ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

মার্কিন নির্ভরতা নয় : গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিজ পায়ের ওপর দাঁড়াতে হবে বিএনপিকে

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ এএম

এবার বিএনপিকে খুব কৌশলী মনে হলো। আমেরিকা থেকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এসেছে। ঢাকায় নেমেই দলটি কিছুক্ষণ পর হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপির সাথে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে। বৈঠকে মার্কিন পক্ষে ছিলেন মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং মার্কিন পররাষ্ট্রদফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার। বিএনপির পক্ষে ছিলেন সদ্য কারামুক্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্ট্যান্ডিং কমিটির সিনিয়র মেম্বার সদ্য কারামুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং শামা ওবায়েদ। স্বাভাবিক নিয়মেই মিটিং শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নেতাদের ছেঁকে ধরেন। মিটিং শেষে মার্কিন প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের অ্যাভয়েড করে। তখন সাংবাদিকরা হাতের কাছে আমীর খসরু মাহমুদকে পান। সাংবাদিকদের কাছে এই বৈঠকের খবরটি অত্যন্ত আগ্রহের বিষয় ছিল। কারণ, ইলেকশনের আগে গত ২৮ অক্টোবর এবং তারপর বাংলাদেশে আর কোনো মার্কিন প্রতিনিধি দল আসেনি। ইলেকশন হয়ে গেল। তারপর ১ মাস ১৫ দিনেরও বেশি হয়ে গেল আমেরিকার তরফ থেকে কোনো সিনিয়র কর্মকর্তা ঢাকায় আসেননি। অথবা ঢাকা থেকেও কোনো সিনিয়র কর্মকর্তা আমেরিকা যাননি। ফলে প্রায় ৬ মাস যে গ্যাপ পড়ে গেল এরমধ্যে নির্বাচনের পূর্বাপর ঘটনাবলী নিয়ে বাংলাদেশের শুধু সাংবাদিকরাই নন, বিভিন্ন মহলে দারুণ ঔৎসুক্য ছিল। এই পটভূমিতে সাংবাদিকরা যখন আমীর খসরুকে প্রশ্ন করেন, তখন বিএনপির এই নেতা জবাব দেন, তারা আমাদেরকে ইনভাইট করেছেন, আমরা এসেছি, কথাবার্তা বলেছি। শুধু এতটুকু বলতে পারবো। এর বেশি কিছু বলার নাই। কী কথাবার্তা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কিছু বলতে চেয়েছিলাম। বলেছি এবং কথা হয়েছে। তারা দাওয়াত করেছেন, আমরা এসেছি। দ্যাটস অল।

আপনারা কী বলেছেন? প্রশ্ন করা হলে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, কিছু বলার নাই। প্রশ্ন করা হয়, সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচন সম্পর্কে কোনো কথা হয়েছে কিনা, তখন বিএনপির এই নেতা আবার বলেন, কিছু বলার নাই। আবার জিজ্ঞেস করা হয় যে মির্জা ফখরুল কারাগারে ছিলেন, আপনিও কারাগারে ছিলেন, এবিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা? তিনি উত্তর দেন, একটিই উত্তর হবে। সেটা হলো নো কমেন্ট। আপনারা যত প্রশ্ন করবেন তার প্রত্যেকটির একটিই উত্তর, নো কমেন্ট। আমাদের কিছু বলার নাই।

এই বৈঠকে মাইকেল শিফার এবং আফরিন আক্তার ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। পরে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক বন্ধন শক্তিশালী করার উপায়, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে উভয়ের স্বার্থ উন্নয়নে পারস্পারিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা নিয়ে আলোচনা করে। জানা গেছে যে, এই সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের তরুণ অধিকার কর্মী, সুশীল সমাজের নেতা, শ্রম সংগঠন এবং মুক্ত গণমাধ্যমের বিকাশে যুক্ত ব্যক্তিদের সাথেও কথা বলবে।

বিএনপির সাথে বৈঠকে আর কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে অন্যান্য পত্রপত্রিকায় তেমন কোনো খবর পাওয়া না গেলেও দৈনিক সমকাল যে রিপোর্ট করেছে তাতে বলা হয়েছে যে, এই বৈঠকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পূর্বাপর রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি ফাইলও বিএনপি নেতারা মার্কিন প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, যে ফাইল বিএনপি হস্তান্তর করেছে সেখানে আছে একতরফা নির্বাচনে জনগণের ভোট বর্জন, ক্ষমতাসীন নেতাদের ‘ডামি স্বতন্ত্র প্রার্থী’ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার, নানা অনিয়ম ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কারাগারে বিরোধী হাজার হাজার সদস্যের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। রিপোর্ট মোতাবেক, প্রতিনিধি দলটি নাকি ইলেকশনের আগের খবর এবং ইলেকশনের অব্যবহিত পরের খবর জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে বিএনপি বলেছে, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের প্রকৃত ঘটনা, গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু, ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলির মধ্যে আসন ভাগ-বাটোয়ারা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে একতরফা ছিল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যে ভোট বর্জন করেছে ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে। বিএনপি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে যে, এই সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল নয়।

॥দুই॥
কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট যে চিঠি লিখেছেন, সে প্রসঙ্গটিও আলোচনায় উঠে আসে। মার্কিন প্রতিনিধিদল জানান যে, এটি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চলমান কার্যকলাপেরই অংশ। সমকালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘এর মানে এই নয় যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়েছে।’ বিএনপির তরফ থেকে জানানো হয় যে, ইলেকশনের আগে তাদের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করা হয়। এখনও জেলখানায় অন্তত ৮ হাজার নেতাকর্মী আটক আছে। তাদের কোনো সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় কাজে ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ। ইলেকশনে ৫ শতাংশ ভোটারও ভোট দিতে যায়নি। বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। কিন্তু সেখানেও বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি বিএনপি সারাদেশে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও বাধা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার আব্দুল মঈন খানকে সাময়িকভাবে আটক করা হয় এবং আটককালে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এসব বিষয় ছাড়াও ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, দেশে ফেরার আগে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিএনপির সাথে আরেক দফা বৈঠকে বসতে পারে।

আমরা শুরুতেই বলেছি যে, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সাথে এবারকার বৈঠকে বিএনপিকে খুব কুশলী মনে হয়েছে। আরো লক্ষ করার বিষয় হলো এই যে, আলোচ্য মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আগমনের ঠিক সপ্তাহখানিক পূর্বে ফখরুল ও আমীর খসরুসহ বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ঢাকায় এসে যদি মার্কিন প্রতিনিধি দল দেখেন যে, বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপির সাথে আলোচনা করার জন্য কেউ বাইরে নাই, সব জেলখানার অন্দরে, তাহলে দলটি সরকারের নির্বাচনত্তোর কার্যকলাপ সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা নিয়ে ফিরে যাবে।

আমেরিকার এই প্রতিনিধি দলের ঢাকা আগমন এবং এখানে-ওখানে আলাপ-আলোচনাকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল অর্থহীন এবং নিষ্ফল বলে মনে করেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভিসানীতি ঘোষণার পরবর্তী ৬ মাস আমেরিকা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অফিসার উড়ে আসেন। আবার এখান থেকেও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উড়ে যান সেখানে। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অন্যকোনো দেশের হস্তক্ষেপ কখনো কাম্য নয়। কিন্তু বাংলাদেশ তখন কঠোর কর্তৃত্ববাদের অধীনে চলে গেছে। এই সময় কোনো পরাশক্তি যদি গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের ললিত বাণী নিয়ে বার বার ছুটে আসে তখন সেই দেশের মজলুম মানুষের মনে কিছুটা আশাবাদ জাগ্রত হয় বৈকি! বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল।

॥তিন॥
কিন্তু ঐ যে কথায় বলে, বৃক্ষ তোমার নাম কী? ফলে পরিচয়। আমেরিকার ক্ষেত্রেও সেটিই ঘটলো। থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়। সপ্তকাণ্ড রামায়ন পড়ে অবশেষে সীতা হয়ে গেলেন রামের মাসি। এজন্য আমরা আমেরিকাকে দায়ী করবো কেন? ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি। তারপরেও তো ইলেকশন হয়ে গেল। বিএনপিসহ বিরোধী দলের কেউ কোথাও কিছুই ঠেকাতে পারেনি। বলা হয় যে, ২৭ হাজার নেতাকর্মী জেলে ছিলেন। কে ঠেকাবে? কিন্তু প্রশ্ন হলো, ২৮ অক্টোবর বিএনপি ১০ লক্ষ লোকের মিটিং করলো। তারা কি আশা করেছিল যে, এই ১০ লক্ষ লোকের মাঝে বিএনপি আরো কঠোর প্রোগ্রাম দেবে এবং তারপর সরকার পড়ে যাবে। ক্ষমতার রাজনীতি কি ছেলের হাতের মোয়া? ২৮ অক্টোবর বিএনপির কোনো ‘প্ল্যান-বি’ ছিল না কেন? সরকারের হামলা হবে, এটি বাইরের যে কোনো সচেতন লোক বুঝতে পারছিলেন। কিন্তু বিএনপি বুঝতে পারেনি কেন?

ঐদিন বিএনপির সামনে মাত্র দুটি অপশন খোলা ছিল। একটি হলো ১০ লক্ষ লোককে নিয়ে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে হামলার মোকাবেলা করা। অথবা পরবর্তী আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের জন্য ঐদিন পুলিশী হামলার সাথে সাথেই ট্যাক্টিক্যাল রিট্রিট বা কৌশলগত পশ্চাদপসারণ। যদি ট্যাক্টিক্যালি রিট্রিট করার প্রোগ্রামই ছিল তাহলে সেই রাত থেকেই ইলেকশন পর্যন্ত ২৭ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হলো কেন? আর যদি শান্তিপূর্ণ মোকাবেলার সিদ্ধান্ত ছিল তাহলে সেটি হলো না কেন? নিরস্ত্র কিন্তু লক্ষ লক্ষ শান্তিপূর্ণ জনতার বিরুদ্ধে পুলিশের বন্দুকের নল থেকে গুলি বের হতো না। জেনারেল এরশাদের শেষ সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনতার বিরুদ্ধে গুলি চালাতে অস্বীকার করেছিল। তুরষ্কে এরদোগানের সমর্থক লক্ষ লক্ষ জনতার দিকে প্রথমে বন্দুকের নল তাক করলেও পরে জনতার মনের আকাক্সক্ষা বুঝতে পেরে সেনাবাহিনীর বন্দুকের নল ঘুরে গিয়েছিল।

আসলে বিষয়টি হলো নেতাকর্মী এবং জনগণের ওপর নেতৃত্বের কমান্ড কতখানি এফেকটিভ এবং স্ট্রং। আরেকটি বিষয়, আমেরিকা বলেছে, নির্বাচন ফ্রি এবং ফেয়ার হতে হবে। তারা তো বলেনি যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়, অথবা কোনো কেয়ারটেকার সরকার নয়।
কথায় বলে, বিনা যুদ্ধে নাহি দেবো সূচাগ্র মেদিনী। বিএনপি তো বলেছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ছাড়া তারা ঘরে ফিরবে না। পাকিস্তানে ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জুলফিকার আলী ভুট্টো জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী দল বলেছিল, কারচুপি হয়েছিল। তারপর তারা দুর্বার আন্দোলন করে। আন্দোলন খাইবার থেকে চমন পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। ভুট্টোর পতন হয়। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচন হয়। কিন্তু সেই নির্বাচন দেড় মাস পর্যন্ত টিকানো সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত মেয়াদের ৩ মাস আগে বিএনপিকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।

জানি, অনেকে ইন্ডিয়া ফ্যাক্টর আনবেন। কিন্তু দেশের জনগণ ক্ষিপ্ত না হলে বিদেশ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। লেন্দুপ দর্জি পার্লামেন্টের মাধ্যমে ভারতীয় বাহিনীকে হস্তক্ষেপ করতে বলেছিলেন। তাই ভারতীয় বাহিনী এসে সিকিম গ্রাস করে। প্রশ্ন হলো, জনগণের ওপর আপনার কমান্ড কতখানি? আমি তো বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশেষ করে ১৯৭৬ থেকে ২০২৪- এই ৪৭ বছরে রাজপথে বিএনপিকে একবারও আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে দেখিনি। তারা অতীতে করেছে এবং বর্তমানেও লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ করতে পেরেছে। এসব সমাবেশ দিয়ে নির্বাচনে জেতা যায়। কিন্তু রাজপথের রাজনৈতিক লড়াইয়ে জেতা যায় না। আর যারাই রাজপথের রাজনৈতিক লড়াইয়ে জয়লাভ করে তারা নির্বাচনেও জয়লাভ করে।

আমি বলছি না রাজপথে আওয়ামী লীগের সাথে মারামারি করতে হবে। কিন্তু রাজপথে জনতার কথাবার্তা এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজে থাকতে হবে স্ফুলিঙ্গ। তাহলেই একদলীয় সরকারের পতন হতে পারে। তার আগে নয়। আর আমেরিকার ওপর তো মোটেই ভরসা করা যাবে না। তারা যদি গণতন্ত্রই চাইবে তাহলে পাকিস্তানে নির্বাচনের আগে এবং পরে ইমরান খান, তার পরিবার এবং তার দলের ওপর যা ঘটে গেল, সেটি চেঙ্গিস খান এবং হালাকু খানের জুলুমকে হার মানায়। কোথায় গেল আমেরিকার গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারপ্রীতি?

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়

মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ

মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ

বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই

বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে

তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে

বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন

বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন

এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার

এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের

লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের

সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক

সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক

ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!

ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!

যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড