এটা কি বিরোধী দল গঠনের নির্বাচন? বাইরের প্লেয়ারদের পিঠটান?
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে যেসব আলামত পাওয়া যাচ্ছে তাতে এখন সম্ভবত নির্দ্বিধায় বলা চলে যে, দেশের মানুষের সমর্থন থাকুক আর না থাকুক, বিরোধী দল যত রকম কর্মসূচি দিক না কেন এবং আন্তর্জাতিক মহল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যত চাপই দিক না কেন, শেষ পর্যন্ত আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের দ্বাদশ নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) যতই কামান দাগান না কেন, তিনি যে মশা মারার জন্য এবার কামান দাগাচ্ছেন সেটা বুঝতে কারো অসুবিধা হয় না। অবস্থা বৈগুণ্যে মনে হচ্ছে, তাকে কামানের একটি গোলাও ছুঁড়তে হবে না। আর তাকে একটি মশাও মারতে হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের নাম করে তিনি যেসব তর্জন-গর্জন করছেন সেগুলো দিন শেষে অসারের তর্জন-গর্জন বলেই এপর্যন্ত প্রতিভাত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। তিনি তো র্যানডম ডিসি এবং এসপি বদলি করছেন। কেন এবং কাদের জন্য? নির্বাচনের ৩ দিন আগে মটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করেছেন। সেটিও কেন এবং কাদের জন্য? নির্বাচনের আগে এবং পরে র্যাব, বিজিবি এবং পুলিশ ছাড়াও থাকবে বিপুল সৈন্য মোতায়েন। কাদের বিরুদ্ধে তারা বন্দুক তাক করবে?
একদিকে তার এই অন্তসার শূন্য হম্বি তম্বি, অন্যদিকে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনে বিরোধী সমস্ত প্রচারণা এবং রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তিনি চিঠি লিখেছেন। তার এই চিঠি সরকার লুফে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন যে, নির্বাচন প্রতিরোধ করার যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
কঠোর হাতে দমন যে করা হবে তার শুধু আলামত নয়, তার ডাইরেক্ট অ্যাকশনও গত কয়েক দিন থেকে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিগত ২ মাসে ১৩০০ এরও বেশি রাজনৈতিক মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং সমস্ত আসামীকে দুই বা ততোধিক বছরের মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, যাদেরকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই প্রধানত বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী। আর তাদের মধ্যে একটি অংশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী।
এই সব বিচারের ধরন এবং প্রক্রিয়াও বড় অদ্ভুত। এসব ২০১৩/১৪ এবং ২০১৮ সালের মামলা। এতদিন ধরে এসব মামলা কোল্ড স্টোরেজে পড়ে ছিল। এসব মামলার কোনো খোঁজ খবর ছিল না। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসে এবং বিরোধী দল যখন দৃঢ় মত পোষণ করে যে, তারা ইলেকশন বয়কট করবে তখন সাত তাড়াতাড়ি করে এসব মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হয়। অতঃপর শুরু হয় শুনানি। সেই সকাল ৯টা থেকে শুরু করে আদালতের সময় পার করে দিয়ে রাত ৮/৯টা পর্যন্ত শুনানি করে মামলার রায় দেওয়া হয়। বিরোধী দলের অভিযোগ, এসব রায় ছিল পূর্ব নির্ধারিত। তাই নিয়ম রক্ষার জন্য তাড়াহুড়া করে শুনানি করে আগে থেকে নির্ধারিত রায় পড়িয়ে শোনানো হয়।
শুধু মামলা করে কারাদণ্ড নয়। নির্বাচনের পথ বাধাহীন করার জন্য গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে শুরু হয় নির্বিচার বেপরোয়া ধরপাকড়। বেগম জিয়া গৃহবন্দি। তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসিত। জামায়াতের আমীর ড. শফিকুর রহমান, জেনারেল সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পারওয়ার, সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মওলানা রফিকুল ইসলাম, ঢাকা উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিনসহ বিএনপির ২৪ হাজার এবং জামায়াতের ১ হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া পত্র পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক ঢাকা মহানগরী থেকে শুরু করে মফস্বলের উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বিএনপির তৃণমূলসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীর বাসায় প্রতিদিন পুলিশ হানা দিচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় তাদের ভাষায়, আসামীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং যেখানে আসামী পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে আসামীর বাপ ভাই প্রমুখ আত্মীয়-স্বজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। একটি অনলাইন পত্রিকায় দেখলাম, গ্রেফতারের ভয়ে বিগত ১ মাসে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী পবিত্র ওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদি আরব গেছেন। সেখান থেকে তারা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং পরিস্থিতি অনুকূল মনে করলে দেশে ফিরবেন। গত ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার অনলাইন পত্রিকাগুলোতে দেখলাম, গণতন্ত্র মঞ্চের মতো একটি ছোট রাজনৈতিক জোট প্রেসক্লাব থেকে কদম ফোয়ারা অভিমুখী একটি শোভাযাত্রা বের করতে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ সেখানেও বাধা দিয়েছে। কথা আর না বাড়িয়ে এক কথায় বলা যায় যে, একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
॥দুই॥
নির্বাচন যেখানে হতে যাচ্ছে একতরফা সেখানে মশা মারতে কামান দাগিয়ে লাভ কী? ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল চরম বিতর্কিত। তখন এবং তারও আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করেছিল। বারবার অনুরোধ করার পরেও নির্বাচন কমিশন তথা সরকার সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করে। অথচ, এবার যেখানে বলতে গেলে কোনো ইলেকশনই হচ্ছে না সেখানে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো কারো কোনো দাবি না থাকা সত্ত্বেও ১৩ দিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত বলেছেন যে, নির্বাচন উপলক্ষে এত লম্বা সময় ধরে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে সর্বোচ্চ ৬ দিনের জন্য। প্রথমে ভোট হওয়ার ২ দিন আগে এবং দ্বিতীয়ত ভোট হওয়ার ২ দিন পরে। সেখানে অতিরিক্ত ৭ দিন সেনাবাহিনী কী করবে? আইনশৃঙ্খলার প্রতি তো কোনো হুমকি নাই। বিএনপিসহ ৩৬টি বিরোধী দলের কেউই ইলেকশনে অংশগ্রহণ করছে না। তাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলতে কিছু নাই। তাহলে এই যে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ প্রভৃতি বাহিনী এখন থেকেই প্রতিদিন রাস্তা ঘাটে মহড়া চালাচ্ছে সেগুলো কী জন্য? কাকে দেখানোর জন্য? এসব মহড়ার টার্গেট অডিয়েন্স নিশ্চয়ই জনগণ নয়। অডিয়েন্স হলো বিদেশি শক্তি।
সেদিন কলাবাগান ব্র্যাক ব্যাংকের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখলাম নৌকার শোভাযাত্রা। মিছিলে কেউ হাঁটছে না। কয়েকটি বাস এবং ট্রাকে কিছু লোক দেখা গেল। তাদের মধ্যে নৌকার পক্ষে কেউ কেউ শ্লোগান দিচ্ছে। আর কেউ কেউ গল্পগুজব করছে। রাস্তার দুই ধারে সাধারণ পাবলিকের ভিড়। পাবলিক হাসাহাসি করছে। একে অন্যকে বলছে, এইসব ইলেকশনের প্রদর্শনী করে কী লাভ? আওয়ামী লীগ তো ভাগ করে ২৪০টি আসন নিয়েছে। বাকি ৬০টি আসন স্বতন্ত্র, জাতীয় পার্টি এবং মেনন, ইনু, মঞ্জুর মতো খুদকুড়ানীদের দল বা ব্যক্তিদের দেওয়া হবে। কন্টেস্ট হবে তো তাদের মধ্যে। তাদের মধ্যে যারাই মেজরিটি হবে তাদেরকেই বিরোধী দল বানানো হবে।
॥তিন॥
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন এ ব্যাপারে চাঁচাছোলা কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, The election is already done.. আওয়ামী লীগ ২৪০টি আসন নিয়েছে। মেনন, ইনু এবং মঞ্জুরা সকলেই যদি জেতেন তাহলে মাত্র ৬টি আসন পাবেন। সেটি দিয়ে তো আর বিরোধী দল হবে না। শমশের মোবিন ও তৈমূর আলম খন্দকার দল করলেও বিএনপি থেকে কাউকেই তারা ভাগাতে পারেনি। বিএনএম বলে বিএনপির মতো শুনতে আরেকটি দল বানানো হয়েছে। তারাও বিএনপি থেকে একজন লোকও আনতে পারেনি। বিএসপি বলে আরেকটি দল বানানো হয়েছে। এই বিএসপি হওয়ার কারণে মাইজভান্ডারির আসনটি হাতছাড়া হয়ে গেছে। এবার তাকে আর কোনো নৌকা মার্কা বা কোনো আসনই দেওয়া হয়নি। সুতরাং এই ৪টি দলের বিরোধী দল হওয়ার কোনো চান্স নাই।
তাহলে বাকি থাকল জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীগণ। এই স্বতন্ত্ররা আবার আওয়ামী স্বতন্ত্র। কারণ, এরা নমিনেশন পেপার দাখিল করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করে তার দোয়া নিয়ে ইলেকশনে নেমেছে। তার অর্থ হলো, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতলেও আওয়ামী লীগ। আজ অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর শনিবার দেখলাম, জাতীয় পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি মুজিবুল হক চুন্নুর নির্বাচনী পোস্টার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নুকে ভোট দিন।’ তাহলে তিনি কোন পক্ষের? জাতীয় পার্টির অবস্থা তো অনেকটা এই রকম, ‘বরের ঘরের মাসি আর কনের ঘরের পিসি।’ অর্থাৎ সব ফার্স্ট কাজিন বা বিয়াই বিয়াইনের অবস্থা।
স্বতন্ত্র বা জাতীয় পার্টি নয়, ফাঁপরে পড়েছে বরং আওয়ামী লীগ। শ্যাম রাখি নাকি কুল রাখি। কাকে বানাবে বিরোধী দল? জাতীয় পার্টি? নাকি স্বতন্ত্র?
॥চার॥
শেষ করার আগে একটি কঠিন কিন্তু রূঢ় সত্য কথা বলতে হচ্ছে। নমিনেশন পেপার দাখিল করার এক দিন আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দিনের ছুটি কাটাতে শ্রীলঙ্কা যান। এখন আবার ১০ দিনের ছুটি কাটাতে দিল্লী গেছেন। ইলেকশনের ২/১ দিন আগে তিনি ঢাকা ফিরবেন। শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে ফিরে আসার পর থেকেই তিনি ঠোঁট সেলাই করে বসে আছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরাসরি মার্কিন বিরোধী ভূমিকা নিয়েছেন। এখনও প্রতিদিন ইলেকশন ক্যাম্পেইনে কঠোর ভাষায় মার্কিন ভূমিকার সমালোচনা করছেন। তার সমালোচনা দেখে এবং শুনে অনেক মানুষ বলছিলেন যে, এটা শেখ হাসিনা এবং আমেরিকার লড়াই।
এখন তারা বলছেন, এই লড়াইয়ে আমেরিকা শেখ হাসিনার কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। তাই এখন তারা আর কথা বলছে না। প্রথমে র্যাবের ওপর স্যাংশনে সরকার কিছুটা বিচলিত হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের ভিসানীতির স্যাংশনকে শেখ হাসিনা মোটেই পাত্তা দেননি। এখন তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইলেকশনের পর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে আমেরিকার সাথে হার্ড বার্গেইন করার। আর দেশের মধ্যে বিএনপিকে সম্পূর্ণ নির্মূল করে নতুন রাজনীতি খাড়া করা। আগামী দিনগুলোতে এই ধরনের ইন্টারেস্টিং আরো অনেক কিছু দেখা যাবে।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান
পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানার সঙ্গে নোবিপ্রবি ভিসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
পুলিশের গুলিতে আহত শিশু রাতুলের মৃত্যু ঢাকায়
কেজরিওয়ালের আসন ফাঁকা রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন অতিশী
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির
ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং, গরমে সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের মানুষের!
পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি, নতুন দিন ঘোষণা
ত্রিশঙ্কুর ভয়ে কাশ্মীরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ওমরের
ইটালিতে বাড়ি ভেঙে মা ও দুই শিশুর মৃত্যু
এনবিসি সমীক্ষায় ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে হ্যারিস
বকেয়া বেতনের দাবিতে আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ, বন্ধ ৫১টি ছুটি ৮টি কারখানা
ব্র্যান্ডেনবুর্গের নির্বাচনে এক নম্বর দল হতে চলেছে এসপিডি
জম্মুর হিন্দুদের দিয়ে অধিকৃত কাশ্মীর জেতা বিজেপির পক্ষে সম্ভব হবে?
রাজবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী আটক
কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি বর্ষণকারী চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আটক
মহিপুরে ইটালী পরিবহন রাস্তার বাইরে আহত -১৫
কমবে গরম, বাড়বে বৃষ্টি
কুলাউড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করেছিল ইসরাইল