খ্রিষ্টীয় নববর্ষে নবপ্রত্যাশা
০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ এএম
আজ পয়লা জানুয়ারি, খ্রিস্টীয় ২০২৫ সালের প্রথম দিন। শুভ নববর্ষ। প্রথম দিনের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কালের গর্ভে হারিয়ে গেলো আরো একটি বছর। এমন এক সময় নববর্ষ শুরু হচ্ছে, যখন গণঅভ্যুত্থানে নিকৃষ্টতম ও নিষ্ঠুর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার আত্মদান এবং ত্রিশ হাজারের বেশি চিরতরে অন্ধ ও পঙ্গু হয়ে যাওয়া এক রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। দেশ এক নতুন স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে। আজ যে সূর্য উঠেছে, তা এক নতুন সূর্য। এ সূর্যের আলোয় দেশের মানুষ আলোকিত হয়েছে। এক মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে দেশের মানুষ নববর্ষ উদযাপন করছে। তারা নির্ভয়ে, মুক্তভাবে কথা বলতে পারছে, সমৃদ্ধ ও শান্তির জন্য নতুন করে ভাবতে পারছে, যা বিগত প্রায় ১৬ বছর করতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে জনগণের উপর স্টিম রোলার চালিয়ে, খুন, গুম, জেল-জুলুম, হামলা-মামলাসহ হেন কোনো নির্যাতন নেই যা করেনি। মানুষকে জিম্মি করে, তাদের চিন্তাশক্তিকে ভয়ের চার দেয়ালে আবদ্ধ করে রেখেছিল। শেখ হাসিনা নিজে, তার পরিবার এবং দলের নেতাকর্মী ও দোসরদের মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার ও লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া করে গেছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রীয় মৌলিক কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মগের মুল্লুককে হার মানিয়ে দেশকে হাসিনামুল্লুকে পরিণত করেছিল। দেশকে কারাগারে পরিণত করে মানুষকে বন্দি করে রেখেছিল। দেড় দশকের বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হতে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ‘স্ফুলিঙ্গ’ হয়ে ওঠে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ তাদের এই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে জীবনবাজি রেখে এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনর পতন ঘটায়। তিনি জীবন নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শাসনের যেমন অবসান হয়েছে, তেমনি ভারতীয় আধিপত্যবাদেরও বিদায় ঘটেছে। ছাত্র-জনতার বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নিপীড়নের স্বীকার নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। যাত্রা শুরু হয়েছে এক নতুন বাংলাদেশের।
বছরটি শুরু হয়েছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দেড় দশকের ধারাবাহিক স্বৈরশাসনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ৭ জানুয়ারির পাতানো ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হতাশা, বঞ্চনা ও দুর্বিষহ জীবনের আরও পাঁচটি বছর শুরু হয়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কবল থেকে বের হওয়ার আশার কোনো আলোই মানুষের সামনে ছিল না। অকুতোভয়, নির্ভিক ছাত্র সমাজ, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীনতা পরবর্তী ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই ধারাবাহিকতায় ২৪-এর জুন-জুলাইয়ে তারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। ছাত্র-জনতা হাসিনার প্রশিক্ষিত বাহিনীর বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। তারা জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে। তবু মাথা নোয়ায়নি। আবু সাইদ, মুগ্ধ, ইয়ামিনের মতো শিক্ষার্থীরা ইতিহাসে শহীদের মর্যাদা পেয়েছে। এই অভ্যুত্থান ‘রক্তাক্ত জুলাই’ ও ‘বর্ষা বসন্ত’ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। এমন এক অবিস্মরণীয় গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নিয়েছেন। সারাবিশ্ব তাঁকে অকুণ্ঠচিত্তে অভিনন্দিত করেছে। জাতিসংঘ থকে শুরু করে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশ, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবিসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলো হাসিনার ধ্বংস করে যাওয়া অর্থনীতি পুনর্গঠনে তাঁকে সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ নয়। দায়িত্ব নেয়ার পরপরই হাসিনা ও মোদির যৌথ প্রযোজনায় জুডিশিয়াল ক্যু, পুলিশ বিদ্রোহ, আনসার বিদ্রোহ, গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন, সংখ্যা লঘু নির্যাতন কার্ডসহ নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলায়। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। ছাত্র-জনতার সহযোগিতায় এসব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সরকার সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করেছে। সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারত সরকার ও তার মিডিয়ার অপপ্রচার এবং মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের জবাব দৃঢ়তার সাথে দিয়েছে। ভারতের প্রতি হাসিনার নতজানু পররাষ্ট্র নীতির পরিবর্তে দৃঢ় পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করেছে। ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলেছে এবং বলছে। সমতাভিত্তিক পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নীতি অনুসরণ করে চলেছে। বাংলাদেশের মানুষ আজ মুক্ত, স্বাধীন। তারা মন খুলে কথা বলতে পারছে, নিরাপত্তা পাচ্ছে। জেলখানায় বিনামূল্যে তিনবেলা খেতে পারলেও মানুষ সেখানে থাকতে চায় না। তারা মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে না খেয়ে হলেও থাকতে চায়। হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে মানুষ এখন সেই পরিবেশে রয়েছে। তবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দেশি-বিদেশি দোসররা রয়ে গেছে। লুট করা বিপুল অর্থ ও অস্ত্র তাদের হাতে রয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে, তারা এখন এগুলো নিয়ে গর্ত থেকে মুখ বের করছে। হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। প্রশাসনসহ সর্বত্র ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব মোকবেলা করতে না পারলে সরকারকে সংকটে পড়তে হবে। এজন্য রাজনৈতিক দলসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। সবকিছু সামলে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় ও সহযোগিতা অপরিহার্য। ইতোমধ্যে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো সরকারকে সময় ও সহযোগিতা দেয়ার কথা বলেছে। তারা সরকারকে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথাও বলছে। এ ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা সমীচীন নয় বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম মূল বিষয় ছিল রাষ্ট্র সংস্কার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আদালত, সংবিধান, দুর্নীতি দমন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। এ মাসের মধ্যে কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। সেসব কমিশনের মধ্যে হাসিনার সময়ে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি এবং গুম কমিশন ইতোমধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দুর্নীতির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার হয়েছে। গুম কমিশনের প্রতিবেদনে যেসব ঘটনা উঠে এসেছে, তাতে হাসিনার নির্মম ও নিষ্ঠুরতায় মানুষ শিউরে উঠেছে। ইতোমধ্যে হাসিনা ও তার দোসরদের নিষ্ঠুরতা ও গণহত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং তাদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, এ বছরের মধ্যেই বিচারকাজ শেষ করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করা হবে। পিলখানা হত্যাকা- নিয়ে কমিশন গঠিত হয়েছে। শাপলা চত্ত্বর হত্যাকা-, পনের বছরে গুম-খুনের বিচারও শুরু করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সুশাসন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ এসেছে, তা কাজে লাগানোর এটাই সর্বোত্তম সময়। এজন্য সামগ্রিক সংস্কার প্রয়োজন এবং এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল ও সচেতন মহলকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা ও সময় দিতে হবে।
নতুন বছরে বিগত বছরের সাফল্য-ব্যর্থতা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ করা একটা রেওয়াজ। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের পথনকশা তৈরি করার জন্যই এটা অপরিহার্য। এ বছর আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিদায় এবং নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ছয় মাসের দ্বারপ্রান্তে। এ সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের মধ্যে অনর্জিত বিষয়ও রয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সময় থেকে শুরু হওয়া সাধারণ মানুষের দুর্বিষহ জীবনযাপন সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হয়নি। নিত্যপণ্যের মূল্য অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। মানুষের নাভিশ্বাস চলছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। টিসিবির পণ্যের জন্য দরিদ্র, নি¤œ ও মধ্যবিত্তের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। মানুষের হাতে টাকা নেই, আয়ের সাথে ব্যয় সংকুলান করতে পারছে না, গার্মেন্টসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক-কর্মকর্তা ছাঁটাই হচ্ছে, বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতা হু হু করে বাড়ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সাধারণ মানুষকে ভালো রাখার ওপর সরকারের সাফল্য নির্ভর করে। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য ম্লান হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবন সহজ করার জন্য এদিকে সরকারে দ্রুত মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। অর্থনীতি যে গতিতে ধাবিত হওয়ার কথা, সে গতিতে এগুচ্ছে না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের খরা অব্যাহত রয়েছে। রিজার্ভ ও র্যামিটেন্স বাড়লেও তার ইতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে না। রাষ্ট্রের সংস্কার কাজ করতে গিয়ে মানুষের দুর্বিষহ জীবনযাপনের বিষয়টি উপেক্ষো করলে চলবে না। তাদের স্বস্তি দেয়ার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র, সুশাসন, নির্বাচনসহ রাষ্ট্রের সকল সিস্টেম সুসংহত করার গুরু দায়িত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের উপর পড়েছে। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবিক মর্যাদা, সমতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করতে সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক ও আন্তরিক সহযোগিতা করবে, নতুন বছরে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আগামী দিনগুলো সকলের জন্য শুভ, কল্যাণময় ও নিরাপদ হোক, এই কামনা করি। খ্রিস্টীয় নববর্ষের এই দিনে আমরা পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি
সবার ঐক্যমতে দ্রুতই হবে ডাকসু নির্বাচন : ঢাবি ভিসি
ডলার বেচাকেনায় ব্যবধান ১ টাকার বেশি নয়
আবুবকর সরকার সভাপতি তুহিন হোসেন সাধারণ সম্পাদক
পীর ইয়ামেনী মসজিদের ইমাম মাওলানা এমদাদুলের ইন্তেকাল
খতমে নবুওয়ত না মানলে ঈমান থাকবে না
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অহেতুক বিতর্ক না করে দ্রুত নির্বাচন দিন
পান্থকুঞ্জে গাছ রক্ষা আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ সমাবেশ
রেলপথে দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়তি সতর্কতা
ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার উপায় জানালো এসিইডিবি
রাজনীতিতে অশুভ বিভাজনের পদধ্বনির আভাস পাওয়া যাচ্ছে
২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের নিলাম মঙ্গলবার
ঢাবি আইবিএ’র বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
দিন-দুপুরে ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে স্বর্ণের দোকানে চুরি
হাসিনাকে নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন সোহেল তাজ
সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে ঝগড়া বন্ধ করুন: মজিবুর রহমান মঞ্জু
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে
পাঠ্যবইয়ে হান্নান-সেজানের সাহসিকতার গল্প
সিলেট সীমান্তে ১ বছরে ৭ বাংলাদেশিকে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হল হাফ ম্যারাথন