নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে

Daily Inqilab ড. মো. কামরুজ্জামান

২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব পাবার পর তাঁর সরকার দেশ পুনর্গঠনে পর্যায়ক্রমে মোট ১৩টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন। এসব সংস্কার কমিশনের মধ্যে অন্যতম হলো নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। এ কমিশন গত ১৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ৩১৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে ১৭টি অধ্যায়ে ৪৩৩টি সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পূর্ণাঙ্গভাবে এখনো জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়নি। গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত মোটা দাগের কয়েকটি বিষয় সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত এ প্রতিবেদন নিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। গভীর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, দেশের সামাজিক রীতিনীতি, বিধি-বিধান ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে অশ্রদ্ধা করেই এ সুপারিশগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বাস্তবতাবিবর্জিত এবং পশ্চিমা চিন্তার অন্ধ অনুকরণেরই প্রতিফলন। প্রতিবেদনের অনেক সুপারিশ ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেই প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশেষত ইসলাম ধর্মের বিধান ও রীতিনীতিকে সামাজিক উন্নয়নের ‘বাধা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যে দেশের সংবিধানের শুরুতে ইসলামের মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে ইসলামী পারিবারিক আইন দীর্ঘদিন ধরে সমাজে কার্যকর রয়েছে, যা সামাজিক স্থিতিশীলতার অন্যতম স্তম্ভ। প্রস্তাবিত সুপারিশে এই স্তম্ভ ভেঙে দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের উন্নয়নের নামে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বগত পার্থক্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ইসলামের উত্তরাধিকার আইন, তালাক ও খোরপোষ বিষয়ক প্রস্তাবগুলোকে সামাজিক উন্নয়নের প্রতিবন্ধক বলে উল্লেখ করেছে, যা স্পষ্টত ইসলামী পারিবারিক আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। সুতরাং কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত বিষয়টি ইসলামকে অবজ্ঞা করে প্রণয়ন করা হয়েছে। ধর্মীয় বিধানকে ব্যাকডেটেড মনে করা হয়েছে। ফলে প্রকাশিত এ ফলাফল দেশের সকল ধর্মের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের কারণে জনমনে অস্থিরতা ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেদনে খামাখাই একজন নারীকে একজন পুরুষের শত্রুরূপে চিত্রায়ন করা হয়েছে। নারীকে পুরুষের ‘প্রতিযোগী’ ও ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে উপস্থাপন করে সমাজে পুরুষবিদ্বেষ প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ, নারী এবং পুরুষ একে অপরের প্রতিযোগী কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং সৃষ্টিগতভাবে তারা একে অপরের ‘সহযোগী’ ও পরিপূরক’। আমাদের সমাজ জীবন তার বাস্তব উদাহরণ। দেশের প্রত্যেকটি সংসারে বাবা এবং মাকে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা প্রতিযোগী হিসেবে দেখি না। আমরা দেখি বাবা-মা একে অপরের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে। সন্তানের পরম কল্যাণকামী। বাবা-মা দুজনেই তাদের জন্য আত্মোৎসর্গকারী। প্রস্তাবিত এ সুপারিশ এ পরম শান্তির সংসারের মূলে কুঠারাঘাত করেছে। তারা প্রতিবেদন তৈরির সময় গ্রাম বাংলাকে উপেক্ষা করেছে। ফলে বাংলাদেশের সামাজিক ভারসাম্যের জন্য এ প্রতিবেদন মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। মূলত এই সুপারিশ পাশ্চাত্য সভ্যতাকে অনুসরণ করেই প্রণয়ন করা হয়েছে।

আমরা সকলেই জানি যে, ইউরোপ, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়াতে পারিবারিক কাঠামো বলতে কিছুই নেই। নারীকে পুরুষের সামনে প্রতিযোগী হিসেবে দাঁড় করানোর কারণেই তাদের সমাজে পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কমিশন এখন সেটাই বাংলাদেশে আমদানি করতে চাইছে। মূলত তারা নারীকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে, ‘স্বাধীনতা’র নামে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত করে মা, স্ত্রী, কন্যা ইত্যাদি পরিচিতিগুলোর বিলোপ চাইছে, যা বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। পাশ্চাত্যের পৃথিবীতে ছেলে কিংবা মেয়ে যখন ১৮ বছর বয়সে উপনীত হয় তখন তারা স্বাধীনভাবে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ উপলক্ষে বাবা-মা একটা বড় পার্টির আয়োজন করে। আনুষ্ঠানিকভাবে ওই সন্তানটি পরিবার ছেড়ে চলে যায়। মূলত বাংলাদেশে বিশেষ একটি মহল বহুদিন ধরে এ জাতীয় কালচার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাদের এ প্রচেষ্টা নতুন নয় বরং বহুদিনের। ড. ইউনূস সরকারের আমলে তারা এটি তাকে দিয়েই বাস্তবায়ন করাতে চায়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন তৈরির পিছনে দেশের একটি ‘সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক’ প্রবলভাবে কাজ করেছে। দেশে একটি ‘সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক’ নামের অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে এসোসিয়েশনের সভানেত্রী হিসেবে আলেয়া আক্তার লিলির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রণয়নে এ সভানেত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করেছে। এ কমিশন তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এই অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য হলো, বাংলাদেশের সংবিধান ১৮ বছর বয়সী যে কোনো নারী এবং পুরুষকে ইচ্ছামত তাদের পেশা বেছে নেওয়ার অধিকার দিয়েছে। এই অধিকার বলে আমরা যৌন পেশাকে বেছে নিয়েছি। তাদের দাবি অনুযায়ী দেশে প্রায় দুই লাখ যৌনকর্মী রয়েছে। খোলাসা করে বললে তাদেরকে পতিতা বা বেশ্যা বলে অভিহিত করা যায়। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী বাংলাদেশের সংবিধান তাদেরকে যৌন পেশার বৈধতা দিয়েছে। সুতরাং তারা এদেশের শ্রমিক হিসেবে গণ্য হবে এবং শ্রমিক হিসেবে তাদের সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে!

প্রতিবেদনটিতে স্পষ্টভাবে নারীবাদী (ফেমিনিস্ট) চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়। যেখানে পুরুষকে নারীর অধিকার ‘হরণকারী’ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে এবং নারীর উন্নয়ন বলতে বোঝানো হয়েছে পুরুষের ভূমিকাকে পিছনে ফেলে নারীর সামনে এগিয়ে যাওয়া। অথচ, ইসলাম নারীকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়, বরং নিজ নিজ ভূমিকায় সেরা হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। নারীর শিক্ষা, কর্ম, নিরাপত্তা, সম্পত্তির মালিকানাÑ সবকিছুই ইসলামে নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু তারা এখানে ধর্মকে পাশ কাটিয়ে পাশ্চাত্য কালচারকে আমদানি করতে চাইছে।

প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে নারীবাদী মতবাদকে নীতির মূলে বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা পুরুষবিদ্বেষ ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিরই বহিঃপ্রকাশ। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সংসদীয় আসন ৬০০টিতে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে এবং ৩০০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণ রাখতে বলা হয়েছে।

সবশেষে বলবো, কমিশনটি ১০ জন নারীর সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে ধর্মবিদ্বেষের অভিযোগ রয়েছে। তারা সকলেই ধর্মহীনতাকেই প্রমোট করে। যে দেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম, সেই মুসলিমদের বিশ্বাস এবং চিন্তার প্রতিনিধিত্ব তারা করে না। তাদের অনুসৃত কতিপয় নারীবাদীর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে, যেখানে অধিকাংশ মানুষের চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি। সুতরাং রিপোর্টটি বাস্তবতা বিবর্জিত এবং একপেশে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, ধর্ম ও গণবিরোধী এ প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে। সম্পূর্ণ প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ পেলে দেশে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ছাত্র রাজনীতি কেন প্রয়োজন
বজ্রপাত : প্রয়োজন পর্যাপ্ত সতর্কতা
অন্তর্বর্তী সরকার কি জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে?
করিডোর ও বন্দর নিয়ে সরকারের দ্বিচারিতা
রাষ্ট্রে জননিরাপত্তা জোরদার করতে হবে
আরও
X

আরও পড়ুন

ইন্ডিয়া যা চায়, 'র' বাংলাদেশে সেটাই বাস্তবায়ন করতে চায় : সৈয়দ ফয়জুল করীম

ইন্ডিয়া যা চায়, 'র' বাংলাদেশে সেটাই বাস্তবায়ন করতে চায় : সৈয়দ ফয়জুল করীম

ঈশ্বরগঞ্জে মগটুলা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঈশ্বরগঞ্জে মগটুলা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইউএনও'র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বাউফল

ইউএনও'র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বাউফল

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নিন্দা

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নিন্দা

জকিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এসএসসি ফলপ্রার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু

জকিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এসএসসি ফলপ্রার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু

ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে কিশোরগঞ্জে যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনু‌ষ্ঠিত

ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে কিশোরগঞ্জে যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনু‌ষ্ঠিত

দেশ অত্যন্ত সংকটের মধ্যে রয়েছে, কখন কি হয়ে যায় সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে: ড. আসাদুজ্জামান রিপন

দেশ অত্যন্ত সংকটের মধ্যে রয়েছে, কখন কি হয়ে যায় সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে: ড. আসাদুজ্জামান রিপন

চা শ্রমিকদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনমান উপযোগী মজুরি ঘোষণার দাবী জানালো বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন

চা শ্রমিকদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনমান উপযোগী মজুরি ঘোষণার দাবী জানালো বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন

কুবি শিক্ষক আনিছের বিরুদ্ধে ফের পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

কুবি শিক্ষক আনিছের বিরুদ্ধে ফের পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

মানুষের স্বপ্ন ফিকে হতে দেবেন না: হেফাজত

মানুষের স্বপ্ন ফিকে হতে দেবেন না: হেফাজত

শেরপুরে মেধা ও যোগ্যতায় কনস্টেবল পদে চাকুরি পেল ১৯ জন

শেরপুরে মেধা ও যোগ্যতায় কনস্টেবল পদে চাকুরি পেল ১৯ জন

জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান শিবিরের

জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান শিবিরের

আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের স্ট্যাটাস ভাইরাল, কার নাম আছে?

আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের স্ট্যাটাস ভাইরাল, কার নাম আছে?

গোপনে বিয়ে করা স্ত্রীকে জোরপূর্বক অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার পর তাকে আবার ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে।

গোপনে বিয়ে করা স্ত্রীকে জোরপূর্বক অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার পর তাকে আবার ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে।

বিভাজনের উর্ধে উঠে  দায়িত্বশীল  ও সতর্ক আচরণ করতে হবে  ঃ  পীর সাহেব চরমোনাই

বিভাজনের উর্ধে উঠে দায়িত্বশীল ও সতর্ক আচরণ করতে হবে ঃ পীর সাহেব চরমোনাই

কাল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে

কাল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে

উখিয়ায় বনবিভাগের অভিযানে মাটি ভর্তি অবৈধ ট্রাক জব্ধ করে উদ্ধার

উখিয়ায় বনবিভাগের অভিযানে মাটি ভর্তি অবৈধ ট্রাক জব্ধ করে উদ্ধার

জটিলতা সৃষ্টি করে সরকারের মান-অভিমান গ্রহণযোগ্য না: আনু মুহাম্মদ

জটিলতা সৃষ্টি করে সরকারের মান-অভিমান গ্রহণযোগ্য না: আনু মুহাম্মদ

ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি, তবে করলে বিকল্প বেছে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

ড. ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি, তবে করলে বিকল্প বেছে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে

আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে