আগের চেয়েও খারাপ একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে
২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৬ এএম
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে। কেন খারাপ হতে যাচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটিকে ‘বিনাভোটে’র নির্বাচন বলা হয়। আওয়ামী লীগ ভোট গ্রহণের আগেই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫৩ আসনে (সরকার গঠনের জন্য ১৫১ আসন প্রয়োজন) বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যায়। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ছাড়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বর্জন করে। তাদের কঠোর আন্দোলনের মধ্যেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার কথা বলে নির্বাচন করে ফেলে। যদিও দলটি বলেছিল, স্বল্প সময়ের মধ্যেই আরেকটি নির্বাচন করা হবে। তবে সে কথা রাখেনি। ওই নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। এমনও দেখা গেছে, কোনো কোনো নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও পর্যবেক্ষকদের মতে, ৩০০ আসনে ভোটার উপস্থিতি ছিল শতকরা ৫ ভাগের মতো। যদিও নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, ভোট পড়েছে ৩৯.৫৮ ভাগ। যেদিন নির্বাচন হয়, সেদিন বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যতটুকু ভোট পড়েছে, তাতেই আমরা সন্তুষ্ট। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আসন পায় ২৩৪টি, জাতীয় পার্টি ৩৪টি এবং বাকিগুলো পায় অন্যান্য দল। যে কথাটি বলা হয় না, সেটি হচ্ছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ ২৩৪ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়নি, ১৪ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টিও তার ৩৪ আসনের মধ্যে ২১টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। এমনকি, জাসদ (ইনু) যে ৫টি আসন পেয়েছিল তার মধ্যে ৩টি, ওয়ার্কার্স পার্টির (মেনন) ৬টির মধ্যে ২টি এবং জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ২টির মধ্যে ১টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। ফলে জাতীয় সংসদে তথাকাথিত বিরোধীদল হিসেবে পরিচিতরাও বিনাভোটের বিরোধীদল ছিল। বিনাভোটে বিরোধীদল থেকে কেউ নির্বাচিত হয়েছে, এমন নজির দেশের ইতিহাসে নেই বললেই চলে। ১৫৩ আসনে আওয়ামী লীগ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর বাকি ১৪৭ আসনের মধ্যে দলটি ১০৫, জাতীয় পার্টি ১৩টি এবং জাসদ ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৪টি ও অন্যদলগুলো বাকি আসন লাভ করে। ৮টি আসনের ভোট বাতিল করা হয়। এসব আসনে তথাকথিত নির্বাচন হলেও তাতে ভোটার উপস্থিতি ছিল অতি নগণ্য। ভোটের যে হার নির্বাচন কমিশন দেখিয়েছে, তা তার দেখানো বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের আগেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ও তার জোট অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের সে সময়ের মহাসচিব বান কি মুন বলেছিলেন, নির্বাচন না শান্তিপূর্ণ, না অংশগ্রহণমূলক, কোনোটিই হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। যুক্তরাজ্য নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অত্যন্ত কম বলে হতাশা ব্যক্ত করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের এ চিত্র থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, নির্বাচনটিকে যে বিনাভোটে’র বলা হয়, তা অমূলক নয়।
দুই.
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বিনাভোটের সরকার ও বিরোধীদল মিলে সংসদ পরিচালিত হয়েছিল। এ ধরনের সরকার ও বিরোধীদল নিয়ে সংসদ ও সরকার চলার ইতিহাস বিরল। কেউ কেউ বলে থাকেন, ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপিও এমন একটি বিনাভোটের নির্বাচন করেছিল। তবে তারা এটা বলে না, ওই নির্বাচনটি করা হয়েছিল সেসময় আওয়ামী লীগ ও বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের দাবী মোতাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। কারণ, সেসময় জাতীয় সংসদে বিএনপি’র দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। ফলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যুক্ত করার জন্য বিএনপিকে নির্বাচনটি করতে হয়েছিল। নির্বাচনে বিএনপি ২৭৮টি আসন পায় এবং সংসদ চলে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। মাত্র দেড় মাস। এ সময়ের মধ্যে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যুক্ত করা হয়। কাজটি করার পরপরই ৩০ মার্চ সংসদ বিলুপ্ত করা হয় এবং ১২ জুন নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। বলা বাহুল্য, বিএনপি ওই নির্বাচন সংবিধানের অধীনেই করতে চেয়েছিল। তবে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, এ দাবী তুলে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য বিরোধীদলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন শুরু করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অসাংবিধানক এই ভেবে বিএনপি বিরোধীদলগুলোর দাবীর মুখে তা সাংবিধানিক করার জন্য বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের মধ্যেই নির্বাচন করে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অন্তর্ভুক্ত করে। ঠিক একইভাবে বিএনপি ও তার জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা নিয়ে তীব্র আন্দোলন করে। আওয়ামী লীগ সরকার তা না মেনে বিনাভোটের সরকার গঠন করে সরকারে থেকে যায়। ’৯৬ সালে বিএনপিও পারত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মতো বিতর্কিত নির্বাচন করে ক্ষমতায় থেকে যেতে। তখন সে যদি ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ যেভাবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ব্যবহার করে বিএনপি ও বিরোধীদলগুলোর উপর দমন-পীড়ন ও নির্যাতন এবং দেখামাত্র গুলি থেকে শুরু করে কঠোর অবস্থান নিত, তাহলে থেকে যেতে পারত। বিএনপি তা করেনি। তখন রাজনীতিটাই এমন ছিল যে, বিরোধীদলগুলোর আন্দোলন-সংগ্রামে সরকার বাধা দিলেও নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার মতো পন্থা অবলম্বন করা হতো না। বিরোধীদলগুলোর আন্দোলন ও দাবির প্রতি ক্ষমতাসীনদলের ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ ছিল। ৫ জানুয়ারির বিনাভোটের নির্বাচনের পর তা নির্বাসনে চলে গেছে। এখন পরিস্থিতি এমনই যে, ক্ষমতাসীনদল তার অনুগত কিছু নামসর্বস্ব বিরোধীদল নিয়ে ক্ষমতাসীন এবং জনভিত্তিসম্পন্ন তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিকে নির্মূল করে দেয়ার জন্য যা করা প্রয়োজন তাই করছে। এমনকি বিএনপি যাতে নির্বাচন করতে না পারে বা না আসে সে পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ফলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে নির্বাচন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অবশ্য নির্বাচনটি যে অগ্রহণযোগ্য হতে যাচ্ছিল, তা প্রকারন্তরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তখন স্বীকার করে স্বল্প সময়ে আরেকটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়া থেকেই বোঝা যায়। যদিও পরবর্তীতে সে নির্বাচন আর হয়নি। একটি অগ্রহণযোগ্য ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমতের ইচ্ছার প্রতিফলন ছাড়াই আওয়ামী লীগ ও বিরোধীদল পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকে এবং সহায়তা করে।
তিন.
২০১৮ সালের নির্বাচনটি ২০১৪ সালের মতো বিনাভোটে হয়নি। এ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব বিরোধীদল অংশগ্রহণ করেছিল। তবে সে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঠছাড়া করে দিলেও ভোটের অভাব হয়নি। রাতেই সব ব্যালট বক্স ভরে যায়। এমন অভাবনীয় নির্বাচন দেশের ইতিহাসে দেখা যায় না। ফলে নির্বাচনটি ‘রাতের ভোট’ হিসেবে পরিচিতি পায়। বিরোধীদলের অংশগ্রহণ সত্ত্বেও সরকার সে নির্বাচনটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে পারেনি। অথচ এ নির্বাচনটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করে সরকারের দাবী মোতাবেক দলীয় সরকারের অধীনে এবং সংবিধান অনুযায়ী যে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তা প্রমাণ করতে পারত। বলা যায়, ক্ষমতাসীন দল তা করতে ব্যর্থ হয়। এখন যতই বলুক, সে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে, তা আর কেউ বিশ্বাস করছে না। উক্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পায় সংরক্ষিত আসনসহ ৩০২টি, জাতীয় পার্টি পায় ২৬টি এবং বিএনপি পায় ৭টি। বাকিগুলো অন্যান্য দল পায়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ৭টি আসন পাবে, তা কখনো কল্পনাও করা যায়নি। কারণ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর যে কয়টি নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে বিএনপি ২০০১ সালে এককভাবে ১৯৩টি আসন লাভ করে। এমনকি, ১৯৯৬ সালে নাজুক পরিস্থিতিতেও ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয়, সে নির্বাচনেও বিএনপি ১১৬টি আসন পেয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিরোধীদল হিসেবে সংসদে বসে। আবার ২০০৮ সালে আর্মিব্যাকড তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে ৩০টি আসন পেয়ে সংসদে বিরোধীদলের আসনে বসে। এই নির্বাচনটিও বিতর্ক রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নানা কথা শোনা গেছে। বিএনপি’র এসব নির্বাচনের ফলাফল থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, দলটির গড়পড়তা বিশাল জনসমর্থন রয়েছে। তাই বলে ৭টি আসন পাবে, এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। যদি দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকের সংখ্যা বিবেচনা করা হয়, তাহলেও যে পরিমাণ ভোট পাবে, তাতেও দলটির আসন অন্তত জাতীয় পার্টির আসনের চেয়েও যে অনেক বেশি আসন পাবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায়। ফলে ২০১৮ সালের নির্বাচনটি যে আরেকটি বাজে নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিএনপি’র জায়গায় আওয়ামী লীগ যদি থাকত এবং বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করতো, তাহলে কি আওয়ামী লীগের একই পরিণতি ঘটত। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেও যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচন করত তাহলে তাকেও কম আসন নিয়ে বিরোধীদলেই বসতে হতো বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। কারণ, ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মাত্র ৬২ আসন পেয়েছিল। অর্থাৎ ২০০৮ সালের নির্বাচন ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মতো প্রয়োজনীয় ১৫১ আসন পায়নি (’৯৬ সালের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৪৬টি আসন পেয়েছিল)।
চার.
নিবন্ধের শুরুতেই কেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও খারাপ হতে যাচ্ছে তা উল্লেখ করেছি এ কারণে যে, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কঠিন প্রতিপক্ষ হতে পারে, এমন কোনো দল নির্বাচন করছে না। গৃহপালিত বিরোধীদলের তকমা পাওয়া জাতীয় পার্টিসহ তার জোটের ক্ষুদ্র দলগুলো যেগুলো তার অনুকম্পার দিকে তাকিয়ে থাকে সেগুলো অংশগ্রহণ করছে। এসব দলও সিট ভাগাভাগি করা নিয়ে দর কষাকষি করে নিজেদের আসন নিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ এসব তথাকথিত জনভিত্তিহীন দলের বিপক্ষে নিজের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে আওয়ামী লীগের দলের লোকজনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। ফলে এ নির্বাচন ইতোমধ্যে ‘ডামি নির্বাচন’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী স্বতন্ত্র লীগের মধ্যে। এতে দলের মনোনয়নপ্রাপ্তরা ফেল করলে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী পাস করলে ক্ষতি নেই। কারণ, এটি ‘আমরা আমরা’ই হয়ে থাকবে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে যে লড়াই হবে, তা হবে ক্ষমতা ও পেশি শক্তির লড়াই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী যেমন জিততে চাইবে, তেমনি স্বতন্ত্র প্রার্থীও জিততে চাইবে। দুই প্রার্থীই আওয়ামী লীগের দলীয় লোক হওয়ায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার জন্য তারা শক্তি প্রদর্শন করবে। আমি পাস করলে যা, তুমি পাস করলেও তা এমন মনোভাব আর থাকবে না। এতে সংঘাত ও সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে। প্রকারান্তরে নির্বাচনটি আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ হওয়ার কারণেই তা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও অধিক খারাপ হয়ে থাকবে।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কক্সবাজারে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাল- জামায়াত নেতৃবৃন্দ
হাবের বিতর্কিত কমিটিকে অবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে বৈষম্য বিরোধী হজ এজেন্সীর মালিকবৃন্দ
অপপ্রচারের প্রতিবাদ জামপুর বিএনপি নেতার
একদিনের ব্যবধানে বাড়ল সোনার দাম
জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩২ জনের জামিনের আদেশ বাতিল
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের রক্ষক ছিলেন দুদকের আবু বকর সিদ্দিক
চিরিরবন্দরে সম্প্রীতির ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
সোনালী অতীত ক্লাবের পদ ছাড়লেন গাফফার
পোশাক কারখানাগুলোতে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে -বিজিএমইএ
চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যায় জড়িত ৬ জন আটক
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুই শ’কোটি টাকা আত্মসাত
জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল আর নেই
শ্রীপুরে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে যুবদল-কৃষকদলের সংঘর্ষ
পোশাক কারখানাগুলোতে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে-বিজিএমইএ
চকরিয়ায় সেনা সদস্য তানজিম হত্যায় জড়িত ডাকাতদের স্বীকারোক্তি
বিআরটিএ-র সকল অভিযোগ দ্রুত সমাধান করা হবে ঃ গৌতম চন্দ্র পাল
বন্দিদশা থেকে মুক্তি চান শরীর গঠন বিদরা!
আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা জামায়াতের সাথে পূজা কমিটির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ভুঁইয়া পরিবারের
১৫তম বিসিএস ফোরামের আহবায়ক কমিটি গঠন