ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

দক্ষতার ঘাটতি দূর করতে হবে

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম

যুবারা যে কোনো দেশের জন্যই সম্পদ। কিন্তু বাংলাদেশে তার চিত্র উল্টো; বোঝায় পরিণত হয়েছে। এ দেশের যুবারা অধিকাংশই বেকার। তার মধ্যে শিক্ষিতরা বেশি। এমনকি যারা যত বেশি উচ্চ শিক্ষিত, তারা তত বেশি বেকার। গত ৮ ডিসেম্বর’২৩ প্রকাশিত বিআইডিএস’র জরিপ রিপোর্ট মতে, ‘স্নাতক পাস শিক্ষার্থীদের ৪২-৪৮% বেকার। ২০২১ সালে এ হার ছিল ৬৬%’। বিবিএস’র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ‘আইএলও সংজ্ঞা অনুযায়ী ২০২৩ সালে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৪.৭০ লাখ। আইএলও’র সংজ্ঞা হচ্ছে, ৩০ দিন ধরে কাজ প্রত্যাশী একজন মানুষ যদি সর্বশেষ সাত দিনে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টাও কাজ করার সুযোগ না পায়, তাহলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হয়’। যে দেশে সার্বক্ষণিক কাজ করেও সংসার চলে না, সেদেশে আইএলও’র ফরমুলায় বেকারত্ব নির্ণয় করা ঠিক নয়। বাংলাদেশে প্রকৃত বেকারত্ব ভয়াবহ। বেকাররা চরম নিগৃহীত জীবন যাপন করছে। অনেকেই বিপথে ধাবিত হচ্ছে। এছাড়া, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন-২০২৪ মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যবসার শীর্ষ ঝুঁকির কারণসমূহের মধ্যে বেকারত্ব অন্যতম। এ বেকারত্বের জন্য বেকাররা দায়ী নয়, দায়ী দেশের সেকেলে শিক্ষা ব্যবস্থা। যার কারণে একদিকে ভয়াবহ বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে দক্ষ লোকের ঘাটতি রয়েছে ব্যাপক। তাই বেসরকারি খাত অত্যধিক বেতন-ভাতাদি দিয়ে বিদেশ থেকে দক্ষ লোক এনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এদের মধ্যে ভারতীয় লোক বেশি। গত ২৭ জানুয়ারি জার্মান বেতারে প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে অবশ্যই আনডকুমেন্টেড ভারতীয়রা কাজ করছে। ফলে আনঅফিশিয়ালি বাংলাদেশ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার ভারতে রেমিট্যান্স যাচ্ছে বছরে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আরেকটা সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশি শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা, যে কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা গ্রাজুয়েশনের পরেও ইংরেজি বলতে পারে না’। ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট সামীর সাত্তার গত ৮ জুলাই’২৩ বলেন, ‘দেশে দক্ষ কর্মীর অভাবে শিল্পখাতে অনেক বিদেশি কাজ করছে। তারা প্রতিবছর ৮-১০ বিলিয়ন ডলার বেতন হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে’। অর্থাৎ দেশে মোট রেমিটেন্স যা আসছে (গত বছর ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এসেছে) তার প্রায় অর্ধেক দেশ থেকে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এতে দেশের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া, দক্ষতার ঘাটতি ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির ব্যবহারের অভাবে দেশের জাতীয় উৎপাদনশীলতার হারও অনেক কম বৈশ্বিক উৎপাদনশীলতার গড় হারের তুলনায়। এমনকি এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যেও অনেক কম। অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রেও ব্যাপক অদক্ষতা রয়েছে (ফলে দুর্নীতি, অপচয়, ফাঁকিবাজী ইত্যাদি বেশি হচ্ছে)। এসব নানাবিধ কারণে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকতে পারছে না। ইতোমধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বাকীরা টিম টিম করে জ্বলছে! অনেকগুলোর মালিকানা বিদেশিদের কাছে চলে গেছে। যেমন: মোবাইলের সিম কোম্পানি।

সাম্প্রতিক সময়ে গরিব দেশগুলোর উপার্জনের অন্যতম পথ হয়ে উঠেছে ফ্রিল্যান্সিং। ধনী দেশগুলো গরিব দেশ থেকে কম মূল্যে কম্পিউটারভিত্তিক কাজ করে নিচ্ছে। ফলে গরিব দেশের ছেলে-মেয়েদের ঘরে বসেই অর্থ উপার্জনের পথ খুলে গেছে। বাংলাদেশেও লাখ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড রিপোর্ট ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, বর্তমানে বিশ্বের মোট ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে ১৪ শতাংশ বাংলাদেশে। তারা দেশে বসে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে। কিন্তু পরিশ্রম অনুযায়ী তাদের আয় খুব কম। আন্তর্জাতিক এক তথ্য মতে, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনবলের সংশ্লিষ্টতা বিশ্বে দ্বিতীয় কিন্তু উপার্জনের ক্ষেত্রে ৭ম। কারণ, দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। তারা নি¤œতর কাজ করছে কম মূল্যে। গত অক্টোবরে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্য মতে, ‘বাংলাদেশের ৮০% চাকরিপ্রার্থী কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং গণিত বিষয়ে খুবই দুর্বল।’ শিক্ষার মান খারাপ হওয়ায় কাজের মান খারাপ হচ্ছে। স্মরণীয় যে, শিক্ষার নি¤œমানের ন্যায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও মান নি¤œ। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে এশিয়ার সেরা ১০০ এবং বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ দেশের কোনো বিশ্ব বিদ্যালয় স্থান পায়নি! যা’হোক, দেশে দক্ষ গাড়ি চালকেরও ঘাটতি রয়েছে অর্ধেকের বেশি। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে অনবরত। তাতে জানমালের ক্ষতির পরিমাণ বিশ্বে সর্বাধিক! অথচ ৩/৪ মাসের মধ্যেই একজন দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু এ অতি সহজ কাজটিও করা হচ্ছে না দেশে অসংখ্য বেকার লোক থাকা সত্ত্বেও। অপরদিকে, অদক্ষতার কারণে বাংলাদেশের প্রবাসীদেরও আয় অনেক কম, অন্য দেশের তুলনায়।

অর্থাৎ দক্ষতার ঘাটতির কারণে দেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ দক্ষতা ঘাটতি শুধুমাত্র কর্মে নয়, ভাষাগতও। আন্তর্জাতিক ভাষা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রধান ব্যবহারিক ভাষা ইংরেজি। কিন্তু সেই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ লোক তেমন নেই দেশে। এছাড়া, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০২২ সালের জরিপ মতে, ‘বাংলাদেশের পাঁচ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ইংরেজি বর্ণ পড়তে পারেনি গড়ে ১৬% এবং ইংরেজি গল্প পড়তে পারেনি ৮৩% শিক্ষার্থী।’ পেশাজীবীদের মধ্যেও ইংরেজি ভাষার দক্ষতার অভাব রয়েছে। যেমন: বিভিন্ন দেশে বিপুল দক্ষ নার্সের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এ দেশের নার্সরা যেতে পারছে না ইংরেজিতে অদক্ষতার কারণে। কৃষি খাতকে আধুনিক করা যাচ্ছে, যা প্রয়োজনানুগ। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষ লোকের বিপুল ঘাটতি রয়েছে।

অবশ্য, দেশে কিছু দক্ষ লোক রয়েছে কর্মে ও ইংরেজিতে। উপরন্তু অনেক উদ্ভাবক ও চিন্তকও রয়েছে। কিন্তু তারা দেশে তেমনভাবে মূল্যায়িত না হওয়ায় এবং উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিভিন্ন দেশে চলে গেছে ও যাচ্ছে। ইদানিং ধনী দেশগুলো স্কলারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ গরিব দেশের মেধাবীদের নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে যেসব দক্ষ, মেধাবী, উদ্ভাবক ও চিন্তকরা দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে, তাদের অধিকাংশই সেখানে স্থায়ী হয়ে উন্নতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। একে বলে মেধা পাচার, যার ক্ষতি দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের ক্ষতির চেয়ে বেশি!

দেশের দক্ষতার ঘাটতি পূরণ করার লক্ষ্যে কর্মমুখী শিক্ষা প্রসারের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আশানুরূপ প্রসার ঘটছে না। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, দেশে এখন কারিগরি শিক্ষার হার ২০%। পত্রিকান্তরের খবর মতে, দেশে এখন কারিগরি শিক্ষার হার ৮% এর অধিক নয়। ৬ মাসের ভোকেশনাল ট্রেনিংকে কারিগরি শিক্ষার হারের সাথে যুক্ত করে কারিগরি শিক্ষার হার ১৪% বলা হচ্ছে সরকারিভাবে। কিন্তু এ দু’শিক্ষা এক নয়। আকাশ-পাতাল পার্থক্য। দ্বিতীয়ত: কারিগরি শিক্ষার হার যেটুকুই আছে, তারও মান খারাপ। কারণ, বেশিরভাগ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় দক্ষ শিক্ষক, ল্যাবরেটরি ও যন্ত্রপাতি নেই। বিশেষ করে, বেসরকারি খাতের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ফলে, সেখানের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন ছাড়াই সনদ প্রাপ্ত হয়ে কর্মে নিযুক্ত হচ্ছে।

দেশের কাক্সিক্ষত উন্নতির জন্য দক্ষতার ঘাটতি পূরণ করা অপরিহার্য। দ্বিতীয়ত: ভবিষ্যৎ কর্মেরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ফিউচার অব জবস রিপোর্ট অনুসারে, ৫০ শতাংশ কর্মীকে ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন দক্ষতা শিখতে হবে। একসময় যা মূল দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হতো তাও পরিবর্তিত হবে। সে পরিবর্তনের সাথে তাল মিলে চলতে হবে আমাদের। নতুবা দক্ষতার ঘাটতি অনেক বেড়ে যাবে। তাই কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে দ্রুত। সরকার সে পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে। কিন্তু সে মতে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটছে না। যেমন: ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অর্ধেক আসনও পূরণ হয়নি। আগে-পরের শিক্ষাবর্ষেও তথৈবচ! উপরন্তু অন্য ডিপ্লোমা শিক্ষার ক্ষেত্রেও তাই। সর্বোপরি কারিগরি শিক্ষার মানও খারাপ। তাই সব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় দক্ষ শিক্ষক, ল্যাবরেটরি ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা এবং শিক্ষার কারিকুলাম সার্বক্ষণিক আধুনিক করতে হবে। অর্থাৎ সময়ের চাহিদা মাফিক করতে হবে। সর্বোপরি বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃক নারী কারিগরি শিক্ষার্থীদের মাসিক ৮শ’ টাকার বৃত্তি দেওয়া হয়। ফলে কারিগরি শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। অনুরূপভাবে ছেলেদেরও মাসিক বৃত্তি প্রদান করতে হবে সরকারিভাবে। তবেই কারিগরি শিক্ষার প্রতি ছেলেরা ঝুঁকে পড়বে। স্মরণীয় যে, দেশে নারী শিক্ষার হার ব্যাপক বেড়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের মাসিক বৃত্তি প্রদান চালু হওয়ার পর থেকেই দেশের নারী শিক্ষার প্রসার ঘটতে ঘটতে বর্তমান পর্যায়ে এসেছে। তদ্রুপ কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রেও হবে, যদি সব ছেলে শিক্ষার্থীর নারীদের ন্যায় মাসিক ৮শ’ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়। অবশ্য, এ ক্ষেত্রে বিপুল অর্থ দরকার, যা সরকারিভাবে সংকুলান করা কঠিন। তবে, সেটা সম্ভব সাধারণ উচ্চ শিক্ষার ভর্তুকি বন্ধ করা হলে। অনেকের অভিমত, দেশে বিপুল সংখ্যক সাধারণ উচ্চ শিক্ষিত লোকের দরকার নেই। তাই বেকার তৈরির এই কারখানার সংকোচন দরকার। সাধারণ উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকি কমিয়ে দেয়া যেতে পারে। সেই অর্থ ছেলে কারিগরি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি হিসাবে প্রদান করা হলে ছেলেরা কারিগরি শিক্ষার দিকে ঝুঁকে পড়বে। এছাড়া, মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষার যেকোন একটি ট্রেডকে ইচ্চানুযায়ী বাধ্যতামূলক করা হলে দেশে দক্ষতার বিপ্লব ঘটবে কয়েক বছরের মধ্যেই। আর ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষার নি¤œস্তর থেকেই সর্বাধিক গুরত্ব দিতে হবে, যাতে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষিতরা ইংরেজিতে দক্ষ হতে পারে। সে জন্য সব শিক্ষা প্রতিষষ্ঠানের ইংরেজি শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করতে হবে অবিলম্বে। তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সর্বোপরি সব শিক্ষার মান বৃদ্ধি করে আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে।

বর্তমানে যারা কর্মে নিযুক্ত আছে, কিন্তু দক্ষ নয়, কিংবা অর্ধ দক্ষ, তাদেরও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য উপয্ক্তু প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাতে মালিক ও সরকারের কোন ক্ষতি হবে না। কারণ, কর্মীরা দক্ষ হলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলে বছরে কয়েক লাখ করে দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বিআরটিসি ও তার জনবলকে ব্যবহার করা হলে ৩/৪ মাস অন্তর অন্তর বিপুল সংখ্যক দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি হবে।

ইতিপূর্বে এক নিবন্ধে আমরা বলেছিলাম, মেধার মূল্যায়ন করতে হবে সর্বাধিক। অর্থাৎ মেধানুযায়ী জাতীয় বেতন স্কেল ও মর্যাদা নির্ধারণ করতে হবে। কারণ, উচ্চ মেধাবী, মধ্যম মেধাবী ও নি¤œ মেধাবীদের বেতন ও মর্যাদা সমান হলে সেখানে উচ্চ মেধাবীরা থাকবে না, বিদেশে চলে যাবেই।কোন দেশপ্রেম দিয়েও তাদেরকে ঠেকানো যাবে না।তাই উচ্চ মেধাবীদের দেশে ধরে রাখা এবং তাদের কাজে লাগানোর জন্য তাদের বেতন ও মর্যাদা সর্বাধিক করতে হবে।দেশের উচ্চ মেধাবীরা হচ্ছে বিশেষায়িত শিক্ষার্থীরা তথা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদ, কৃষিবিদ, চিন্তক ও উদ্ভাবক। তাদের চেয়ে অধিক মেধাবী তাদের শিক্ষকরা। তাই বেতন ও মর্যাদার দিক দিয়ে প্রথম পর্যায়ে বিশেষায়িত শিক্ষার শিক্ষক, দ্বিতীয় হচ্ছে বিশেষায়িত শিক্ষিতরা ও তৃতীয় হচ্ছে আমলা, অতঃপর অন্যরা। এভাবে জাতীয় বেতন ও মর্যাদা নির্ণয় করা হলে মেধা পাচার বন্ধ হবে। তাতে দেশের ব্যাপক কল্যাণ হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল