তাদের শিবির করার জন্য মারা হয়নি, মারা হয়েছে ইসলামী মাহফিল করার জন্য: আসিফ নজরুল
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম
এই মাসে বিশেষ করে গত ১ রমজান থেকে এমন কতগুলো ঘটনা ঘটে চলেছে, যেগুলো বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মুসলমানের মনে তুমুল তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এবং তারও আগের সময়ে এই সর্বপ্রথম ইফতার অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকভাবে বাধা প্রদান। আরো রয়েছে ইসলামী তাফসির মাহফিল থেকে বের হওয়ার পথে তাবলিগের মুসল্লিদের ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্মমভাবে প্রহার। যারাই ইসলামের শ^াশ^ত জীবনবিধানের বয়ান দিচ্ছে তাদের পেছনেই শিবিরের মোহর লাগিয়ে তাদেরকে বেদম প্রহার করা হচ্ছে। শিবির ট্যাগ দিয়ে ধর্মভীরু মুসলমানদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া। আরো অনেক ঘটনা আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ভারতীয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রতিদিন রকেটের গতিতে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এর একটি হলো খেজুর। খেজুরের আকাশচুম্বী মূল্য দেখে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন জনগণের প্রতি নসিহত করেছেন যে, আপনারা খেজুর না খেয়ে বরই খান। আর আপেল না খেয়ে শবরি বা পেয়ারা খান। এই ধরনের সব উদ্ভট কাণ্ড ঘটাচ্ছেন এই মহলটি এবং এমন উদ্ভট কথাবার্তা বলছেন এই সরকারের মন্ত্রীসান্ত্রীরা, যেগুলো আমরা তো বটেই, আমাদের বাপদাদার চৌদ্দপুরুষও দেখেওনি, শোনেওনি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, সেগুলো আমরা শুনছি এবং দেখছি। প্রথমে শুরু করছি ভারতীয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন নিয়ে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার ১২ মার্চ একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে। সেমিনারে ভারতীয় সংগীত দিয়ে শুরু করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শত শত নেটিজেন ভারতীয় সংগীত দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার শুরু করার প্রতিবাদ করেছেন।
ভারতীয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের কথায় পরে আসছি। প্রথম কথা হলো ভারতীয় সৈন্য ঢাকা ছেড়েছে ১৯৭২ সালের ১২ মার্চ। তারপর ৫১ বছর কেটে গেছে। এই ৫১ বছরে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের কোনো দিবস পালিত হয়নি কেন? হঠাৎ করে এই ৫২ বছরে এসে অকস্মাৎ এই দিবসটি ঢাকায় পালিত হলো কেন? কেন দিল্লি এবং কলকাতায় নয়? সেখানে ভারতীয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মতো এমন কি ঘটনা ঘটলো?
এই ধরনের ঘটনা বর্তমানে যত কম ঘটে ততই ভালো। কারণ, পলিটিশিয়ানরা বলছেন, নাগরিক সমাজের সভ্যরা বলছেন, ব্লগাররা বলছেন, বিদেশি কয়েকটি টিভি চ্যানেল থেকে বলা হচ্ছে অনেক কথা। আমি সচেতনভাবে ঐসব কথার ধার দিয়েও অন্তত বিগত ১৬ বছরে যাইনি। বাংলাদেশের একমাত্র কালজয়ী উপন্যাসিক হুমায়ুন আহমেদের একটি নেশা ছিল, দেশের আনাচে কানাচে অবহেলা ও অনাদরে ছড়িয়ে থাকা কিছু গান কুড়িয়ে আনা এবং সেগুলো তার নাটক এবং সিনেমায় ব্যবহার করা। এই করে তিনি অনেক উপেক্ষিত গানকে গণ মানুষের গানে পরিণত করেছেন। এই ধরনের একটি গানের প্রথম লাইন হলো, ‘এই দিন দিন নয়/আরো দিন আছে/এই দিনও নিয়ে যাবে/সেদিনের কাছে’।
এই কথাটি আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত। এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৮ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট থাকা স্কলার আবুল কালাম আজাদ একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ লিখেছেন। নাম ‘ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম’। বইটি লেখার পর তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তার মৃত্যুর ৩০ বছর পর এই বইটি যেন প্রকাশ করা হয়। তার আগে নয়। হয়েছেও তাই। এই বইয়ের ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভার্সন আমার কাছে আছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, মওলানা আজাদ ভারত বিভক্তির পক্ষে ছিলেন না। তিনি চেয়েছিলেন ভারতবর্ষ অখণ্ড থাকুক এবং মুসলমানদের অধিকার সেখানে সংরক্ষিত থাকুক। কিন্তু তখন হিন্দু সমাজ এবং কংগ্রেসের মধ্যে নেহরুর ছিল দোর্দন্ড প্রতাপ। তাই তাদের জীবদ্দশায় এই বই প্রকাশ করা সমীচীন ছিল না। সেখানে তিনি লিখেছেন, পন্ডিত নেহরুর সাথে তার কতগুলো জ¦লন্ত বিষয়ে দ্বিমতের কথা। তিনি বলেছেন, যদি ক্যাবিনেট মিশন প্ল্যান গ্রহণ করা হতো তাহলে ভারত হয়তো দ্বিখণ্ডিত হতো না। কারণ, জিন্নাহ সাহেব ওই প্ল্যান গ্রহণ করেছিলেন।
॥দুই॥
এই তো সপ্তাহখানিক আগে বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেছেন, If the Indians could set up any office in our military headquarters, then it would be foolish to believe that our national security would remain safe. Which country in the world has such a rule? he said. He said that such a situation would never have been created if the country had become independent without the help of India. (Daily New Age, Page 1, 8 March 2024). ‘অর্থাৎ যদি ভারতীয়রা আমাদের মিলিটারি হেড কোয়ার্টারে কোনো অফিস স্থাপন করতে পারে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত রয়েছে ভাবা বোকামি হবে। তিনি প্রশ্ন করেন, পৃথিবীর কোনো দেশে এমন নিয়ম আছে? অতঃপর তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতি কোনো দিন সৃষ্টি হতো না যদি বাংলাদেশ ভারতের সাহায্য ছাড়াই স্বাধীন হতে পারতো।’
গয়েশ^রের উক্তি অনুযায়ী ভারতীয় সাহায্য ছাড়াই যদি স্বাধীনতা আসতো তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষা অনুযায়ী ভারতকে সবকিছু দিতে হতো না। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস নিয়ে একাধিক গ্রন্থ রচিত হয়েছে। তার মধ্যে একটি রয়েছে নুরুল কাদের লিখিত ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা’। এছাড়া আরেকটি বই লিখেছেন মাসুদুল হক। বইটির নাম ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে র এবং সিআইএ’। যে দুটি বইয়ের নাম উল্লেখ করলাম এগুলোর একটিও নিষিদ্ধ নয়। মাসুদুল হকের বই এখনও নামকরা বুক স্টলে গেলে কিনতে পাওয়া যাবে। নুরুল কাদেরের বিশাল গ্রন্থে একথা বলা হয়েছে যে, যদি কোনো বন্ধু পাওয়া না যায় তাহলে মুক্তি যোদ্ধারা নিজেরাই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবে। এমন খবর মুজিব নগর থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ‘দি পিপলে’ প্রকাশিত হয়েছে।
এসম্পর্কে আর কিছু বলবো না। শুধু এটুকু বলবো যে, শুধুমাত্র বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্যই ভারতীয় সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করেনি। ভারতেরও এখানে ছিল জিও পলিটিক্স। সেখানে ৫১ বছর পর ভারতীয় জাতীয় সংগীত কেন পরিবেশন করা হয় সেটা নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় ১৩ মার্চ যে সংবাদটি ছাপা হয়েছে তার শিরোনাম, “ঢাবির সেমিনারে ‘ভারতের জাতীয় সংগীত’ তোলপাড়”।
॥তিন॥
গত শুক্রবার ১৫ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় ৫ কলামব্যাপী প্রধান সংবাদ। অনেকটা ব্যানারের মতো। লাল রংয়ে অন্তত ৩৬ পয়েন্ট শিরোনাম, ‘ছাত্রলীগের ইফতার প্রতিরোধ!’ মূল শিরোনামের শোল্ডার, ‘সর্বত্রই অসন্তোষ, প্রতিবাদে মানববন্ধন, গণইফতার’। খবরে বলা হয়েছে, ‘১৪ মার্চ থেকে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যাম্পাসের মসজিদের ইফতার কার্যক্রম স্থগিত’ লেখা নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ১১ মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ঢাকা, রাজশাহী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
॥চার॥
শুধুমাত্র ইফতার মাহফিল বিরোধী অপতৎপরতাই নয়, পবিত্র ইসলাম সম্পর্কিত তাফসির মাহফিলেও হামলা করেছে ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের গেটের কাছে তাবলিগের আলোচনা সভায় হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এই হামলায় আহত হয়েছে ৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। একটি অরাজনৈতিক ইসলামী আলোচনা সভা শেষে বেরিয়ে আসার সময় আলোচকদের ওপর ছাত্রলীগের এই বর্বর হামলার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়সহ সারা বাংলার বিশ^বিদ্যায়ল এবং কলেজগুলোতে ছাত্রলীগের এই ধর্ম ও ঐতিহ্য বিরোধী তৎপরতা ও আক্রমণের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, শিবির ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে এই রাজনীতি নতুন না। যাকে মারবে সে শিবির, যে কোনো অন্যায় করবে, যে কোনো অপরাধ করবে সবকিছু ঢাকা হয় শিবির ট্যাগ দিয়ে। আমরা ছাত্রলীগ কিংবা সরকারকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনাদের যদি এতই শিবিরভীতি থাকে তাহলে আইন করে শিবিরকে নিষিদ্ধ করেন না কেন?
তিনি বলেন, ধারণা করে, মিথ্যা অভিযোগ করে কাউকে মারতে পারেন না আপনারা। এটা গুরুতর অপরাধ, ফৌজদারি অপরাধ। আমি অনেক খোঁজ নিয়ে দেখেছি, আমাদের যেসব শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করা হয়েছে তারা শিবির কেন, কোনো সংগঠনের সঙ্গেই জড়িত নয়। আমি মনে করি, তাদের শিবির করার জন্য মারা হয়নি, তাদের মারা হয়েছে ইসলামী মাহফিল করার জন্য। বাংলাদেশের মুসলমানরা ধর্মীয় সমাবেশ করবে সেটার জন্য মার খাবে সেটার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম?
দৈনিক ইনকিলাবের সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আমি আজ এই কলামের দ্বিতীয় অংশে বরেণ্য ব্যক্তিদের এবং অন্য পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের অংশ বিশেষ তুলে দিলাম। এজন্য করলাম যে, এসব কথা আজ শুধুমাত্র ইনকিলাবই বলছে না। ধীরে ধীরে অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তারা যেসব কথা বলেছেন সেগুলো ইংরেজি ভাষায় Self-explanatory..
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বান্দরবানে বিজিবির অভিযান: অস্ত্র-গোলাবারুদ, ড্রোন ও সিগন্যাল-জ্যামারসহ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে তিন লক্ষ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ, গ্রেফতার ২
পলাতক আওয়ামী খতিবের বিরুদ্ধে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিল
মাগুরায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নামাজ না পড়িয়েই পালিয়ে গেলেন খতিব
ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ
শিক্ষক ভিন্ন ধর্মালম্বি হলেও তার সাথে ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ ও সম্মান করতে হবে -ছারছীনার পীর ছাহেব
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ সদরদপ্তর
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ গ্রেপ্তার ৩
কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা
সাকিব-লিটনের ব্যাটে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা
মণিপুর সংঘাত ইস্যুতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার
বাংলাদেশ বেতারে উর্দু সার্ভিস চালু করতে পর্যালোচনা সভা
তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়
সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি