সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও সম্মান বজায় রাখা জরুরি

Daily Inqilab ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এইচ আর এম রোকন উদ্দিন, পিএসসি

২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৩০ এএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৩০ এএম

যখন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্বার্থে এক কৌশলগত পদক্ষেপ, ঠিক সেই সময়েই দেশে হঠাৎ করে নানা অস্থিরতা ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ঘটনাবলী কাকতালীয় নয়। এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা এবং সেনাপ্রধানকে লক্ষ্য করে সমন্বিতভাবে আক্রমণ শুরু হয়েছে। আমাদের জাতীয় সেনাবাহিনী, যারা আমাদের সার্বভৌমত্বের রক্ষক, আজ মিডিয়া এবং সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক অপপ্রচারের মুখে পড়ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সফর কে বিঘিœত করতে চায়? কে চায়, বাংলাদেশকে বিভ্রান্তির মধ্যে ঠেলে দিতে? কাদের লাভ হচ্ছে এই বিশৃঙ্খলায়? উত্তরটি সুস্পষ্ট এবং উদ্বেগজনক।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা নিছক রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা নয়। এটি একটি সুপরিকল্পিত ও বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র, যার মূল লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে এক বা একাধিক বিদেশি শক্তি, যারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কূটনৈতিক অবস্থান এবং ভৌগোলিক গুরুত্বকে হুমকি হিসেবে দেখছে।

বাংলাদেশ যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করছে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মিত্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আত্মনির্ভরশীলতা গড়ে তুলছে, তখনই এসব বৈরী শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের লক্ষ্য পরিষ্কার: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করা এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাঠামোকে ভেঙে ফেলা।

এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য তারা নিচ্ছে নানা ঘৃণ্য কৌশল। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ভুয়া খবর ছড়ানো, যাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয় এবং রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা হারায়। মনগড়া ও কৃত্রিম ভিডিও তৈরি করে সেনাবাহিনীর ভাবমর্যাদা নষ্ট করা। সামাজিক মাধ্যমে গুজব ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানো, যাতে জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়। নেতৃত্বশূন্যতা বা ব্যর্থতা প্রমাণে প্রচার চালানো, যাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল দেখানো যায়। এই কৌশলগুলোর লক্ষ্য শুধুমাত্র সরকারকে বিব্রত বা বদনাম করা নয়। বরং তারা দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। কেন? কারণ তারা জানে, সেনাবাহিনী হলো, দেশের সবচেয়ে সংগঠিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং জনআস্থার প্রতিষ্ঠান। যখন অন্য সবকিছু ব্যর্থ হয়, তখন সেনাবাহিনীর ওপরই জাতি নির্ভর করে। তাই সেনাবাহিনীর ভাবমর্যাদা নষ্ট করে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায় এবং একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পেছনে যে অপশক্তিগুলো কাজ করছে, তাদের উদ্দেশ্য কেবল একটি সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করা নয়, তাদের প্রকৃত লক্ষ্য হলো, জাতির ভিত্তি, সংহতি, ও সার্বভৌম অস্তিত্বকে ধ্বংস করা। কারণ তারা জানে, সেনাবাহিনী হলো সেই প্রতিষ্ঠান, যা সংকটের সময়ে জাতির শেষ আশ্রয়, সর্বোচ্চ আস্থা ও প্রতিরোধের প্রতীক। তারা যেভাবে ষড়যন্ত্র সাজাচ্ছে, তা অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও কৌশলগত। সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে তার নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বে প্রশ্ন তুলছে, বাহিনীর নেতৃত্বের উপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তিগত আক্রমণ করে সৈনিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, অভ্যন্তরীণভাবে দ্বন্দ্ব ও বিভক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে ঐক্য বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে সর্বোপরি, বাহিনী ও জনগণের পারস্পরিক আস্থা নষ্ট করে একটি ‘বিশ্বাসহীন রাষ্ট্র’ তৈরি করতে চাইছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে এর প্রভাব শুধু সেনাবাহিনীর গঠনতন্ত্রে নয়, বরং সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্রেই বিশৃঙ্খলা ও ভাঙন সৃষ্টি করবে। এর ফলাফল হতে পারে বহুমাত্রিক ও দীর্ঘস্থায়ী। (১) দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর চরম আঘাতঃ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে দিলে দেশকে রক্ষা করার ক্ষমতা ব্যাহত হবে। আমাদের চারপাশে যে ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে, সেখানে শক্তিশালী সেনাবাহিনী ছাড়া কোনো দেশ নিরাপদ নয়। যদি বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ে কিংবা আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সে নিজেই দুর্বল হয়ে যায়, তবে বাইরের শক্তিগুলো সহজেই সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে পারে। (২) জাতীয় সংহতির অবসানঃ সেনাবাহিনী কেবল একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী নয়, এটি একটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। সব অঞ্চল, ধর্ম, ভাষা ও সম্প্রদায়ের মানুষ এই বাহিনীতে কাজ করে। যদি এই বাহিনীকেই বিভাজনের টার্গেট করা হয় এবং জনগণ তার প্রতি অবিশ্বাসে ভোগে, তবে জাতিগত বিভক্তি, আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং বিদ্বেষমূলক রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। জাতীয় সংহতি ভেঙে গেলে দেশ জাতি হিসেবে টিকবে না। (৩) সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থবিরতাঃ একটি অস্থির রাষ্ট্রে কখনোই অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। যখন সেনাবাহিনী নিয়ে বিতর্ক, দোষারোপ আর জনমনে দ্বিধা জন্মায়, তখন সামগ্রিকভাবে সমাজে অস্থিরতা, ভীতিকর পরিবেশ এবং অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। বিনিয়োগকারীরা পিছিয়ে যায়, উন্নয়ন থমকে দাঁড়ায়, এবং রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্র ক্রমশ চরম স্থবিরতার মুখে পড়ে। (৪) বিদেশি হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টিঃ সবচেয়ে ভয়ংকর পরিণতি হলো—বিদেশি শক্তির প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ। যখন একটি রাষ্ট্র দুর্বল, বিভক্ত এবং নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে, তখন বাইরের শক্তিগুলো নিজেদের স্বার্থে হস্তক্ষেপ করতে দ্বিধা করে না। এই হস্তক্ষেপ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা সামরিক যেকোনো রূপ নিতে পারে। একবার যদি বিদেশি প্রভাব ঢুকে পড়ে, তাহলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।

এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হলে আমাদের জাতীয়ভাবে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রতি সম্মান ও আস্থা বজায় রাখতে হবে, গুজব ও অপপ্রচারকে কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে, রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণায় যারা অংশ নিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং প্রত্যেক নাগরিককে জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দায়িত্ববান হতে হবে। জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী ও জনগণের সম্পর্ক একটি অমূল্য শক্তি। এই সম্পর্ককে যে বা যারা ভাঙতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য দেশবিরোধী। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম হতে হবে সুসংগঠিত, গণভিত্তিক ও বিবেকসম্পন্ন। জাতির শক্তি তার ঐক্যে এবং সেই ঐক্যের মূল স্তম্ভ হলো সেনাবাহিনী ও জনগণের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। এই বন্ধন রক্ষা করুন দেশকে রক্ষা করুন। বিরোধীদের কৌশলের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো, তারা বিদেশি শক্তির হয়ে কাজ করছে, কিন্তু তাদের চরিত্র দেশীয়। তারা বাংলাদেশের ভেতরেই বসে, পরিচিত মুখে, পরিচিত অবস্থান থেকে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইউটিউব, এমনকি কিছু সংবাদপত্র, সবজায়গাতেই কিছু সুবিধাভোগী এবং বিশ্বাসঘাতকরা সক্রিয়।

তাদের উদ্দেশ্য হলো, ধীরে ধীরে মানুষের মনে সন্দেহ, হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করে এমন একটি অবস্থা তৈরি করা, যেখানে সেনাবাহিনী আর জনগণের চোখে আস্থার প্রতীক না থাকে। যদি এই সম্পর্ক ভেঙে পড়ে, তবে তা হবে জাতির জন্য সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। সতর্ক না হলে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বোচ্চ রক্ষাকবচকে দুর্বল করে ফেলব। এটা শুধু ষড়যন্ত্র নয়, এটা এক অঘোষিত যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আমাদের সবার আগে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দুর্যোগ মোকাবিলা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষায় সর্বদা জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। প্রতিটি সংকটময় সময়ে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশের জন্য কাজ করেছে। কিন্তু আজ সেই সম্পর্ককে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা চলছে।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যখন একটি দেশের সেনাবাহিনী জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তখন রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে যায়, অবিশ্বাস ও বিশৃঙ্খলা জন্ম নেয়। সেনাবাহিনী যদি জনগণের সমর্থন হারায়, অথবা জনগণ যদি সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা হারায়, তাহলে জাতিকে খুব বিপজ্জনক পথে ঠেলে দেওয়া হয়, যার পরিণতি মারাত্মক। এখনই সময় জাতীয় সচেতনতার, বিভ্রান্তির নয়। আমাদের গুজবের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন যুদ্ধের মাঠ, এখানে আমাদের বিবেক, তথ্য যাচাই ও সচেতনতা হচ্ছে প্রধান অস্ত্র। আমাদের এগুলো ব্যবহার করতে হবে দায়িত্বশীলভাবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সেনাবাহিনীর সম্মান রক্ষা করতে, বিদেশি ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে, সঠিক তথ্য প্রচার করতে এবং সামরিক বাহিনী ও জনগণের সম্পর্ক অটুট রাখতে। কারণ, জনগণই সেনাবাহিনীর শক্তি, আর একটি পেশাদার ও বিশ্বস্ত সেনাবাহিনীই দেশের রক্ষাকবচ।

আমরা যখন বাইরের শত্রুদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করছি, তখন আমাদের ভেতরকার বিশ্বাসঘাতকদেরও চিহ্নিত করতে হবে। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়ায়, বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হয় অথবা দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা দেশের ভিতরে থেকেই শত্রুর কাজ করছে, তারা সবচেয়ে বিপজ্জনক। তাদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে, আইনের আওতায় আনতে হবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। সেনাবাহিনী একা কিছু করতে পারে না। জনগণের আস্থা, সমর্থন ও ঐক্যই সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। বিভাজনের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

নারীর নিরাপত্তা সংকট
ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য
স্বৈরশাসক হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে ‘রবার ব্যারনদের’ দবদবা
পবিত্র ঈদুল ফিতর
নিয়ন্ত্রিত হোক গাড়ির গতি
আরও
X

আরও পড়ুন

এমবাপের জোড়া গোলে রিয়াল মাদ্রিদের জয়

এমবাপের জোড়া গোলে রিয়াল মাদ্রিদের জয়

দোষী প্রমাণিত হলে কি শাস্তি হতে পারে আনচেলত্তির?

দোষী প্রমাণিত হলে কি শাস্তি হতে পারে আনচেলত্তির?

আনুষ্ঠানিক বন্ধ ইউএসএআইডি

আনুষ্ঠানিক বন্ধ ইউএসএআইডি

৯৫ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেনি থাইল্যান্ড

৯৫ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেনি থাইল্যান্ড

রাজতন্ত্রের দাবিতে নেপালে বিক্ষোভ সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ নিহত ২

রাজতন্ত্রের দাবিতে নেপালে বিক্ষোভ সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ নিহত ২

ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদে ৩০০ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদে ৩০০ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

নালিতাবাড়ীতে ৯৫ ড্রেজার ধ্বংস কারাদণ্ড ৩ জন কে

নালিতাবাড়ীতে ৯৫ ড্রেজার ধ্বংস কারাদণ্ড ৩ জন কে

ডিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপকে কাজে লাগাতে পারে পেন্টাগন

ডিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপকে কাজে লাগাতে পারে পেন্টাগন

‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের জাতি ক্ষমা করবে না’

‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের জাতি ক্ষমা করবে না’

নাটক প্রেম ভাই

নাটক প্রেম ভাই

নাটক লাস্ট উইশ

নাটক লাস্ট উইশ

ঈদে সায়েরা রেজার নতুন গান

ঈদে সায়েরা রেজার নতুন গান

ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে অপার্থিবের প্রথম অ্যালবাম আবছা নীল কণা

ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে অপার্থিবের প্রথম অ্যালবাম আবছা নীল কণা

নগরকৃষকদের নিয়ে কৃষকের ঈদ আনন্দ

নগরকৃষকদের নিয়ে কৃষকের ঈদ আনন্দ

হানিফ সংকেতের ঈদের নাটক ‘ঘরের কথা ঘরেই থাক’

হানিফ সংকেতের ঈদের নাটক ‘ঘরের কথা ঘরেই থাক’

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়াল

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়াল

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত থাইল্যান্ডের রাস্তায় সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত থাইল্যান্ডের রাস্তায় সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী

তালেবানের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা পাকিস্তান সেনার, নিহত ১১

তালেবানের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা পাকিস্তান সেনার, নিহত ১১

বিক্রি হয়ে গেল এক্স, দাম উঠল ৩,৩০০ কোটি ডলার, কিনল কে?

বিক্রি হয়ে গেল এক্স, দাম উঠল ৩,৩০০ কোটি ডলার, কিনল কে?

চপলকে নিয়ে এ কেমন নাটক এনএসসির?

চপলকে নিয়ে এ কেমন নাটক এনএসসির?