ব্যথার ওষুধ এবং পেপটিক আলসার
০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১২:১০ এএম
পেপটিক আলসার আমাদের দেশে খুবই পরিচিত একটি অসুখ। যদিও সাধারন মানুষ এটিকে গ্যাসটিক বলতেই বেশী পছন্দ করে। এই অসুখে পাকস্থলী এবং ডিউডেনামের প্রথম অংশেই সাধারনত ক্ষত সৃষ্টি হয়। তবে পাকস্থলী এবং ডিউডেনাম ছাড়াও ক্ষুদ্রান্ত্রে কিন্তু আলসার হতে পারে। পেপটিক আলসার হওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ব্যথার ওষুধ গ্রহণ তার মধ্যে অন্যতম।
আমাদের দেশে কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা বা মাথা ব্যথার অনেক রোগী আছে। এদের মধ্যে অনেকেই এসব ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে নিয়মিত ব্যথার ওষুধ গ্রহণ করেন। একবার কোন ডাক্তারের চিকিৎসায় এসব ওষুধ খেয়ে ভাল বোধ করলে পরামর্শ ছাড়াই তারা দিনের পর দিন এসব ওষুধ খেতে থাকেন। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ওষুধকে এনএসএআইডি বলে। নিয়ম না মেনে এসব ওষুধ খেয়ে গেলে কিন্তু আলসার হওয়ার চান্স থাকে।
ব্যথার ওষুধ গ্রহণ করলে সবার যে আলসার হবে তা নয়। তবে কেউ যদি ব্যথার ওষুধ একটানা দীর্ঘদিন খায়, খালি পেটে খায়, তার পেপটিক আলসার হওয়ার চান্স বেশি থাকে। যারা একটানা ব্যথার ওষুধ খাচ্ছেন কিন্তু গ্যাসের কোন ওষুধ খাচ্ছেন না তাদেরও কিন্তু আলসার হবার সম্ভাবনা থাকবে।
যাদের ব্যথার ওষুধ খেলে পেটব্যথা করে, বমি ভাব এবং বমি হয় তারা অবশ্যই ব্যথার ওষুধের সাথে গ্যাসের কোন ওষুধ খাবেন। আগের দিনে আলসারের কারণে পারফোরেশন বা পেট ফুটা হয়ে যাওয়ার অনেক রোগী পাওয়া যেত। বর্তমানে মানুষ কিছুটা সচেতন হওয়ার কারনে আর নতুন ভালো ওষুধ আবিষ্কারের ফলে এসবের সম্ভাবনা অনেক কমে এসেছে।
ব্যথার ওষুধ খেলে কারো যদি আলকাতরার মত কালো পায়খানা হয় বা রক্ত বমি হয় তাহলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত কারণ এটি একটি জরুরি অবস্থা এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগী মৃত্যুবরণও করতে পারে।
ব্যথার ওষুধ থেকে যেহেতু পেপটিক আলসার হতে পারে তাই ব্যথার ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ মতই খাওয়া উচিত এবং দীর্ঘদিন একটানা ব্যথার ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নেত্রকোণায় আ.লীগ নেতা লক্ষীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান তুহিন গ্রেফতার
শামীম ওসমান ও নানক পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুর ডাকাতিয়া নদী থেকে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
বাংলাদেশ কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব ১৮ ই জানুয়ারি শুরু
ভূয়া আসামি দাঁড় করিয়ে জামিনের ঘটনায় ৪ জনের নামে মামলার নির্দেশ
শরীয়তপুরে ওরশ পালনকে কেন্দ্র করে জেলা হেফাজতে ইসলাম ও আয়োজক - ভক্তবৃন্দের মধ্যে উত্তেজনা
কুমিল্লায় ভিন্ন ধর্মের দুই প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ৩৯ বছর
সিএনজি চালিত অটো রিক্সাভর্তী ভারতীয় মদসহ গ্রেপ্তার ৪
বিএমআই নয়, স্থূলতার জন্য চাই নতুন মানদণ্ড ,প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের
শিল্পকলার জমজমাট আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল 'সাধুমেলা'
মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের কাজে যোগ দিতে না দেওয়া ১২০ শ্রমিকদের চাকরী বহাল
হুথি লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন হামলার ফুটেজ প্রকাশ
লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান দাবানলে ৬০ লাখের বেশি মানুষ মারাত্মক ঝুঁকিতে
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে মৌখিক হস্তান্তর,দুটি হল পরিদর্শন রবিবার
কোটচাঁদপুরে পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার আসামি কটাকে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা
শুল্ক বৃদ্ধি প্রমাণ করে সরকার সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে উদাসীন : বাংলাদেশ ন্যাপ
কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় দুই রোগীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
কালীগঞ্জের পল্লীতে টমেটো, বেগুন ও সবজিসহ বিভিন্ন গাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা
অধিক গাড়িতে সারচার্জ খড়গ
সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ