ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ছে : সচেতনতা জরুরি
১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমী জ্বর ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করেছে। আমাদের দেশে ডেঙ্গু বেশী হয় জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি হচ্ছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। গত মাসে ডেঙ্গুতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও প্রতিদিন অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
উপসর্গ : বৃষ্টির এই মৌসুমে যে কোনও জ্বরকে প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গু ভেবে চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। ডেঙ্গুর বিশেষ তিনটি উপসর্গ আমরা পাই জ্বর, র্যাশ ও রক্তক্ষরণ। জ্বর ঃ সাধারণত প্রথমদিন থেকেই ভীষণ জ্বর হয়। ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের সমান বা বেশি দিয়েই শুরু হয়। শরীরে ভীষণ ব্যথা হয়। এত ব্যথা যে অনেকে ডেঙ্গুকে হাড় ভাঙা ব্যথার জ্বর (ব্রেক বোন ডিজিজ) বলে। চোখের পেছনে ব্যথা, ষষ্ঠ দিনে জ্বর নেমে যায়। দিন গোনা ঠিক থাকলে সাতদিনের বেশি জ্বর থাকলে সেটাকে ডেঙ্গু না ভাবাই উচিত বলে চিকিৎসকরা বলেন। স্যাডল ব্যাক ফিভার ডেঙ্গুর বৈশিষ্ট। এরকম বিশেষত্ব ছাড়াও ডেঙ্গু হতে পারে। র্যাশ ঃ জ্বরের ষষ্ঠ দিনে ডেঙ্গুর টিপিক্যাল র্যাশ বেরোয়ো। এর নাম কনভাল্যাসেন্ট কনফ্লুয়েন্ট পেটিকিয়াল র্যাশ। সারা শরীরে লাল দানায় ভরে যায়। মাঝেমধ্যে দানাবিহীন পরিষ্কার চামড়া দেখা যায়। দেখতে ভীতিপ্রদ হলেও এই র্যাশ আসার অর্থ অসুখ সেরে যাচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে র্যাশ থাকলেই সেটা ডেঙ্গু নয়। জ্বরের দ্বিতীয় দিনে মানে স্কারলেট ফিভার। হামের র্যাশ আসে চতুর্থ দিনে। ডেঙ্গুর প্রথম দিকে মশার কামড়ের মতো ফ্লিটিং র্যাশ ও হাম বা জার্মান মিসলসের মতো সারা শরীরে লাল চাপ চাপ র্যাশ হতে পারে। কনভাল্যাসেন্ট করফুয়েন্ট পেটিকিয়াল র্যাশ হলে সেটা অবশ্যই ডেঙ্গু। জ্বরের প্রথমদিক থেকে অনেকেই লাল (ফ্লাসড) হয়ে যায়। আঙুল দিয়ে চাপ দিলে বসে যায়। রক্তক্ষরণ ঃ রক্তক্ষরণ ছাড়াও ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হতে পারে। রক্তক্ষরণ (হেমোরেজ) হলেই সেটা সব ক্ষেত্রে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার নয়। শরীরের যে কোনও জায়গা থেকেই রক্তক্ষরণ হতে পারে। দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া, চামড়ার নীচে, ইনজেকশনের জায়গায় রক্তক্ষরণ মারাত্মক নয়। মেয়েদের মাসিকের সময় রক্তক্ষরণই হয় সবচেয়ে বেশী। এমন-কি রেগুলার মাসিক হওয়ার পরও জ্বরের সময় দ্বিতীয়বার মাসিক হয়। ডেঙ্গুকে হেমোরেজিক ফিভার না বলে এটাকে লিকিং ডিজিজ বলে। রক্তনালীর লিকেজের ফলে রক্ত, পানি ও রক্তের অন্য উপাদান রক্তনালীর বাইরে চলে যায়। রক্তক্ষরণ, রক্তচাপ হ্রাস, ফুসফুসের থলিতে পানি জমা, পেটে পানি জমা ও অন্য সব মারাত্মক সমস্যার জন্য আসলে লিকিংই দায়ী। ডেঙ্গু রোগীকে পরীক্ষা করলে পালস রেট কম পাওয়া যায়।
ডায়াগনোসিস ঃ অন্য সব সংক্রামক রোগের মতো প্রাদুর্ভাবের সময় ডেঙ্গুকে সাসপেক্টেড, প্রোবাবল ও কনফার্ম হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাসপেক্টেড ঃ আমাদের দেশে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যে কোনও জ্বরকেই সাসপেক্টেড ডেঙ্গু হিসেবে আমরা চিকিৎসা শুরু করতে পারি। এখনও আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নেই। মেট্রোপলিটন শহরেই ডেঙ্গু বেশী হয়। প্রোবাবল ডেঙ্গু ঃ উপসর্গের সঙ্গে অ্যান্টিবডি টেস্ট পজিটিভ হলে। কনফার্ম ডেঙ্গু ঃ ভাইরাস আইসোলেট করা গেলে জ্বরের প্রথম ৪-৫ দিনে রক্তে ভাইরাস পাওয়া যায়। ডেঙ্গুকে তিন ভাবে বর্ণনা করা হয়
ষ) ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার ষ) হেমোরেজিক ফিভার এবং ষ) ডেঙ্গু শক সিনড্রম। ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার ঃ অন্য জ্বরের মতোই উপসর্গ জ্বর র্যাশ থাকে, রক্তক্ষরণও থাকতে পারে।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ঃ ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভারের মতোই সব তবে এখানে লিকিংয়ের উপসর্গ থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞানুযায়ী যারা উপসর্গের সঙ্গে প্লাটিলেট কাউন্ট ১ লক্ষের কম হলেও পিসিভি ২০ শতাংশ ভ্যারিয়েশন হলে সেটা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার অন্যথায় নয়। এর সঙ্গে প্লাজমা লিকেজের বৈশিষ্ট্য (যেমন ইফ্যুশন, অ্যাসাইটিস, হাইপো অ্যালবুমিনিয়া ইত্যাদি) থাকে। তাই দৃশ্যমান রক্তক্ষরণ না থাকলেও ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হতে পারে। আর এই মৌসুমে প্লাটিলেট কাউন্ট কম পেলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার আছে কিনা যাচাই করে নেওয়া ভালো। স্টেজিং -ফেব্রাইল পিরিয়ড ঃ প্রথম ৫-৬ দিন জ্বর থাকাকালীন সময়। এই ফেব্রাইল পিরিয়ডের পরের ২-৩ দিন কনভালেসেন্ট পিরিয়ড। এ ফেব্রাইল পিরিয়ডকে ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড বলে কারণ এ সময় লিকিং বা রক্তক্ষরণ হয়। প্রেসার কমে যায়। শকে গেলে বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়। চিকিৎসক ও রোগীকে তাই রক্তচাপ ও ফ্লুইডথেরাপি নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়। তাই ডেঙ্গুতে জ্বর নেমে যাওয়া মানে সেরে যাওয়া নয়। বরং পরবর্তী ২ দিন সর্বাত্মক সতর্কতা নিতে হবে।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার গ্রেডিং গ্রেড-১ ঃ জ্বর আছে ট্রর্নিকেট টেস্ট পজিটিভ কিন্তু রক্তক্ষরণ নেই। গ্রেড-২ ঃ রক্তক্ষরণ আছে কিন্তু প্রেসার, পালস ঠিক আছে। গ্রেড-৩ ঃ প্রেসার কম, পালস বেশি কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে। গ্রেড-৪ ঃ প্রেসার পালস কোনও টাই নেই। ডেঙ্গু শক সিনড্রম ঃ গ্রেড-৩ও গ্রেড-৪ কে একত্রে ডেঙ্গু শক সিনড্রম বলে।
ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ঃ যে কোনও জ্বরের পরীক্ষা তৃতীয় দিনে শুরু করা ভালো। ফ্লু তিন দিনে সেরে যায়। স্কারলেট ফিভার তিন দিনেই ডায়াগনোসিস হয়ে যায়। ভাইরাল ফিভার ৭ দিনের বেশি থাকে না। জ্বর ৭ দিনের বেশি থাকলে তখন ব্যাকটেরিয়াল ফিভার (টাইফয়েড ইত্যাদি) ভাবতে হয়। মৌসুমের সময় তাই আমাদের দেশে ডেঙ্গুর সঙ্গে অন্য ভাইরাল ফিভার, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, রিকেটশিয়া, লেপ্টাস্পাইরসিস ও ইদানিং সোয়াইন ফ্লু মনে রাখতে হবে। রক্তের প্রাথমিক পরীক্ষা সিবিসি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) টিসি ডিসি ঃ ডেঙ্গুতে টিসি কমে। ২ হাজার বা ১.৫ হাজার হলে সেটা ডেঙ্গু ছাড়া কিছু নয়। অন্য ভাইরাল ফিভার, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, রিকটশিয়া টিসি স্বাভাবিক থাকে, কমলেও এত কমবে না। হিমোগ্লোাবিন ঃ ডেঙ্গুতে বাড়ে অন্য কোনও ইনফেকশনে এমনটা হয় না। এনএন১ এন্টিজেন প্রথম ৪ দিনে পাওয়া যায়। ইএসআর ঃ ডেঙ্গুসহ সব ভাইরালে ইএসআর স্বাভাবিক থাকে অথবা কমে, টাইফয়েড বাড়ে। পিসিভি ঃ ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে বাড়ে। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুতে স্বাভাবিক থাকে। পিসিভি (স্বাভাবিক ৩২ থেকে ৪২) বেশি ছিল, চিকিৎসা দেওয়ার পর ২০ শতাংশ কমেছে অথবা রোগের জন্য ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে (একে বলে ২০ শতাংশ ভ্যারিয়েশন) দুটোই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ডায়াগনোসিসের জন্য জরুরি। প্লাটিলেট কাউন্ট (স্বাভাবিক ১.৫ থেকে ৪.৫ লক্ষ)। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ১ লক্ষের নীচে নামবে। অনেকের ১০ হাজারেরর নীচে নেমে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মারাত্মক কিছু হয় না। অন্য ভাইরাল ফিভার, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, রিকেটশিয়া, লেপ্টোস্টাইবসিসে দেড় লক্ষের কম হয়, তবে জটিলতা না হলে ১ লক্ষের কম হয় না। লেপ্টোস্পাইরসিসে টিসি অনেক বাড়ে, পাটিলেট কমে। বৃষ্টির দিনে মেট্রোপলিটন শহগুলোতে নর্দমার ও বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে যায়। আমাদের অনেককেই এই সময় খালি পায়ে এ পানির মধ্যে হাঁটতে হয়। নর্দমার পানি সংস্পর্শে আসার জন্য এই লেপ্টো স্পাইরসিসও হয়।
অন্যান্য পরীক্ষা ঃ সব জ্বরের জন্যই প্রথম সপ্তাহে ব্লাড কালচার ও ম্যালেরিয়ার টেস্ট করা দারকার। অ্যান্টিবডি টেস্ট ঃ দ্বিতীয় সপ্তাহে করা উচিত। ডায়াগনোসিসের জন্য আইজিএম অ্যান্টি ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়ার বেশি দরকার। আইজিজি অ্যান্টি ডেঙ্গু সাম্প্রতিক ইনফেকশন বোঝায় না। লিভার ফাংশন টেস্ট ডেঙ্গুতে এসজিওটি এসজিপিটির চেয়ে বেশি বাড়ে। পুরাল ইফুশন (ফুসফুসের থলিতে পানি জমা), এসাইটিস দেখার জন্য বুকের এক্সরে ও পেটের আলট্রাসনোগ্রাফি করা যায়।
চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক জ্বর ঃ ডাক্তারদের মতে প্যারাসিটামল দিনে ৬ ঘন্টা অন্তর অন্তর। তারপরেও ১০২-এর বেশি থাকলে আরও ৫০০ বা ১০০০ মিগ্রা । জ্বর ৯৮-এর নীচে না এসে ১০১-এর নীচে থাকলেই যথেষ্ট। কোন মতেই প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ঔষধ নয়। অনেকে ইনডোমেথাসিন, ডাইক্লফেনাক সাপজিটরি দেন, এগুলোতে রক্তক্ষরণ বাড়ায়, শকে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। প্যারাসিটামল সাপজিটরিতে ক্ষতি নেই বলে জানান অনেকে। নিয়মিত স্পানিং গোসল, এসি ছেড়ে থাকলে, স্বল্পতম কাপড়ে থাকলেও পরিমিত পানি পানে জ্বর নামে (প্যানিক না হলে এতেই চলে)। তবে যা করবেন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই করবেন। পানি ঃ ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান নিশ্চিত করতে হবে। এটাই ডেঙ্গুর আসল চিকিৎসা। না খেতে পারলে স্যালাইন দিতে হবে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার গ্রেড-১ ও ডেঙ্গুর আসল চিকিৎসা। না খেতে পারলে স্যালাইন দিতে হবে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার গ্রেড-১ ও ডেঙ্গু ফিভার এর চেয়ে বেশি কিছু লাগে না, বাসায় চিকিৎসা করা যায়। জটিলতা না থাকলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার গ্রেড-২ ও বাসায় চিকিৎসা সম্ভব।
পেটের ব্যথা কমছেনা, আলকাতরার মতো কালো পায়খানা হচ্ছে, আবোল-তাবোল কথা বলছে ইত্যাদি থাকলে হাসপাতালে যেতে হবে। গ্রেড-৩ ও ৪ কে হাসপাতালে নিয়ে স্যালাইন দিতে হয়। ৮ ড্রপ/ মিনিটে শুরু করে বাড়াতে-কমাতে হবে, যাতে করে পালস প্রেসার ২০ বা তার বেশি থাকে এবং সিস্টলিক প্রেসার ৯০-এর বেশি থাকে এবং প্রস্রাবের পরিমাণও (৫০-১০০ মিলি প্রতি ঘন্টায়) স্বাভাবিক হয়। বেশি পানি দিলে (বিশেষ করে ক্রিটিক্যাল পিরিয়ডে) ইফুশন (ফুসফুসের থলিতে পানি জমা), এসাইটিস বেশি হবে, শ্বাসকষ্ট বাড়বে, সেরেব্রাল ইডিমা (ব্রেন পানি জমবে) বলে জানান ডাক্তাররা। সে জন্য ক্রিটিক্যাল পিরিয়ডে দক্ষ মনিটরিং ও দক্ষ ডাক্তার দরকার। পিসিভি বা প্লাটিলেট কাউন্ট দেখে ফ্লুইড অ্যাডজাস্ট করতে হয় না। ওগুলো করে ফলোআপ করতে হয়, জটিলতা নিরূপণ করা যায়। রক্তক্ষরণ বেশি হলে এবং ব্লাড প্রেসার কমলে পিসিভি কমলে রক্ত দিতে হবে পিসিভি বেশি থাকলে মারাত্মক রক্ত ক্ষরণ থাকলে তবেই পাটিলেট লাগবে নাইলে নয়। প্লাটিলেট ঃ জমাট বাঁধে বলে মেশিন কাউন্ট করলে ভুল রিপোর্ট আসে, সেজন্য আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। ট্রানসফিউশনেরও দরকার নেই। ডেঙ্গুর রক্তক্ষরণ শুধু প্লাটিলেট কমার জন্য হয় না। পাটিলেট অন্য অসুখেও কমে। ২০ হাজারের কম না হলে আপনা-আপনি রক্তক্ষরণ হয় না। প্লাটিলেট কাউন্ট ১০ হাজারের কম না হলে ইন্টারনাল অর্গান Ñহার্ট, ব্রেন) ইত্যাদিতে রক্তক্ষরণ হয় না। ৪ জন থেকে নিয়ে প্লাটিলেট দিলে কাউন্ট বাড়ে মাত্র ২০ হাজার, খরচ পড়ে ১২ হাজার টাকা। তাই অর্ডার দেওয়ার আগে দু’বার ভাবা উচিত।
প্রতিরোধ ঃ ডেঙ্গু ঠেকাতে হলে মশা ঠেকাতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ফুলহাতা শার্ট পরতে পারেন। ঘরের মশা মারতে হবে। এটা পাত্রমশা, তাই কোনও পাত্রেই (পানিকাদা, টায়ার, চৌবাচ্চা) ৫দিনের বেশি পানি জমতে দেওয়া যাবে না। এখন পর্যন্ত কার্যকরি ভ্যাক্সিন আবি®কৃত হয়নি। অনেকেরই ধারণা ডেঙ্গু হলে এর জীবাণু বা প্রতিক্রিয়া শরীরে থেকে যায়। এটা অমূলক। পানিবসন্ত যেমন একবার হলে আর জীবনে হয় না, ডেঙ্গু তেমনি একবার হলে দ্বিতীয়বার হওয়ার কথা নয়। পার্থক্য হলো ডেঙ্গুর ভাইরাস ৪ টি। সেজন্য ডেন-১ দিয়ে হলে দ্বিতীয়বার ডেন-১ দিয়ে ডেঙ্গু হবে না, তবে ডেন-২ ডেন ৩ বা ডেন-৪ দিয়ে ডেঙ্গু হবে। দুটিই জিনিস মনে রাখার মতো যে (ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ বা ডেন-৪) দিয়েই হোক না কেন ১২মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হবে না। এরপর হলে অন্য স্ট্রেইন দিয়ে হবে এবং সেটা হবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার। অন্য লোকের ক্ষেত্রে যদি ১০০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে তবে একবার হলে দ্বিতীয়বার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৫ শতাংশ মাত্র। আফতাব চৌধুরীসাংবাদিক-কলামিস্ট
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
চলতি মাসে পদোন্নতি পাচ্ছেন ২৫ ক্যাডারের উপসচিবরা
দুই মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি
সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হচ্ছে না
ফ্যাসিস্ট হাসিনা জানতেন না কুমিল্লা খন্দকার মোশতাকের নয়, মেজর গনি-ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের
৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ২২ ডিসেম্বর
পক্ষভুক্তদের রুল শুনানি আজ
সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
রাঙামাটির সাজেকে দিনভর গোলাগুলি: ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জেলা প্রশাসনের
'বিপ্লবোত্তর ছাত্র ঐক্য' জবিতে ১২ ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ
শেরপুরে সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা : গ্রেপ্তার-৭
ঢাকায় তিন দিনব্যাপী ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থাকারীরাই মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বে
ভিভো ভি৪০ ফাইভজি, হালকা ওজনে শক্তিশালী ব্যাটারি
ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি সম্প্রীতি চায় না: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
দিল্লী দিশেহারা হয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: শাহীন শওকত
বাংলাদেশে ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণে সতর্কতা জারি
সামরিক আইন জারি দক্ষিণ কোরিয়ায়
হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে উত্তরায় মশাল মিছিল