ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

বিকৃতাচার ঘৃণ্য এবং পরিত্যাজ্য

Daily Inqilab ফেরদৌসী মমতাজ বেগম

০২ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪, ১২:০২ এএম

হযরত আদম (আ.) এর অনেক পরে লুত (আ.) আল্লাহর মনোনীত নবী হিসেবে পৃথিবীতে আল্লাহর বাণী প্রচার করতে আসেন। তার সময়েই নারী-পুরুষের পবিত্র বিয়ে বন্ধনের স্বাভাবিক প্রথা বাদ দিয়ে পুরুষ ও পুরুষ একত্রে থাকার ঘৃণ্য নজির সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে আল কুরআনের বহু সুরায় বর্ণনা করা হয়েছে। সুরা আরাফের আয়াত ৮০-৮৪, সুরা হুদের ৭৭-৮২, সুরা হিজরের ৫৯-৭৭, সুরা আম্বিয়ার ৭৪-৭৫, আশ শুয়ারার ১৬০-১৭৩, আন নামলের ৫৪-৫৮, সুরা আনকাবুতের ২৮-৩০, ৩৩ -৩৪, আস সাফফাতের ১৩৩-১৩৮, জারিয়াতের ৩২-৩৫, আল কামারের ৩৩-৩৮, এবং সুরা তাহরিমের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা এ কুকর্মের বিষয়ে আমাদেরকে তার আদেশ নিষেধ এবং শাস্তি সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন। সুরা আশ শুয়ারার ১৬৯ নম্বর আয়াতে বর্ণিত আছে যে, লুত (আ.) তাঁর কওমের গর্হিত কাজ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছেন এভাবে, ‘হে আমার রব, তারা যা করছে তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে তুমি রক্ষা কর।’

আল কুরআনের এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো থেকে আমরা জানতে পারি, লুত (আ.) এর সম্প্রদায়ের সীমালঙ্ঘনকারীরা তাদের মজলিসেও ঘৃণ্য কাজ করত। নবী তাদের এই গর্হিত অপরাধের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতেন, এ থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিতেন। তিনি তাদের বলতেন, আল্লাহকে ভয় করে চলতে এবং নবীর আনুগত্য করতে। তারা লুত (আ.) ও তার দলকে নির্বাসনে পাঠানোর হুমকি দিত। ফিরিশতারা একদিন অতিথির বেশে নবীর কাছে আসেন। শহরের লোকজন অতিথি দেখে উল্লাস করতে করতে লুত (আ.) এর কাছে ছুটে আসে। সম্প্রদায়ের লোকজন যেন তাদের অসম্মান না করে নবী সেই কথা তাদের বলেন। কিন্তু তারা নিবৃত্ত না হওয়ায় আল্লাহতায়ালা তাদের দৃষ্টিশক্তি লোপ করে দেন। অপরাধীদের প্রতি আল্লাহতায়ালার শাস্তি অবধারিত হওয়ার বিষয়টি ফেরেশতারা লুত (আ.)কে অবগত করেন। রাতের কোনো এক সময় তাঁর স্ত্রী ছাড়া পরিবার এবং নিজ দলের লোকজন নিয়ে ওই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ নবীকে জানিয়ে দেওয়া হয়। পিছনে ফিরে কেউ যেন না তাকায় সে বিষয়টিও ফেরেশতারা তাঁকে জানিয়ে দেন। ভোর হলে বিকট শব্দ এসে সীমালংঘনকারীদের গ্রাস করে। জনপদটিকে আল্লাহতায়ালা উল্টিয়ে দেন এবং পাথর বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে তাদের ধ্বংস করেন। লুত (আ.) এর স্ত্রী সম্পর্কে বলা হয়েছে, সে ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারীদের একজন। লুত (আ.) এর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার জন্য তাকে জাহান্নামে পাঠানোর কথা সুরা তাহরিমে বলা হয়েছে।

এটাতো হলো এক ধরনের বিকারগ্রস্ততা, আরেক ধরনের বিকারগ্রস্ততা আমরা দেখতে পাই যেটার সূচনা হয়েছে পাশ্চাত্যের কিছু দেশে। ওইসব দেশে কোনো কোনো পুরুষ নিজেকে নারী কল্পনা করে এবং নিজেকে নারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। এমনকি অপারেশন করে ‘নারীতে’ রূপান্তরিত হবার চেষ্টাও করে। যেহেতু তারা জন্মগতভাবে নারী নয় বরং মনে মনে অনুভব করা ‘নারী’, তাই তারা নিজেদের পরিচয় দেয় ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী হিসেবে। একইভাবে নারীদের মধ্যেও অনেকে মনে মনে নিজেকে পুরুষ কল্পনা করে পুরুষে রূপান্তরিত হয়।

যদিও এসব অপারেশনের ফলাফল হলো বিকৃত শরীর নিয়ে বেঁচে থাকা তবুও কিছু মানুষ কোনো এক অজানা মোহে বিপদজনক এই পথ বেছে নিচ্ছে, অনেকটা মাদকাসক্ত উন্মাদের মতো। ব্যক্তি বিশেষের এই খেয়ালি আচরণ ইদানিং বাংলাদেশের সমাজেও প্রবেশ করেছে। যদিও বাংলাদেশের সমাজে এ ধরনের বিকৃতির কোনো গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় তারা তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া পরিচয়ের আড়ালে প্রবেশের চেষ্টা করছে, যা সুস্পষ্ট প্রতারণা। কারণ, হিজড়া শ্রেণির লোকজন শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, যেটা মনে মনে ভাবা নিছক কোনো কল্পনা নয় বরং বাস্তবতা। তাদের নাগরিক অধিকার রক্ষার্থে সরকারিভাবে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হিজড়াদের প্রতি আমাদের অবশ্যই সহানুভূতিশীল হতে হবে। কিন্তু যারা স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে অপারেশনের মাধ্যমে নিজের স্বাভাবিক রূপ বিকৃত করে তারা কীভাবে হিজড়াদের জন্য রাষ্ট্রপ্রদত্ত পরিচিতি ও সামাজিক সহযোগিতা দাবি করে? অন্যদিকে খুবই বিরল ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে সুস্থ একজন মানুষ যদি কোনো কারণে নিজেকে ‘ভুল লিঙ্গে আটকে থাকা’ ভাবা শুরু করে, তবে তার এ ভাবনা মানসিক বৈকল্য ছাড়া কিছুই নয়। তাই সঠিক মনোচিকিৎসার পথেই এর সমাধান করা প্রয়োজন। অথচ, তা বাদ দিয়ে মানসিক বৈকল্যকে স্বাভাবিক হিসেবে পরিচিত করার সমাজ বিধ্বংসী অপচেষ্টায় লিপ্ত দেশি-বিদেশি অশুভ শক্তি।

ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই বিকৃতাচারের কারণে তাদের পরিবার প্রথা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্মহার এতই নি¤œগামী যে, বিভিন্ন দেশে সরকার কর্তৃক প্রণোদনা ঘোষণার পরেও জন্মহার বৃদ্ধি বা পারিবারিক স্থিতিশীলতায় কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের দেশে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওইসব দেশ থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে আমাদের পারিবারিক জীবন প্রণালি ধ্বংস করার আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছে। নারীকে পুরুষে এবং পুরুষকে নারীতে রূপান্তরের জন্য অস্ত্রপচারের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। যে পুরুষ নিজেকে বিকৃত করে নারীতে রূপান্তরিত হয়, সে কি সন্তান ধারণে সক্ষম? সন্তান ধারণে সক্ষম না হলে নারী হয় কীভাবে? রূপান্তরিত পুরুষ সম্পর্কে একই কথা প্রযোজ্য। নারীর সাথে নারীর এবং পুরুষের সাথে পুরুষের ঘৃণ্য জীবন কাটানোর এক গর্হিত কর্মকা-ের নমুনা হলো ট্রান্সজেন্ডার। এটা বিভীষিকাময় পরিম-ল তৈরির নির্লজ্জ পাঁয়তারা, আল্লাহর বিধানের বরখেলাপ।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুরা ফাতিরের ৪৩ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘...অতএব, তুমি আল্লাহর বিধানে কোনো পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর রীতিনীতিতে কোনো রকম বিচ্যুতিও পাবে না।’ এ প্রসঙ্গে বুখারী শরীফের কয়েকটি হাদিস হলো: হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী হযরত মুহম্মাদ (সা.) পুরুষের বেশধারী নারীর এবং নারীর বেশধারী পুরুষদের লানত দিয়েছেন। ছোটখাটো পরিবর্তন আনতেও রাসূল (সা.) নিষেধ করেছেন। হযরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, যে নারী পরচুলা লাগানোর কাজ করে, যে নিজে লাগায় আর যে নারী অপরের অঙ্গে উল্কি আঁকে এবং যে স্বীয় অঙ্গে তা আঁকায় এদের সকলের উপর রাসূল (সা.) অভিসম্পাত করেছেন। সুতরাং, বিকৃত জীবন যাপন, লিঙ্গ পরিবর্তন ইসলামী শরীয়তে হারাম।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এ দেশে মুসলিম নামধারীদের মধ্য থেকেই ট্রান্সজেন্ডার বানানো হয়েছে। বিকারগ্রস্তদের চিহ্ন রংধনুর ব্যাপ্তি বা প্রসার ঘটানো হয়েছে। দম বন্ধ হওয়া সমাজ ব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে। আল্লাহ তায়ালার পরম এক নিয়ামত হলো মানুষের মাতৃত্ববোধ ও পিতৃত্ববোধ। বিকৃতাচারের বিস্তার ঘটলে এটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে, পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।

যে ডাক্তাররা অন্যের অঙ্গবিকৃতির কুরুচিপূর্ণ অপারেশনের সাথে জড়িত তারা মানুষের অঙ্গহানি বা অঙ্গচ্ছেদের মতন গর্হিত অপরাধে অপরাধী। যেখানে গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রেও ঔষধের মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব হলে অপারেশনে কেউ আগ্রহ দেখায় না, সেখানে আল্লাহ প্রদত্ত অঙ্গ অপারেশন করে কীভাবে একজন মানুষ রূপান্তর চাইতে পারে? এটা অনৈতিকতা। এখানে কিশোর-কিশোরীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে বা দরিদ্রদের অর্থ লোভ দেখিয়ে এসব গর্হিত অপরাধ করা হচ্ছে কিনা এটাও একটা যাচাইযোগ্য বিষয়। একজন বাবা-মা তার সন্তানের কখনই এ ধরনের বিকৃতি চাইতে পারেন না।

আল্লাহ তাআলা আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টির সেরা নারী এবং পুরুষ তৈরি করেছেন। সূরা আত ত্বিনের ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা বলেন, ‘আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতম অবয়বে।’ তাই কোরআন হাদিসের আদেশ নিষেধ জানা থাকলে কোনো ধরনের বিকারগ্রস্ততা প্রশ্রয় পাবে না। ভবিষ্যৎ বংশধরদের রক্ষা করা, পারিবারিক সামাজিক শৃঙ্খলা বোধের সুদৃঢ় ভিত্তি তৈরি ও মজবুত করার জন্য আমাদের ন্যায়বোধ দিয়ে পরিচালিত হতে হবে, তাহলে গর্হিত কর্মকা- সমাজে স্থান পাবে না।

লেখক: প্রাবন্ধিক।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে

তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে

বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন

বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন

এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার

এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের

লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের

সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক

সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক

ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!

ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!

যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী