ওজন কমান, হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখুন
২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৪১ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫৯ পিএম
আমাদের দেশে এখন প্রচুর হাঁপানি রোগী আছে। বলা হয়ে থাকে যে সারা বিশ্বে প্রায় বিশ কোটি মানুষের হাঁপানি রোগ আছে। আমাদের দেশে কম বেশী প্রায় এক কোটি মানুষের এই রোগ আছে। পুরান শ্বাস কষ্টের সাথে নতুন কোন শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে তা বলাই যায়।
হাঁপানিতে আমাদের শ্বাসনালীর যে বিভিন্ন শাখা প্রশাখা আছে সেগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। এতে শ্বাস নিতে এবং ছাড়তে বেশ কষ্ট হয়। হাঁপানির সঠিক কারণ আজও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে জিনগত এবং পরিবেশগত কিছু কারণকে দায়ী করা হয়। পরিবারে কারও হাঁপানি থাকলে অন্য জনের হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, বিশেষ করে ধুলিবালি, ধোঁয়া, ফুলের রেণু, প্রাণির লোম, মাইট ইত্যাদি হাঁপানির জন্য উপযোগি অবস্থা।
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা স্থূলতার সাথেও হাঁপানির সম্পর্ক পেয়েছেন। যাদেন ওজন বেশি তাদের হাঁপানির প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে সারা পৃথিবীতেই ওবেসিটি বা স্থূলতা এখন একটি বড় সমস্যা। আমাদের দেশেও ওবেসিটি হানা দিয়েছে, কি শহরে কি গ্রামে সব জায়গায়ই এখন মোটা মানুষ দেখা যায়। হাঁপানির বিভিন্ন রিস্ক ফ্যাক্টরের মধ্যে একটি হচ্ছে ওবেসিটি বা স্থূলতা। ওজন যদি নিয়ন্ত্রণে না করা যায় তবে তাদের হাঁপানির নানা ধরনের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
স্থূল ব্যক্তিরা কেন হাঁপানিতে বেশি আক্রান্ত হয় তার কারণও বর্তমানে কিছু জানা গেছে। এদের মধ্যে কিছু মেকানিক্যাল ফ্যাক্টর থাকে, অর্থাৎ এই মুটিয়ে যাওয়াটাই হাঁপানি রুগীদের শ্বাস নিতে আরও বেশী পরিশ্রমের হয়ে দাড়ায়। এছাড়া ওবেসিটি বা স্থূল মানুষদের বিভিন্ন প্রদাহ হয়ে থাকে, এই কষ্টের উপর যা প্রভাব ফেলে। ওজন যাদের বেশি তাদের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাও ঠিকমত কাজ করতে পারেনা। তাই মুটিয়ে যাওয়া মানুষরা একটু বেশী মাত্রায় হাঁপানির কবলে পরে।
নিয়মিত ওষুধ ব্যবহার করলে আর নিয়ম মানলে হাঁপানি অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকে। ওজন কমালে এসব নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হয়ে যায়। ওজন কমালে শুধু যে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায় তা নয়। এর ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়। এছাড়া ওবেসিটি বা স্থূলতার সাথে নানা ক্যান্সার কিন্তু জড়িত। তাই এসব থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই শরীরের ওজন কমাতে হবে।
ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন বন্ধ করতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং ফলমূল ও শাকসবজি সহ ব্যলান্স ডায়েট খেতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওজন কমানোর ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। ওজন কমিয়ে রেখে হাঁপানির প্রকোপ থেকে অনেকটাই ভালো থাকা যায়। তাই এদিকটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার
‘সাইবার মানডে’ উপলক্ষে ওয়েব হোস্টিংয়ে লিমডা হোস্টে চলছে ৬০% পর্যন্ত ছাড়!
ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী
ফ্যাসিস্ট সরকারের ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞার পর অবশেষে মঞ্চে আসছে থিয়েট্রিক্যাল বাহাস ও কন্ঠনালীতে সূর্য
মিলেছে ‘হারিছ চৌধুরী’র ডিএনএ, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ
নাম পরিবর্তনের দাবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের
গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
আইএসের নৃশংসতার বিচারে জাতিসংঘ ব্যর্থ : নাদিয়া মুরাদ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের মানববন্ধন
মানিকগঞ্জে হাঙ্গার প্রজেক্টের গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত
এবার ভারতের মালদহে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাড়া বন্ধ ঘোষণা
কিশোরগঞ্জের হাওর-অর্থনীতি বেগবান করতে চলছে কয়েকশ কোটি টাকার প্রকল্প
প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম
দেশের ৬৯ কারাগারের ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক
পায়রার রাজস্ব আয় বাড়বে তিনগুণ, দেশের অর্থনীতিতে রাখবে বড় ভূমিকা
মমতা ব্যানার্জির মনে গভীর কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদ : রিজভী
কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা
কুড়িগ্রামে সাবেক এমপি পুত্র সবুজ গ্রেফতার
ভারতে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরে পাঞ্জাবের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদালের ওপর গুলিবর্ষণ