ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

বিসিএসআইআর-এর মতো বহুমুখী গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে

Daily Inqilab ড. অজয় কান্তি মন্ডল

২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), সরকারের সর্ববৃহৎ বহুমুখী গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত। বিজ্ঞানের সকল শাখার চর্চা হয় এই প্রতিষ্ঠানে। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী পণ্যকে শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিপ্রায়ে বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-এ-খুদা’র হাত ধরে এর যাত্রা সেই ১৯৫৫ সালে। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ গঠিত হওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয়েছিল দেশীয় সম্পদের বিকাশে পশ্চিম ও পূর্বে কয়েকটি গবেষণাগার গড়ে তোলা হবে। তার অল্প কিছুদিন পরেই, ১৯৫৫ সালে পূর্বাঞ্চলীয় গবেষণাগার গড়ে তোলার দায়িত্ব পান ড. খুদা। ড. খুদা’র অক্লান্ত পরিশ্রমে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে গড়ে ওঠে আরও দুইটি শাখা গবেষণাগার। স্বাধীনতার পরে দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অধ্যাদেশ জারীর মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে বিসিএসআইআর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। পরবর্তীতে জয়পুরহাট এবং ঢাকার সাভারে দুইটি শাখা গবেষণাগার স্থাপিত হয়।

বলতে গেলে একেবারে শূন্য থেকে নিজ হাতে ড. খুদা তিল তিল করে গড়ে তোলেন এই প্রতিষ্ঠানটি। ড. খুদা’র বিদেশে অর্জিত অভিজ্ঞতার প্রায় সবখানিই ব্যবহার করেছিলেন এই প্রতিষ্ঠানে। তিনি অনুধাবন করেছিলেন দেশের ক্রমবর্ধমান বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সকল চাহিদা মেটানো, বেকারত্ব দূরীকরণ, সব রকম পণ্যের জন্য রাষ্ট্রের অন্য দেশের উপর নির্ভরতাসহ নানান অসঙ্গতির সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। দেশের অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদকে যদি শিল্পজাত দ্রব্যে রূপান্তরিত করা যায় তাহলে এসকল সমস্যা সমাধানের জন্য সহায়ক হবে। সেই অনুধাবন থেকেই তিনি দেশীয় সম্পদনির্ভর শিল্পকারখানা নির্মাণের কথা ভেবেছিলেন। তিনি শিল্পকে দেখেছিলেন ক্রম উন্নয়নশীল, প্রযুক্তি নির্ভর ও বিজ্ঞানভিত্তিক। যার মূল লক্ষ্য হবে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। আর সেই উদ্দেশ্যে তিনি বিজ্ঞানের বহু শাখায় গবেষণা করে গেছেন। উদ্ভাবন করেছেন খুব সহজ সহজ প্রযুক্তি। যেগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে অতি অল্প সময়ের ভিতরে।

ড. কুদরাত-এ-খুদাকে নিয়ে ছোটকালে পাঠ্য বইয়ে পড়েছি। তিনি উপমহাদেশের স্বনামধন্য একজন বিজ্ঞানী। এরপর যখন বিসিএসআইআর-এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি তখন আরও বেশি জেনেছি দেশের শ্রেষ্ঠ এই গবেষক এবং বিসিএসআইআর সম্পর্কে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে প্রায় দুই যুগ ধরে ঢাকায় আনাগোনা। তখন থেকেই ঢাকা কলেজ ও ল্যাব এইড হাসপাতালের মাঝে ‘সাইন্স ল্যাব’ নামের জায়গাটি নজরে আসে। বেশিরভাগ সময় সাইন্স ল্যাব আমার কাছে বাস স্টপেজ হিসেবে মনে হতো। বিশেষ করে, মিরপুর রোড দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির হেল্পার সজোরে চিৎকার করতে থাকে সাইন্স ল্যাব, সাইন্স ল্যাব বলে। এখনো যেটা অহরহ ঘটে থাকে। যারা এই রোডে যাতায়াত করেন তারা আমার সাথে একমত হবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় খুব বেশি কৌতূহল হতো সাইন্স ল্যাবকে নিয়ে। কিন্তু খুব বেশি জানতে পারিনি বা জানার সুযোগ হয়নি। এরপর যেদিন এই প্রতিষ্ঠানের একজন গবেষক হিসেবে যোগদান করি সেদিন থেকে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিশেষভাবে জানতে শুরু করি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক এই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে অনেক বেশি আশা জাগান্বিত স্বপ্ন দেখেন। তাই যেদিন আমি চূড়ান্ত নিয়োগের মনোনয়ন পাই সেদিন আমার এক শিক্ষক বলেছিলেন, ‘চাকরির জন্য তোমাকে আর কোথাও ভাইভা দিতে হবে না। গবেষণা করার জন্য এর চেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠান দেশে আর নেই’। আমিও শিক্ষকের সেই উপদেশ মনে ধরে অন্য জায়গায় চাকরির কথা বাদ দিই। যোগদানের পরে একটু হলেও হোঁচট খাই। প্রতিষ্ঠানটিতে অনেক বেশি গবেষণা করার সুযোগ থাকলেও বেশিরভাগ গবেষকই কেমন যেন খাপছাড়া চলেন। আমিও ব্যতিক্রম না হয়ে সবার সাথে তাল মিলিয়ে অনেকটা স্রোতে গা ভাসিয়ে দিই। পদোন্নতির সময়ে মাত্র দুইটি গবেষণাপত্র প্রকাশের দরকার পড়ে। এই গবেষণাপত্রের আবার কোনো ক্যাটাগরি (গবেষণাপত্র কোন জার্নালে প্রকাশিত হতে হবে, প্রকাশিত জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর কিংবা গবেষকের কোনো অবস্থানে অবস্থান হতে হবে) ছিল না। গবেষণাপত্র প্রকাশের মান নিয়ে কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা ছিল না। তাই অধিকাংশ গবেষক কোনরকমে তাদের পদোন্নতির শর্ত পূরণ করে গবেষণা হতে ক্ষ্যান্ত থাকতেন। আমিও ঠিক তেমনটি করেছি। শুধু ওই দুইটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেই আমি ক্ষ্যান্ত। তবে ব্যতিক্রমও ছিল অনেকেই। তাদের হাত ধরেই বিসিএসআইআর তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। এরপর দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ হলো। পিএইচডি ডিগ্রি করে দীর্ঘ ৪ বছর পরে দেশে ফিরলাম। ওই ৪ বছরে অবশ্য গবেষণা সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারি করে নিয়েই ফিরলাম বলা যায়।

দেশে ফিরে বিচিত্র কিছু অভিজ্ঞতা হলো এই বিসিএসআইআরকে নিয়ে। দেখলাম, বিগত ৪ বছরে বিসিএসআইআর-এর আমূল পরিবর্তন হয়েছে। যেটা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে কষ্ট হচ্ছিল। গেল ৪ বছরে অবশ্য পরিচালনা পর্ষদের বেশ পরিবর্তন লক্ষ করলাম। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান সবসময় একজন গবেষক হবেন, সেটাই সকলের প্রত্যাশা। ঠিক যেমনটি আমি দেশে ফিরে দেখলাম। এর আগে মন্ত্রণালয়ের আমলাগণ বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণও দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু বিসিএসআইআরকে ঢেলে সাজাতে আমি দেখিনি বা ঊর্ধ্বতন কারও কাছে শুনিনি। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক, ড. মো. আফতাব আলী শেখ বিসিএসআইআরকে ঢেলে সাজিয়েছেন। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে এনে দিয়েছেন প্রাণ চাঞ্চল্য। আমার কাছে এমনটা মনে হওয়ার কিছু কারণ এখানে তুলে ধরলাম।

ড. শেখ প্রথমে ৩ বছরের জন্য বিসিএসআইআর-এর চেয়রাম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ২০২০ সালে। আমার বিদেশ থেকে ফেরা ২০২২ সালের শেষ নাগাদ। দুই বছর সময়ের মধ্যে বিসিএসআইআর-এর চেহারা এতটা বদলাবে আমি কখনো ভাবতে পারিনি। অবকাঠামোগত পরিবর্তন তো আছেই কিন্তু আমি সেদিকে আলোকপাত না করে ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিসিএসআইআর-এর সাইন্টিফিক অর্জন সম্পর্কে কিছুটা আলোচনা করছি। একথা অনস্বীকার্য যে, একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে যদি একজন গবেষক নিয়োজিত থাকেন তাহলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ক্ষেত্রে সেটার ইমপ্যাক্ট অনেক ফলপ্রসূ হবে। ঠিক যেমনটি হয়েছে বিসিএসআইআর-এর ক্ষেত্রে। ড. শেখ ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে তখন ৩২০ জন বিজ্ঞানীসহ সর্বমোট প্রায় ১০০০ জন জনবল ছিল। ১৯৫৫ সালে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি ততদিনে প্রায় ৫৬০০টি গবেষণাপত্র প্রকাশ এবং ১০০০টি প্রসেস প্রোডাক্ট উদ্ভাবন করেছিল।
এই ৫৬০০টি প্রকাশিত গবেষণাপত্রের মধ্যে স্কোপাস ইনডেক্সভুক্ত আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাপত্র ছিল মাত্র ৮৯৪টি এবং গবেষণাপত্রগুলোর গড় ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ছিল ১-এর নিচে। অন্যদিকে উদ্ভাবিত পণ্যগুলো দেশের বাজারে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। ড. শেখ বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করার শুরু থেকেই গবেষকদের মধ্য থেকে কীভাবে হাই-কোয়ালিটি রিসার্চ আউটপুট বের করা যায় সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। উক্ত উদ্যোগ বাস্তবায়ানের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে তিনি শতাধিক ইনিশিয়েটিভ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গবেষকদের ৪০০টির অধিক গবেষণা প্রকল্প (আরএন্ডডি) অনুমোদন। এসকল গবেষণা যেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলতে পারে, সেই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজান।

গবেষকদের গবেষণা কাজের উৎসাহ ও গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনার জন্য বিশ্বের খ্যাতনামা গবেষকদের উপস্থিতিতে একের পর এক আয়োজন করেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনার, কংগ্রেস এবং কনফারেন্সের, যেখানে বিসিএসআইআর-এর বিভিন্ন পর্যায়ের গবেষক তাদের সাইন্টিফিক ফাইন্ডিংসসমূহ উপস্থাপন করেন। এছাড়া ড. শেখ এর তত্ত্বাবধায়নে দেশ ও বিদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি বিসিএসআইআর-এর কলাবোরেটিভ রিসার্চের সুযোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোয়ালিটি রিসার্চ শেখার জন্য ড. শেখ গবেষকদের দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য সর্বদা উৎসাহিত করেন। তিনি মনে-প্রাণে ধারণ করেন, প্রতিটি গবেষককে দেশের বাইরের কোনো ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিসিএসআইআর-এর উন্নতিকল্পে সেই জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে। বিভিন্ন সাইন্টিফিক সেমিনারে গবেষকদের উদ্দেশ্যে উক্ত বিষয়টি তিনি বারবার উল্লেখ করেন। সবচেয়ে আশা জাগান্বিত বিষয় হচ্ছে, বিসিএসআইআরকে বিশ্বমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি করার উদ্যোগ হিসেবে ড. শেখ এর গৃহীত সকল বহুমুখী পদক্ষেপের ফলাফল আমরা পেতে শুরু করেছি। ইতোমধ্যে বিসিএসআইআর-এর গবেষকদের তত্ত্বাবধায়নে বহুসংখ্যক গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তার প্রথম ৩ বছরে বিসিএসআইআর রেপিড ডিটেকশন ‘কোভিড-১৯ কিট’সহ ৬০টির অধিক প্রোডাক্ট উদ্ভাবন করেছে। একই সাথে বিসিএসআইআর আন্তর্জাতিক মানের মোট ৮০২টির ও অধিক স্কোপাস ইনডেক্সভুক্ত গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ বছরের ইতিহাসে প্রকাশিত ১৬৯৬টি গবেষণাপত্রের ৪৭%।

২০২২ সালের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায়, বিসিএসআইআর-এর গবেষকরা ২৯০টি স্কোপাস ইন্ডেক্সভুক্ত গবেষণাপত্র প্রকাশের পাশাপাশি ১৯টি প্রোডাক্ট এবং ৫টি প্যাটেন্ট উদ্ভাবন করেছেন। ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত স্কোপাস ইন্ডেক্সভুক্ত গবেষণাপত্র প্রকাশের সংখ্যা ৩০০ এর কাছাকাছি, যেটা বছরান্তে ৩৫০ অতিক্রম করবে বলে প্রতীয়মান হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সম্প্রতি প্রকাশিত স্কোপাস ইন্ডেক্সভুক্ত গবেষণাপত্রসমূহের গড় ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ৩.৫ এর উপরে। যেটি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য অধিকতর প্রেস্টিজিয়াস। আগামী বছরে এটি ৫.০ এর কাছাকছি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিসিএসআইআর সকল ইন্সটিটিউটে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক গবেষণাগার রয়েছে। যেসকল গবেষণাগারে বর্তমানে কাটিং এডজ গবেষণা চলমান রয়েছে। এসকল গবেষণাগারসমূহে শপস্টিকেটেড বহু অত্যাধুনিক ইন্সট্রুমেন্ট আছে। গর্ব করে বলা যায়, দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এত সব হাই কোয়ালিটির শপস্টিকেটেড ইন্সট্রুমেন্ট সুবিধা একসাথে পাওয়া যাবে না। এমনকি দেশের বাইরেও এত ইন্সট্রুমেন্ট এক জায়গায় নেই। যেটা বিসিএসআইআর গবেষকদের অতি কনফিডেন্টের জায়গা। ড. শেখ নিয়মিত এসব গবেষণাগারসমূহ সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন এবং গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে গবেষকদের নানা দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। আমার দেখা মতে, তার মতো একজন ডায়ানমিক, এনারজেটিক, এফিসিয়েন্ট এবং এক্সপার্ট লিডার আছে বলেই বিসিএসআইআর আজ তার সঠিক লক্ষ্যে চলমান।

ড. শেখের তত্ত্বাবধায়নে বিসিএসআইআর-এর উন্নতির ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুনরায় তিনি ৩ বছরের জন্য বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা, ড. কুদরাত-এ-খুদা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিসিএসআইআর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেটি অতি দ্রুতই বাস্তবায়িত হবে।

লেখক: ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ।
Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো