পায়ুপথের ফিস্টুলা
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
পায়ুপথের বিভিন্ন রোগের মধ্যে অন্যতম হলো ফিস্টুলা। এটি ভগন্দর নামেও পরিচিত। এ রোগে পায়ুপথের চারদিকে চামড়ার কোন এক স্থান হতে পায়ুপথের ভেতরের দিক পর্যন্ত একটি বা একাধিক সরু নালী বা পথ তৈরী হয়। রোগটি শুরু হয় মূলত পায়ুপথের ভেতরের গ্রন্থি সংক্রমন বা প্রদাহের কারণে। যাতে মলদ্বারে চারপাশে প্রচন্ড ব্যথা অনুভুত হয় ও ফুলে যায়। যা অ্যাবসেস বা ফোঁড়া নামে পরিচিত। সংক্রমনের এক পর্যায়ে ফোঁড়াটি ফেটে গিয়ে পায়ুপথের চারপাশের চামড়ার কোন স্থান হতে পুঁজ বের হতে থাকে। পুঁজ বের হলে সাধারনত ব্যথা কমে যায়। অনেক সময় বারবার সংক্রমনের ফলে নালীপথটির শাখা-প্রশাখা তৈরী হয়ে রোগটির চিকিৎসা জটিল হতে থাকে। আমাদের দেশে এ রোগের প্রকোপ বেশ পরিলক্ষিত হয়।
কারণ ঃ
পায়ুপথের কিছু গ্রন্থিতে জীবানু সংক্রমনের ফলে প্রাথমিক অবস্থায় পুঁজ তৈরী হয় যা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে তৈরী হয় ফোঁড়া বা এনোরেক্টল এবসেস। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ফোঁড়ার চিকিৎসা নিলে রোগটি ভাল হয়ে যায়। যদি ফোঁড়া ফেটে যায় অথবা চিকিৎসা নিতে দেরী হয়, তখন ফোঁড়াটি হতে অনাকাঙ্খিত নালী তৈরী হয়ে ফিস্টুলা রূপে আত্মপ্রকাশ করে। পায়ুপথের ক্যান্সার এবং বৃহদান্ত্রের সংক্রমনের কারণেও ফিস্টুলা হতে পারে।
লক্ষণ ঃ
পায়ুপথে ব্যথা, বসতে অসুবিধা।
পায়ুপথে চারপাশে ফোলাভাব, পায়ুপথে গরম ভাব, জ্বর।
উপরোক্ত লক্ষনগুলোর সাথে পায়ুপথের এক বা একাধিক ছিদ্র দিয়ে পুঁজ, রস ও আম নিঃসরণ। অনেক সময় রক্ত নিঃসরন হতে পারে।
প্রকার ঃ
মাঝে মাঝে এ রোগে জটিলতাও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে নালীটি পায়ুপথের কোন স্তর ভেদ করেছে বা কতটা গভীরে আছে, তার উপর ভিত্তি করে এর জটিলতা। তবে ফিস্টুলার প্রকারভেদ আছে। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার জন্য রয়েছে বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি।
সাধারণ ফিস্টুলা ঃ
প্রাথমিক পর্যায়ে ফিস্টুলা পায়ুপথের খুব গভীরে প্রবেশ করে না। এ পর্যায়ে চিকিৎসা দিতে বেশ সুবিধা হয় ও রোগটি ভালো হয়ে যায়।
জটিল ফিস্টুলা ঃ
এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে এবং এটি নির্ভর করে নালীটি কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে। এর চিকিৎসা দুরূহ। এ নালী যদি একের অধিক হয় তাহলে সমস্যা জটিল হয়। সংক্রমণ হলে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে।
পরীক্ষা ঃ
প্রোক্টোস্কপি, সিগময়ডস্কপি, কোলনস্কপি।
বেরিয়াম এক্স-রে, ফিস্টুলাগ্রাম (খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়)
আল্ট্রসনোগ্রাফি, এনাল এন্ডোস্কপি।
চিকিৎসা ঃ
প্রাথমিক অবস্থায় ফোঁড়া হওয়ার জন্য পায়ুপথ ফোলা, ব্যথা হবে। মাঝে মাঝে পুঁজ বা আম পড়ে। কখনও কখনও রোগটি সুপ্তাবস্থায় থাকে, অর্থাৎ মাঝে মাঝে কম পুঁজ তৈরী হয় আর তখন পুঁজ বের হওয়ার মুখটি বন্ধ থাকে। সমস্যা একটানা না থাকার কারণে রোগীরা ভাবেন যে, রোগটি ভালো হয়ে গেছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করালে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। রোগটি জটিল পর্যায়ে পৌছালে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে।
মোঃ হুমায়ুন কবীর
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, গবেষক, স্বাস্থ্য নিবন্ধকার।
কনসালট্যান্ট, রেনেসাঁ হোমিও মেডিকেয়ার
২৫/৩, নবাব কাটারা, নিমতলী, চাঁনখারপুল,ঢাকা-১০০০।
মোবাইলঃ ০১৭১৭৪৬১৪৫০,০১৯১২৭৯২৮৯৪
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু