তালেবান শাসনে আফগানিস্তানের অভূতপূর্ব অগ্রগতি

Daily Inqilab সৈয়দ ইবনে রহমত

২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ এএম

বৈরী আমেরিকা এবং তার মিত্রদের সুরে সুর মিলিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় আফগানিস্তান এবং তালেবান সরকারকে নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হওয়া একটি নিয়মিত ঘটনা। বিশেষ করে গণতন্ত্রহীনতা, শরীয়া আইনের ভয়াবহতা, নারীর অনধিকার, মানবাধিকার লংঘন ইত্যাদি নেতিবাচক খবর আফগানিস্তান সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনে যে চিত্রটি তুলে ধরে, তা অত্যন্ত ভয়ংকর। কিন্তু সম্প্রতি সেই পশ্চিমা মিডিয়াতেই এমন কিছু খবর প্রকাশিত হয়েছে, যা দেখে চমকে উঠছে বিশ্ববাসী। যেমন তালেবান সরকার কোনো রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পেলেও বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছে পরাশক্তি চীন, রাশিয়াসহ তুরস্ক, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার ও পাকিস্তানের সাথে। কঠোর হস্তে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছে তালেবান সরকার। বিশ্বের সবচেয়ে সেরা মুদ্রা আফগানিস্তানের মুদ্রা আফগানি। এমনকি পারফর্মেন্সে শক্তিশালী মার্কিন ডলারকেও ছাড়িয়ে গেছে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মুদ্রা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে তালেবান সরকার। আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ৬৫০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে তালেবান সরকার। বিপুল আয়তনের জমিতে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে চাষযোগ্য করতে নিজস্ব প্রযুক্তি এবং অর্থায়নে ১০৮ মিটার প্রস্থ ও ২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুশটেপা ক্যানাল তৈরি করছে তালেবান সরকার। একের পর এক খনিজ সম্পদ আবিষ্কার হচ্ছে আফগানিস্তানে। ডালিমের রস থেকে উৎপাদিত আফগানিস্তানের পামির কোলা শাফা নামের একটি পানীয় যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রযুক্তির নানা বিষয় নিয়েও কাজ করছে দেশটি। ইতোমধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে সুপার কার তৈরির ঘোষণা দিয়েছে আফগান সরকার।

ক্ষমতায় আসার দুই বছরের মধ্যে আফিম চাষ ৯৫ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছে তালেবান সরকার! অথচ, বরাবরই আফগান অর্থনীতির একটা বড় যোগান এসেছে দেশটিতে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ পপি থেকে। এতদিন বিশ্বের ৮০ ভাগ আফিম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল আফগানিস্তান। এই পপি থেকেই ভয়াবহ মাদক আফিম ও হেরোইন উৎপন্ন হয়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ত। ২০০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত আফগান সরকারগুলো এই পপি চাষ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, বরং দিনে দিনে এর উৎপাদন কেবল বেড়েছে। ২০২২ সালেও দেশটিতে ২ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে পপি চাষ হয়েছিল। কিন্তু তালেবান সরকার এই ভয়াবহ মাদক পপি চাষ নিষিদ্ধ করার পর ২০২৩ সালে এসে তা কমে এসেছে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টরে। এক সময়ের আফগান অর্থনীতির বড় নিয়ামক এই পপি চাষ আগামীতে শূন্যের কোটায় নেমে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তালেবান সরকারের নেতৃত্বে মুদ্রা ব্যবস্থাপনাসহ অর্থনীতির নানা সূচকেও বিস্ময়কর উন্নতি করেছে দেশটি। পূর্ববর্তী সরকারগুলোর চরম দুর্নীতিগ্রস্ততা থেকেও অভাবনীয় উন্নতির দিকে ধাবমান তালেবান শাসন ব্যবস্থা। এমন আরো বহু খবর ইদানীং গণমাধ্যমের কল্যাণে জানতে পারছে বিশ্ববাসী।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতন ঘটার মুহূর্তে আফগানিস্তানের অর্থনীতি বলতে কিছুই ছিল না। তালেবান কাবুলে পৌঁছার আগেই দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ নিয়ে তাজাকিস্তানে পালিয়ে যান। প্রচার আছে, প্রেসিডেন্ট গনি ১৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। একইভাবে গনি সরকারের ক্ষমতাধররা যে যা পেরেছেন নগদ অর্থ এবং মূল্যবান সম্পদ নিয়ে পালিয়েছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হলেও অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে আর্থিকভাবে তালেবান সরকারকে পঙ্গু করে রাখার সব ধরনের চেষ্টাই অব্যাহত রাখে। এমনকি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভে থাকা আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের প্রায় দশ বিলিয়ন ডলারও আটকে রাখে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি কূটনৈতিক দিক থেকে প্রায় সারা বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার কারণে অর্থনৈতিকভাবেও একঘরে হয়ে পড়ে তালেবান সরকার। এছাড়া ধস নামে ত্রাণ ও আন্তর্জাতিক সাহায্যনির্ভর অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও। নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে তালেবানের নেতিবাচক ইমেজের কারণে নিয়মিতই পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোতে তালেবান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে বেশি করে। এর ফলে পর্যবেক্ষক মহলে ধারণা জন্মে, বন্দুকের যুদ্ধে তালেবান জিতলেও অর্থনীতির যুদ্ধে তারা দ্রুতই পরাজিত হবে। কিন্তু দুই বছরেরও কম সময়ে তাদের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে ছেড়েছে তালেবান সরকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করা আফগানিদের আস্থায় এনে রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে সফলতা লাভ করে তালেবান সরকার। পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্যেও আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়।

শুরুতে নগদ অর্থের তীব্র সংকটের কারণে অর্থনীতি সচল রাখা দূরের কথা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়ার সামর্থ্যও ছিল না। অন্যদিকে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, খাদ্য সংকট, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা, সাবেক সরকারের কাছ থেকে উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন, কূটনৈতিকভাবে গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্নতা বহুমুখী সংকট তৈরি নতুন সরকারের সামনে। এ অবস্থা থেকে আফগানিস্তানকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার দারুণ সূচনা করে তালেবান সরকার, যা দেখে চরম শত্রু আমেরিকার গণমাধ্যমও প্রশংসা না করে পারেনি। বিশেষ করে ২০২৩ সালের শেষের দিকে সংবাদমাধ্যমে ব্যতিক্রমী এক খবরের কারণে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচিত হয় তালেবান শাসিত আফগানিস্তান। সেই সংবাদে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে সেরা মুদ্রা নাকি আফগানিস্তানের মুদ্রা আফগানি। এমনকি পারফর্মেন্সে শক্তিশালী মার্কিন ডলারকেও ছাড়িয়ে গেছে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মুদ্রা। এ খবরে নড়েচড়ে বসে পুরো বিশ্ব। পশ্চিমারাও স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় যে, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের যেসব দেশের মুদ্রা সবচেয়ে ভালো করেছে তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আফগানিস্তানের মুদ্রা আফগানি। কিন্তু কীভাবে একদমই শূন্যহাতে শুরু করা, আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন, একঘরে হয়ে পড়া বিধ্বস্ত অর্থনীতির দেশ রাতারাতি তার মুদ্রাকে বিশ্বের সেরা ‘পারফর্মিং কারেন্সি’তে উন্নীত করতে পারলো? এ নিয়ে শুরু হয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন।

অপরদিকে ২০২৩ সালে আফগান অর্থনীতি সংকোচনের ধারা থেকে বেরিয়ে আসার পূর্বাভাস দেয় বিশ্বব্যাংক। ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশটিতে ২ থেকে ৩ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে জানায়। অর্থনীতির মূল সূচকগুলোতে তালেবান শাসনামলে আফগানিস্তানের পরিস্থিতিকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করে বিশ্বব্যাংক। তার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি হ্রাস, জাতীয় মুদ্রামান স্থিতিশীল ছিল আফগানিস্তানে। ২০২২ সালের জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ১৮.৩ শতাংশ থাকলেও নভেম্বরে তা ৯.১ শতাংশে নেমে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকায় বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, আফগানিস্তানে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মজুরি বেড়েছে। বেশিরভাগ আফগান বেসামরিক কর্মচারী নিয়মিত বেতন পেয়েছেন। ২০২২ সালের ২২ মার্চ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫৪ কোটি ডলার রাজস্ব আদায় করে কাবুল সরকার। রফতানি আয় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ২০২১ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশ বেড়ে ১.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। অথচ তালেবানরা ক্ষমতায় আসার আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে মাত্র ৯০০ ও ৮০০ মিলিয়ন ডলার।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক মূল্যবান ধাতুর খনি আবিষ্কার আরেক অভূতপূর্ব ঘটনা। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের একটি হচ্ছে বৈদ্যুতিক ব্যাটারি, যার মূল উপাদান লিথিয়াম। বলা হচ্ছে, এই লিথিয়ামের ওপর ভাসছে আফগানিস্তান। দেশটির মাটির নিচে থাকা উত্তোলনযোগ্য লিথিয়ামের সম্পদমূল্য বর্তমান বাজার অনুযায়ী তিন ট্রিলিয়ন ডলার বা তিন লাখ কোটি ডলার। এছাড়া লৌহ, স্বর্ণের খনি ও অন্যান্য রত্নভাণ্ডার তো আছেই। আর এই সম্পদের কারণে পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পরাশক্তি চীন। পাশাপাশি তুরস্কসহ অন্যান্য দেশও বসে নেই। তারাও চেষ্টা করছে তালেবান সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ৬৫০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে তালেবান সরকার।

আফগানিস্তান একটি বিপুলায়তনের দেশ, সেই তুলনায় জনসংখ্যা খুবই কম। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল পাথুরে পাহাড়, রুক্ষ ভূমি এবং সেচ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে চাষযোগ্য জমি খুবই সীমিত। একারণেই তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার উপর একটা বড় চাপ পড়ে। এই অবস্থা বদলানোর জন্য একটি গেমচেঞ্জার প্রকল্প গ্রহণ করেছে তালেবান সরকার। আফগানিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প কুশটেপা ক্যানেল নামের একটি কৃত্রিম খাল খননের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তালেবান সরকার। ১০৮ মিটার প্রস্থ ও ২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই কুশটেপা ক্যানাল তৈরি এখন প্রায় শেষের পথে। আমু দরিয়া থেকে কুশটেপা ক্যানেলের মাধ্যমে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রুক্ষ ভূমিতে প্রয়োজনীয় সেচের পানি সরবরাহ করা হবে। এই খালের মাধ্যমে প্রায় ৬ লাখ হেক্টর জমিতে সারা বছর স্থায়ী সেচের ব্যবস্থা করা যাবে। পর্যবেক্ষকদের অভিমত হচ্ছে, এই ক্যানেল বাস্তবায়ন শেষ হলে এর দুই পাশে যে বিপুল আয়তনের জমিতে গম ও ভোজ্যতেলের আবাদ করা হবে তাতে শুধু আফগানিস্তান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই হবে না, বরং গম রফতানিকারক দেশেও পরিণত হতে পারে। আরও অবাক করার বিষয় হলো, এই বিশাল প্রকল্প তালেবান সরকার বাস্তবায়ন করছে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়ন ও প্রযুক্তির মাধ্যমে। তালেবান কর্মকর্তাদের দাবি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি এই কুশটেপা খালের দুই পাশে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আফগানিস্তানের জাজওয়ান, বলখ ও ফারিয়াব প্রদেশে কর্মসংস্থান হবে আড়াই লাখ আফগান নাগরিকের। কোন ধরনের বিদেশি প্রযুক্তি ও অর্থায়ন ছাড়াই এ ধরনের মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তালেবান সরকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় তার সামর্থ্যের যে পরিচয় দিয়েছে, সেটাও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুই দশকের যুদ্ধ শেষে ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের সেনাদের হটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। ইসলামিক শরীয়া আইনের ভিত্তিতে দেশ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এর ফলে ক্ষমতা গ্রহণের এতদিন পার হতে চললেও দেশটিকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের কোনো দেশ। বরং যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের তরফে শুরু থেকে আসতে থাকে নিষেধাজ্ঞা ও বিভিন্ন চাপ। এমনকি দেশটিতে পূর্ব থেকে বিরাজমান বিভিন্ন গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন দ্বন্দ্বও নিরসন করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করে যাচ্ছে তালেবান সরকার। আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক চাপ এবং নিষেধাজ্ঞাকে মোকাবেলা করে যেভাবে একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে, তাতে বিশ্ববাসীর জন্য যেমন চমক, তেমনি অনেকের কাছে গবেষণারও বিষয় হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে বলাবলি শুরু হয়েছে, স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারলে একদশকেরও কম সময়ে দেশটির অর্থনীতি এতটাই মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে যাবে, যা অনেকে দেশের জন্য ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠবে।

[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

চাঁদের পথে পাকিস্তানের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন

চাঁদের পথে পাকিস্তানের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন

সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-২

সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-২

ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-২

ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-২

ষাঁড় ঝাঁপিয়ে পড়ে দোকানে

ষাঁড় ঝাঁপিয়ে পড়ে দোকানে

নারী সংখ্যাধিক্যের দেশ

নারী সংখ্যাধিক্যের দেশ

চুল রাঙিয়ে বিপাকে

চুল রাঙিয়ে বিপাকে

রঙচটা বাস চলছেই

রঙচটা বাস চলছেই

মুরগির বাজারে অস্থিরতা

মুরগির বাজারে অস্থিরতা

তীব্র গরমে শ্রমজীবী মানুষের নাভিশ্বাস

তীব্র গরমে শ্রমজীবী মানুষের নাভিশ্বাস

বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি

বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি

দেশের মুক্ত চিন্তার মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চলছে

দেশের মুক্ত চিন্তার মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চলছে

সীতাকুণ্ডে তীব্র পানি সঙ্কট

সীতাকুণ্ডে তীব্র পানি সঙ্কট

১২ মে এসএসসির ফল প্রকাশ

১২ মে এসএসসির ফল প্রকাশ

বিনা’র গবেষকদের উদ্ভাবন

বিনা’র গবেষকদের উদ্ভাবন

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবি অবশেষে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবি অবশেষে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা

বিক্ষোভে অংশ নেয়া বাংলাদেশি ছাত্রী কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত

বিক্ষোভে অংশ নেয়া বাংলাদেশি ছাত্রী কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত

প্রভাব বিস্তার নিয়ে গৌরনদীতে আ.লীগ দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

প্রভাব বিস্তার নিয়ে গৌরনদীতে আ.লীগ দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

পাবনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩

পাবনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩

আলমাতিতে মন্ত্রীর স্ত্রীকে হত্যা : কাজাখস্তানে পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ঝড়

আলমাতিতে মন্ত্রীর স্ত্রীকে হত্যা : কাজাখস্তানে পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ঝড়

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় চালকসহ আহত ৪ : পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় চালকসহ আহত ৪ : পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন