ঢাকা   সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮ আশ্বিন ১৪৩১

নিরাপদ সড়ক কেন প্রয়োজন

Daily Inqilab লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল

২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

সড়ক-মহাসড়কগুলো দিন দিন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে এখন চলাচল করা মানেই নিজের জীবনবাজি রেখে চলাচল করা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (এআরআই) মতে, গত দুই দশকে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫৬ হাজার ৯শ’ ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ গত ২০ বছরে প্রতিদিন গড়ে ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। স্বাস্থ্যখাতের ওপর চাপ কমাতে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা জরুরি। দেশের চিকিৎসা ব্যয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনায়কবলিত রোগীদের পেছনে ব্যয় হয়। সড়ক নিরাপদ করা গেলে স্বাস্থ্যখাতের বাজেটের ওপর চাপ কমবে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত হলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমবে। হাসপাতালে রোগীদের সেবার মানও বাড়ানো সম্ভব হবে। এআরআই জানিয়েছে, ৮০ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্যই চালকরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী। দেশের সড়ক দুর্ঘটনা এবং এর প্রভাবে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। দুর্ঘটনার কারণে বছরে মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) দুই থেকে তিন শতাংশ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। সড়ক দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষতি ও দুর্ঘটনা থেকে সৃষ্ট যানজট দেশের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার পদক্ষেপ নিলেও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বহীনতার অভাবের কারণে এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে না। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের (এআরআই) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কগুলোতে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং চালকদের দক্ষতা বাড়াতে তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়। ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও সচেতনতার ওপর জোর দিতে হবে। গতি নিয়ন্ত্রণ, গতি পর্যবেক্ষণের আধুনিক স্পিড ক্যামেরা স্থাপন, মহাসড়কে নজরদারির জন্য স্থায়ী লোকবল নিয়োগ এবং দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণিক উদ্ধার ও সেবাদানের জন্য ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। যোগাযোগের ক্ষেত্রেও বর্তমান সরকারের সাফল্য প্রশংনীয়। পদ্মাসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফুলি ট্যানেল নির্মাণ, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন ওড়াল সেতু নির্মাণ, প্রায় সকল মহাড়কগুলো ৪ লেনে উন্নীতকরণ, রেলপথে ব্যাপক উন্নয়নসহ নানা অর্জন থাকলেও নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় আশানুরূপ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্যে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণে শুধু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তা নয়, একইসঙ্গে মানুষের শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এসব কারণে সড়ক দুর্ঘটনা এখন অন্যতম জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সঙ্গতকারণে এ সমস্যা সমাধানে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সড়ক দুর্ঘটনায় মানবসম্পদের বিনাশ সবচেয়ে বড় ক্ষতি। দুর্ঘটনাকবলিত একটি পরিবার দীর্ঘদিন যাবত অমানবিক কষ্ট ভোগ করে থাকে। তাদের এই ক্ষতি অপূরণীয়। অনেক ক্ষত্রেই তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। আর যদি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এরূপ দুর্ঘটনার শিকার হয়, তাহলে এর প্রভাব হয় আরও দীর্ঘমেয়াদী। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে পরিবহন খাতের অবদান অনস্বীকার্য। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি বলা যায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, পরিবহন খাতের নিরাপত্তা আজও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারসহ সকলকে সর্বাধিক সচেষ্ট থাকতে হবে।

সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে: চালকদের অদক্ষতা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, ওভারটেকিং করার প্রবল মানসিকতা, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব, জনগণের সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন না মানা ইত্যাদি। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে, অনেক সড়ক-মহাসড়ক পরিকল্পনাহীনভাবে নির্মাণ, নির্দিষ্ট লেন ধরে গাড়ি না চালিয়ে সড়কের মাঝখান দিয়ে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, রাস্তায় বিপজ্জনক বাঁক বিদ্যমান থাকা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো, ভুলপথে গাড়ি চালানো, রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রী বা পথচারীদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, ফুটপাত ব্যবহার না করে রাস্তার মাঝখান দিয়ে পথচারীদের চলাচল, রাস্তা পারাপারের জন্য ওভারব্রিজ থাকলেও তা ব্যবহার না করা, রাস্তার ওপর বা ফুটপাতে দোকানপাট সাজিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা, দুর্বল ও দুর্নীতিগ্রস্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি রাস্তায় চলাচলে বিদ্যমান নিয়ম-কানুন প্রতিপালনে যাত্রীদের অনীহা। দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং দুর্ঘটনার সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা যদি অতি দ্রুত রোধ করার ব্যাপারে বাস্তবমুখী ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় বা এ ব্যাপারে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা না হয়, তাহলে আগামীতে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এটা সত্য, আমাদের দেশের সড়ক ব্যবস্থাপনা তুলনামূলক নাজুক। একদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া; অন্যদিকে অদক্ষ চালককে গাড়ি চালানোর সুযোগ করে দিয়ে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে এবং ফিটনেসহীন গাড়ি চালাতে দিয়ে সড়কের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ করা হচ্ছে।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কোনো অসম্ভব কাজ নয়। এজন্য দরকার সরকার ও জনগণের ইতিবাচক চিন্তা এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার যথোপযুক্ত বাস্তবায়ন। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সর্বাগ্রে চালকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করে চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম অনেকাংশে টেনে ধরা সম্ভব হবে। এ ছাড়া ট্রাফিক আইন সম্পর্কে চালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকেও ট্রাফিক আইন ও রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের লক্ষ্যে প্রণীত আইন-কানুন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। মাদক সেবন করে যাতে চালকরা গাড়ি চালাতে না পারে, সেজন্য নিয়মিত বিরতিতে চালকদের ডোপ টেস্ট করতে হবে। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। চালকদের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তায় প্রয়োজনীয় গতি পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করতে হবে। দুর্ঘটনা রোধে চালকদের ওভারটেকিং করার মানসিকতাও পরিহার করা জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দেশের সড়ক ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন প্রয়োজন। অপ্রয়োজনীয় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করতে হবে। শুধু চালকদের দক্ষতা বিচার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে যেন কোনো ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতি না ঘটে, সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে নিশ্চিত করা আবশ্যক। সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করে কঠোর জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং নিরপেক্ষভাবে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা আবশ্যক। সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা যেভাবেই হোক দ্রুত দূর করতে হবে।

লেখক: শিক্ষক, গবেষক, কলাম লেখক ও সংগঠক, যুগ্ম-মহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

পুলিশের গুলিতে আহত শিশু রাতুলের মৃত্যু ঢাকায়

পুলিশের গুলিতে আহত শিশু রাতুলের মৃত্যু ঢাকায়

কেজরিওয়ালের আসন ফাঁকা রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন অতিশী

কেজরিওয়ালের আসন ফাঁকা রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন অতিশী

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির

ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং, গরমে সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের মানুষের!

ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং, গরমে সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের মানুষের!

পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি, নতুন দিন ঘোষণা

পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি, নতুন দিন ঘোষণা

ত্রিশঙ্কুর ভয়ে কাশ্মীরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ওমরের

ত্রিশঙ্কুর ভয়ে কাশ্মীরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ওমরের

ইটালিতে বাড়ি ভেঙে মা ও দুই শিশুর মৃত্যু

ইটালিতে বাড়ি ভেঙে মা ও দুই শিশুর মৃত্যু

এনবিসি সমীক্ষায় ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে হ্যারিস

এনবিসি সমীক্ষায় ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে হ্যারিস

বকেয়া বেতনের দাবিতে আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ, বন্ধ ৫১টি   ছুটি ৮টি কারখানা

বকেয়া বেতনের দাবিতে আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ, বন্ধ ৫১টি ছুটি ৮টি কারখানা

ব্র্যান্ডেনবুর্গের নির্বাচনে এক নম্বর দল হতে চলেছে এসপিডি

ব্র্যান্ডেনবুর্গের নির্বাচনে এক নম্বর দল হতে চলেছে এসপিডি

জম্মুর হিন্দুদের দিয়ে অধিকৃত কাশ্মীর জেতা বিজেপির পক্ষে সম্ভব হবে?

জম্মুর হিন্দুদের দিয়ে অধিকৃত কাশ্মীর জেতা বিজেপির পক্ষে সম্ভব হবে?

রাজবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী আটক

রাজবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী আটক

কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি

কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি

কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি বর্ষণকারী চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আটক

কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি বর্ষণকারী চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আটক

মহিপুরে ইটালী পরিবহন রাস্তার বাইরে আহত -১৫

মহিপুরে ইটালী পরিবহন রাস্তার বাইরে আহত -১৫

কমবে গরম, বাড়বে বৃষ্টি

কমবে গরম, বাড়বে বৃষ্টি

কুলাউড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

কুলাউড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করেছিল ইসরাইল

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করেছিল ইসরাইল

হাসিনা-রেহানাসহ ৭১ জনের নামে মামলা, তদন্তে পিবিআই

হাসিনা-রেহানাসহ ৭১ জনের নামে মামলা, তদন্তে পিবিআই

ঢাকাসহ সব মেট্রোপলিটনে সাতদিনই বাসে হাফ ভাড়া দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকাসহ সব মেট্রোপলিটনে সাতদিনই বাসে হাফ ভাড়া দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা