শীতকালীন রোগব্যাধি
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯ এএম | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯ এএম
বাংলাদেশে প্রত্যেক ঋতুতে বিশেষ বিশেষ রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা যায়। তবে শীতকালে সাধারণত শ্বসনতন্ত্রের রোগগুলো বেশি পরিলক্ষিত হয়। যেমন শর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাঁজমা, টনসিলাইটিস। এছাড়াও এই তালিকায় নতুন সংযোজন করোনা। শীতকালে আবহাওয়ায় বায়ু শুষ্ক এবং ঠান্ডা হওয়ায় রোগজীবাণু অনেক সক্রিয় থাকে। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে কম থাকায় মানবশরীরে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি দেখা দেয়, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে থাকে এবং জীবাণু সংক্রমণ সহজ হয়ে যায়। এ ছাড়াও শৈত্যপ্রবাহ, ধূমপান ও বায়ু দূষণের কারণে দুর্বল শ্বসনতন্ত্র শীতকালে অসুস্থ হওয়ার উল্লেখ্যযোগ্য কারণ। বাংলাদেশে শীতকালে মৃত্যুহারও বেড়ে যায়। ২০২৩ সালের একটি তথ্য মতে, ঢাকার বাইরে ২ মাসে শ্বসনতন্ত্রজনিত রোগে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোগজীবাণুগুলো বায়ুবাহিত হওয়ায় এর ভয়াবহতা বেশি। সংক্রমণ ঠেকাতে জনসাধারণের উচিত রোগের লক্ষণ নিয়ে সচেতন এবং সতর্ক থাকা, হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা, প্রয়োজনে মাস্ক পরা, ভালোভাবে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা এবং সঠিক সময়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। পাশাপাশি নিজের যতœ নেওয়া, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন-সি এবং ডি যুক্ত খাবার খাওয়া, ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করা, গরম কাপড় পড়া, রোদ পোহানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে শীতকালীন রোগব্যাধি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।
রাবেয়া আক্তার
শিক্ষার্থী, ফার্মেসী বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো