ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ, অজিত দোভালের গোপন সফর : চীন, আমেরিকা ও ভারতের ত্রিমুখী লড়াই

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম

আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমার। আগে নাম ছিল বার্মা। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই দেশটিকে বলতাম ব্রহ্মদেশ। তখন দেশটির রাজধানী ছিল রেঙ্গুন। যখন আমরা যুবক ছিলাম তখন রেঙ্গুন নামটি যুব সমাজের কাছে অত্যন্ত পরিচিত ছিল। তখন ভারতের বাংলা এবং হিন্দি ছবি এদেশে চলতো। একটি হিন্দি ছবির গান ছিলো, ‘মেরা পিয়া গিয়া হ্যায় রেঙ্গুন/কিয়া হ্যায় ওঁহাসে টেলিফোন...’। ভারত ভাগের পর কারণ যাই হোক, বার্মা দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় তেমন প্রাসঙ্গিক ছিল না। তখন শুধু ভারত-পাকিস্তানের নামই বেশি শোনা যেত। আরেকটি দেশের নাম খুব বেশি পরিচিত ছিল। সেটি হলো, সিলন। সাধু ভাষায় বলা হতো সিংহল। এখন সেই দেশটির নাম শ্রীলঙ্কা। সিলন পরিচিত ছিল এই কারণে যে, তখন বাংলাদেশের যত ঘরে রেডিও ছিল প্রতিটি ঘরে রেডিওতে বাজতো একটি ব্যান্ড। সেটি হলো রেডিও সিলন। রেডিও সিলন বলতে গেলে ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকতো। আর এই চ্যানেলে প্রায় সব সময়ই হিন্দি গান শোনা যেত।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জাপান এবং জার্মানি মিত্র ছিল। জাপান রেঙ্গুনে বোমা ফেলেছিল। তখন রেঙ্গুনে অবিভক্ত ভারতের তথা অবিভক্ত বাংলার অনেক লোক কাজ করত। অনেকে সেখানে ব্যবসা করত। যারা কিছুটা প্রবীণ তারা বার্মাটিকের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। পাকিস্তান হওয়ার পর বার্মাটিকের স্থান আংশিকভাবে দখল করে সেগুন কাঠ। কিন্তু তারপরেও সম্পূর্ণ দখল করতে পারেনি। আজ বার্মাটিক বাজারে অত খোলামেলা পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও অনেক দাম। এছাড়া ১৯৪৮ সালে বার্মা ব্রিটিশদের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কোনো স্থান করে নিতে পারেনি। একারণে বার্মার কথা বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা তেমন জানে না। তবে ইদানিং সেই বার্মা তথা মিয়ানমার বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাছে একজন ভিলেন। এর কারণ হলো পর্যায়ক্রমে তারা মোট ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশের জন্মের পর আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সম্পূর্ণভাবে ইন্দো সেন্ট্রিক বা ভারতকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আমলে ভারত ছাড়া আর কোনো দেশের সাথে যে সম্পর্ক হতে পারে সেটি মানুষকে ভাবার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। সার্ক গঠন করার পর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ হলেও অজানা কারণে বার্মা তথা মিয়ানমারকে সার্কের সদস্য করা হয়নি। এখন, বিশেষ করে বার্মার প্রচন্ড গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটি অকস্মাৎ বাংলাদেশ এবং ভারতের কাছে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অথচ, এই দেশটির সাথে শুরু থেকেই আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হয়ে ওঠা উচিত ছিল। বার্মার আয়তন ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৮১ বর্গমাইল। অর্থাৎ, বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বড়। কিন্তু জনসংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ২ লক্ষ ৮০ হাজার। বাংলাদেশের তিন দিকে স্থল সীমান্ত। এই স্থলসীমান্তের প্রায় সবটা জুড়ে আছে ভারত। শুধুমাত্র দক্ষিণ পূর্বে মাত্র ১৭০ মাইল হলো বার্মা। বাংলাদেশের লাগোয়া দুইটি প্রদেশ বার্মার। এই দুটি প্রদেশ হলো রাখাইন ও চিন। রাখাইনের আগের নাম হলো আরাকান। বাংলাদেশের প্রবীণদের কাছে এই প্রদেশটি আরাকান নামেই পরিচিত বেশি।

এই মুহূর্তে সমগ্র মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের আগুন জ¦লে উঠেছে। আমরা সেই গৃহযুদ্ধকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকতে পারতাম। কিন্তু দুইটি প্রদেশ বিশেষ করে আরাকান আমাদের চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অভিন্ন সীমান্ত বলে এই গৃহযুদ্ধের আগুন না হলেও আগুনের তাপ আমাদের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে এসে পড়েছে। ঐধারে রাখাইনে সরকারি বাহিনী অর্থাৎ মিলিটারি জান্তা এবং আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধ হচ্ছে। যুদ্ধের কামান বা মর্টারের গোলা এসে তমব্রুর একটি বাড়ির রান্না ঘরে বিষ্ফোরিত হয়েছে। ফলে ঐ বাড়ির গৃহিনী এবং কাজের লোক একজন রোহিঙ্গা মারা গেছে। এছাড়াও বান্দরবান সীমান্তে আরো ৪/৫টি মর্টার শেল পড়েছে। আমরা এধার থেকে জানি না যে ঐ মর্টার বা কামানের গোলা কি সরকার পক্ষের নাকি আরাকান আর্মির। তবে আমাদের সীমান্ত পারে যে তাদের গোলা এসে পড়েছে এজন্য আমরা অবশ্যই উদ্বিগ্ন এবং তাদের কাছে এর প্রতিবাদ জানানো উচিত। অবশ্য প্রতিবাদ জানানোও হয়েছে।

॥দুই॥
আমার ব্যক্তিগত ক্যালকুলেশন বলে যে মিয়ানমার বা বার্মা আমাদের শত্রু রাষ্ট্র নয়। অনেক আগে থেকেই যদি তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যেত তাহলে হয়তো এখন বাংলাদেশে যেটুকু উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে সেটুকু উত্তেজনাও দেখা যেত না। রোহিঙ্গা সমস্যা যদি না থাকতো তাহলে মিয়ানমার বা বার্মার সাথে আমাদের কোনো সমস্যাই থাকতো না। বরং সমস্যাটা থাকতো এবং এখন আছে, সেটি হলো ভারতের সাথে। ভারতের মিজোরামের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্মী সীমান্তে এবং মনিপুরের কিছুটা অংশ বর্মী সীমান্তে। এছাড়া কুকি এবং মিজো নামক নৃতাত্ত্বিক জাতি বার্মার চিন ও রাখাইনে আছে। ৫০/৬০ এর দশকে চিন এবং রাখাইন থেকে ১ লক্ষেরও বেশি মিজো এবং কুকি মিজোরামে প্রবেশ করে। আর মিজোরামও তাদেরকে ভাই হিসেবে সাদরে বরণ করে। কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত চীন যুদ্ধের পর পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে।

আমরা কথায় কথায় বলি যে বাংলাদেশের ভৌগোলিক, ভূরাজনৈতিক এবং ভূকৌশলগত (জিও স্ট্র্যাটেজিক) গুরুত্ব এই মুহূর্তে বিশ^ এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে অনেক বেড়েছে। কথাটি ঠিক। কিন্তু মিয়ানমারের জিও পলিটিক্যাল এবং জিও স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব তার চেয়েও অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ আপনারাই বুঝতে পারবেন যদি মিয়ানমারের মানচিত্রে একবার চোখ বুলান। দেখবেন এই দেশটি অর্থাৎ এই ব্রহ্মদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইন্টার সেকশনে অর্থাৎ সংযোগ স্থলে অবস্থিত। এজন্য মিয়ানমার একই সাথে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ, দক্ষিণ এশিয়ারও দেশ। মিয়ানমারের সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চল গণচীনের অভিন্ন সীমান্ত সংলগ্ন। এইজন্য গণচীন সেই ষাটের দশক থেকেই মিয়ানমারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই চীন মিয়ানমারকে অন্ধভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে দেশটি স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন পরেই জেনারেল নে উইন বার্মায় সামরিক শাসন জারি করেন। তারপর থেকে এই ৭৬ বছর মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে নির্বাচন করলেও সেনা শাসনের ধারবাহিকতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জারি রয়েছে।

যে গৃহযুদ্ধ রাখাইনেও প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সেখানেও চীনের রয়েছে বিরাট ভূরাজনৈতিক স্বার্থ। আমি আজ উইকিপিডিয়াতে দেখলাম যে, রাখাইনে সামরিক জান্তার শাসন অব্যাহত থাকলে চীনের লাভ। আর যদি এই গৃহযুদ্ধে আরাকান আর্মি জয়লাভ করে তাহলে তাদের আরো লাভ। কোনো অবস্থাতেই তারা আরাকান বা রাখাইনকে হাতছাড়া করতে পারে না। বার্মার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই আরাকানে চীন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেছে। এখানে তারা একটি গভীর সমুদ্র বন্দরও গড়ে তুলছে। বার্মায় তাদের ইন্টারেস্ট এত প্রবল যে অব্যাহত সামরিক শাসন সত্ত্বেও তারা মিয়ানমারকে বেশুমার যুদ্ধাস্ত্র দেয়। সামরিকভাবে তারা বার্মাকে এমন অস্ত্রসজ্জিত করেছে যে ২০২২-২৩ সালের গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ^ সামরিক র‌্যাঙ্কিংয়ে মিয়ানমারের অবস্থান ৩৫ নম্বর। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭ নম্বর। অর্থাৎ সামরিকভাবে মিয়ানমার বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা বেশি শক্তিশালী।

॥তিন॥
এই পটভূমিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে বিবেচনা করতে হবে। এই প্রসঙ্গে আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের জেমস বন্ড বলে পরিচিত নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ১৮ ঘণ্টার জন্য ঢাকায় অতি গোপনীয়তার চাদরে মোড়া সফর করলেন কেন? কেন তার সফরের খবর কাক পক্ষিটিও জানতে পারেনি? ৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি একটি বিশেষ সামরিক বিমানে নিরাপত্তা বিভাগের ৩/৪ জন টপ অফিসারকে সাথে নিয়ে ঢাকায় আসেন। বিমান বন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশের একটি ইংরেজি দৈনিকের একজন রিপোর্টার তাকে চিনতে পারেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তাকে আর সাংবাদিকরা ট্র্যাকে রাখতে পারেননি।

ঢাকায় তিনি কেন এসেছেন, কার সাথে কথা বলেছেন, কি বলেছেন, সে সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে পারতো না, যদি না পরদিন ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’ এ সম্পর্কে একটি খবর বের হতো। ঐ খবরে বলা হয় যে, সন্ধ্যার পর তিনি ৫০ মিনিটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি হাওয়ায় মিলিয়ে যান। পরদিন অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্টার তাকে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করতে দেখেন। এ পর্যন্তই। বাংলাদেশ বা ভারতে অফিসিয়ালি অজিত দোভালের সফর সম্পর্কে কোনো খবর প্রকাশ করা হয়নি। কেন এই ঢাক ঢাক গুড় গুড়?

এর এক দিন পর অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ দিল্লিতে যান। সেখানে তিনি প্রথমে অজিত দোভালের সাথে বৈঠক করেন। এরপর তিনি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয় শংকরের সাথে বৈঠক করেন। নিয়ম অনুযায়ী তার প্রথমে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথেই বৈঠক করার কথা। অজিত দোভাল প্রধানমন্ত্রী এবং তার দুই দিন পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এমন গোপন কি শলা পরামর্শ করলেন?

হাসান মাহমুদ ফেরার সময় কলকাতা হয়ে ঢাকা ফেরেন। তখন তিনি বলেন যে বার্মা সংকট নিয়ে দিল্লির সাথে কথা হয়েছে। বার্মার বর্তমান সংকট এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ঢাকা এবং দিল্লি একসাথে কাজ করবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য শুনে অনেক বোদ্ধা মহলের মুখ বিস্ময়ে বিষ্ফারিত হয়ে যায়। যে ভারত এবং চীন উভয় রাষ্ট্রই নিজেদের বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মিত্র বলে মনে করে, তারা বিগত ১০/১২ বছর ধরে রোহিঙ্গা সমস্যার মতো এত বড় সমস্যায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা বরং বর্মী সামরিক জান্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল।

চীন এখনও বর্মী সামরিক জান্তার সাথেই আছে। অন্যদিকে সারা মিয়ানমারে যে ১০ থেকে ১২টি বিদ্রোহী গ্রুপ সশস্ত্র লড়াই করছে তাদেরকেও আর্মস অ্যামুনিশন দিচ্ছে। অর্থাৎ চীন এখানে বরের ঘরের মাসি আর কনের ঘরের পিসি। যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, চীন সমগ্র বার্মাকে কব্জায় রাখতে চায়। আরাকান আর্মির সাথে চীনের ঘনিষ্ঠতা সামরিক জান্তার চেয়েও বেশি। যদি আরাকান আর্মি রাখাইনের ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে চীন প্রথমে চাইবে আরাকানকে, তারপর চাইবে বাংলাদেশকে তার সম্প্রসারণবাদী ভূমিকার ব্যাক ইয়ার্ড হিসেবে। উইকিপিডিয়ার তথ্য মোতাবেক, আরাকান আর্মির সাথে ভারতের সম্পর্ক ভালো নয়। তারা চায় না যে আরাকান আর্মি এই লড়াইয়ে অন্তত আরাকানে বা রাখাইনে জয়লাভ করুক। চীন যদি আরাকানে শক্তভাবে পা রাখতে পারে তাহলে ভারত আশঙ্কা করে যে মিজোরাম এবং মনিপুরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। সুতরাং পর্দার অন্তরাল থেকে হলেও তারা আরাকান আর্মির পরাজয় চায়।

পক্ষান্তরে আমেরিকাও এখানে ইন্টারেস্ট নিচ্ছে। তারা পারলে আরাকানকে স্বাধীন করবে। বাংলাদেশ এবং আরাকান থেকে তারা চীনকে কন্টেইন করবে, অর্থাৎ মোকাবেলা করবে। বাংলাদেশ এখন মিয়ানমারকে নিয়ে বিশেষ করে আরাকানকে নিয়ে একদিকে চীন-ভারত, অন্যদিকে আমেরিকা-চীনের দ্বিমুখী বা ত্রিমুখী কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। এটি কোনো অবস্থাতেই হওয়া উচিত নয়। এই লড়াইয়ে জড়িয়ে নেওয়ার জন্যই অজিত দোভাল মিলিটারি প্লেনে করে সংগোপনে ঢাকায় এসেছিলেন। বার্মার গৃহযুদ্ধ নিয়ে চীন-ভারত এবং চীন-আমেরিকার কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক লড়াই কোথায় গিয়ে পৌঁছে, সেটি দেখার জন্য আরো কিছু কাল অপেক্ষা করতে হবে।

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।