নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা জরুরি
২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল এবং নির্বাচন কমিশনারদের বক্তব্য বিবৃতিতে মনে হচ্ছে, শিঘ্রই তফসিল ঘোষণা করা হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আগামী তিন মাসের মধ্যে স¤পন্ন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখের আভাস দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। ১৮ অক্টোবর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, সংবিধান অনুসারে দেশের সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কমিশন তফসিলের একটি সম্ভাব্য সময় বলেছে, সেটি হলো নভেম্বরের মাঝামাঝিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলেও সত্যিকার অর্থে দেশে নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো তৎপরতা কিংবা সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে কোনো আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তারা দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে। বিরোধী দলগুলো বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছে। সরকারি দল ও তাদের জোট বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। এ অবস্থায়, নির্বাচন কোন পক্রিয়ায় হবে, এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা কাজ করছে। কারণ, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।
ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কে নির্বাচনে এলো, কে এলো না; সেটা বিষয় নয়। নির্বাচনের লেজিটিমিসি (ন্যায্যতা) নিয়ে ইসি মাথা ঘামাবে না, তারা নির্বাচনের লিগ্যালিটির (আইনি বৈধতা) দিকটি দেখবে। তার মতে, ভোটাররা যদি আসেন এবং ভোট দিতে পারেন, সেটিই হবে বড় সফলতা। যদিও গত ১৮ অক্টোবর গণমাধ্যম স¤পাদকদের কাছে পাঠানো কর্মশালার আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে দেওয়া এক ধারণাপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটি এখনো হয়ে ওঠেনি। প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতভেদের নিরসন হয়নি। এদিকে নির্বাচন ইস্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সরকারি দল ও সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রীতিমতো হুমকি ধামকি শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দল দুটির শক্তির পরীক্ষা হিসেবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের কারণে রাজনৈতিক উত্তাপ ও জনমনে আতংক ক্রমে বাড়ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলো সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে সভা সমাবেশ, রোর্ডমার্চের মত কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পালন করে চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশর ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এখান থেকে মহাযাত্রা শুরু হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আর থেমে থাকবো না। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে শেষ বার্তা দিয়ে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনী সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। নির্বাচনের পর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন। এটাই আমাদের বার্তা। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর যুবলীগের এক সমাবেশে ২০১৩ সালের ৫ মে বিকেলে শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়া হেফাজতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের পরিণতির কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, বিএনপি সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে ঢাকা অবরোধের মতো কর্মসূচি দিতে চাইলে পরিণতি ভালো হবে না। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ রাজনীতিতে নানা কৌতূহল ও উত্তাপ-উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজের শক্তির জানান দিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, বিরোধী দলগুলো ঢাকা অবরোধ করতে এলে তাদের অবরুদ্ধ করা হবে। বরাবরই বিরোধীদলগুলোর বড় কর্মসূচির দিনে ঢাকায় পাল্টা কর্মসূচি পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
২৮ অক্টোবরে বিএনপি ও সমমনাদের মহাসমাবেশের দিনও আওয়ামী লীগ ঢাকায় বড় শোডাউন করবে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলে আসছেন, বিরোধীরা আন্দোলন করলে তাদের কোনো বাধা দেয়া হবে না। মানুষের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে। যদিও ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়ের সেই পুড়ানো কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বিরোধীদলগুলোকে প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দেওয়ার পাশাপাশি পুরনো মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে, জেলে পাঠাচ্ছে। গত ১৮ অক্টোবরের বিএনপির অনুষ্ঠিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাংগঠনিক স¤পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী সোহেল সহ সারাদেশ থেকে ৩০০ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিএনপি পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। সরকার ও বিরোধী পক্ষের এমন অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ¯পষ্টত কোন পদক্ষেপ বা কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিশেষ করে উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থা সমূহ সংকট নিরসনে দলগুলোকে সংলাপের পরামর্শ দিয়ে আসছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত এক প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফর এসে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে তারা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করার পথে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে ৫ দফা সুপারিশ দিয়েছে। এর অন্যতম হলো আগামী নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে সংলাপের মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা। প্রায় একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী সেক্রেটারি আফরিন আক্তার বাংলাদেশ সফরকালে বলেছেন, পর্যবেক্ষক দলটির সুপারিশে তার সরকারের সমর্থন রয়েছে।
দেশ-বিদেশের নানা পক্ষ থেকে সংলাপের জন্য তাগিদ দেওয়া হলেও দলগুলোর মধ্যে সংলাপের তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ স¤পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, শর্ত থাকলে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। তবে শর্ত প্রত্যাহার করলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হবে কিনা তা তারা ভেবে দেখবেন। অপরদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে সংলাপ হবে না। এছাড়া সংলাপের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে বলেও দাবী জানিয়েছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কেবল নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সংলাপ হতে পারে। যদিও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত অতীত সংলাপের ইতিহাস হতাশাজনক।
১৯৯৪ সালে কমনওয়েলথ মহাসচিবের বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ানের উদ্যোগ দুই দলের সঙ্গে সংলাপ, ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক আবদুল জলিল ও বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মধ্যকার বৈঠক এবং ২০১৩ সালে জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উদ্যোগে দুই দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল, কিন্তু কোনোটিই ফলপ্রসূ হয়নি। ২০১৮ সালের সংলাপের ফলাফল আমরা সকলেই অবগত। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি। সে হিসেবে সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, বৃহৎ দুই দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা প্রশ্নসাপেক্ষ। দলগুলোর অনড় অবস্থানের ফলে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিত।
২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েনতুন করে রাজনৈতিকবিরোধ দেখা দেয়। সর্বশেষ ২০১৪ ও২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের দেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নজির খুব একটা নেই। ফলে সরকার এবং সরকার সমর্থক দল ছাড়া কোনো বিরোধী দলই এখন আর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নয়। কাজেই স্থায়ীভাবে এই সমস্যার সমাধানের জন্য নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা জরুরি।
লেখক : আইনজীবী।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল