ব্যাংক লুট ও অর্থপাচারের যৎকিঞ্চিৎ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
একদা এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ বা স্থানান্তরের বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগের অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তখন এ ধরনের নির্দেশনা পেয়ে দুদক, বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টলেজেন্স ইউনিট, অপরাধ দমন বিভাগ সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। দুই মাস সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালত আদেশ দিয়েছিলেন। তখন তার অর্থ পাচারের বিষয়টি পত্রিকায় লিখতে চেয়েছিলাম। দু’ একটি পত্রিকা তা ছাপাতে অপারগতা প্রকাশ করেছিল। এস আলমের নাম বাদ দিয়ে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী লিখে লেখাটি ছাপা হয়েছিল। লেখার শিরোনাম ছিল: ‘অর্থপাচারকারীরা কি অধরাই থেকে যাবে?’ এস আলম অর্থপাচার, ব্যাংক লুটপাটের দিক দিয়ে রের্কড সৃষ্টি করেছেন। তাকে কেন জবাবদিহির আওতায় আনা হবে না? তিনি এখনও অধরাই রয়ে গেলেন। পূর্ব থেকেই যদি অর্থপাচারকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতো এরা এতটা কি বেপরোয়া হতো? তারপর ব্যাংকিং সেক্টরের যে ৬টি ব্যাংক অর্থ লুটপাটের মহোৎসব করেছে এগুলোর অবস্থা একেবারে নড়েবড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বলতার কারণে এমনটি হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক এক সময় সব ব্যাংককে লিড করত। এর সফলতা দেখে আরও কয়েকটি ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকিং চালু করা হয়। সব সূচকে এক সময় ইসলামী ব্যাংক এগিয়ে ছিল। এর মাঝে কোনো আর্থিক কেলংকারী ছিল না। যারা ইসলামী ভাবধারার লোক ছিল চাকরির ক্ষেত্রে তারাই অগ্রাধিকার পেত। এ থেকে সরকারের বদ্ধ ধারণা জন্মায় জঙ্গি অর্থায়নের জন্য ব্যাংকটি গোপনে সহায়তা করছে। যদিও এর কোনো সত্যতা মিলেনি। বিগত সরকার এ বিষয়টি সহজভাবে মেনে নেয়নি। এ ব্যাংকে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক নামিদামী ব্যক্তির বিনিয়োগ ছিল। যাদের বিনিয়োগে ব্যাংকটি পরিচালিত হতো তাদের মধ্যে অন্যতম হল, জর্ডান ইসলামী ব্যাংক, কাতার ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ করপোরেশন, দুবাই ইসলামী ব্যাংক, বাহরাইন ইসলামী ব্যাংক। সৌদি আরব, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল।
ব্যাংকটিকে টার্গেটে নিয়ে সরকার ব্যাংকের বাইরের মালিকদের জোরপূর্বক বিতাড়িত করে। মুসলিম বিশ্ব থেকে আসা অত্যন্ত ভালো বিনিয়োগকারীরা তখন বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরৎ নিতে বাধ্য হন। ওই সময়ই একটি বিশেষ সংগঠনের তকমা লাগিয়ে অনেক দক্ষ কর্মকর্তাকে বিদায়ও করা হয়। তাদের স্থলে ভিন্ন মতাদর্শের জনবল এবং তাদের অনুসারীদের নিয়োগ দিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা মোতাবেক এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকে দখলদারিত্বের সুযোগ নেয়। একের পর এক জোরপূর্বক শেয়ার ক্রয় করে ৮২ শতাংশ শেয়ারের স্বত্বাধিকারী হয়। আর তখনই ব্যাংকটির প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়। গুজবে মানুষ ব্যাংকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। বিপুল পরিমাণে আমানত উঠানোর হিড়িক পড়ে যায়। যে ব্যাংকটি এক সময় আমানতের জন্য সেরা ছিল তারাই তারল্য সংকটে পড়ে। চেক অনার করতে সমস্যা হয়। ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয়ার পরই শুরু হয় নামে-বেনামে টাকা সরানোর আয়োজন। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে প্রধান কার্যালয়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিজের অনুগতদের সুকৌশলে প্রতিস্থাপন করে ফেলে এস আলম। সংশ্লিষ্টরা আরও জানায়, ঋণ জালিয়াতিতে যেন কেউ বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের অনুগত সুবিধাভোগী একটি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়। এস আলম দখলে নেওয়ার পর ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ হয়েছে। এরা সবাই সাইফুল আলম মাসুদের নিজ এলাকা পটিয়ার বাসিন্দা। এখন এদের ব্যাংকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ইসলামী ব্যাংকে ২০১৭ সালে ৩৩২টি শাখার বিপরীতে কর্মী ছিল ১৩ হাজার ৭৬০ জন। শাখা প্রতি লোকবল ছিল ৩৭ জন। ২০২৩ সালে শাখা ৩৯৪টি শাখার বিপরীতে লোকবল ২০ হাজার ৮০৯ জন শাখা প্রতি ৪৭ জন। ইসলামী ব্যাংকে বর্তমানে আমানতের ব্যালেন্স হলো ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। একই সময়ে ঋণের ব্যালেন্স ১ লাখ ৬০ হাজার ২৬ কোটি টাকা অর্থাৎ এস আলম গ্রুপের এখন আমানতের চেয়ে ঋণের ব্যালেন্স বেশি। এই কারণে ইসলামী ব্যাংক অনেক ক্ষেত্রে চেক অনার করতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ধার করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। ইসলামী ব্যাংকের সূত্র থেকে জানা যায়, ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে জামানতের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ক্যাশ ফ্লু দেখা হয় মূলত ঋণ কীভাবে ফেরত আসবে বা ঋণ পরিশোধের সিস্টেম কী, তা পর্যালোচনা করা হয়। গ্যারেন্টারও নেয়া হয়। এস আলমের ক্ষেত্রে এ সমস্ত নিয়মনীতির বালাই ছিল না। কেউ নিয়ম প্রতিষ্ঠার সাহসও পায়নি। সেজন্য কিস্তি পরিশোধ না করে ঋণ ওভারডিউ হয়েও ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। যেহেতু ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজেই অর্থপাচারকারী তাই ব্যাংকের এত সম্পদে লোভ সামলানো কঠিন ছিল। তাকে ঠেকায় কে? তখন থেকে সাবধান হলে ব্যাংকটির বেহাল দশা হতো না। ইসলামী ব্যাংককে টার্গেট করেই সিংহভাগ টাকা সরানোর কাজ এরা শুরু করে। নামে-বেনামে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ উঠানোর মহোৎসব চলে। ঋণের মধ্যে এস আলম গ্রুপকে সবচেয়ে সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার নিকট ঋণের ব্যালেন্স ৭৪ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা, যা তাদের মোট আদায়যোগ্য ঋণের অর্ধেক সরাসরি এস আলম গ্রুপের সাত প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে ১৪ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
জালিয়াতি ও লুটপাটের দ্বিতীয় টার্গেট সোসাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। এস আলম ব্যাংকটি দখল করার পূর্বে সব সূচকে এরাও এগিয়ে ছিল। এস আলম গ্রুপের আগ্রাসী ভূমিকায় তার অবনতি শুরু হয়। এখানেও মালিকানা পরিবর্তন হয় ২০১৭ সালে। তখন ঋণের ব্যালেন্স ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা, যা এখন বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ১৫ হাজার কোটি এস আলম গ্রুপের নামে। অর্থ পাচারের লক্ষ্য নিয়ে এস আলম গ্রুপ অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় তিন বছর পূর্বে চিনি ও তেল আমদানি করেছে সেই অর্থ শোধ করেনি। সর্ব্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে তা পরিশোধ করার কথা। এক্ষেত্রে মেয়াদ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিয়েছিল, যা বর্তমানে বাতিল হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটিতে মূলধন ঘাটতি আছে ২ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। এখানেও পটিয়ার লোক অধিক হারে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ সুবিধায় খেলাপি ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। গোপন আছে ৭ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা। এভাবে খেলাপী গোপন করে মুনাফা দেখিয়ে এর লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের দেয়া হয়েছে।
২০০৪ সালে সিকদার গ্রুপ থেকে ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের দায়িত্ব পায় এস আলম গ্রুপ। সাইফুল আলম নিজেই চেয়ারম্যান। এরা এ ব্যাংকে ইসলামী ব্যাকিং ধারা প্রবর্তন করে। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ঋণের ব্যালেন্স ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা এস আলম গ্রুপের। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এস আলম গ্রুপ ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ার ক্রয় করে এরশাদের কাছ থেকে। এই ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি আছে ৮ হাজর ৪৭২ কোটি টাকা।
ইউনিয়ন ব্যাংক আরও শোচনীয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে চলতে হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা দিচ্ছে না। তাই, চেক অনার হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা যায়, ঋণের ১৮ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা খেলাপি হওয়ার যোগ্য, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের ৯৫%। বর্তমানে ব্যাংকে ঋণের ব্যালেন্স ২৬ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাংক জালিয়াতির আরেক ধাপ বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। এ ব্যাংকটির ৫১% শেয়ার সরকারের। এস আলম গ্রুপ এ ব্যাংকের শেয়ার কিনে নিয়ন্ত্রণে নেয়। এক হাজার কর্মকর্তার মধ্যে ৭০০ জনই পটিয়ার। ব্যাংক থেকে বিভিন্নভাবে প্রায় ৬১০ কোটি টাকা ধার নেয় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংক, সোসাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক। কিন্তু টাকা ফেরত আসেনি। ৭ আগস্টে ঘাটতি মূলধন ৫০৩ কোটি টাকা, তারল্য সংকটে পড়ে ব্যাংকটি কর্মচারীদের স্থায়ী চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে পিকে হালদার টাকা সরিয়ে নেয়ার পর ব্যাংকটি আর ঋণ বিতরণ করতে পারেনি। ডিসেম্বর/২৩ এ ব্যাংকের ঋণের ব্যালেন্স ছিল ১৩ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। এ ব্যাংকের বেশিরভাগ শেয়ার এস আলম গ্রুপের। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের ভাই শহীদুল আলম। এস আলম গ্রুপের ঋণ আছে ৫৭৪ কোটি টাকা।
এ সকল অর্থ সবই পাচার হয়ে গেছে। দেশের বাইরে হোটেল, মোটেল ও শপিং সেন্টার করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নির্দেশনা জারি করেছেন, তাদের সম্পদ যেন কেউ ক্রয় না করে। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এস আলম গ্রুপের সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধ করা হবে। ইতোমধ্যে তার পরিচালিত ব্যাংকসমূহে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন। নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নিতে দেখা যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে বিভিন্ন ফন্দিফিকির করে অধরাই থেকে যাবে। দেশবাসী চাচ্ছে, এর সকল পাচারকৃত টাকা উদ্ধার করে ব্যাংকগুলোকে যেন আবার গতিশীল করা হয়।
লেখক: ব্যাংকার ও কলামিস্ট
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সওদাগার মোস্তাফিজ এখনও বহাল তবিয়াতে, নির্দেশনার পরও পদত্যাগ করে নাই
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা এখনও যোগ দেননি, তাদের আর যোগ দিতে হবে না’-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দক্ষ ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আবারও ডিএমপির দুই থানার ওসি বদলি
কাশ্মীরের নির্বাচন, যে কারণে জামায়াতের দিকে তাকিয়ে সবাই
সাবেক বিচারপতি মানিক ৬ হত্যা মামলায় গ্রেফতার
আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রো বন্ধ, দুর্ভোগ চরমে
মার্কিন বিমান পর্যবেক্ষণের জন্য তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান
নিলামে উঠবে স্বৈরাচার আমলের ৪৪ এমপির গাড়ি
ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে মায়ের মৃত্যু
এবার থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে তৈরি হচ্ছে ধাতুর যন্ত্রাংশ
বিক্ষুব্ধ জনতার ভয়ে দীপু মনিকে চাঁদপুর আদালতে আজ হাজির করা হচ্ছে না
আর্জেন্টিনা কোচের দায়িত্ব যে কারণে ছাড়তে চেয়েছিলেন স্কালোনি
৫ বছরের বড় ব্রাজিলিয়ান মডেলকে বিয়ে করলেন এনদ্রিক
ডিএসসিসির সাবেক কাউন্সিলর ফেরদৌস গ্রেফতার
স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় বন্ধুকে খুন
১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত
কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ গ্রেফতার
যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতার মৃত্যু
২৩ দিন পর বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান উদ্ধার