ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

জন্ডিসের যা জানতে হবে

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

আমাদের দেশে জন্ডিস একটি অতি পরিচিত রোগ। এর বাংলা নাম পা-ু রোগ। আমাদের শরীরের বিলিরুবিন নামকরঞ্জক পদার্থের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীরের বিভিন্ন অংশ হলুদ হয়ে যায় যাকে আমরা জন্ডিস বলি। সাধারণত এটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত লিভারের অসুখে গোলযোগের জন্য হয়ে থাকে। সচরাচর যেসব জ-িস দেখা যায় তা হেপাটাইটিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের ফল। তাই এই ভাইরাসগুলোকে বলা হয় হেপাটাইটিস ভাইরাস। অনেক ভাইরাসের মধ্যে এ, বি, সি এবং ই-এর প্রাদুর্ভাবই বেশি। এ রোগে প্রশ্রাব হলুদ বর্ণ ধারণ করে জিহ্বার নিচের ঝিল্লেতে এবং চোখের সাদা অংশ হলদেটে দেখা যায়, খাবারে অরুচি হয়, বমি বমি ভাব হয়।

বিভিন্ন প্রকার জ-িসের বা হেপাটাইটিসের মধ্যে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস-ই সাধারণত পানি ও খাদ্য বাহিত, তাই বর্ষাকালে এটি বেশি হয়। দূষিত পানি এবং পানি দ্বারা তৈরি অন্যান্য পানীয় এবং দূষিত খাবার ইত্যাদির মাধ্যমে এ ভাইরাস দুটি ছড়ায়। কোন কোন ক্ষেত্রে ছিদ্রযুক্ত পানির পাইপে বাহিরের নোংরা পানি মিশেও এ রোগের জীবাণু আমাদের খাবরের পানিতে চলে আসে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য এই রোগ বেশি ছড়ায়। সাধারণত রোগের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের দু’সপ্তাহ আগে থেকেই আক্রান্ত ব্যক্তির মলে এই ভাইরাস থাকে। ছোট-বড় সকলেই এই ধরনের জ-িসে আক্রান্ত হতে পারে তবে তরুণ-তরুণীরা বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। কারণ তারা হোটেল রেস্তোরাঁয় নোংরা গ্লাসে পানি কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম, শরবত নানা রকম খাবার খায়। এ ধরনের জ-িসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বড় কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, বিশ্রামে থাকলে আপনাতেই রোগীরা নিরাময় লাভ করে।

হেপাটাইটিস ই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত জ-িসে কখনও কখনও আবার দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় এ ধরনের জন্ডিসে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। আক্রান্ত রোগীরা রক্তের মাধ্যমে নয় মলের দ্বারা এ ভাইরাস দুটি ছড়ায় এবং আশপাশের অন্যদেরকেও আক্রান্ত করে।
সাধারণত রক্তের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ছড়ায়। লিভার যদি হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় তাকে বলা হয় হেপাটাইটিস-বি। আমাদের দেশে শতকরা ৫-১০ ভাগ লোক হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় তাকে বলা হয় হেপাটাইটিস-বি। আমাদের দেশে শতকরা ৫-১০ ভাগ লোক হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের বাহক। এই ভাইরাস রক্তের মধ্যে পাওয়া যায়। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস বিভিন্নভাবে সংক্রমিত হয় যেমন- আক্রান্ত বা বাহক ব্যক্তির রক্ত বা রক্তের উপাদান পরীক্ষা ছাড়াই অন্যের শরীরের সঞ্চালিত করলে, একই সিরিঞ্জ বা সুই বিভিন্ন জনের শরীরে ব্যবহার করলে, ইনজেকশনের মাধ্যমে যারা নেশা গ্রহণ করেন, স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজন আক্রান্ত হলে যৌন মিলনের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রান্ত করতে পারে, পতিতা এবং পতিতালয়ে গমণকারী ব্যক্তির মাধ্যমে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি বিÑভাইরাস আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের নবজাতক শিশু আক্রান্ত হতে পারে। বিভিন্ন অপারেশন বা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে স্টেরিলাইজেশন বা জীবাণুমুক্ত না থাকলে, সেলুনে ব্যবহৃত একই ব্লেড বিভিন্ন জনে ব্যবহার করলে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

এই ভাইরাস শরীরের প্রবেশের পর খুব ধীরে লক্ষণ প্রকাশ করে সাধারণত ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস সময় লাগে ফলে স্বল্প মেয়াদী জ-িস হয় যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদী জ-িস হয়ে ৬ মাস বা তার অধিক সময় ধরে স্থায়ী হয়। দীর্ঘদিন জ-িসে লিভার সিরোসিস, উচ্চ রক্তচাপ ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এই ভাইরাস আবার সুপ্ত অবস্থায় কোন প্রকার উপসর্গ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে রক্তে থাকতে পারে। কোন কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সুপ্ত ভাইরাস সক্রিয় হয়ে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে।

হেপাটাইটিস-ডি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত জ-িস তেমন জটিল নয় তবে বি ভাইরাসের সাথে মিলে আক্রান্ত করলে লিভারের জটিলতা দ্রুত এবং মারাত্মক হয়ে লিভারকে অকেজো করে ফেলে। যে কোন ধরনের জ-িস হলেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। কোন ধরনের অজ্ঞাত ওষুধ, ব্যথানাশক, বমির ওষুধ, ক্ষতিকারক এন্টিবায়োটিকস গ্রহণ করা যাবে না। হাতুড়ে চিকিৎসা বর্জন করা উচিত। পানিপড়া, মালাপড়া, ঝাড়–ফুঁক এসব কোন কিছুই জ-িস চিকিৎসায় সহায়ক নয়। বরঞ্চ এসব কুসংস্কার মারাত্মক কারণে আক্রান্ত জ-িস রোগীকে রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব করে জটিলতায় জড়িয়ে দেয়।

হেপাটাইটিস ভাইরাস ছাড়া অন্য কারণেও জ-িস হতে পারে যেমনÑ রক্ত কনিকা ভেঙ্গে পিত্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, পিত্তনালীতে পাথরের অবস্থান, যকৃত, পিত্তথলি ও অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের জন্য। আর্সেনিক বা অন্য কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপদানের জন্যও লিভারের ক্ষতি সাধন হয় এবং জ-িস হয়।

জ-িস রোগীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে এবং সব ধরনের পরিশ্রমের কাজ করা নিষিদ্ধ। সহজ ভোজ্য খাবার খেতে হবে। জ-িস রোগীর খাবার নিয়ে আমাদের সমাজে প্রচুর ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কুসংস্কার পরিহার করে রোগীর যেসব খাবারে রুচি হয় এবং খেলে হজম করতে পারে এমন সব খাবার গ্রহণযোগ্য মাত্রায় খেতে দিতে হবে। জ-িস হওয়া মানে লিভার ঠিকমত কাজ করছে না। আমরা যেসব খাবার খাই তার মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়াসম্পন্ন হয় লিভারে আর পিত্তরস তৈরি হয় লিভারে। এই পিত্তরস চর্বি জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে। তাই জ-িস রোগীদের বেলায় প্রথম কথা হচ্ছে ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করা। তবে শরীরের ফ্যাটের কিছু প্রয়োজন অবশ্যই আছে। তাই রান্নায় অল্প তেল ব্যবহার করাতে হবে, তেলে ভাজা খাবার খাওয়া যাবে না। নরমাল বা লাইট ডায়েট খাবার যেমন- ভাত মাছের ঝোল, সেদ্ধ সবজি, ডাল ফলমূল এগুলো খেতে হবে জ-িস রোগীদের সবচেয়ে বেশি খাওয়া প্রয়োজন শর্করা জাতীয় খাবার এ ফ্যাট কম খেতে হয় বলে ক্যালরি পূরণ করতে হয় শর্করা থেকে। তাই প্রচুর পরিমাণ চিনির শরবত, গ্লুকোজ খেতে বলা হয়। অনেকে আখের রস খাওয়া কথা বলেন। তবে রাস্তারধারে মাড়াই করা আখের রস মোটেই উপযোগী নয়। এতে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে ফলে পেটের অসুখ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। জ-িস রেগাদের জন্য ফলের রস খাওয়টা অত্যন্ত জরুরি। তবে ফলের রস অবশ্যই টাটকা ফলের খাওয়া উচিত, কোন ক্রমেই কৌটাজাত কেনা ফলে রস নয়। অনেকে মনে করেন জাম্বুলা বা বাতাবী লেবু খেলে জ-িস ভালো হয়ে যায়। এ কথার পেছনে তেমন কোন যুক্তি সঙ্গত কারণ নেই। বাতাবী লেবু ভিটামি সি সমৃদ্ধ ফল। ভিটামিন সি জন্ডিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত দরকারি। তাই বলে বাতাবী লেবু থেকেই যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি পেতে পারি এমন কোন কথা নেই। বাতাবী লেবু ছাড়া অন্যান্য ফল থেকেও আমরা ভিটামিন-সি পেতে পারি, যেমন : আমলকী, পেয়ারা, আমড়া, কামরাঙ্গা, লেবু, কমলালেবু, মাল্টা, পাকা পেঁপে, কুল, জলপাই ইত্যাদি। জন্ডিস রোগীরা যে কোন ধরনের শাকসবজি খেতে পারেন তবে সিদ্ধ করা শাকসবজি খাওয়াই বেশি ভালো। দুধ খেতে চাইলে তা অবশ্যই সরতোলা বা স্কিমড মিল্ক হলে ভালো। মশলাদার ঝাল খাবার, চর্বিযুক্ত মাংশ যেমন : গরু-খাশির মাংশ, কলিজা, মগজ, ডিমের কুসুম, খাওয়া উচিত নয়। ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যাবে। চা, কফিতে অভ্যস্ত যারা তাদের এ সময়টাতে চা-কফি থেকে বিরত থাকতে হবে। এলকোহল বা মদ্যপান করা এ সময় মোটেই উচিত হবে না। মদ্যপান জন্ডিস রোগীকে লিভার সিরোসিস এবং ক্যান্সারের দিকে দ্রুত পৌঁছে দিবে।

সুতরাং সহজপাচ্য সঠিক খাবার জ-িস রোগীর চিকিৎসার একটি প্রধান অংশ। অবৈজ্ঞানিক পন্থায় কুসংস্কারের দিকে রোগীকে না জড়িয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সঠিক খাবার নিয়মিত খেতে দিন। নিশ্চয়ই রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে।

ডা. জ্যোৎন্সা মাহবুব খান


বিভাগ : স্বাস্থ্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড

‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড

সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড

সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড

শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল

শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে