রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য
৩০ মার্চ ২০২৩, ০৮:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৬ এএম
রমজান মাস আসলেই আমাদের মধ্যে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কষ্ট পান। এই সময় মূলত অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, গোশতজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হয়। রোজার সময় পানি কম খাওয়া কিংবা আঁশজাতীয় খাবার কম খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। অথচ সামান্য কিছু বিষয় মেনে চললেই রোজার সময় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
রমজানে অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। সারা দিন পানিসহ তরলজাতীয় খাবার না খাওয়ায় প্রায় সব রোজাদারেরই কম বেশী কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এর ফলে দেখা দেয় পায়ুপথের বিভিন্ন রোগ। বিশেষ করে পাইলস ও এনাল ফিসার রোগ দুটিতে রোজাদাররা বেশি কষ্ট পেয়ে থাকেন। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার কারণে অনেকেই চাপ দিয়ে মলত্যাগ করেন। এই কারণে মলত্যাগের সময় মলদ্বারের রক্তনালি ফুলে গিয়ে ছিঁড়ে যায়। এতে অনেক রক্তপাত হতে পারে। শক্ত মলের কারণে মলদ্বারও ছিঁড়ে যেতে পারে। ফলে অল্প রক্তপাত ও তীব্র ব্যথা শুরু হয়। ব্যথার জন্য রোগী কোনো কাজ ঠিকমত আর করতে পারেন না। মলত্যাগের সময় রক্তপাত হলে রোজা ভেঙে যায়। তীব্র ব্যথার কারণে আবার অনেক সময় রোগীকে রোজা ভেঙে ফেলতে হয়। রোগী চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর রোজা আর রাখতে পারবেন কিনা এই ধরণের নানা চিন্তা মাথায় আসে। ফলে অনেকেই রমজানে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে যান।
রোজার সময় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বেঁচে থাকতে প্রচুর পানি ও তরল খাবার খান। ইফতারিতে প্রচুর পানি, সরবত খেতে হবে। ইফতারিতে ফলের জুস পান করলে উপকার হবে। তবে বাজারের প্যাকেটজাত জুস থেকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। এগুলো বেশীরভাগ ক্ষেত্রে উপকারের চেয়ে অপকারই করে বেশি। ফলের জুস ছাড়া তাজা ফল খেলে উপকার বেশী হবে। ইফতারের পরেও তরল খাবার আবার খেতে পারেন।
আঁশযুক্ত খাবার রোজার সময় বেশী করে খেতে হবে। আটা, ছোলা, শাকসবজি, ফলে আঁশ বেশী থাকে। এসব বেশি করে খেতে হবে। কিছু খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়। এসবের মধ্যে আছে চিনি, মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি, এবং চকলেট। এসব খাবার রোজার মাসে কম খেতে হবে। রোজার সময় খেজুর খেতে সবাই পছন্দ করেন। খেজুরে প্রচুর আঁশ থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। রোজা আসলেই ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এসব খাবার মুখরোচক হলেও নানা সমস্যা করে। ভাজা পোড়া যথাসম্ভব কম খেতে হবে। সারা বছর তো বটেই বিশেষ করে রোজার সময় নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস করতে হবে। তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা কমে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য এর পরেও দূর না হলে পায়খানা নরম করার ওষুধ যেমন ল্যাকটুলোজ খাওয়া যেতে পারে। তবে যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যকে অবহেলা করা যাবেনা। সাধারণত যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাদের পরবর্তীতে পাইলস সহ মলদ্বারের নানারকম সমস্যা হবার সম্ভাবনা থাকে। তবে কোষ্ঠকাঠিন্যতার ভয়ে রোজা ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাই যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো সেসব বিষয় মেনে চলতে হবে। তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি আরামদায়ক ভাবে আমরা প্রতিটি রোজা পালন করতে পারব।
ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এসবির প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে গোলাম রসুলকে
পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার
বাংলাদেশের সীমান্তে ১৬০টি জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত : রিজভী
সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
মোক্ষম চাল রাশিয়ার
লুকিয়ে পাথর লুঠে যেয়ে সিলেটে এক শ্রমিকের মৃত্যু !
বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়া গ্রেফতার
ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা পান্ডে গ্রেপ্তার
খুশদিল ঝড়ে খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল রংপুর
টানা ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার জবি শিক্ষার্থীদের
যাদের চিন্তাধারায় গড়ে উঠেছে পাশ্চাত্য জীবন দর্শন
`সমন্বয়ক, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ'
মুজিবনগর ঘোষণায় সেক্যুলারিজম সমাজতন্ত্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না : ৭২ এর সংবিধানে আছে
সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলবাজি রুখতে হবে
এইচএমপিভি: বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা
হতাহত ৩০
৩শ’ সৈন্য নিহত
৫ মাওবাদী হত্যা
দাবানলে চুরি
চেক প্রজাতন্ত্রে নিহত ৬