বিমান ভ্রমণে জেট ল্যাগ
২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ এএম
জেট ল্যাগ। এখন এটি আমাদের দেশে একটি পরিচিত সমস্যা। যারা নিয়মিত বিমান ভ্রমণ করে এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে যান তাদের এই সমস্যা বেশী দেখা যায়। এর আরেকটি নাম আছে, একে জেট ল্যাগ ডিজঅর্ডারও বলে। জেট ল্যাগে শরীরের রিদম নষ্ট হয়, ঘুমের সমস্যা হয়। দিনের বেলায় ক্লান্তি লাগে। অস্বস্তি হয়। পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
পাইলট, বিমান সেবিকা, যারা ব্যবসা বা অন্য প্রয়োজনে নিয়মিত ভ্রমণ করে তাদের জেট ল্যাগের সমস্যা বেশি হয়। বৃদ্ধদের তরুণদের থেকে এ সমস্যা বেশি হয় এবং সমস্যা উত্তরণে বেশি সময় লাগে।
আমাদের সবার মধ্যেই দেহঘড়ি আছে। তার একটা নির্দিষ্ট ছন্দ আছে। প্লেনে খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া যায়। দেহঘড়ির ছন্দের ওপর সূর্যালোকের প্রভাব আছে। কারণ সূর্যালোকের সাথে মেলাটনিনের যোগাযোগ আছে। মেলাটনিন দ্বারা শরীরে বিভিন্ন কোষে সিগন্যাল পৌঁছায়। যেহেতু প্লেনে এই সূর্যালোকের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিবর্তন হয় তাই মূলত জেট ল্যাগ দেখা যায়। তবে বর্তমান গবেষণায় আরো কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। বিমানের ভেতর বিভিন্ন চাপ এবং বিমানের উচ্চতার জন্যেও জেট ল্যাগ হয় বলে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন।
জেট ল্যাগ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন-
১। ঘুমের সমস্যা।
২। দিনের বেলায় ক্লান্তি।
৩। মনোযোগের ঘাটতি।
৪। ডায়রিয়া।
৫। কোষ্ঠকাঠিন্য।
৬। অস্বস্তি।
৭। মাংসপেশীতে ব্যথা।
৮। মাসিকে সমস্যা ইত্যাদি।
জেট ল্যাগে তেমন কোন চিকিৎসা লাগে না। তবে যারা নিয়মিত প্লেনে ভ্রমণ করে তাদের জেট ল্যাগ হয়। তারা ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাবেন। জলপিডেম, এসজপিক্লোন, জালেপ্লন এবং ট্রায়াযোলাম জাতীয় ওষুধ জেট ল্যাগে ভাল কাজ করে। লাইট থেরাপীও জেট ল্যাগে উপকারী। এক্ষেত্রে উজ্জ্বল আলো দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
দ্রুত যোগাযোগের এই যুগে জেট ল্যাগ খুব পরিচিত সমস্যা। তাই এখন যেহেতু অনেক বেশি দেখা যায় তাই এজন্য প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কালীগঞ্জে বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে ফুলের শুভেচ্ছা জানালেন হামিদ
পর্ন তারকা স্টর্মিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘুষ প্রদান মামলার রায় স্থগিত করলো আদালত
দৌলতপুরে মাদকাসক্ত যুবকের হাতে মাছ ব্যবসায়ী খুন : যুবক আটক
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বিক্ষোভ, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
পবিত্র কোরআন শরীফের পরে সত্য হিসেবে মানুষ সংবাদপত্রকে মনে করতো-বিটিভি মহা পরিচালক
লালমোহনে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে ৭০ বছরের বৃদ্ধ নিহত
বিচারের আগে ফ্যাসিস্ট আ. লীগের রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই : নাহিদ
ড. ইউনূসকে নিয়ে এক দশক আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুতের তারের স্পর্শে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
লেবাননে জাতিসংঘ মিশনে হামলা, চার ইতালীয় সেনা আহত
এ আর রহমানের নামে মিথ্যাচার রটানোর অভিযোগে তীব্র ক্ষোভ ঝাড়লেন ছেলে এ আর আমিন
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোন ধর্মই নিরাপদ ছিল না-এড.আহমেদ আযম খান
শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন বাধ মানে না এমন ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত আছে : পুতিন
ঢাকা আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ
পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, হচ্ছে মামলা
ছয়-সাত মাসেই টিয়ার কাবিখার ২০০ কোটি লুটেছিলেন হাসিনা দোসর মহিবুর
আদানির দুই চুক্তি বাতিল করলো কেনিয়া
হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে ক্ষতবিক্ষত বাবুকে থাইল্যান্ড নেয়া হচ্ছে
দীর্ঘ ১৭ বছর পর মানিকগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কলাপাড়ায় নিম্নবিত্তদের স্বস্থি দিতে স্থাপন করা হলো সরাসরি কৃষকদের সবজি বাজার