ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

আলোকদূষণের নানা রকম ক্ষতিকর দিক

Daily Inqilab আফতাব চৌধুরী

০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম

এক গবেষণামূলক প্রতিবেদনে প্রকাশ, বিশ্বজনসংখ্যার ৮৩ শতাংশ রাতে আলোকদূষণের মধ্যে থাকে। রাত্রিতে অন্ধকার যদি গোধূলির সময়ের চেয়ে অধিক না-হয় তাহলে নিশাচর প্রাণীরা অসুবিধায় পড়ে কষ্ট পায়। শুধু তাই নয়, মানুষও কষ্ট পায় অনিন্দ্রাসহ বিভিন্ন রোগে, যে রোগগুলো আলোকদূষণের সাথে সম্পৃক্ত। বর্তমানে সব থেকে আলোকজ্জ্বল রাত পাচ্ছে সিঙ্গাপুর, কুয়েত এবং কাতার। এই দেশগুলোর মানুষ রয়েছে তীব্র আলোকদূষণের মধ্যে। রাত্রিকালীন আলোকদূষণ হয় আফ্রিকার দেশ চাঁদ এবং মধ্যআফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ও মাদাগাস্কারে। এক তথ্যে দেখা যায়, বিশ্বজনসংখ্যার ৮৩ শতাংশ স্বাভাবিক তারাভরা রাতের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল আলোর আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। আলো ছাড়া সভ্যতার কথা ভাবাই যায় না। কিন্তু অতিরিক্ত আলোও সবার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। আজকের এই উন্নত তথা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসা বিশ্ব আলোকদূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নানাভাবে। এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা তো দূরের কথা, আমরা আলোক ছাড়া যেন আর কিছু ভাবতেই পারি না। অন্ধকার হলো খারাপের প্রতীক, আর আলো হলো ভালোর প্রতীক। বিজ্ঞান কিন্তু বলছে অন্যরকম কথা। বিজ্ঞান বলছে, আলোর যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমন অন্ধকারেরও দরকার আছে। ¯œায়ুর শৈথিল্য এবং ঘুমের জন্য অন্ধকার অত্যন্ত জরুরি একটা উপাদান। নইলে জৈবিক ঘড়ি তথা বায়েলজিক্যাল ক্লক বিঘিœত হবেই। এর ফলে নানা ধরনের মানসিক ব্যাধির সূত্রপাত হতে পারে যেকোনো ব্যক্তির। শৈশবে আমাদের পাখিদের কিচিরমিচির ডাকে সকালে ঘুম ভাঙত। বিকেলেও পাখির ডাক শুনতে পেতাম। কিন্তু এখন যেভাবে রাস্তার আলো জ্বলে থাকে তাতে পাখিরা মনে হয় দিনরাত বুঝতেই পারে না।

আধুনিক জীবনের সঙ্গে পাল্লা দিতে সবাই ছুটছে আলোর পিছনে। আলোয় ঝলমল করছে সারা শহর। মায়াবী আলোয় চেনা শহরকেও যেন অচেনা লাগে। কিন্তু কে জানত, সেই আলোর আড়ালে লুকিয়ে আছে বিপদের ঘন অন্ধকার। ১৮৭৯ সালে টমাস আলভা এডিসন আবিষ্কৃত ইনক্যানডিসেন্ট বাল্ব প্রথম জ্বলতে শুরু করে নিউইয়র্ক শহরে। সেই থেকেই বৈদ্যুতিক আলোর নতুন অধ্যায়ের শুরু। শহরকে আলোকময় সাজিয়ে তুলতে এখন বিশ্বজুড়ে ইঁদুরদৌড় শুরু হয়েছে। আবাসিক বাড়ি, অফিস ভবন, সেতু, ফ্লাইওভার, রাজপথ, হাইওয়ে, সর্বত্র আলোর বন্যা। হাজার হাজার ওয়াটের আলোয় ঝলসে যাচ্ছে চোখ। মুছে যাচ্ছে রাতে অন্ধকার। আর সেটাই সভ্যতার কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অত্যধিক আলোর ব্যবহার জন্ম দিচ্ছে আলোকদূষণ বা ‘লাইট পলিউশন’-এর।

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ‘আলোকদূষণ’ নিয়ে গবেষণা তো দূরের কথা, কোনো ভাবনা-চিন্তাই শুরু হয়নি। ফলে সবার অজান্তেই আলোকদূষণের শিকার হচ্ছে সাধারণ নাগরিকরা। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরাঞ্চলের মানুষ। তালিকায় রয়েছে মাথাব্যথা, চর্মরোগ, শারীরিক ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ। উবে যাচ্ছে রাতের ঘুম। বাড়ছে মানসিক উদ্বেগ। তৈরি হচ্ছে যৌন অক্ষমতা। দৃষ্টি ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। এক সময় অন্ধকারে খালি চোখেই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে পাওয়া যেত। মহাকাশে নক্ষত্রের বিচরণ, ছায়াপথ সব কিছুই মায়াবী হয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠত। কিন্তু আলোর দাপটে শহুরে জীবন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে রাত। কয়েক বছর আগে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অঙ্গ ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’ (আইএআরসি) মারণরোগটির জন্য যেসব বিষয়কে কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল, তার অন্যতম রাতে ডিউটি। সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাতে যাদের কর্মস্থলে কাটাতে হয়, তাদের মধ্যে স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। অতিরিক্ত আলো মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে হরমোন ক্ষরণের উপর প্রভাব পড়ে। বাস্ততন্ত্রে আঘাত রাতের আলো যে শুধু স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে তা নয়, প্রকৃতির ভারসাম্যও বিনষ্ট করছে। দিনের আলো এবং রাতের আঁধারের সাথে ভারসাম্য গড়ে উঠেছে প্রাণীর প্রাকৃতিক কারণেই। দিনে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, রক্তচাপ বাড়ে, কাজকর্ম ও চলাচল বাড়ে, মেলাটোনিন, থাইরোট্রপিন, প্রোল্যাকটিন ও কটিকোট্রপিন ইত্যাদি হরমোন নিঃসরণ কমে যায়। রাতের শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ কমে যায় এবং মেলাটনিনসহ অন্য কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। দৈনিক এই আবর্তন এবং বাৎসরিক ঋতুচক্রের সাথে আমাদের বন্ধন বায়োলজিক্যালি সেট আপ হয়ে রয়েছে বংশানুক্রমে। এই সেট আপের ছন্দপতন ঘটাচ্ছে তথাকথিত উন্নয়নের তহবিলে গড়ে ওঠা রাতের আলোকসজ্জা। আমরা রাত জেগে আলোর বন্যায় অন্দর মহলে পড়াশোনা, কাজকর্ম করি, কম্পিউটার চালাই, টিভির সামনে কারণে অকারণে বসে থাকি। তখন আমাদের শরীরবৃত্তীয় কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে গড়ে ওঠা অভিযোজন প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

জীবজগতে বেশ কিছু কীটপতঙ্গ এবং অন্য প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যারা পুরোপুরি উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। এমনকি, তাদের বাসস্থান এবং খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে আসে। অনেক উদ্ভিদ আছে যাদের ফুল রাত ফোটে। রাতে অন্ধকারেই কীটপতঙ্গ ফুলে গিয়ে বসে এবং সেখান থেকে তাদের আহার সংগ্রহ করে। খাবারের টানেই এক ফুল থেকে অন্য ফুলে ঘুরে বেড়ায় তারা। এর মাধ্যমে তারা অজান্তেই পরাগ সংযোগ ঘটায়। তা থেকেই যে ওই সব উদ্ভিদের ফল এবং বীজের জন্ম হয় তা সকলেরই জানা। এভাবে অনেক উদ্ভিদের বংশবিস্তারে কীটপতঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় বাধার প্রাচীর গড়ে তুলেছে রাতের কৃত্রিম আলো। তা ছাড়া, কৃত্রিম আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনেক সময় এমন জায়গায় গিয়ে পৌছাচ্ছে যে, নিশাচর সব কীটপতঙ্গ রাতে আস্তানা ছেড়ে বেরোতে ভয় পাচ্ছে। ফলে তারা ফুলে গিয়ে বসতে পারছে না। তার জেরেই এ ধরনের উদ্ভিদের বংশবিস্তার থমকে যাচ্ছে। আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে প্রভাবে উদ্ভিদের স্টমটা বা পত্ররন্ধ্রও সারারাত খোলা থাকছে। ফলে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় রস বাষ্প আকারে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাতে পানির অভাব ঘটছে উদ্ভিদের দেহে। আর সেই কারণেও শহরে গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে, গাছের মেটাবলিজম চূড়ান্ত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে ‘ফোটো পিরিওডিজম’ বা আলোক পর্যায়বৃত্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেখানে একটি উদ্ভিদের ‘লাস্ট পিরিয়ড’ এবং ডার্ক পিরিয়ড’Ñ দুটোর মধ্যে একটা নির্দিষ্ট অনুপাত থাকে, যা উদ্ভিদের ফুল ফোটানো নিয়ন্ত্রণ করে। কুঁড়ি উৎপাদনেও সাহায্য করে। কিন্তু রাতভর ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটছে। জীবজন্তু এবং জলজ প্রাণীর জীবনেও গভীর বিপদ ডেকে আনছে এই কৃত্রিম রাতের আলো।

এটা আজ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সত্যি যে, মানুষের জীবনে সৃষ্টির সময় থেকে প্রকৃতির সাথে যে মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে, তা যদি নড়ে যায়, তাহলে মানবমনেও তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। অন্ধকার আর আলোর সাথে চিরায়ত যে সম্পর্ক শরীরে তৈরি হয়েছে তার যদি ছন্দপতন ঘটে, তাহলে শরীরের বায়োলজিক্যাল কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। মস্তিষ্কের ভিতরের কার্যকলাপ বাইরের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। দেখা দেয় ক্লান্তি, অবসাদ, রক্তচাপ, পরিপাকের এবং ঘুমের সমস্যাসহ অনেক সমস্যা এবং সর্বোপরি অলসতা। আমাদের চোখের রেটিনায় আলো এসে নার্ভের মাধ্যমে হাইপোথ্যালামাস গ্রন্থিতে ঘনীভূত মেলাটনিন হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে। আলোর অনুপস্থিতে মেলাটনিন নিঃসরণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত মেলাটনিনের নিঃসরণে যেমন আমাদের মস্তিষ্কে অবসাদ তথা ডিপ্রেশন তথা নিস্তেজনা সৃষ্টি হয়, বিপরীতে অতিরিক্ত আলো আমাদের ঘুম ব্যাহত করে এবং ম্যানিক সাইকোসিস ও অন্যান্য অনেক উত্তেজিত মানসিক ভারসাম্যহীন রোগও সৃষ্টি করে। দিন-রাতের দৈর্ঘ্যরে তারতম্যের ফলে শীত ও গ্রীষ্মে অবসাদ ও উত্তেজনার রকমফের আজ ক্রনোবায়োলজির বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরীক্ষিত সত্য।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট, বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার স্বর্ণপদক (১ম) প্রাপ্ত


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে

তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে

বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন

বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন

এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার

এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের

লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের

সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক

সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক

ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!

ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!

যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড  ইংল্যান্ড

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী