ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ : রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত : দৃশ্যপটে পিটার হাস

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

বিএনপি আগামী ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে। ২১ অক্টোবর শনিবারের প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন সংস্করণে এই ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য মহামাবেশকে ঘিরে তুমুল জল্পনা-কল্পনা চলছে। জল্পনা-কল্পনার একটি দিক হলো, বিএনপি এটিকে তাদের ফাইনাল শো অব স্ট্রেংন্থ, অর্থাৎ জনসমর্থনের চূড়ান্ত মহড়া দেখাতে চায়। কোনো কোনো পত্রিকায় এই মর্মে জল্পনা রয়েছে যে, ঐ দিন জনসভার মঞ্চে তাদের মিত্রদের অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দল ইত্যাদির নেতাদেরকেও দেখা যাবে। এগুলো সবই জল্পনা। আসলে কত বড় জনসভা হবে, সেটি ২৮ অক্টোবরই বোঝা যাবে।

এই জনসভাকে কেন্দ্র করে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে পুলিশের শীর্ষ অফিসার পর্যন্ত রক্ত হিম করা হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন কেন? এটি তো একটি মহাসমাবেশ। এমন সমাবেশ বা মহাসমাবেশ করার অধিকার বাংলাদেশের প্রতিটি দল বা গোষ্ঠির রয়েছে। তাদের জনসভা বা মহাসমাবেশকে নিয়ে সরকারের এত মাথা ব্যাথা কেন? সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা ২৮ অক্টোবরকে নিয়ে এমন গরম গরম কথা বলছেন, যেগুলো শুনে জনগণ রীতিমত ভয় পাচ্ছে। তারা চিন্তিত, কি না কি হয়। সরকারের এই হুমকি-ধামকির তিনটি উদাহরণ দিচ্ছি। তিনটিই ২১ অক্টোবর শনিবার দেওয়া হয়েছে।

২৮ অক্টোবর বিএনপির প্রস্তাবিত মহাসমাবেশ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেছেন, সেই খবরের শিরোনাম দৈনিক প্রথম আলো দিয়েছে এভাবে, ‘সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়ালে বিএনপি-জামায়াতকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী।’ খবরে বলা হয়েছে, আন্দোলনের নামে নাশকতামূলক কর্মকা-ে লিপ্ত হলে বিএনপি-জামায়াত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতসহ আরও অনেকেই মাঠে নামতে চায়। আন্দোলন করুক, এই ব্যাপারে আমাদের কোনো কথা নাই। কিন্তু তারা যদি আবার ওই রকম অগ্নিসন্ত্রাস বা কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করে বা কোনো ধরনের দুর্বৃত্তপনায় জড়ায়, আমরা কিন্তু ছাড় দেব না। এটাই বাস্তবতা। সরকারপ্রধান সে সময় দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাসের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, জেলায় জেলায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং মামলা চলমান রয়েছে, সে মামলাগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। আইনজীবী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে এটা আমার অনুরোধ। কারণ, এদের যদি সাজা না দেওয়া যায়; এরা এত অন্যায় করেছে, যেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই সব থেকে বেশি নির্যাতিত। তাহলে তাদের শাস্তি হবে না কেন? প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব অপরাধীর মামলা কেবল চালালেই হবে না, তারা যেন যথাযথ শাস্তি পায়, তার ব্যবস্থা আপনাদের করতে হবে।’

দ্বিতীয় খবরও কম আতঙ্কজনক নয়। একই দিন প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে আরেকটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টটির শিরোনাম, ‘২৮ অক্টোবর ঘিরে বিএনপিকে মোকাবিলার সর্বাত্মক প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের।’ খবরে বলা হয়েছে, বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে এই মুহূর্তে ‘সর্বোচ্চ’ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারকদের অনেকে তাদের সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে ওই মহাসমাবেশকে বিএনপির ‘মরণ কামড়ের’ শুরু হিসেবে দেখছেন। এ জন্য বিএনপির এই সমাবেশে চাপ প্রয়োগ করে জমায়েত ছোট করা, এমনকি হতে না দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন দল।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সরকার ও আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে যৌথ পরিকল্পনা করছে। সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েক দিন ধরে যে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। বিএনপির যেসব নেতা লোক জমায়েতে ভূমিকা রাখেন এবং কর্মীদের ওপর যাঁদের প্রভার রয়েছে, এসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। অন্যদিকে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে কড়া পাহারাও বসানো হবে। ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত বড় কিছু করার লক্ষ্য বিএনপির। এ পরিস্থিতিতে বিএনপিকে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করতে দেওয়া ঠিক হবে কি না, এই আলোচনাও আছে সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। তাঁদের কেউ কেউ গত বছরের ১০ ডিসেম্বরের মতো সড়কে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার পক্ষে।

ঐ রিপোর্টে আরো বলা হয়, ২৮ অক্টোবর সেখানে সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্য কোনো মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। এই কৌশলে সমাবেশ এক-দুই দিন পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হতে পারে বিএনপিকে। এ দুটির যেকোনো পরিস্থিতিতে নিশ্চিতভাবেই বিএনপির জমায়েত ছোট হয়ে যাবে। আর বিএনপি বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করতে চাইলে গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচির মতো তাদের দাঁড়াতেই দেওয়া হবে না।

॥দুই॥
এ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপিকে আগেই বলা হয়েছে বড় সমাবেশ সড়কে না করে কোনো মাঠে করতে। তারা যদি এবার সড়ক দখল করে দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে চায়, তা সরকার মেনে নেবে না। প্রয়োজনে তুলে দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’

ঐ রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, সরকার ও আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, ২৮ অক্টোবর বিএনপি বড় জমায়েত করে ঢাকা অচল করে দিতে পারে। এরপর একে একে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামপন্থী অন্যান্য দলও রাজপথে নেমে সরকারকে চাপে ফেলতে পারে। অর্থাৎ বিএনপি রাজপথে ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেবে। অন্যান্য শক্তি নেমে ঢাকা পুরোপুরি অচল করে দেবে। যেকোনো মূল্যে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে চায় সরকার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত সোমবার আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে বলেছেন, ঢাকা অবরোধ করতে এলে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরে জমায়েতের চেয়েও করুণ পরিণতি হবে।

এগুলো তো গেল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ দলের যুদ্ধংদেহী উক্তি। এ ব্যাপারে পুলিশের এটিচ্যুড কী, সেটিও দেখা যাক। একই দিন অর্থাৎ ২১ অক্টোবর শনিবার দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে আরেকটি খবর বেরিয়েছে। খবরটির শিরোনাম, ‘২৮ অক্টোবর কর্মসূচির আড়ালে সহিংসতা করলে কঠোর হস্তে দমন : ডিএমপি কমিশনার।’ খবরে বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ২৮ অক্টোবর কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘিœত করার চেষ্টা করে, তাহলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কিন্তু ২৮ অক্টোবর কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার শঙ্কা দেখা দেয়, ডিএমপি তা কঠোর হস্তে দমন করবে।

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়াচ্ছে। শুধু ২৮ অক্টোবর ঘিরেই নয়, অন্যান্য বিষয়েও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ গুজবের বিরুদ্ধে সচেষ্ট থাকবে। ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারব।’

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘আমরা নজরদারির ভেতরে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে যেকোনো তথ্য যদি আমরা পাই, তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ২০১৩-১৪ সালে এ রকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছে, পরাজিত হয়েছে সন্ত্রাসীরা।’

॥তিন॥
প্রিয় পাঠক, আজ আমরা আমাদের কথা কম বলে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্ণধারদের কথাই বেশি করে বললাম। এটি বললাম এই কারণে যে আপনারা নিজেরাই চিন্তা করুন, দেশ কোন্ পথে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি এবং ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান যেসব কথা বলেছেন সেগুলো পড়ে এবং শুনে মানুষ চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন। আসলে মানুষ বুঝতে পারছে না যে অগ্নি সন্ত্রাস, নাশকতা ইত্যাদির কথা কেন বলা হচ্ছে? গত বছরের জুলাই মাস থেকে বিএনপি জনসমাবেশ এবং মিছিল করে বেড়াচ্ছে। এভাবে ১ বছর তিন মাস এই দলটি অসংখ্য মিছিল এবং সমাবেশ করেছে। কোথাও তারা নাশকতা করা তো দূরের কথা, বিন্দু মাত্র সহিংসতাও করেনি। বরং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ অনেক ক্ষেত্রে হামলা করেছে। অনেক জায়গায় পুলিশ এবং আওয়ামী ঝটিকা বাহিনী সম্মিলিতভাবে বিরোধী দলকে আক্রমণ করেছে। তাদের এই সম্মিলিত হামলায় এ পর্যন্ত ২১ জন মানুষ নিহত হয়েছে। তারপরেও কেন বিএনপির ওপরই বারবার এসব নাশকতা, ভায়োলেন্স ইত্যাদি ভাষা ব্যবহার করা হয়?

ইংরেজিতে বলে, Morning shows the day.. অর্থাৎ সকাল দেখেই বোঝা যায় সারাটা দিন কেমন যাবে। এখন যেভাবে বিএনপি তথা বিরোধী দলসমূহের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিপক্ষ ভয়াল তর্জন গর্জন করছে, সেগুলো দেখে মনে হয় আগামী দিনগুলোতে সরকারের আক্রমণ আরো সাঁড়াশি হয়ে উঠবে। ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যেই একটি ভয়ঙ্কর হুমকি দিয়েছেন। বলেছেন যে বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের পরিণতি শাপলা চত্বরের চেয়েও করুণ হবে। একথার মাধ্যমে ওবায়দুল কাদের সাহেব কোন্ বার্তা দিচ্ছেন? তাহলে সেদিন শাপলা চত্বরে কী ঘটেছিল?

এসব বলে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে তার ফলে দেশে যদি অত্যন্ত মারাত্মক এবং ভয়াবহ কা- ঘটে যায় তাহলে সেটি কারো জন্যই ভালো হবে না। আওয়ামী লীগ যা বলছে, সেটি যদি কার্যে পরিণত করে তাহলে আমেরিকার স্যাংশনের হাত আরো প্রসারিত হবে। আর দেশের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন, জামায়াত এবং অন্যান্য দল হয়তো এক প্ল্যাটফর্মে মিলিত হবে। চরমোনাইয়ের পীর এবারই সর্ব প্রথম ঢাকায় দুইটি রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছেন। সেগুলোও বিএনপির মতই। যেভাবে পরিস্থিতি গড়াচ্ছে তার ফলে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সহিংসতায় গড়ালে সেটি রাজনৈতিক দল এবং দেশ ও জাতি কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।

এই লেখাটি লিখেছি ২১ অক্টোবর শনিবার। এর মধ্যে ২২ অক্টোবর রবিবার দুটি ডেভেলপমেন্ট ঘটেছে। একটিতে বলা হয়েছে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঐ দিন অর্থাৎ শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে তার অফিসে দেখা করেন। তিনি মন্ত্রীর নিকট থেকে জানতে চান, ২৮ অক্টোবর রাস্তা ঘাট বন্ধ করা হবে কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণ জনসভা করে তাহলে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হবে না। এটি ছিল দুপুরের ঘটনা।
রাত ৮টার পর মার্কিন দূতাবাস থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি ২৮ অক্টোবর বিএনপির জনসভা এবং রাস্তাঘাট খোলা বা বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনো আলোচনা করেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং মার্কিন দূতাবাসের এই পরষ্পর বিরোধী বক্তব্যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বিস্মিত হয়েছেন।

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল