কোভিডের চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে ‘এমপক্স’ সিডিসির সতর্কতা
০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম

সম্প্রতি আফ্রিকার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে যে এমপক্স (mpox) যা মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত এবং এমপক্স মহামারি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।এমপক্স আরও মারাত্মক মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগে থেকে একে রোধ করতে পর্যাপ্ত অর্থ প্রয়োজন।আফ্রিকার (CDC) সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, এমপক্সের প্রাদুর্ভাব এখনো বাড়ছে এবং অবিলম্বে এর যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এটি কোভিড-১৯ এর চেয়েও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
বৃহস্পতিবার(৩১ অক্টোবর) আফ্রিকা সিডিসি-এর মুখপাত্র নগাশি নগঙ্গো এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, "এমপক্স পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বরং সংক্রমণ আরও বাড়ছে।" জানুয়ারি থেকে আফ্রিকায় প্রায় ৪৮,০০০টি এমপক্স সংক্রমণ এবং ১,১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আফ্রিকার মানুষের দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে এ সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না, এবং প্রায় ১৯টি দেশে এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মৌরিতানিয়াতেও এমপক্সের সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছে।
সিডিসি( CDC) উল্লেখ করেছে যে তহবিলের অভাবে এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগঙ্গো জানান, “আমাদের এখন রাজনৈতিক এবং আর্থিক সমর্থন প্রয়োজন, কারণ এমপক্সকে আরেকটি মহামারি হওয়া থেকে রোধ করতে হবে, যা কোভিড-১৯ থেকেও মারাত্মক হতে পারে।”
এমপক্স এক প্রকার ভাইরাসজনিত রোগ, যা সাধারণত সংক্রমিত পশুর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়, তবে এটি মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শেও ছড়াতে পারে। এটি স্মলপক্স সম্পর্কিত একটি ভাইরাস, যা জ্বর, শরীরব্যথা, ফোলা লসিকা গ্রন্থি এবং ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসের দুটি প্রধান উপপ্রকার রয়েছে – ক্লেড ১ এবং ক্লেড ২। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যেও এমপক্সের নতুন ক্লেড ১বি শনাক্ত হয়েছে এবং এটি সুইডেন ও জার্মানিতেও দেখা গেছে।
আফ্রিকায়, বিশেষত কেন্দ্রীয় আফ্রিকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, যেখানে মহাদেশের মোট ৮৫.৭ শতাংশ এমপক্স সংক্রমণ এবং ৯৯.৫ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে, যা এমপক্স প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র এবং যেখানে ইতোমধ্যে টিকাদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, আফ্রিকার জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর এমপক্সের বিস্তার রোধে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।তারা ভবিষ্যতের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার আশা করেন। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

চৈত্র সংক্রান্তিতে আজ কনসার্ট, বর্ষবরণে কাল ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি

বিদেশ যাওয়া নিয়ে উপহাস করায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

এবারও হচ্ছে না সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষা নিয়ে রিটের শুনানি আজ

গুপ্তচরবৃত্তিতে চীনের সাবেক সামরিক কর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

এবার বরিশালে প্রায় ৩ লাখটন গোলআলু উৎপাদন হলেও দরপতনে হতাশ কৃষিযোদ্ধাগন

গাজার আবাসিক এলাকায় ২৩ দিনে ২২৪ বার ইসরায়েলি হামলা

টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে আজ

নামাজ পড়েন শাহরুখ-সালমান! কি বললেন ফারাহ?

মহাকাশ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ সহযোগিতায় নতুন সম্ভাবনা

বাংলাদেশে নেতানিয়াহুকে জুতাপেটার খবর ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশ

পারমাণবিক চুক্তি: ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা

চালু হচ্ছে দেশের পরিত্যক্ত ৭ বিমানবন্দর

লেবাননে হিজবুল্লাহর অধিকাংশ সামরিকঘাঁটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

ট্রাম্পের শুল্কে ছাড়, বাঁচল মোবাইল ও কম্পিউটার

ওয়াকফ আইন পশ্চিমবঙ্গে বলবৎ হবে না: মমতা

কোন দলের কে কে ছিলেন ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে

কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির গুদাম

শিল্পকারখানার জন্য গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা আজ

বর্ষবরণ ঘিরে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা