ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

কক্সবাজারে ট্রেন : নতুন দিগন্তের উন্মোচন

Daily Inqilab বিপ্লব বড়–য়া

২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৯ এএম

বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সাথে দেশের অন্যান্য জেলার ট্রেন যোগাযোগ স্থাপন একটি অভাবনীয়, ঐতিহাসিক স্বপ্নের প্রতিফলন! নতুন কাজ যত না সহজ, তার চেয়ে অধিক কঠিন পুরনো কাজকে পুনঃনির্মাণ পূর্বক উপযোগী করে তোলা। চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার রেল লাইন করতে গিয়ে খুব বেশি ভুগিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। কখনো কখনো কাজটি থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম টু চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পর্যন্ত আগে থেকেই ৪৮ কিলোমিটারের রেল লাইন ছিল। এই লাইনটি ব্রিটিশদের করা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই লাইনকে সম্প্রসারণ করে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাটি এই সরকারই প্রথম গ্রহণ করে। এটি ছিল সরকারের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আজকে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে কক্সবাজারের সাথে সমগ্র বাংলাদেশে ট্রেন যোগাযোগে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হতে দেখে অনেকের মতো আমিও গর্ব অনুভব করছি। ব্রিটিশ আমলের পুরনো লাইন দিয়ে কক্সবাজারের যোগাযোগ স্থাপন করতে গিয়ে কতবার যে জরিপ কার্য পরিচালনা করতে হয়েছে তার হিসাব নেই। পথে পথে যখন জরিপ কাজ এবং শেষে জায়গা অধিগ্রহণ করা হচ্ছিল, তখনো কারো বিশ^াসে ছিল না এই অবিশ^াস্য ঘটনার আসল রূপটি অতি সহসা ধরা দেবে এবং একই সাথে চট্টগ্রাম টু দোহাজারী পর্যন্ত পুরনো নড়েবড়ে রাস্তা দিয়ে বৃহৎ পরিসরের ট্রেন চালানো সম্ভব হবে কিনা এটি নিয়েও মানুষের মনে সন্দেহের কমতি ছিল না। কারণ, আগে থেকে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকজোড়া লক্কড়ঝক্কড় ট্রেন চলাচল করতো। অতীব দুভার্গ্যরে বিষয়, যে ট্রেনগুলি এই লাইনে চলাচল করতো তা যাতায়ত করার উপযোগী ছিল না। আমার বাড়ি পটিয়ায় হওয়ার কারণে এক সময় ধলঘাট স্টেশন হয়ে শহরে যাতায়ত করতাম। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাড়ি থেকে ট্রেনে করে শহরে যাতায়ত করেছি। এরপর এই লাইন দিয়ে আসা-যাওয়া বন্ধ। তার একমাত্র কারণ অনুপযোগী ট্রেন ব্যবস্থাপনা। সেখানে কোনরকম বসার সু-ব্যবস্থা না থাকা, ভাঙাচোরা সিট, ট্রেনের ভিতরে ভুতুরে অন্ধকার, লাইটিংয়ের ব্যবস্থা ছিল না, দরজা-জানালা নষ্ট, জরাজীর্ণ, অপরিষ্কার, যাত্রী কম্পার্টমেন্টে মালামাল তুলে দেওয়া, যত্রতত্র মলমূত্র পড়ে থাকা, মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য, যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকি, আবার চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়া ও গন্তব্যে পৌঁছার মধ্যে কোনোরকম সময়জ্ঞান না থাকা, এ ধরনের প্রচুর সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে এই রোডে যাতায়তকারী ট্রেন যাত্রীদের। মূলত এসব কারণে সাধারণ যাত্রীরা ট্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। অথচ, এমন একটা সময় ছিল বোয়ালখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ উপজেলার মানুষদের যাতায়তের একমাত্র উপায় ছিল ট্রেন। আজ থেকে ৩০ বছর আগে ২ টাকা, ৩ টাকা এবং সর্বশেষ ৫ টাকার টিকিট ক্রয় করে চট্টগ্রাম শহরে এসেছি। রেলওয়ের সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে সেদিন কোথায় যেন হারিয়ে গেল! আজ আবার নতুন করে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রবল আকাক্সক্ষার কারণে ১১ নভেম্বর থেকে আবার সেই আমার শৈশবের পুরনো পথ ধরে ট্রেন যাবে কক্সবাজারে। এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না। এতদাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ আবার ফিরে পাবে রেলের সেই নিরাপদ বাহন। এটি ভাবতে নিজের মধ্যে কী যে আনন্দ লাগছে, ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ১৯৩১ সালে ব্রিটিশের করা পুরনো জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলে যে সন্দেহের দানা বেঁধেছিল পুননির্মাণের মধ্যে দিয়ে সে ভয়-আতংক উপড়ে ফেলেছে বিশেষজ্ঞ দল। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইনটি ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। কাজ ধরতে গিয়ে জমি অধিগ্রহণ এবং অন্যান্য খাতে ব্যয় বেড়ে যায়। এ জন্য মাঝখানে কয়েকবছর প্রকল্পের কাজ থমকে দাঁড়ায়। ২০১৭ সাল নাগাদ পুনঃবাজেট অনুমোদন লাভ করলে কাজ গতি ফিরে পায়। ২০১৮ সালে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষ করার কথা থাকলেও মাঝখানে করোনার কারণে আবারো ধীরগতিতে চলতে শুরু করায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন করা হয়। ৫ নভেম্বর পরীক্ষামূলক প্রথম পরিদর্শন ট্রেন কক্সবাজার গমন করে। ট্রেন যাওয়ার পথে মানুষের কী যে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস তা বর্ণনাতীত। কেউ কেউ নেচে গেয়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে মোবাইলে সেল্ফি তুলে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করেছে। এই প্রথম কক্সবাজার অভিমুখে ঘন ঘন ট্রেনের হুইসেল বাঁজিয়ে যাওয়ার পথে ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষরা ট্রেনের রাস্তায় ওঠে আসে নতুন অতিথিকে সাদরে বরণ করতে। এ যেন বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার! অনেকে এই অতিথিকে এভাবে দেখবে কল্পনাতেও ভাবেনি। তাই অনেকে আনন্দে অশ্রু বর্ষণ করেছে। দর্শনার্থীদের ভিড়ের কারণে সেদিন পরিদর্শক টিম অনেক জায়গায় ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হিমশিম খেয়েছে। আবার অনেক জায়গায় করতেও পারেনি। ১১ নভেম্বর ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে উপস্থিত হয়ে রেলপথ উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের অধিবাসীদের দীর্ঘবছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো।

রেললাইন, স্টেশন, সেতু, কালভার্ট নির্মাণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নযন ব্যাংক (এডিবি) সহায়তা দিয়েছে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। বাকী ৪ হাজার ১১ কোটি টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দিয়েছে। নতুন এই রেল লাইন চালু করতে গিয়ে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১ হাজার ৩৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুনভাবে স্টেশন করা হয়েছে ৯টি। নতুন স্টেশনগুলো হলো দোহাজারী স্টেশন, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও সর্বশেষ কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন। আর চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত আগের রেল স্টেশনগুলো ছিল- ঝাউতলা, ষোলশহর, জানালীহাট, গোমদন্ডী, বেঙ্গুরা, ধলঘাট, খানমোহনা, পটিয়া, চক্রশালা, হাসিমপুর, দোহাজারী। ইতোমধ্যে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন হয়েছে। এই দুই রোডই দক্ষিণ চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং একই সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পন্নোয়নে বিপুল অবদান রাখবে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা সুদূর কক্সবাজার-টেকনাফ পর্যন্ত সরকার এবং ব্যক্তি মালিকানায় প্রচুর বড় বড় প্রকল্প ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে বোয়ালখালি, পটিয়া, আনোয়ারা, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে বৃহৎ বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। কক্সবাজারে বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত তো আছেই, এছাড়া চকরিয়া চিংড়ি প্রজেক্ট ও লবণ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গড়ে তোলা হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর, বিদুৎ কেন্দ্র। আছে চুনতী অভায়রণ্য, ডুলাহাজারা খ্রিষ্টীয়ান হাসপাতাল, চন্দনাইশে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, বাঁশখালীতে ইকোপার্ক, বিদুৎ কেন্দ্র, যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের ফলে টেকনাফ, কক্সবাজার, চকরিয়া, মহেশখালী থেকে খুব সহজে পণ্যসামগ্রী চট্টগ্রাম শহর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়া আনোয়ারা উপজেলায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার (কাফকো), চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউফল), পারকি বিচ, কর্ণফুলী উপজেলায় কেইপিজেড ও ইয়ংওয়ানের মতো বিশ^বিখ্যাত শিল্পপ্রতিষ্ঠান শতাধিক ফেক্টরি খুলেছে, যেখানে বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পটিয়া ও বোয়ালখালীতেও গার্মেন্ট শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং টেকনাফ, কক্সবাজার পর্যন্ত বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকলেও যোগাযোগব্যবস্থা তেমন উন্নত ছিল না। তাই কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তা, দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী এবং চট্টগ্রাম শহর তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী ও অফিস-আদালতে কর্মরতদের সীমাহীন কষ্টের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হতো। এই ট্রেন যোগাযোগের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠবে।

লেখক: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক।

 

 

 

 


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো