ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

একতরফা নির্বাচনে সেনাবাহিনী কেন?

Daily Inqilab মো. আব্দুল হান্নান

০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম

৩ জানুয়ারি নির্বাচনী মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। থাকবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর আগে ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনারের সাথে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসারের বৈঠকে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে মর্মে বৈঠক সূত্রে বলা হয়েছিল। পরে রাষ্ট্রপতির সাথে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকেও ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে জানানো হয় ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ার পরের দিন শাসকদল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সব বিষয়ে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা ঠিক হবে না। তবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের মাঠে রাখলে আওয়ামী লীগ আপত্তি করবে না।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার যে শাসকদল আওয়ামী লীগ চায় সেনাবাহিনীকে যদি নির্বাচনী মাঠে নামাতেই হয় তা হলে ক্ষমতাহীন অবস্থায় নামাতে হবে, যার সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে স্ট্রাইকিং হিসেবে নামানো। নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনীর সক্রিয় অবস্থানকে শাসকদল আওয়ামী লীগ তাদের লক্ষ্যপূরণে নিরাপদ মনে করে না। গত ১৫ বছর প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যে ভাবে তারা দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে, সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়। যে কারণেই নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার লক্ষ্যে হুদা কমিশনের মাধ্যমে আরপিও সংশোধন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী নামানোর নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব যে একটি আইনী ভিত্তি ছিল তা রহিত করা হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় নির্বাচন কমিশন চাইলেও রাষ্ট্রপতি তথা সরকারের অনুমোদন ব্যতিরেকে নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী নামানোর অধিকার রাখে না।

সরকারের ইচ্ছায় রাষ্ট্রপতি যে সব শর্তে নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী ব্যবহারের অনুমোদন দেবেন তার বাইরেও নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে পারবে না। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনী মাঠে নামানোর অর্থ হচ্ছে এখানে সেনাবাহিনীর নিজেস্ব কোনো ভূমিকা থাকবে না। সেনাবাহিনী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণাধীনে থেকে দায়িত্ব পালন করবে। ভোট কেন্দ্রসহ কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সেনাবাহিনী চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে সেখানে সেনাবাহিনী পাঠাতে পারবেন। মূল কথা হচ্ছে, সেনাবাহিনী স্বপ্রণোদিতভাবে কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে না। সেনাবাহিনী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। তারা নিয়মের বাইরে কিছু করবে না বা করার সুযোগও নেই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা কীভাবে সেনাবাহিনী ব্যবহার করবেন তার উপরই নির্ভর করছে নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনীর ভূমিকা। আমরা জানি, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা হচ্ছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। শাসকদল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কোনো কাজে তারা সেনাবাহিনী ব্যবহার করবেন একথা বিশ^াস করার কোনো কারণ নেই। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী নামানোর সুখকর অভিজ্ঞতা থেকেই শাসক দলের পরামর্শ এবারকার নির্বাচনেও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মাঠে নামানো হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। শাসকদল আওয়ামী লীগ ব্যতীত প্রায় সব দলের দাবি ছিল নির্বাচনী মাঠে সকল দলের সমান সুযোগ নিশ্চিতে ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী নামানোর। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির সে দাবি অগ্রাহ্য করে ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা ছাড়াই স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনের ৬ দিন আগে অর্থাৎ ২৪ ডিসিম্বর সেনাবাহিনী মাঠে নামানো হয়।

অবশ্য সেনাবাহিনী মাঠে নামানোর আগেই, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরুর দিন থেকেই শাসক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে মাঠ ছাড়া হতে থাকেন বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা এমনকি প্রার্থীরাও। রাজনীতি ও নির্বাচনী মাঠে আলোচিত হেলমেট বাহিনীর যে আবির্ভাব তার সূচনা হয় ২০১৮ সালের নির্বাচনে। এই হেলমেট বাহিনীর কাজ ছিল পথে, ঘাটে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের উপর হামলা করা। একই সাথে চলতে থাকে গায়েবি মামলা ও গণ গ্রেফতার। বিএনপির ১১ জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। রক্তাক্ত জখম করা হয় অন্তত ২৭ জন প্রার্থীকে। প্রচার-প্রচারণায় বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি বিএনপিসহ বিরোধীদলের অধিকাংশ প্রার্থীকে। নির্বাচনী মাঠে সমান সুযোগ-সুবিধা তো দূরের কথা নির্বাচন করার কোনো পরিবেশই ছিল না বিরোধী দলের জন্য। এতটা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বিরোধীদল নির্বাচন থেকে সরে না গিয়ে অপেক্ষায় ছিল ২৪ ডিসিম্বর সেনাবাহিনী নামানোর। তাদের বিশ^াস ছিল প্রচার-প্রচারণা চালাতে না পারলেও সেনাবাহিনী নামানোর পর পরিস্থিতির যদি উন্নতি হয় এবং ভোটের দিন অন্তত জনগণ ভোট দিতে পারলে অবশ্যই নির্বাচনে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। কিন্তু বিরোধীদলের সে আশা শেষ পর্যন্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।

নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী নামানোর পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হয়ে, বরং আরো অবনতি হতে থাকে। নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনী ছিল কার্যত দর্শকের ভূমিকায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের কোনো ভূমিকা পালন করতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচনী মাঠে শাসকদলের নেতাকর্মীরা ছাড়া বিরোধীদলের নেতা কর্মীদের কোনো উপস্থিতি ছিল না, থাকার মতো পরিস্থিতিও ছিল না। মামলা-হামলা গ্রেফতার আতঙ্কে সবাইকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছিল। সাহস নিয়ে কেউ নির্বাচনের মাঠে থাকার চেষ্টা করলে তার জয়গা হয় কারাগারে। বিরোধী দলের নেতা কর্মীশূন্য নির্বাচনী মাঠেও ৩০ ডিসেম্বর ভোট করার সাহস করেনি শাসকদল ও নির্বাচন কমিশন। দেশের অধিকাংশ কেন্দ্রে আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়। ৩০ ডিসেম্বর শুধুমাত্র নির্বাচনের মহড়া দেখানো হয়।

এ কথা ঠিক যে, সেনাবাহিনী বিরোধীদলের কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেনি, কোনো নেতা কর্মীর উপর অত্যাচার চলায়নি। আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরার কাজেও সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ ছিল না। তার পরেও বলবো, নির্বাচনে কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনী না জড়ালেও তাদের উপস্থিতিতে জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। অবাক বিস্ময়ে মানুষ শুধু দেখলো সেনাবাহিনী মাঠে থাকার পরও তারা ভোট দিতে পারলো না। দুঃখজনক, আবারো একটি বিতর্কিত নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাকে কেউ বলছেন একদলীয়, কেউ বলছেন পাতানো, কেউ বলছেন ভাগ বাটোয়ার আবার কেউ বলছেন ডামি নির্বাচন।

বলতে দ্বিধা নেই, চলমান নির্বাচন সম্পর্কে বিভিন্ন মহল থেকে উচ্চারিত প্রত্যেকটা বিশেষণই সঠিক। শাসক দল আওয়ামী লীগ, তার অনুগত মিত্র এবং আশ্রিত মিত্র দলগুলি ছাড়া সত্যিকারের কোনো বিরোধীদল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ঘোষণা দিয়েই শাসক দলের কেউকে নৌকা দেওয়া হয়েছে আর কেউকে স্বতন্ত্র দাঁড় করানো হয়েছে। এ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠের যে অবস্থা তাতে উল্লেখ করার মতো না হলেও শাসক দলের নৌকার প্রার্থী ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে কিছুটা নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। জাতীয় পার্টিসহ বাকি ২৫টি দলের নির্বাচনী মাঠে দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই।

তবে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একই দলের হওয়ায় স্থনীয়ভাবে আধিপত্য ধরে রাখার চেষ্টায় উভয় পক্ষের সমর্থকেরা সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এই সংঘাত-সংঘর্ষ ইতোমধ্যে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। বিরোধীদল বিহীন একতরফা নির্বাচনে ভোটার টানার কৌশল হিসেবে শাসক দল যে স্বতন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছে এতে তারা সফল হবে বলে রাজনৈতিক বোদ্ধারা তা মনে করেন না। বরং শেষ বিচারে এটা শাসক দলের জন্য বুমেরাং হবে বলেই সবার আশঙ্কা। কৃত্রিমভাবে হলেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখানোর যে পরিকল্পনা শাসক দল তথা সরকারের ছিল তা নিশ্চিতভাবেই ভণ্ডুল হওয়ার পথে। এখানে লক্ষনীয় যে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিরোধী দলসহ জনগণের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আর এবার স্বতন্ত্র তত্ত্ব হাজির করে নিজ দলের নেতাকর্মীদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনের ডামাডোল যাই দেখানো হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত শাসক দলের মনোনীতরাই নির্বাচিত হবে। এ ধরনের একটি একতরফা নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানোর প্রয়োজন কী?

লেখক: অ্যাডভোকেট, জজ কোর্ট, ফরিদপুর।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো