ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

একক ভর্তি পরীক্ষা কেন আবশ্যক

Daily Inqilab জালাল উদ্দিন ওমর

২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশের পর আমাদের দেশে ছেলেমেয়েরা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা ছেলেমেয়েদের সাধারণত প্রথম চয়েস থাকে মেডিকেল অথবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়া এবং সেখানে পড়াশুনা করা। এসব জায়গায় চান্স না পেলে তখন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরবর্তী পর্যায়ে ভর্তি হওয়াটা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সে কোন বিষয়ে পড়াশোনা করবে তা এই সময়েই নির্ধারিত হয়ে যায়। যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পায় তার পক্ষেই কেবল চিকিৎসা বিজ্ঞান অধ্যয়ন করে একজন চিকিৎসক হওয়া সম্ভব। একইভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ছাত্রছাত্রীর পক্ষেই কেবল প্রকৌশল বিদ্যা অধ্যয়ন করে প্রকৌশলী হওয়া সম্ভব। একইভাবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করে কৃষি বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ছাত্রছাত্রীর পক্ষেই কেবল কৃষি বিদ্যা অধ্যয়ন করে কৃষিবিদ হওয়া সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভর্তি যুদ্ধ শুরু হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তির জন্য এখনো একক কোনো নীতিমালা প্রণয়ন হয়নি। ফলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে পড়ে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এর সমাধান হওয়াটা খুবই জরুরি। এর সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একক ভর্তি পরীক্ষা চালু করতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিগত ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়ায় যেসব নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে প্রথমে তার একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি।

বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেল এবং প্রকৌশল বিজ্ঞানে পড়াশুনা করতে বেশি আগ্রহী থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এই মেডিকেলগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত এবং এর সবগুলোতেই একই বিষয় এমবিবিএস কোর্স পড়ানো হয়। এইসব মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য একটি একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় পাস করে মেধানুসারে যারা এগিয়ে থাকে তারাই মেডিকেলে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির সুযোগ পায়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য, ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদেরও এই ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হয়। মোট কথা, সরকারি এবং বেসরকারি মেডিকেলে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রীদের একটি কমন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পাস করতে হয়। এমবিবিএস কোর্সের পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে ৯টি সরকারি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। এই ডেন্টাল কলেজগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত এবং এর সবগুলোতেই একই বিষয় বিডিএস কোর্স পড়ানো হয়। এইসব ডেন্টাল কলেজে বিডিএস কোর্সে ভর্তির জন্য একটি একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় পাস করে মেধানুসারে যারা এগিয়ে থাকে তারাই এই সব কলেজে বিডিএস কোর্সে ভর্তির সুযোগ পায়। বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে বিডিএস কোর্সে ভর্তির জন্য, ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদেরও এই ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হয়। মোট কথা, সরকারি এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে বিডিএস কোর্সে ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রীদের একটি কমন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পাস করতে হয়।

বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয় এবং প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশুনা করে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়গুলোতে অনেকগুলো সাবজেক্ট রয়েছে এবং একজন ছাত্র বা ছাত্রী কোন সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারবে তা ভর্তির সময়ই নির্ধারিত হয়ে যায়। একজন ছাত্র বা ছাত্রী যেই সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ পায়, তাকে সেই সাবজেক্টেই ভর্তি হতে হয় এবং সে ঐ সাবজেক্টেই পড়াশুনা করে। এই চারটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট এবং রুয়েট। গত সেশন পর্যন্ত বুয়েটে ভর্তির জন্য একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং চুয়েট-কুয়েট-রুয়েটে ভর্তির জন্য আরেকটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়েট-কুয়েট-রুয়েটে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত একক ভর্তি পরীক্ষাটি প্রকৌশল গুচ্ছ পরীক্ষা নামে অভিহিত। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু একাধিক সাবজেক্ট রয়েছে তাই অনেকেই পছন্দের সাবজেক্টে পড়াশুনার জন্য বুয়েটে চান্স পাওয়া সত্ত্বেও, বুয়েটে না পড়ে চুয়েটে অথবা কুয়েটে অথবা রুয়েটে পড়ে। এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে। যেমন একজন ছাত্র বা ছাত্রীর ক¤িপউটার সায়েন্স পড়ার খুব ইচ্ছা। সে বুয়েটে চান্স পেয়েছে কিন্তু ক¤িপউটার সায়েন্সে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু এই ছাত্র বা ছাত্রী চুয়েটে অথবা কুয়েটে অথবা রুয়েটে ক¤িপউটার সায়েন্স পড়ার সুয়োগ পেয়েছে। এ অবস্থায় বুয়েটে না পড়ে চুয়েটে অথবা কুয়েটে অথবা রুয়েটে পড়ার অনেক নজির রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়Ñ এদের প্রত্যেকেই আলাদা আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। ফলে এখানে চারটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর বাইরে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যাকে আমরা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নামে অভিহিত করেছি। আবার কৃষি ভিত্তিক ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একটি একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একে আমরা কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নামে অভিহিত করি। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এককভাবে একটি পরীক্ষা নেয়, যাতে পাস করে টেক্সটাইল বিষয়ে পড়াশুনার জন্য ছাত্রছাত্রীরা সেখানে ভর্তি হয়। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭টি কলেজে ভর্তির জন্য একটি একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে পাশ করে ছাত্রছাত্রীরা এই ৭টি কলেজে ভর্তি হয়। একে আমরা ৭টি কলেজে গুচ্ছ পরীক্ষা নামে অভিহিত করি। এই হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পদ্ধতি।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অবস্থান দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কারণে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের এসব ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক কষ্ট এবং ভোগান্তি হয়। অনেক সময় যাতায়াতের জন্য গাড়ি পাওয়া যায় না এবং থাকার জন্য জায়গা পাওয়া যায় না। এছাড়া টাকা খরচ এবং শারীরিক ঝক্কিঝামেলা তো আছেই। এ সমস্যা সমাধানে একক ভর্তি পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একক ভর্তি পরীক্ষায় একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একটি পরীক্ষাই হয়, ফলে একাধিক বিশ্বদ্যিালয়ে ভর্তির জন্য একাধিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় না। এতে ছাত্রছাত্রীদের কষ্ট কমে যায়। তাছাড়া একক ভর্তি পরীক্ষা দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবার কারণে ভর্তিচ্ছুরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। ফলে তাদের এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় দৌড়াতে হয় না। এতে তাদের সামগ্রিক কষ্ট এবং ভোগান্তি অনেকাংশেই দূর হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে একক ভর্তি পরীক্ষা বহু আগে থেকেই চালু আছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩টি গুচ্ছ পরীক্ষা চালু আছে। ২০২০-২১, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ এই তিনটি সেশনে এসব গুচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। একটি হচ্ছে প্রকৌশল গুচ্ছ, যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা চুয়েট, কুয়েট এবং রুয়েটে ভর্তি হয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়, যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা ২২টি পাবলিক বিশ্বদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তৃতীয়টি হচ্ছে কৃষি গুচ্ছ, যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। গুচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির এক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।

গুচ্ছ পরীক্ষার ক্ষেত্রে, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় পাস করার পর ছাত্রছাত্রীরা তাদের ফলাফলের সিরিয়াল অনুসারে তার অবস্থান জানতে পারে। এরপর ছাত্রছাত্রীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবজেক্ট চয়েস দেবে। প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীরা গুচ্ছভুক্ত সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাবজেক্ট ও চয়েস দিতে পারবে। সেটা ছাত্রছাত্রীদের ফলাফলগত অবস্থান, কোন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোন সাবজেক্টে পড়বে তার ওপর নির্ভর করবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য অর্থাৎ সবগুলি বিভাগের সাবজেক্ট রয়েছে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা একটি পরীক্ষায়, মানবিকের ছাত্রছাত্রীরা একটি পরীক্ষা এবং বাণিজ্যের ছাত্রছাত্রীরা একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। তবে একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও, ছাত্রছাত্রীরা বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে। যেমন বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা তাদের পরীক্ষায় পাস করার পর তাদের অবস্থান অনুসারে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্টের পাশাপাশি মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের সাবজেক্টেও চয়েস দিতে পারবে এবং ভর্তি হতে পারবে। মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের বেলায়ও এই নিয়ম প্রযোজ্য। পরীক্ষার ফলাফল এবং চয়েস অনুসারে ছাত্রছাত্রীরা সাবজেক্ট পাবে এবং ভর্তি হবে। আর তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সব কিছু অনলাইন ভিত্তিক হবার কারণে গুচ্ছ সিস্টেমে ভর্তি প্রক্রিয়া খুবই সহজ।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি পরীক্ষা হওয়া উচিত। ছাত্রছাত্রীরা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয়ে পড়বে সেটা তার যোগ্যতা এবং ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। গুচ্ছ পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা ছাত্রছাত্রীরা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায় এবং সুযোগ পায়, তাহলে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে সেখানে ভর্তি না হয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির অনেক উদাহরণ কিন্তু আছে। ছাত্রছাত্রীদের পছন্দের সাবজেক্ট পাওয়া না পাওয়া এবং তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার ওপর এ বিষয়টি নির্ভর করে। আর এটি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় সমভাবে প্রযোজ্য। একইভাবে কেউ যদি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায়, তাহলে তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। কেউ যদি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায়, তাহলে তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। কেউ যদি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায়, তাহলে তারা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। যদি অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায়, তাহলে তারা সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়বে। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় যদি একক ভর্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে সমস্যার কিছুই নেই।

লেখক : প্রকৌশলী এবং উন্নয়ন গবেষক।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো