খাদ্যের অপচয় ও বিনষ্টি বন্ধ করতে হবে

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ এএম

খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম। খাদ্য ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। জীবনের অপর নাম খাদ্য বললে তাই অত্যুক্তি হবে না। তবুও বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ ঠিক মতো খাদ্য পায় না অভাবের কারণে। আবার মোট জনসংখ্যার (৪০০ কোটির অধিক) প্রায় ৪০% মানুষ সুষম খাদ্য পায় না আর্থিক অসচ্ছলতা ও অত্যধিক মূল্যের কারণে। গত ২৪ জুলাই ’২৩ জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বৈশ্বিকভাবে ৬৯০ মিলিয়ন মানুষ এখনও অপুষ্টিতে ভুগছে, প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নেই এবং প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ সুষম খাবার থেকে বঞ্চিত’। মানুষের এই খাদ্য ঘাটতি শারীরিক সুস্থতা এবং উন্নতির চরম অন্তরায়। এই অবস্থায় জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) এবং ওয়েস্ট অ্যান্ড রিসোর্স অ্যাকশন প্রোগ্রামের (ডব্লিউআরএপি) যৌথভাবে প্রণীত খাদ্য অপচয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গত ২৭ মার্চ, যা চরম বিস্ময়কর। কারণ, ‘খাবার অপচয় সূচক প্রতিবেদন-২০২৪’ শীর্ষক উক্ত প্রতিবেদনের সারাংশ হচ্ছে: ‘বিশ্বে ফসল উৎপাদনের পর থেকে খাবার গ্রহণ পর্যন্ত ১৩% খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যায়। ২০২২ সালে মোট অপচয় হওয়া খাবারের পরিমাণ ১০৫ কোটি টন, যা বিশ্ববাজারে আসা মোট খাবারের পাঁচ ভাগের এক ভাগ। অপচয় হওয়া খাবারের ৬০% বাসাবাড়ির, ২৮% রেস্তোরাঁ, ক্যানটিন ও হোটেলের এবং ১২% কসাই ও মুদি দোকানের। বাসাবাড়িতে বছরে ব্যক্তি প্রতি গড়ে খাবার অপচয়ের পরিমাণ কেজিতে মালদ্বীপে ২০৭, মঙ্গোলিয়ায় ১৮, পাকিস্তানে ১৩০, নেপালে ৯৩, মিয়ানমারে ৭৮, শ্রীলঙ্কায় ৭৬, ভারতে ৫৫, ভুটানে ১৯, যুক্তরাষ্ট্রে ৭৩, যুক্তরাজ্য ও চীনে ৭৬, রাশিয়ায় ৩৩, সৌদি আরবে ১০৫, কাতারে ৯৩ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯৯ ও বাংলাদেশে ৮২ কেজি। লাখো কোটি ডলারের এই খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে, যা দিয়ে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে প্রতি বছর খাওয়ানো সম্ভব। এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচগুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য’। উক্ত প্রতিবেদন হালনাগাদ করা হলে খাদ্য অপচয়ের পরিমাণ আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে নিঃসন্দেহে।

খাদ্য অপচয়কারীদের মধ্যে সর্বাধিক হচ্ছে ধনীরা। তাঁরা অধিক পরিমাণে অত্যন্ত রিচ ফুড নিয়ে তার সামান্য খেয়ে বাকিটা ফেলে দেন। এতে একদিকে খাবারের অপচয় হয়, অন্যদিকে রিচ ফুডের কারণে শরীরে নানা জটিল ব্যাধি সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, নিয়মিত ও পরিমিত (পেটের তিন ভাগের একভাগ খাদ্য, একভাগ পানি ও একভাগ খালি) খাদ্য গ্রহণ এবং বয়স্কদের তৈলাক্ত ও মসল্লার খাবার পরিহার করা। সর্বোপরি খাদ্য অপচয় করা ধর্মীয় বিধানের পরিপন্থী। এ ব্যাপারে ইসলামি পণ্ডিত হারিছুর রহমান বলেন, ‘খাদ্য অপচয় সম্পর্কে সূরা বনী ইসরাইল-এ যা বলা হয়েছে তার তরজমা হচ্ছে: আত্মীয় স্বজনকে দেবে তাহার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় করিও না (২৬)। যাহারা অপব্যয় করে তাহারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তাহার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ (২৭)।’ উপরন্তু তিনি বলেন, খাওয়ার পর প্লেট মুছে-চেটে খাওয়া সুন্নত। অন্যসব ধর্মের বিধানেও খাদ্য অপচয়-নষ্ট হওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশ রয়েছে। তাই খাদ্যের অপচয় এবং অতিরিক্ত ও রিচ ফুড খাওয়া বন্ধ করা আবশ্যক। এটা হলে চলতি খাদ্য ঘাটতি ও মূল্য হ্রাস পাবে। উপরন্তু অতিরিক্ত খাদ্য গরিব মানুষকে দেওয়া হলে তাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে এবং শরীরের সুস্থতা ফিরে আসবে। তাতে দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। এছাড়া, অতিরিক্ত খাদ্য ফ্রিজে রাখা হলে নষ্ট হয় না। বাংলাদেশে খাদ্য অপচয় দেখার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। তাই এ বিষয়টি দেখার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া দরকার। একই ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপীই করা প্রয়োজন। সর্বোপরি খাদ্য অপচয় ও নষ্ট হওয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। তাহলে এ ব্যাপারে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

অপরদিকে, খাদ্যশস্যের নষ্ট ও পচে যাওয়ার পরিমাণও অনেক, যা অপচয়ের চেয়ে বেশি। খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়া শুরু হয় কর্তন থেকে শুরু করে বস্তাবন্দী পর্যন্ত সব স্তরের প্রতিটিতেই, যা ম্যানুয়ালিতে তথা সেকেলে পদ্ধতিতেই হয় বেশি। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, কৃষি যান্ত্রিকরণে শস্য নষ্ট হওয়া ৪০% রোধ হয় এবং উৎপাদন ব্যয়ও হ্রাস পায় ৩০%। তাই খাদ্যশস্যকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য কৃষি খাতকে যান্ত্রিকরণ করতে হবে। এছাড়া, পচনশীল খাদ্যশস্য কোল্ড স্টোরেজে রাখা হলে পচন থেকে রক্ষা পায়। এতে কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়। আবার মওসুম শেষে বাজারজাত করা হলে ভোক্তার চাহিদা পূরণ হয়। আর খাদ্যশস্য কোল্ড স্টোরেজে না রেখে বস্তায়-মাটিতে রাখা হলে অল্প দিনের মধ্যেই তার অধিকাংশ পচে-শুকিয়ে যায়। উপরন্তু মওসুমের সময় খুবই সস্তা হয় আর মওসুম শেষে পাওয়া যায় না। তাই মূল্য বৃদ্ধি পায়। তাতে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের এক বিজ্ঞানী মসল্লা জাতীয় কৃষিপণ্যের দীর্ঘকালীন সংরক্ষণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে।

অন্যদিকে, কিছু খাদ্যশস্য, বিশেষ করে ফল-মূল প্রসেসিং করে বোতলজাত/প্যাকেটজাত করে সংরক্ষণ ও বাজারজাত করা হলে উৎপাদনকারী ও ভোক্তার কল্যাণ হয়। নতুবা পঁচে যায়। এছাড়া, মওসুমে সস্তা হয় এবং মওসুম শেষে পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত খাদ্য নষ্ট হয় এর ৮৭% ঘটে উৎপাদন, মজুত, প্রক্রিয়া, বিতরণের সময় ও বাজারে। এফএও’র রিপোর্ট মতে, বাংলাদেশে বছরে ১.০৬ মেট্রিক টন খাদ্য নষ্ট হয়। অন্য এক খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশে ছোট মাছের ২৩% নষ্ট হয়। অপরদিকে, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার সম্প্রতি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখনো অপুষ্টির ক্ষেত্রে উচ্চহারের পর্যায়ে রয়েছে। শারীরিক অপুষ্টি ও মস্তিষ্কের গড়ন-গঠনের অপূর্ণতার কারণে অর্থনীতি চরম ক্ষতি হয়, যার অন্যতম ১১% দেশীয় পণ্যের ক্ষতি, ২০% ভবিষ্যৎ আয়ের ক্ষতি ও ৩০% দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকি। এ ছাড়া অধিকতর চিকিৎসা ব্যয়ের ঝুঁকি তো আছেই’। যা’হোক, বাংলাদেশের ন্যায় খাদ্য নষ্ট হয় অধিকাংশ দেশেই! তাই প্রয়োজনীয় কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন সব দেশেই। এটা হলে খাদ্য নষ্ট বন্ধ হবে। তাতে চলতি খাদ্য ঘাটতি অনেক হ্রাস পাবে। তবে চলতি খাদ্য ঘাটতি পুরোপুরি পূরণ করার জন্য সার্বক্ষণিক অধিক উৎপাদনশীল বীজ উদ্ভাবন ও ব্যবহার করতে হবে সারা বিশ্বেই। এছাড়া, কৃষিতে ‘পঞ্চব্রীহি’ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, যা আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ডক্টর আবেদ চৌধুরী। ‘পঞ্চব্রীহি’ পদ্ধতি হচ্ছে ফলন শেষ হওয়ার পর একটি ধানগাছ পুরোপুরি না কেটে ওই একই গাছে বিভিন্ন মৌসুমে আরও চারবার একই ধান উৎপাদন করা। এতে উৎপাদন ব্যয় অনেক হ্রাস পায়।

অন্যদিকে, শুধুমাত্র খাদ্যের চাহিদা পূরণ করা হলেই চলবে না, সে সাথে পুষ্টিহীনতা দূর করা প্রয়োজন। সে জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাই অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যের বীজ উদ্ভাবন ও ব্যবহার করতে হবে বিশ্বব্যাপীই। গত ২৩ মার্চ খবরে প্রকাশ, চালে গরুর মাংসের কোষ তৈরির মাধ্যমে নতুন ধরনের চাল তৈরি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিফ রাইস’। এই চালে প্রচলিত চালের তুলনায় প্রায় ৮% বেশি প্রোটিন এবং ৭% বেশি চর্বি থাকে। এই প্রোটিনের ১৮% প্রাণীজ প্রোটিন। ফলে এই চাল অ্যামিনো অ্যাসিডের ভালো উৎস। এটি গত মার্চে ‘ম্যাটার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ব্রি ধান ১০৭ ও ১০৮ নামের ধানে প্রোটিনের পরিমাণ অন্য ধানের তুলনায় বেশি। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, ছোট মাছ ও সজনে পাতাকে ‘সুপার ফুড’। শাক-সবজী ও ফলমুলও খুবই উপকারী। তাই এসব বেশি করে উৎপাদন ও খাওয়া প্রয়োজন।

অপরদিকে, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কৃষিতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থাপনায় মাটির তথ্য তথা মাটির আর্দ্রতা, তাপমাত্রা, পিএইচ লেভেল, ইসি, পুষ্টিগুণ (নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস) পরিমাপ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফসলের স্বাস্থ্য নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়। এক্সরে প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসলের সংরক্ষণকাল বাড়ে দ্বিগুণেরও বেশি। সর্বোপরি খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য সব চাষযোগ্য জমিতে ফসল ফলাতে হবে এবং সব জমিকে সেচের আওতায় আনা ও সব সেচ পাম্পকে সৌরবিদ্যুৎ চালিত করতে হবে। উপরন্তু ভাসমান চাষ, মাচাং চাষ, শস্য বহুমুখীকরণ ইত্যাদি বৃদ্ধি এবং সাগর, মহাসাগর, নদী, হাওর, বিল তথা সব খোলা পানির শতভাগ মাছ আহরণ এবং এসব স্থানে ভাসমান খাঁচায় মাছ এবং ভাসমান পদ্ধতিতে অন্য ফসল চাষ করতে হবে। তাহলে খাদ্যের উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়তই মানুষ বাড়ছে, কৃষি জমি কমছে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানি হচ্ছে। ফলে সার্বিকভাবে ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট বৃদ্ধি পেতে পারে, যা মোকাবেলা করার জন্য কৃষির সব পণ্যের উৎপাদন হার বর্তমানের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি করতে হবে। উপরন্তু নতুন খাদ্যপণ্য উদ্ভাবন করতে হবে। গত নভেম্বরে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির নেতৃত্বে পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বব্যাপী অস্ট্রেলিয়ার আয়তন জুড়ে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করা হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ১০% মানুষের পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ করতে পারবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও এটি একটি বিশেষ সমাধান। কারণ, এটি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে প্রকৃতিকে বাঁচাতে সাহায্য করে। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনের এক-তৃতীয়াংশ থেকে এক-চতুর্থাংশ শুষে নেয়। এটি ভারী ধাতু এবং নাইট্রেটের মতো দূষণকারীকে শোষণ করে। রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে টুথপেস্ট, কসমেটিক্স ওষুধ তৈরিতে এবং ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও গ্যাস্ট্রিকসহ বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদনে শৈবাল ব্যবহৃত হয়। সামুদ্রিক শৈবাল খুব দ্রুত বর্ধনশীল। সহজে চাষ করা যায়। কোনো কীটনাশকের প্রয়োজন পড়ে না। এটি দুই পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। একটি হলো নেট পদ্ধতি, অন্যটি লাইন পদ্ধতি। নেট পদ্ধতিতে বাঁশের সঙ্গে জাল বেঁধে চাষ করা হয়। লাইন পদ্ধতিতে সমুদ্রের অগভীর অঞ্চলে বাঁশের সঙ্গে রশ্মি বেঁধে শৈবালের বীজ বপন করা হয়। ১৫ দিন পরপর শৈবাল আহরণ করা যায়। বছরে ৬ থেকে ৭ মাস সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করা যায়। এটি প্রোটিন, পুষ্টি, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ দিয়ে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে, আফ্রিকার তাঞ্জানিয়ায় এগ্রিভল্টাইক্স প্রযুক্তি কৃষকদের জন্য উপকারী হয়েছে। এই পদ্ধতিতে একই জমির কয়েক মিটার উপরে সোলার প্যানেল বসিয়ে সেখানে পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন ও নিচের জমিতে কৃষিকাজ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে বৃষ্টির পানিও সংরক্ষণ করা সম্ভব।উপরন্তু এই পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধবও।তাই সারা বিশ্বেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার।

লেখক:সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জিম্বাবুয়েকে গুড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়েকে গুড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

কুষ্টিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধর, গ্রেপ্তার ৩

কুষ্টিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধর, গ্রেপ্তার ৩

বায়ার্নকে হারাতে আরও ভালো খেলার তাগিদ রিয়াল কোচের

বায়ার্নকে হারাতে আরও ভালো খেলার তাগিদ রিয়াল কোচের

রবীন্দ্র দর্শনের প্রধান বিষয় হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা: শেখ হাসিনা

রবীন্দ্র দর্শনের প্রধান বিষয় হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা: শেখ হাসিনা

ডেঙ্গুতে যেনো আর কারো মা না হারায় সে জন্য কাজ করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গুতে যেনো আর কারো মা না হারায় সে জন্য কাজ করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সুন্দরবনে বৃষ্টি ছিল আশীর্বাদ আগুন ও ধোঁয়া খুঁজছে বনবিভাগ

সুন্দরবনে বৃষ্টি ছিল আশীর্বাদ আগুন ও ধোঁয়া খুঁজছে বনবিভাগ

নওগাঁর ৩টি উপজেলার নির্বাচন আগামীকাল

নওগাঁর ৩টি উপজেলার নির্বাচন আগামীকাল

ইউক্রেনে সেনা পাঠানো হবে না, ফের জানাল যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে সেনা পাঠানো হবে না, ফের জানাল যুক্তরাষ্ট্র

নিজ দলের প্রার্থীদের নিয়ে ভাগাভাগির কথিত উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান সিলেট মহানগর বিএনপির

নিজ দলের প্রার্থীদের নিয়ে ভাগাভাগির কথিত উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান সিলেট মহানগর বিএনপির

বিরোধীরা রাশিয়াকে ভিতর থেকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল: পুতিন

বিরোধীরা রাশিয়াকে ভিতর থেকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল: পুতিন

টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ আটক।

টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ আটক।

সিলেটের কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম : ভোট বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করছে বিএনপি

সিলেটের কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম : ভোট বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করছে বিএনপি

ধামরাইয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী একাই চালাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম

ধামরাইয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী একাই চালাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহে আইওএম’র প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহে আইওএম’র প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

যে কারণে যশের সিনেমা থেকে সরে গেলেন কারিনা

যে কারণে যশের সিনেমা থেকে সরে গেলেন কারিনা

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত

রাষ্ট্রপতির কাছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন ‘স্মার্ট এনাইডি’ হস্তান্তর ইসি’র

রাষ্ট্রপতির কাছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন ‘স্মার্ট এনাইডি’ হস্তান্তর ইসি’র

শুটিং শুরু হতে না হতেই আইনী ঝামেলায় ‘জলি এলএলবি ৩’

শুটিং শুরু হতে না হতেই আইনী ঝামেলায় ‘জলি এলএলবি ৩’

‘২ বছর ধরে তদন্ত কেন?’, কেজরির জামিন মামলায় ইডিকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

‘২ বছর ধরে তদন্ত কেন?’, কেজরির জামিন মামলায় ইডিকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

টেক্সাসে তিন বছরের ছেলেকে গুলি করে আত্মহত্যা মায়ের

টেক্সাসে তিন বছরের ছেলেকে গুলি করে আত্মহত্যা মায়ের