শীতে বাড়ে চর্মরোগ
০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ এএম
সারাদেশে জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। শীতের কারণে একদিকে যেমন দেশবাসীর দূর্ভোগ বেড়েছে অন্যদিকে বিভিন্ন রকম চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে। আর বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় শীতকালে চামড়া থেকে পানি শুষে নেয় বায়ুমন্ডল। পানি শুষে নেওয়ায় ত্বক, ঠোঁট ও পায়ের তালু ফেটে যেতে থাকে। মানবদেহের ৫৬ শতাংশই পানি। এর মধ্যে ত্বক নিজেই ধারণ করে ১০ ভাগ। ফলে ত্বক থেকে পানি বেরিয়ে গেলে ত্বক দুর্বল ও অসহায় হয়ে পড়ে। ত্বকের যেসব গ্রন্থি থেকে তেল আর পানি বের হয়, তা ঠান্ডার এই সময়ে আগের মতো প্রয়োজনীয় ঘর্ম বা তেল কোনোটাই তৈরি করতে পারে না। এতে ত্বক আরও শুকিয়ে যায়। শীতে ত্বক ছাড়াও সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ঠোঁটের। কমবেশি সবারই ঠোঁট ফাটে। তৈলাক্ত প্রলেপ ঠোঁটে ব্যবহার করলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আমরা অনেকেই হয়তো জানি যে শীত এলেই কিছু চর্মরোগ নতুন করে আবির্ভূত হয়। যা গরমকালে খুব একটা দেখা যায় না। রোগীরা একটি অভিযোগ প্রায়ই করেন, তা হল- শীত এলে শরীর খুব চুলকায়। এক্ষেত্রে হাতের তালু দিয়ে ত্বক হালকাভাবে চুলকানো যেতে পারে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে মূলত এমন চুলকানি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আপনার ত্বকের ধরন বুঝে চিকিৎসক ময়েশ্চারাইজার প্রেসক্রাইব করে থাকেন। ময়েশ্চারাইজার পাওয়া না গেলে নারিকেল তেল ব্যবহার করলেও ত্বক ভালো থাকে। চুলকানির পরিমাণ মারাত্মক হলে গ্লিসারিনের সঙ্গে পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলেও ভাল ফল পাওয়া যায়।
মানব দেহের যতগুলো ভয়ংকর প্রকৃতির রোগ আছে তার মধ্যে চর্মরোগ অন্যতম। তবে সব চর্মরোগই ভয়ংকর প্রকৃতি নয়। বিভিন্ন প্রকারের চর্ম রোগ আছে যেমন একজিমা, এছাড়া ব্যাকটোরিয়া, ফাংগাই, পরজীবি এবং ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি চর্মরোগের মধ্যে গ্রামপজিটিভ কক্কাই ও ব্যাসিলি জনিত ফোঁড়া কার্বংকল বা ফারাংকল ইরিসিপেলাস, ইরিসিপেলয়েড, ইস্পেটিগো, নখকুনি, ইরিথ্রাসমা ইত্যাদি। চর্মে ফাংগাল ইনফেকশান বলতে ছত্রাক বা উদ্ভিদ জাত পরাভুকের দ্বারা সংক্রমণ জনিত চর্মরোগ বুঝায়। আবার ডার্মাটো ফাইট জাতীয় কয়েক ধরণের ফ্রাংগাই দ্বারা চর্ম, নখ ও চুলের মধ্যে সংক্রমণ ঘটলে তাকে ডার্মাটোফাইট ইনফেকশান বলে। এই গুলোর মধ্যে দাদ, হাজা, ফেভাস, ছুলি উল্লেখযোগ্য। আর চর্মরোগ এমন একটি সাধারণ ও প্রচলিত ব্যাধি যা মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মানবদেহের ত্বকের উপরিভাগে ব্রণ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, একজিমা বা চুলকানি ইত্যাদি নানান ধরনের চর্মরোগে হয়। যেমনঃ চুলকানী, ফুসকুড়ি, দাদ, একজমা, এলার্জী, লোমফোড়া, ঘা, আমবাত এই সব রোগ হরহামেশাই বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষকে আক্রান্ত করে। কখনো কখনো এটি দীর্ঘমেয়াদি আকার ধারণ করে। বছরের সবসময়ই এই রোগ হতে পারে। তবে শীতকালে এই রোগ বেশি দেখা যায়। এ সময় শুষ্ক ত্বক ফেটে যায়, আক্রান্ত স্থান পুরু হয়ে ওঠে, চুলকানির সৃষ্টি হয় এবং ফুসকুড়ি হতে পারে। শরীরের যে কোনো স্থানেই চর্ম রোগ দেখা দিতে পারে। তবে হাত-পা মুখে বা পেটের ত্বকে এ রোগ বেশি দেখা যায়।
চুলকাতে বেশ মজা লাগে। তবে চুলকিয়ে ঘা বানিয়ে ফেলার স্বভাব থাকলে এখুনি সাবধান হোন। কারণ ক্ষণিকের স্বস্তি আপনার সারা জীবনের অশান্তি হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেকেই কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থান দীর্ঘ সময় ধরে চুলকান। সে ক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো, এই পরিস্থিতিতে একজিমা থেকে শুরু করে কিডনি ফেইলিওর, এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। কোনো স্থানে খুব জোরে চুলকালে ত্বক নষ্ট হতে পারে। > চর্মরোগের কারণঃ-চর্মরোগ অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। কম-বেশি ভুগতে হয় সবাইকে। আর অনেক সময়ই কী করতে হবে সেটা না জানার কারণে দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগতে হয়। শীতে একজিমার কারণেও ত্বক লাল হয়ে যায় এবং চুলকানি হয়। শরীরের বিভিন্ন সন্ধিস্থলে মূলত একজিমা বেশি হতে পারে। একজিমা শরীরের ভেতরে ও বাইরে, দুই কারণে হতে পারে। পোকার কামড়, হেয়ার ডাই ব্যবহার বা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে একজিমা হতে পারে। আবার খুশকি বা এ ধরনের একজিমা হতে পারে অভ্যন্তরীণ কারণে। শিশুদের ক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে জন্মের সময়ই একজিমা দেখা যায়। এতে করে বাচ্চাদের গাল লাল হয়ে যায় এবং ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। তাই এদের গোসল করানোর সময় শক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। আর তাদের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় পোকার কামড় বা একজিমার প্রদাহ হলে জীবাণুনাশক তরল বা ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে এটি করা উচিত নয়। বরং লাল হয়ে যাওয়া স্থানে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আমাদের মুখের ত্বকে অনেক তৈল গ্রন্থি রয়েছে। আর বয়ঃসন্ধির সময়ে ত্বকে তেলের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সেখান থেকে হয় ব্রণ। লোমকূপে তেল বেড়ে গেলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ত্বকে ছোট ছোট লালচে গোটা বা ব্রণ হয়। লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণ হতে পারে। অনেকে ব্রণ হলে সেটি নিয়ে বেশি খুটাখুটি বা টিপাটিপি করে থাকেন। ফলে ত্বকে বা চর্মে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। তাই ব্রণ হলে হাত না লাগানোই ভালো। তাছাড়া অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। দিনে দুইবার ত্বক পরিষ্কারের জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। চর্মরোগ ব্রণের সমস্যা কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসও প্রয়োজন। বাদাম ও শস্যজাতীয় খাবার, ফলমূল, মাছ, সবজি ইত্যাদি খাবার ত্বকের জন্য উপকারি। তাছাড়া ত্বক সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি পান করাও জরুরি।
ছত্রাকজনিত চর্মরোগে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাসকারীরাই বেশি ভোগেন। তবে ইদানীং অনেকইকে ভুগতে দেখা যায়। শুকনো চুলকানিতে হোমিও ওষুধ আর্সেনিক আয়োড সেবন করে উপকার পাবেন।
> চর্মরোগ বিভিন্ন রোগের সাথে- আপনি জানেন, ত্বকের শুষ্কতায় চুলকানি অনুভূত হয়। একারণে যাদের ত্বকে চুলকানির প্রবণতা রয়েছে, তাদের শীতের দিনগুলোতে চুলকানি বেড়ে যায়। এছাড়া চুলকানি কিছু চর্মরোগের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। চুলকানি মারাত্মক রোগের লক্ষণ না হলেও হেলাফেলা করবেন না। কারণ এমন কিছু রোগ রয়েছে যেগুলোর অন্যতম উপসর্গ চুলকানি।
>কিডনি রোগ: শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ অথবা ক্রনিক রেনাল ফেইলিউরে ভুক্তভোগীদের শরীরে তীব্র চুলকানি অনুভূত হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ৪২ শতাংশ ডায়ালাইসিস রোগীর তীব্র মাত্রার চুলকানি হতে পারে। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন- শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমার কারণে চুলকানি অনুভূত হয়।
> লিভারের রোগ: শরীরের সর্বত্র চুলকানি লিভারের রোগের নীরব লক্ষণ হতে পারে। এ ধরনের চুলকানি লিভার রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। কিন্তু চিকিৎসকেরা ধারণা করেন মানসিক চাপ, ইনফেকশন, অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ ও ওষুধ দ্বারা এটি উদ্দীপ্ত হতে পারে।
> মেরুদন্ডের রোগ: পিঠের ওপরের অংশে মধ্যভাগে দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি নার্ভ ম্যালফাংশন বা ত্রুটিপূর্ণ স্নায়ু কার্যক্রমের উপসর্গ হতে পারে। এ ধরনের চুলকানিকে নিউরোপ্যাথিক ইচ বলে, গবেষণায় দেখা গেছে, মেরুদন্ডের রোগ স্নায়ু চাপে রাখে। ফলে ত্বকে চুলকানি অনুভব হতে পারে। নিউরোপ্যাথিক চুলকানি শরীরের একপাশ অথবা উভয়পাশে হতে পারে। একজিমার লোকেরা চুলকিয়ে ভালো অনুভূতি পায়, কিন্তু স্নায়ুর সমস্যা সংক্রান্ত চুলকানিতে চুলকিয়েও আরাম পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ চুলকানি তীব্র হয়ে থাকে। কেউ কেউ বলেন, এ অনুভূতি পোকামাকড় হাঁটার মতো লক্ষণ প্রকাশ পায়।
> শীতকালীন চুলকানির হাত থেকে রক্ষা পেতে কোন বিষয়গুলোতে নজর দেবেন?
১) শীতকাল এলেই বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। শীতকালে টুকটাক চিপ্স, ভাজাভুজি খেতে মন চায়। যার ফলে বাড়ির খাবারের ইচ্ছা ও খিদে দুই–ই মরে যায়। ফলে শরীর তার নিজস্ব আর্দ্রতা হারাতে থাকে। তাতেই বেড়ে যায় চুলকানির সমস্যা। সুস্থ থাকতে ভাজাভুজি কম খান।অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
২) উল বা গরম কাপড়ে চুলকানি বাড়লে সুতির জামার উপর গরম জামা পরুন। সুগন্ধে অ্যালার্জি থাকলে মৃদু গন্ধের বা গন্ধহীন সাবান মাখুন। গোসলের পর ভেজা গায়ে লাগান গন্ধহীন নারকেল তেল। তারপর এক মগ পানি ঢেলে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চেপে মুছে নিন, ত্বকের আর্দ্রতা বেশি ক্ষণ বজায় থাকবে। দূরে থাকবে চুলকানি। ময়েশ্চারাইজারও লাগাতে পারেন।
৩) শীতকালে গরম পানিতে গোসল মানে ত্বক আরও শুকিয়ে যাওয়া। গোটা শীতকাল জুড়ে অনেকেই গরম পানিতে গোসল করেন। এর ফলে ত্বকের রুক্ষ ভাব বেড়ে দ্বিগুণ হয়। ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ায় চুলকানির মতো কিছু সমস্যা দেখা দেয়।
> চর্মরোগের কিছু ঘরোয়া পরামর্শ ঃ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত গোসল করা, আক্রান্ত স্থানকে ধুলাবালি ও জীবাণুমুক্ত রাখা, গমর ও ধুলোবালি এড়িয়ে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আবার কিছু চর্মরোগের কারণ খাবারের সঙ্গে সম্পর্কিত। সুতরাং চর্মরোগে আক্রান্ত হলে রোগীদের চিংড়ি, কাকড়া, গরুর মাংস, হাঁস এবং মরিচ , আদা , রসুন,রসুনের পাতা ও মদ সহ উত্তেজক খাবার অথবা তেলে ভাজা ও হজম করা কঠিন এমন খাবার নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
চিকিৎসক, কলাম লেখক ও গবেষক
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
অলংকার শপিং কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম।
ইমেইল: [email protected]
মোবা: ০১৮২২৮৬৯৩৮৯
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মির্জাপুরের অবৈধ সেই ৭ ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে
সীমান্তে সাহসী বাংলাদেশিরা, অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে পুরো দেশকে
দাবানলে পুড়ছে প্যারিস হিলটন, অ্যান্টনি হপকিন্সের কোটি টাকার বাড়ি
‘অতিথি দেবতার মতো’, এই নীতিতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত
ভূরুঙ্গামারী মহিলা কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য নির্বাচনে মনোনয়ন পত্রের মূল্য ১০ হাজার টাকা
গোয়ালন্দে পাখিদের নিরাপদ আবাসনে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসাচ্ছেন একদল যুবক
নভোএয়ার এর ১২ বছরের সাফল্য উদযাপন
ফরিদপুরে বিল্ডিংয়ের দরজার পাশে পড়েছিল কেয়ারটেকারের হাত-পা বাঁধা মরদেহ
ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি
আবারও অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে স্মিথ
‘৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবে’
বিএনপির ২২৭৬ নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে
ভোটার এবার আগের মত ভোট হবে না-মৌলভীবাজারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন
ইহুদি খ্রিস্টানদের স্বর্গরাজ্য পুড়ে ছাই হচ্ছে!
জালিয়াতির প্রশ্ন তুলে শিরোপা হারালেন মিস ইউনিভার্স
‘হাসিনা জানুয়ারিতে দেশে আসবেন দাবি সঠিক নয়’
বকশীবাজারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়: মামলার বিচারক
বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে : আমিনুল হক
১০ ঘণ্টা অবরোধের পর বকশীবাজার ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা
ভাঙারি দোকানে আদালতের নথির বস্তা