ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশে পুরাতন মতবাদের নতুন আমদানি

Daily Inqilab ড. মো. কামরুজ্জামান

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম

আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। ফলে নব নব সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামিংয়ের উদ্ভাবন ঘটেছে। এর মাধ্যমে মানুষ ভালো এবং মন্দÑ দুটোই উপভোগ করছে। তবে কিছু নব্য ইঞ্জিনিয়ার গোষ্ঠি সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামিংয়ের নামে গোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ট্রান্সজেন্ডারের নামে তারা মানুষকে সমকামিতার প্রতি উৎসাহ যোগাচ্ছে। শৈশব থেকেই মানুষ এই এজেন্ডার খপ্পরে পড়ে যাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ সমাজকে তারা অস্থিতিশীল করার জন্য কাজ করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবার, ধর্ম, জাতি ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা। আন্তর্জাতিক এলিটদের দ্বারা সর্বগ্রাসী এক গভর্নমেন্ট তৈরিই তাদের মিশন। তাদের প্রতিষ্ঠিত ঐ গভর্নমেন্টের অধীনে থাকবে একটিমাত্র ধর্ম, একটিমাত্র গোষ্ঠি ও একটিমাত্র লিঙ্গ। অর্থাৎ নতুন ধরনের এক পৃথিবী গড়াই তাদের লক্ষ্য, যেখানে মানুষের শুধু একটাই নাম থাকবে। সেখানে নারী পুরুষের কোনো পরিচয় থাকবে না। পরিভাষাগতভাবে তারা এর নাম দিয়েছে ‘হেটেরোহেমো ও লুসিফারিজম’। পরিবারহীনতা সমাজ জীবনের প্রাথমিক ও মূলভিত্তি হলো বিবাহ। বিবাহের মাধ্যমেই একটি পরিবার সৃষ্টি হয়। পরিবার মানুষকে তার মানবিক পরিচিতি শিক্ষা দেয়। একটি পরিবার মানব জীবনের লক্ষ্য এবং তাদেরকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য জানায়। পশ্চিমাবিশে^ অনেক আগেই পারিবারিক বন্ধনের বিলুপ্তি ঘটেছে। কম্যুনিজমও পরিবারকে গুরুত্বহীন করেছে। অথচ, বিশ^ সভ্যতায় পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই পরিবারের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে সমাজ। আর বৃহৎ সমাজের সমষ্টির নাম হলো রাষ্ট্র। কিন্তু তথাকথিত এলিট ইঞ্জিনিয়াররা সমাজের মূলভিত্তি পরিবারপ্রথাকে বিলোপ করতে চায়। পরিবার গঠন ও মানবজাতির বিকাশ সাধনে বিপরীত লিঙ্গের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। মানব সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই পরস্পর দুটি বিপরীত লিঙ্গ পরিবার ও সমাজে অবস্থান করে আসছে। এ ব্যবস্থার বিকল্প কোনো সুস্থ মানুষ কখনও ভাবেনি। শুধু মানব জাতিই নয় বরং সকল প্রাণীর বংশ বিস্তারে এটি এক ও একমাত্র স্বাভাবিক নিয়ম হিসেবেই চালু আছে। প্রজনন চক্রের প্রধান ও একমাত্র টেকসই অংশ হলো পারস্পারিক লিঙ্গপরিচয়। এর প্রত্যেকটা ধাপে রয়েছে মানবজাতির জন্য সুখ-স্বাচ্ছন্দের নানা বৈচিত্র্য। সন্তান জন্মদান, পিতৃত্ব, মাতৃত্ব ইত্যাদি বিশ^ময় স্বীকৃত এক নন্দিত সভ্যতা। কিন্তু তথাকথিত আধুনিক এলিটরা নন্দিত সভ্যতাকে ভেঙ্গে দিতে এক ধরনের পাগলামিতে মত্ত হয়েছে। এ পাগলামির ঢেউ বাংলাদেশেও আছড়ে পড়েছে। যুগে যুগে পৃথিবীটা এলিটরাই পরিচালনা করেছে। তারাই জনগণকে শাসন ও শোষণ করে থাকে। জালিম এলিটদের অধীনে জনগণ শুধু শোষিতোই হয়। তারা ইচ্ছেমত আইন তৈরি করে এবং জনগণের উপর তা চাপিয়ে দেয়। এলিটদের রয়েছে আন্তর্জাতিক এক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।

এ নেটওয়ার্কটি প্রকৃত লিঙ্গগত পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা তরুণীদের পুরুষের মতো চলতে শেখাচ্ছে। তারা প্রকৃতবিরুদ্ধ আচরণে উৎসাহ যোগাচ্ছে। নারী ও পুরুষের মধ্যে স্থায়ী বৈবাহিক বন্ধনে তারা বাধা সৃষ্টি করছে। এক্ষেত্রে তারা কোমলমতি নারী শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেছে। লক্ষ্যে পৌঁছতে তারা ফালতু কৌশল এবং ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছে। তারা এসব কোমলমতি নারীকে ফেমিনিজমের (নারীবাদ) নামে পুরুষবিদ্বেষী করে তুলছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের সুরক্ষা, স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে। নারীসুলভ আচার-ব্যবহার ও তার সামাজিক দায়-দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ভুলভাল ধারণা দিচ্ছে।

ফেমিনিজম নারীকে দৃশ্যত ফাঁদে ফেলে তাকে দিকভ্রান্ত করে দেয়। এলিট নামক পাগলদের খপ্পরে পড়ে ইতোমধ্যেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে পৃথিবীর মিলিয়ন বিলিয়ন নারী ও পুরুষ। একত্রে বসবাসের মাধ্যমে তাদের কাছে সেক্সুয়াল রিলেশনটা মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বিবাহ ছাড়াই যৌনতাকে সহজ ও স্বাভাবিক করে তুলেছে। তারা সমস্ত মানবিক সম্পর্কের মধ্যে যৌনতার অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম ও প্রধান টার্গেট শিশুশ্রেণির পাঠ্যপুস্তক। পাঠসূচি থেকে তারা পরিকল্পিতভাবে ধর্মশিক্ষাকে নির্বাসন দিয়েছে। প্রগতি আর উন্নতির নামে শিশুদের তারা যৌনতায় আকৃষ্ট করতে চাইছে। স্কুলশিক্ষকরা ১২ বছরের শিশুকে যৌনকর্ম শেখাচ্ছে। তারা শিশুদের বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হাস্যকর ‘শরীফ থেকে শরীফা’র গল্প পড়াচ্ছে। তারা সমাজের নারী ও পুরুষের মাঝে নিয়ন্ত্রণহীন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্ম দিচ্ছে।

মিডিয়ার বদৌলাতে গোটা দুনিয়ায় বানোয়াট এসব গল্পের কথা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে বর্তমানে ৬ কোটি শিশু আছে যাদের বয়স ১৮ বছরের মধ্যে। এসব শিশু মিডিয়ার অবাধ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এ উন্মত্ততা এখন শুধু তাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই, মধ্যবয়স্ক বুড়া-বুড়িদেরও এ উন্মত্ততা গ্রাস করছে। এ উন্মত্ততা একজন নারীকে পুরুষের চোখে শুধু ভোগপণ্য হিসেবেই উপস্থাপন করছে। ফলে সমাজে নারীর প্রতি নির্যাতনের নানান মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। একজন নারী ও পুরুষের মাঝে প্রকৃত প্রেম-ভালোবাসা গড়ে উঠছে না। বিবাহ, সন্তান উৎপাদন ইত্যাদি ক্রমেই ¤্রয়িমান ও গৌন হয়ে যাচ্ছে।

সৃষ্টির শুরু থেকেই নেতৃত্ব পুরুষের। পুরুষ প্রাকৃতিকভাবেই ক্ষমতাশালী ও নেতৃত্বদানে পারঙ্গম। নারী প্রেমময়ী। নারীরা সাধারণত পুরুষের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। অনেক সময় একজন পুরুষও নারীর প্রতি নির্ভরশীল হতে পারে। এসবই দুজনের প্রেম, ভালোবাসা ও বুঝাপড়ার ভিত্তিতেই হয়ে থাকে। এখানে জয়-পরাজয় বা হার-জিতের প্রশ্ন থাকে না। কে ছোটো, কে বড়ো, কে মহান, কে অধম ইত্যাদি কোনো ব্যাপারও থাকে না। দুজনের পারস্পারিক সহযোগিতা ও আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর ভিত্তিতেই তারা সাফল্যের সোপানে অগ্রসর হয়। পুরুষের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে দায়িত্ব গ্রহণ, পরিবার গঠন ও স্ত্রী-সন্তানকে পরম ভালোবাসায় আগলে রাখার মাধ্যমে। স্বামী, সন্তান এবং সংসারের প্রতি যতœ, ভালোবাসা হচ্ছে নারীত্বের সুমিষ্ট দায়। পরিবার গঠনের পর নারীত্বের দায় মিটিয়ে একজন নারী তার ক্যারিয়ারকে গুরুত্ব দিতে পারে। জাতি গঠনেও একজন নারী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এতে কারো অভিযোগ থাকার কথা নয়। তবে এই মুহূর্তে ফেমিনিজম তথা নারীবাদের গোপন এজেন্ডা থেকে সকলকে সতর্ক থাকা দরকার। তাদের গোপন এজেন্ডা সমাজ, সভ্যতা ও প্রকৃতিবিরুদ্ধ। এই এজেন্ডা নারীকে বিবাহ ও পরিবার বিরোধী করে গড়ে তুলতে চায়।

সিআইএ আমেরিকার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এটি পৃথিবীর সেরা একটি গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে পরিচিত। গোটা দুনিয়ার তথ্য সবসময় তাদের কাছে আপডেট থাকে। এটির মাধ্যমে মুসলিম বিশ^ এক ধরনের জালে বন্দি হয়ে আছে। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পরিবারটির নাম হলো রথচাইল্ড। পরিবারটির নাম শুনলে অভিজ্ঞমহলের সবাই চমকে উঠেন। কারণ, এই পরিবারটিই বিশে^র সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ইহুদি পরিবার। বিশে^র অর্ধেক সম্পদের মালিক তারাই। বিশে^র সকল অর্থনীতি এ পরিবারটিই পরিচালনা করে থাকে। রথচাইল্ডের মতো আরেকটি শক্তিশালী ফাউন্ডেশনের নাম হলো ‘রকফেলার ফাউন্ডেশন’। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন জন ডেভিসন রকফেলার। তিনি একজন আমেরিকান ইহুদি। তিনিই প্রথম কোনো আমেরিকান যিনি সর্বপ্রথম আমেরিকাতে ১ বিলিয়ন ডলারের মালিকানা লাভ করেন। তিনি ১৮৭০ সালে এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান হলেও মানব বিধ্বংসী কাজে এটি নিয়োজিত। সিআইএ, রথচাইল্ড এবং রকফেলার ফাউন্ডেশনের মতো অসংখ্য সংঘ গোটা দুনিয়াকে জালের মতো আটকে রেখেছে। এরা সারা দুনিয়ায় নিয়মের নামে অনিয়মের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ সমস্ত সংঘ মূলত ‘লুসিফারিজম’ মতাদর্শে বিশ^াসী। লুসিফারিজম একটি পথভ্রষ্ট শয়তানী মতাদর্শ। যুগ অনেক আধুনিক হয়েছে। শয়তানও আর সেকেলে নেই। শয়তানও অনেক মডার্ন হয়েছে। শয়তান আধুনিক বিভিন্ন চটকদার কথা ও কর্ম নিয়ে হাজির হচ্ছে, যেগুলোকে ‘শ্যাটানিক স্পিচ ও শ্যাটানিক ওয়ার্ক’ নামে নতুনভাবে সংযোজিত হয়েছে। এ মতাদর্শের দর্শনই হলো উল্টো নীতি। এটি শয়তানের আধুনিক এক মস্তবড়ো হাতিয়ার। এটির মাধ্যমে শয়তান মানুষকে সবকিছু উল্টোভাবে প্রদর্শন করে। এক্ষেত্রে শয়তানের কিছু জনপ্রিয় ডায়লগ আছে, যা আধুনিক উদভ্রান্ত তরুণ-তরুণীর কাছে মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। যেমন- ‘আপ সাইট ডাউন, ইনসাইড আউট, ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট, ব্যাড ইজ গুড, গুড ইজ ব্যাড, জান্নাত ইজ জাহান্নাম, জাহান্নাম ইজ জান্নাত’ ইত্যাদি হলো এ মতাদর্শের ডায়লগ। এসব ডায়লগ দ্বারা শয়তান মূলত সব জিনিসিকে উল্টো করে বুঝাতে চায়। শয়তান বুঝাতে চায় যে, যা উপরে তাই নিচে, যা নিচে তাই উপরে, যা ভালো তাই খারাপ, যেটা সাদা সেটাই কালো, যেটা জাহান্নাম সেটাই জান্নাত ইত্যাদি। অর্থাৎ তুমি ভালো করো বা মন্দ করো তাতে কোনো সমস্যা নেই। এসব ডায়লগের মাধ্যমে মূলত তারা আল্লাহর সকল নীতিকে উল্টে দিতে চায়। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মকে তারা অস্বাভাবিক করে তোলে। সবকিছুকে তারা উল্টো করে প্রচার করতে চায়। এ প্রচারে তারা বেশ সফল হয়েছে। বাংলাদেশেও এ মতাদর্শ বেশ মাথচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ ডায়লগের সত্যায়ন হিসেবে ঢাকার লালমাটিয়ার একটি রেস্টুরেন্টের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। রেস্টুরেন্টটির নাম হয়েছে, ‘আপ সাইড ডাউন’। অবশ্য এসব নামকরণে কোনো সমস্যা নেই। হোটেলটির ভেতরে কিছু ক্যালিগ্রাফি চোখে পড়ার মতো। সেখানে অসংখ্য চোখের সমাহার লটকানো। রেস্টুরেন্টের নাম দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এটি উল্টো করে প্রচার করা হয়েছে এবং তারা লুসিফারিজমের সদস্য। সুতরাং বলা যায় যে, লুসিফারিজম হলো শয়তানি একটি মতাবাদ বা ‘শ্যাটানিজম’। এ মতবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই এক একজন শয়তানের পূজারি।

এ মতাদর্শের দর্শন হলো, নারী ও পুরুষ একই এবং সমকামিতা (হোমোসেক্সুয়ালিটি) স্বাভাবিক। তারা নিত্যনতুন ট্রেন্ড ও চিন্তাপ্রণালী সৃষ্টি করে তরুণ-তরুণীদের প্রমোট করছে। নতুন নতুন মতাদর্শ ও মতবাদ তৈরি করে মানুষকে পথভ্রষ্ট করছে। মিউজিক, সিনেমা, পাঠ্যবই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি হচ্ছে তাদের মাইন্ড কন্ট্রোলের অস্ত্র। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তাদের লক্ষ্য জনসংখ্যা কমানো, গভর্নমেন্ট পাওয়ার বাড়ানো এবং মানুষের মাইন্ড কন্ট্রোল (বিবেক নিয়ন্ত্রণ) করা। রকেফেলার ফাউন্ডেশন একটি দাতব্য সংস্থা হলেও তারা মানব বিধ্বংসী নানা কাজে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে জন্ম নিয়ন্ত্রণ, এবোরশন, সমকামিতার প্রসার এবং বিবাহ ও পরিবার বিলুপ্তকরণ। লিঙ্গের পার্থক্য বিলোপ ও সমঅধিকারের বুলি আওড়িয়ে নারী ও পুরুষের ব্যাপক মিশ্রণ তাদের মূল উদ্দেশ্য। মা-বাবাদের ঘরের বাইরে এনে কর্পোরেশনের ওয়ার্কফোর্স তৈরি করা তাদের অন্যতম লক্ষ্য। বাবা-মাকে ঘরের বাইরে এনে বাচ্চাদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াও তাদের লক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত। বাবা-মায়ের আদর, ¯েœহ ও ভালোবাসা থেকে তারা শিশুদের বঞ্চিত করে। পারিবারিক শিক্ষার পরিবর্তে শিশুদের শুধু স্কুল শিক্ষার উপরই নির্ভর করে তোলে। শিক্ষা-কারিকুলাম যেহেতু তাদেরই হাতে তাই তাদের মতো করেই সিলেবাস প্রণীত হয়। স্কুলগামী এসব কোমলমতি শিশু তাদের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। তাদের ধাচেই গড়ে ওঠে এসব ছেলেমেয়েরা। মানুষ না হয়ে তারা বড়ো হয়ে ওঠে দয়ামায়াহীন এক নির্জিব জড়পদার্থ হিসেবে। বিশেষ করে, মুসলিম বিশ্বে এ মতবাদ অতি জোরেশোরে প্রসার লাভ করছে। পরিশেষে বলা যায়, এটি পুরাতন একটি শ্যাটানিজম (শয়তানী মতবাদ) যা নতুন রূপে ও নতুন নামে হাজির হয়েছে।

লেখক: অধ্যাপক, দা‘ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল