রায় হয়েছে, তা মাপার যন্ত্র রিখটার স্কেল আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে ভূমিকম্প হওয়ার আগমুহুর্তে প্রাকৃতিক কিছু আলামত দেখে আঁচ করা যায়। যেমন কুকুরের অস্বাভাবিক ডাক এবং পাখির অস্থির উড়াউড়ি দেখে অনুমান করা যায়, ভূমিকম্প হতে পারে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক এবং ২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার আগে পশু-পাখির এমন আচরণ দেখা গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের দেশে ভূমিকম্প হতে পারে, এমন ভাবনা খুব কম মানুষের মধ্যে রয়েছে। কুকুর অস্বাভাবিকভাবে ডাকছে কিনা বা পাখি বেশি উড়ল কিনা, তা খেয়াল করা সম্ভব হয় না।

দুই.
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে, এর ভয়াবহতা কি হবে, তা কল্পনা করা যায় না। তুরস্কে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে এবং তাতে যে প্রাণহানি (প্রায় ৫০ হাজার) ও করুণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। বছর কয়েক আগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বুয়েটের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ৭.৯ মাত্রায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প হলে শুধু রাজধানীতেই মৃত্যুবরণ করতে পারে আড়াই লাখ মানুষ। ঢাকা শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। ভূতত্ত্ববিদরা বহুদিন ধরেই বলছেন, ঢাকায় একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার মতো শক্তি ইতোমধ্যে সঞ্চিত হয়েছে। শেষবার এ অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছিল ১৮৮৫ সালে। এরপর ১৩৮ বছর পার হয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময়ে ভূ-অভ্যন্তরভাগে বিপুল শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে যে ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়েছে, তা বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে। ভূতত্ত্ববিদরা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে রয়েছে। বাংলাদেশ অবস্থান করছে ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং মায়ানমারের টেকটনিকপ্লেটের মধ্যে। ভারতীয় ও ইউরেশীয় প্লেট দুটি ১৯৩৪ সালের পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে আছে। অপেক্ষা করছে বড় ধরনের নড়াচড়া বা ভূমিকম্পের জন্য। এছাড়া বাংলাদেশ ৮টি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোনে রয়েছে। এগুলো হলো বগুড়া, রাজশাহীর তানোর, সীতাকু--টেকনাফ, হালুয়াঘাট ডাওকী, চট্টগ্রাম, সিলেটের শাহজীবাজার, রাঙামাটির বরকল চ্যুতি এলাকা এবং ভারতের ত্রিপুরা। ১৯১৮ সালে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার এবং ২০০৭ সালের নভেম্বরে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। বুয়েটের মানমন্দিরের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে ৪ মাত্রার ৮৬টি ভূমিকম্প হয়। এ সময়ের মধ্যে ৫ মাত্রার চারটি ভূমিকম্প ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৭-এর জুলাই থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ৯০টি ভূ-কম্পন হয়। এর মধ্যে ৯টিরই মাত্রা ছিল ৫-এর উপরে। এগুলোর ৯৫ ভাগের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা শহরের ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে। এসব রেকর্ড থেকে দেখা যায়, মাত্রা না বাড়লেও ১৯৬০ সালের পর থেকে ভূমিকম্পের হার বাড়ছে। অর্থাৎ ঘন ঘন স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, এসব স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প বড় ধরনের ভূমিকম্পের শক্তি সঞ্চয় করছে। যেকোনো সময় ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদি এই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, তবে বাংলাদেশ বিশেষ করে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ঢাকা শহরের অবস্থা কি হবে, তা কল্পনাও করা যায় না। ২০০৩ সালে ইরানে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। ২০০৫ সালে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মুজাফফারবাদের কাছের উৎপত্তিস্থলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় এক লাখ লোক মারা যায়। ২০১০ সালে হাইতিতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি অনুযায়ী, যদি রাত ২টায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, তবে ঢাকা শহরে ৮৮ হাজার মানুষ মুহুর্তেই মৃত্যুবরণ করবে। শত শত বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা তিলোত্তমা নগরী মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে। সম্প্রতি আফগানিস্তানে পরপর দুইবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফিলিপাইনেও ভূমিকম্প হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ভূমিকম্প ঘন ঘন আঘাত হানছে। আমাদের দেশে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানেনি। আঘাত যে হানবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। ফলে আমাদের এখন থেকেই সচেতন হতে হবে।

তিন.
ঢাকা শহর যে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এবং এর ব্যাপ্তি বাড়ছে, তা বোঝার জন্য কোন বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন নেই। একজন সাধারণ মানুষও তা দেখছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে ইরানের পর সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিবেচিত। বলা যায়, এক অনিশ্চিত ও ভয়ংকর আঘাতের শঙ্কার মধ্যে রয়েছে ঢাকা শহর। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পেই ঢাকা শহর পুরোপুরি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হতে পারে। এর অন্যতম কারণ, ঢাকা শহরে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম-কানুন মানার বালাই নেই। সরকারের সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে ৭৮ হাজার। এর মধ্যে সরকারি ভবনই ৫ হাজার। খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের হিসেবে প্রায় ৭০ হাজার। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৯৪টি ভবন জরুরি ভিত্তিতে ভেঙ্গে ফেলার ঘোষণা দেয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক, যেভাবে বিল্ডিং কোড না মেনে অট্টালিকা গড়ে উঠছে, তার বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। অপরিকল্পিত ও নিয়মবর্হিভূতভাবে যেসব ভবন গড়ে উঠছে, সেগুলো মৃত্যুফাঁদ ছাড়া কিছুই নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব বহুতল ভবন একটু বড় ধরনের ভূমিকম্পের ধাক্কা সহ্য করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাদের এ সংশয় যে ভিত্তিহীন নয়, তা ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে ঢাকার প্রায় এক ডজন বহুতল ভবন হেলে পড়া ও ফাটল ধরা থেকে প্রমাণিত হয়েছে। যেসব ভবনে ফাটল ধরেছে বা হেলে পড়েছে, সেগুলোতে সচেতন মানুষের বসবাস করার কারণ নেই। এসব ভবন ভেঙ্গে ফেলা ছাড়া আর গতি নেই। তবে এসব ভবনগুলোর কি অবস্থায় রয়েছে, তা জানা যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এসব চকচকে-ঝকঝকে বহুতল ভবন নির্মাণ করে কি লাভ হলো? অথচ নির্মাণের সময় যদি ৭-৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হতো, তাহলে এই ক্ষতি হতো না। এসব ভবন গড়ে তোলার সময় খরচ বেড়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট মালিকরা ভূমিকম্প সহনীয় প্রক্রিয়া অবলম্বন করে না। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা ভবন ফাটল ও হেলে পড়ার মুখোমুখি হলে, তাতে পুরো অর্থই বিফলে যায়। অথচ প্রতি বর্গফুটে মাত্র ১০ টাকা বেশি ব্যয় করলেই ভূমিকম্প প্রতিরোধক ভবন গড়ে তোলা যায়। এমনিতেই রাজধানীর ভূগর্ভস্থ মাটির মান খারাপ ও নরম হওয়ায় ভূমিকম্প ছাড়াও ভবন দেবে যাওয়ার অনেক নজির রয়েছে। তার উপর ভূমিকম্প হলে কী অবস্থা দাঁড়াবে, তা কল্পনাও করা যায় না। বলার অপেক্ষা রাখে না, ছোট ছোট ভূমিকম্পে যেভাবে রাজধানীর ভবন দুলে উঠে এবং যেগুলোতে ফাটল ধরে বা হেলে পড়ে, বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সেগুলো যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে, তাতে সন্দেহ নেই। সমস্যা হচ্ছে, যখন ভূমিকম্প হয়, তখনই কেবল এ নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করে, এ নিয়ে কথাবার্তা হয়, তারপর সময়ের সাথে সাথে তা ভুলে যায়। অথচ ভূমিকম্প ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করছে এবং যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে।

চার.
যখন কোন বড় ধরনের দুর্যোগের ঘটনা ঘটে, তখনই কেবল আমরা এ নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলি। টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় এর প্রতিকার ও করণীয় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিস্তর আলাপ-আলোচনা করেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলও নড়েচড়ে বসে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নানা উদ্যোগের কথা বলে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়। তারপর কিছুদিন যেতে না যেতেই সব উপদেশ ও পরামর্শ ধীরে ধীরে থেমে যায়। আর কোন খবর থাকে না। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, আরেকটি দুর্যোগের মুখোমুখি না হওয়া পর্যন্ত টনক নড়ে না। অনেকটা এ মানসিকতা গড়ে উঠেছে, এ যাত্রা বেঁচে গেলাম, পরেরটা পরে দেখা যাবে। অথচ এখনই যে সচেতনতা ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন, তা আমলে নেয়া হচ্ছে না। মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকা শহর যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে, তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে ভূমিকম্প মোকাবেলার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। এর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রানা প্লাজা। এক রানা প্লাজার ভেতরে আটকে পড়া মানুষ উদ্ধার ও সবকাজ শেষ করতে সময় লেগেছে মাস খানেকের মতো। ঢাকার অবস্থা তুরস্কের মতো হলে বা একসঙ্গে কয়েক হাজার ভবন ধ্বসে পড়লে কী অবস্থা হবে, তা সহজেই অনুমেয়। বিশেষজ্ঞরা তাকিদ দিয়েছেন, জরুরী ভিত্তিতে রাজধানীতে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে, সেগুলো হয় সংস্কার করতে হবে, তা নাহলে ভেঙ্গে ফেলতে হবে। মানুষের জীবন বাঁচাতে এর বিকল্প নেই। পাশাপাশি নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড মেনে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যেসব ভবনে ভূমিকম্প প্রতিরোধক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়নি, সেগুলোতে রেট্রোফিটিং-এর মাধ্যমে ভূমিকম্প সহনীয় করে তোলা বাধ্যতামূলক করা। এ ব্যাপারে বাড়িওয়ালা ও ভবন মালিকদের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে এবং তা কার্যকর হয়েছে কিনা, তা সরেজমিনে তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসকে এখন থেকেই দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি দিয়ে সমৃদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে এ ব্যাপারে প্রস্তুত রাখতে হবে। সরকার র‌্যাব-পুলিশের জন্য আধুনিক অস্ত্র-সস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ক্রয় করার ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। অথচ শত শত বছর ধরে যে ঢাকা গড়ে উঠেছে, তা রক্ষার ক্ষেত্রে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ভূমিকম্পের মতো মহাদুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যেসব উদ্ধার সরঞ্জামাদির প্রয়োজন, সেদিকে খুব কমই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কেবল করব, করছির মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। ছোট ছোট ভূমিকম্প এ বার্তাই দিচ্ছে, যেকোনো সময় বড় আঘাত হানবে। ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে অবিলম্বে একটি জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।

[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার

এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের

লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের

সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক

সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক

ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!

ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!

যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত